ইনসাইড গ্রাউন্ড

ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে অনুশোচনা নেই হারমানপ্রীতের

প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে অনুশোচনা নেই হারমানপ্রীতের।

গত মাসে মিরপুরে বাংলাদেশ-ভারত মেয়েদের তৃতীয় ওয়ানডেতে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছিলেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। এর জন্য তাঁর শাস্তিও হয়েছে। সেই সময় হারমানপ্রীতের সমালোচনা করেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই। কিন্তু হারমানপ্রীত ছিলেন মুখে কুলুপ এঁটে।

ঘটনার এক মাস পর সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন হারমানপ্রীত। বললেন, তিনি ভুল কিছু করেননি। তাই ওই ঘটনা নিয়ে কোনো অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই তাঁর!

হারমানপ্রীত এই মুহূর্তে আছেন ইংল্যান্ডে। মেয়েদের দ্য হান্ড্রেডে ট্রেন্ট রকেটসের হয়ে খেলছেন। সেখানে ম্যাচের ফাঁকে দ্য ক্রিকেট পেপার নামের একটি পত্রিকার সঙ্গে মিরপুরের ঘটনা নিয়ে বলেছেন ভারত অধিনায়ক, ‘আমি এটা বলব না যে (ওই ঘটনা নিয়ে) অনুশোচনায় ভুগছি।’

ওই ঘটনা নিয়ে কেন কোনো অনুশোচনা নেই, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন হারমানপ্রীত, ‘দিন শেষে একজন খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে চাই যে সবকিছু ন্যায্য হচ্ছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে অবশ্যই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে হবে।’

২২ জুলাই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে হারমানপ্রীতের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের শুরুটা হয় আউট হওয়ার পর। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর ভারতীয় অধিনায়ক তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন। এরপর আম্পায়ারের উদ্দেশে ক্ষোভ ঝাড়েন। এমনকি মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দর্শকদের দিকে তাকিয়েও কিছু একটা বলেন। সেখানেই শেষ হয়নি; পরে ম্যাচের পুরস্কার বিতরণীতেও তাঁর শরীরী ভাষায় ছিল তাচ্ছিল্য ভাব।

সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ায় দুই দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। ভারত ও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ট্রফি হাতে ছবি তোলার জন্য দাঁড়ালে হারমানপ্রীত বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানার উদ্দেশে বলেন, ‘শুধু তোমরা কেন, আম্পায়ার তোমাদের ম্যাচ টাই করিয়েছে। আম্পায়ারকেও ডাকো। একসঙ্গে ছবি তুলি।’

হারমানপ্রীতের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মদন লাল, ডায়ানা এডুলজি, আনজুম চোপড়ারা। এডুলজি হারমানপ্রীতের আচরণকে ‘আপত্তিকর ও কুৎসিত’ বলে অভিহিত করেন, আর বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় মদন লাল বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে শাস্তির দাবি জানান।

পরে আইসিসি হারমানপ্রীতকে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করে।

তবে এত কিছুর পরও নিজের আচরণকে অন্যায় বলতে নারাজ হারমানপ্রীত, ‘আমি মনে করি না, কোনো খেলোয়াড় বা অন্য কাউকে ভুল কিছু বলেছি। মাঠে যা ঘটেছে, আমি তো শুধু সেটাই বলেছি। আমার কোনো অনুশোচনা নেই।’


ঔদ্ধত্যপূর্ণ   আচরণ   অনুশোচনা   হারমানপ্রীত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন নম্বরে নাজমুল না সাকিব?

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল নাজমুলকে, সেই সূত্রে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও তিনিই এলেন। পুরো আসরে বাংলাদেশ দলের ৯ ম্যাচের ৭টিতেই হেরে যাওয়ার পেছনে টপ অর্ডারে ব্যাপক মাত্রার অদলবদলের প্রশ্নে নাজমুলের জবাবে ছিল দায় স্বীকারের প্রকাশ, ‘অনেক বেশি হয়ে গেছে। না করলেই ভালো।’

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ছয় মাস পর সেটি টি-টোয়েন্টির সংস্করণের বাংলাদেশ দল যখন আরেকটি বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে, তখন আবারও আলোচনায় ব্যাটিং অর্ডারের অদলবদল প্রসঙ্গ। এবারও কি ব্যাটিংয়ের ওপরের দিকে, বিশেষ করে ৩ নম্বর পজিশনে ওলট-পালট চলবে? এটা স্পষ্ট যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই ব্যবস্থা কাজে দেয়নি, নাজমুলও এর প্রবল সমর্থক ছিলেন না। তবু প্রশ্নটা উঠছে ৩ নম্বর পজিশনে গত দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা ও কন্ডিশন এবং সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট পার্থক্যের কারণে। অর্থাৎ সাবেক অধিনায়ক সাকিব আর বর্তমান অধিনায়ক নাজমুলের ৩ নম্বরে ব্যাটিং-খতিয়ানই তুলছে প্রশ্নটা।

নাজমুল তার ৩৬ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ১৮টি ম্যাচই খেলেছেন ৩ নম্বরে। এর বেশির ভাগই গত এক বছরের মধ্যে। কিন্তু মার্চে শ্রীলঙ্কা ও চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩৬ রানের পরও সিরিজের চার ইনিংসে রান মোটে ৮১। কম রানের পাশাপাশি নাজমুলের ব্যাটিংয়ে অস্বস্তির আরেক দিক—স্ট্রাইক রেটের দুর্দশা। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮১ রান করতে খেলেছেন ৭৮ বল, স্ট্রাইক রেট ১০৩.৮৪। শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে নয়, নাজমুলের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেটই দৃষ্টিকটু রকমের কম (১১১.১৬)। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ২০ অধিনায়কের মধ্যে যা ১৯তম।

নাজমুলের আগে অধিনায়ক থাকার সময় সাকিবও তিনে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটে সবচেয়ে বেশি রানও এ পজিশনেই—৪২ ইনিংসে ১০৮৫। ক্যারিয়ারের ১২ ফিফটির ৭টিও করেছেন তিনে নেমে। সাকিব তিনে খেলে হাজারের বেশি রান করেছেন ২৯.৩২ গড় আর ১২৩.১৫ স্ট্রাইক রেটে। অবশ্য শুধু স্ট্রাইক রেট বিবেচনা করলে সাকিবের সেরা পজিশন ৪ নম্বর। এখন পর্যন্ত ৪৫ ইনিংসে চারে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইকে ৮৮০ রান তাঁর (৬ নম্বরে নেমে ৬ ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ১৩০)। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলোতে ৪ নম্বর পজিশনেই ব্যাট করেছেন ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।

তবে মোটের ওপর রানসংখ্যা, গড় ও স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় সাকিব তিনেই বেশি সফল। এবারের বিশ্বকাপের দুই ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর পারফরম্যান্স তো ক্যারিয়ার–গড়ের চেয়েও বেশি। ক্যারিবীয় অঞ্চলে খেলা ৭ ইনিংসে সাকিবের গড় ৩৫.৫০ (মোট ২১৩ রান), স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৪১। আর যুক্তরাষ্ট্রে খেলা দুই টি-টোয়েন্টিতে ৪২ গড় ও ১৪০ স্ট্রাইক রেটে রান ৮৪।

নির্দিষ্ট কন্ডিশন ও ৩ নম্বরের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যে সাকিবই যে এগিয়ে, সেটি এসব পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তবে এসব বিবেচনায় নিয়ে সাকিবকে তিনে ফেরানো মানে আবারও ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদল। সেটার সম্ভাবনা কেমন, বিশেষ করে গত বছর ভারত বিশ্বকাপে তেতো অভিজ্ঞতার পর—এমন প্রশ্নই উঠেছিল দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে।

মজার বিষয় হচ্ছে, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো বটেই, অধিনায়ক নাজমুলও এই বিশ্বকাপে আরেকটি ওলট-পালটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। হাথুরুর জবাব ছিল সোজাসাপটা, ‘হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তিত হবে। এটা ক্রিকেটে স্বাভাবিক ব্যপার। এটা আসলে আপনি কোথায় ব্যাট করছেন এবং কতটা সেরা ব্যাটিং করছেন, তার ওপর নির্ভর করে।’

আর অধিনায়ক নাজমুল, যিনি নিজেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওলট-পালট বেশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার জায়গায় তিনে সাকিবের খেলার সম্ভাবনায় দিয়েছেন কূটনৈতিক জবাব, ‘এটা নির্ভর করবে কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার ওপর।’

যার অর্থ, আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে অদলবদলের সম্ভাবনা ভালোভাবেই থাকছে।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বকাপ   নাজমুল হাসান শান্ত   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবসান ঘটতে চলেছে দেশের ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডব যুগের?

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র ১৫ দিন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে ব্যাটে-বলের সেই লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর তাই এবার আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রতিটি দলই তাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছে।

ইতোমধ্যেই প্রায় প্রতিটি দল তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে ১৯তম দল হিসেবে গত মঙ্গলবার দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যেখানে অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে সাজানো হয়েছে এবারের স্কোয়াড। বাংলাদেশও রয়েছে সেই তালিকায়। 

তবে এবারের টাইগারদের বিশ্বকাপ দলের কিছু প্লেয়ারের জন্য হতে চলেছে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। যেমন, দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনই হয়তো বাংলাদেশের জার্সিতে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছেন এটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

যার জন্য ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই চলছে এ নিয়ে আলোচনা। অনেকে বলছেন, পঞ্চপাণ্ডব যুগের অবসান ঘটতে চলেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক কোন ট্রফি না জেতায় অনেকে আবেগী পোস্ট ও করেছেন। 

শুধু তাই নয়, অধিনায়ক শান্তও বলেছেন যে, ধারণা করা হচ্ছে এটাই তাদের শেষ বিশ্বকাপ। শান্তর ভাষ্য, ‘আমি নিশ্চিত নই, এটা সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর শেষ বিশ্বকাপ কি না; কিন্তু এটি ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা। এজন্য আমরা তরুণ খেলোয়াড়রা তাদের ভালো কিছু উপহার দিতে চাই। এটা অবশ্যই তরুণ খেলোয়াড়দের গুরুদায়িত্ব।’

তবে আসন্ন এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটের এই দুই মহাতারকা কিছু রেকর্ড ও গড়ছেন। যেমন, সাকিব আল হাসান। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই তারকা। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ফরম্যাটের সব বিশ্বকাপেই ছিলেন সাকিব। এমনকি ২০১০ এবং ২০২২ আসরে পালন করেছেন অধিনায়কের দায়িত্বও। 

অন্যদিকে বাংলাদেশের আরেক তারকা খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটা আসর বিরতি দিয়ে আবারও ফিরেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে। তবে ২০২২ সালের আসরে অংশগ্রহণ না করায় সাকিবের সঙ্গে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি। তাই এবার ক্রীড়াঙ্গন জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে তবে কি বিশ্বকাপের এই স্কোয়াড দেখে কিঞ্চিৎ আক্ষেপ করছেন মাহমুদউল্লাহ?

এদিকে সাকিব ছাড়া এমন রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন কেবল রোহিত শর্মা। কারণ ৯ বিশ্বকাপের ৯ টিতেই ছিলেন বাংলাদেশ এবং ভারতের শুধু এই দুই তারকাই। 

অন্যদিকে তাদের চেয়ে মাত্র একটা বিশ্বকাপ কম খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন রিয়াদ। আর ২০২১ সালে খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে।

নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে দায়িত্ব পেলেও, বৈশ্বিক পর্যায়ে এটাই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আর তাসকিন আহমেদ চলতি বছরের বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক হয়েছিলেন। সেটাও অবশ্য কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পর। 

তাই বলা যায় এই বিশ্বকাপে তারুণ্য নির্ভর দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি এই তারুণ্যের মিছিলে আছেন এমন ৬ মুখ যারা কখনোই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাননি। তারা হলেন-  ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম, ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়, উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক, দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও রিশাদ হোসেন এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিব। 

এই তরুণ ক্রিকেটারের মধ্যে তানজিদ তামিম গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন সবকটি ম্যাচ। তানজিম সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন দুই ম্যাচে। তাওহীদ হৃদয় বিগত দুই বছরে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত পারফর্মার। ২০২৩ বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি। তবে বাকি তিনজনের এটাই দেশের জার্সিতে প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। 

দ্বিতীয়বারের মতো ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসান। লিটন দাস ও শরীফুল ইসলাম খেলতে যাচ্ছেন নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। আর সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজের জন্য এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। 

এদিকে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর এটাই প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাসকিনের প্রথম টুর্নামেন্ট এটি। তবে খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৪ সাল থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়মিত মুখ তিনি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোতে জার্মানির স্কোয়াডে চমকের ছড়াছড়ি

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী জুনে বসছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। স্বাগতিক দেশ হওয়ায় জার্মানিকে এবারের ইউরোর বাছাই পর্ব খেলতে হয়নি। তাই প্রীতি ম্যাচ খেলেই নিজেদের প্রস্তুতি সেরেছে তিনবারের ইউরোপসেরারা।

আসন্ন ইউরোতে চতুর্থ শিরোপার সন্ধানেই মাঠে নামবে ডাইমানশ্যাফট খ্যাত দলটি। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে ২৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন জার্মান কোচ নাগেলসম্যান।

নাগেলসম্যানের দলে সুযোগ হয়নি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা ম্যাট হ্যামেলস, জুলিয়ান ব্রান্ডট, করিম আদেয়েমি ও নিকোলাস সুলের। এমনকি জায়গা পাননি বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার লিওন গোরেৎস্কাও।

নাগেলসম্যান ইউরোর দলে ডাকার ক্ষেত্রে বুন্দেসলিগার চলতি মৌসুমের পারফরম্যান্সকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। দলে ডাক পেয়েছেন ভিএফবি স্টুটগার্টের ফরোয়ার্ড দেনিজ উন্দাভ ও টিএসজি হফেনহেইমের ম্যাক্সিমিলান বেইয়ের। কোচের অনুরোধে অবসর ভেঙে ফেরা রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার টনি ক্রুস আছেন ইউরোর দলে।

জার্মানির ইউরো স্কোয়াড

গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল ন্যুয়ার, টার স্টেগান, অ্যালেক্সান্ডার নুবেল, অলিভার বাউম্যান। ডিফেন্ডার: নিকো স্ক্লটারব্যাক, জোনাথান টাহ, রবিন কচ, ম্যাক্সিমিলান মিটেলস্ট্যাড, জশুয়া কিমিখ, অ্যান্টনি রুডিগার, ডেভিড রাম, ভালদেনার আন্টন, বেঞ্জামিন হেনরিখস।

মিডফিল্ডার: আলেকসান্ডার প্যাভলোভিচ, রবার্ট আন্ডরিচ, প্যাসকাল গ্রব, ইলকায় গুন্দোয়ান, ফ্লোরিয়ান রিটজ, জামাল মুসিয়ালা, টনি ক্রুস। ফরোয়ার্ড: নিকলাস ফুলক্রুগ, কাই হাভার্টজ, লেরয় সানে, দেনিজ উন্দাভ, টমাস মুলার, ম্যাক্সিমিলান বেইয়ের।


জার্মানি   ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজকে শুভকামনা জানাল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। যেখানে এবার শুরু থেকেই চেন্নাইয়ের জার্সিতে দ্যুতি ছাড়িয়েছিলেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই দেশে ফিরতে হয়েছিল তাকে। এতে দলটির হয়ে বাকি ম্যাচগুলো মিস করেছেন কাটার মাস্টার।

দলের সঙ্গে না থাকলে কি হবে মুস্তাফিজকে মাঝেমধ্যেই মনে করে চেন্নাইয়ের মিডিয়া বিভাগ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য এই বাংলাদেশি পেসারকে শুভকামনা জানিয়েছে আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুস্তাফিজের একটি ছবি পোস্ট করেছে চেন্নাই। সেখানে তারা লিখেছে, ‘মিশন কাটার। সুইং স্ট্রং। তোমাকে শুভকামনা ফিজ।’

এবারের আসরে চেন্নাইয়ের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। যেখানে নিজের ঝুলিতে ভরেছেন ১৪টি উইকেট। দলটির হয়ে বাকি ম্যাচগুলো খেললে হয়তো আইপিএলে নিজের করা ২০১৬ সালের রেকর্ডটি ভাঙতে পারতেন এই পেসার। সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ইমার্জিং ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছিলেন।

এদিকে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ দল। সতীর্থদের সঙ্গে সেখানে পাড়ি দিয়েছেন দ্য ফিজও।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে অবসরে যাচ্ছেন ভারতের ফুটবলের মহাতারকা

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে ভারতীয় ফুটবলে ঘটতে চলেছে একটি যুগের অবসান। দেশটির ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা সুনীল ছেত্রী শেষমেশ অবসর নিতে চলেছেন। জানা গেছে, আগামী ৬ জুন যুবভারতী স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ কথা নিজেই জানিয়েছেন সুনীল।

২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর। ৩৯ বছর বয়সী ভারতীয় এই কিংবদন্তি অধিনায়ক দীর্ঘ সময় ভারতের আক্রমণভাগকে একাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসংখ্য ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। অনেক হৃদয়-বিদারক ম্যাচের সাক্ষীও তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও তার রয়েছে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সুনীল বলেন, ‘একটা দিন জীবনে কোনও দিন ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথম বার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য অনুভূতি। গত ১৯ বছরে অসহ্য চাপ এবং দেশের হয়ে খেলার আনন্দ, দুটোই আমার সঙ্গে সব সময় ছিল। ব্যক্তিগত ভাবে আমি কোনও দিন ভাবতে পারিনি দেশের হয়ে এত গুলো ম্যাচ খেলব, ভাল হোক বা খারাপ, এত কিছু করতে পারব। এখন আমি সেটা পেরেছি। গত এক-দেড় মাসে আমি সেটা পেরেছি এবং খুব অদ্ভুত লেগেছে। হয়তো করতে পেরেছি কারণ, আমি বুঝতে পেরেছিলাম পরের ম্যাচটা আমার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।’

জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলে এখনও সুনীলের দিকে তাকিয়ে থাকেন ভারতের সমর্থকেরা। কত বার তিনি ভারতকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বা দেশকে গর্বিত করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। এখন পর্যন্ত সুনীলের যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে পায়নি ভারত। সম্ভাব্য হিসাবে অনেকের নাম উঠে আসলেও কেউই তার মানের হতে পারেনি।


সুনীল ছেত্রী   ভারত   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন