ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন সাকিব, বিদায় ‘লিজেন্ড’


Thumbnail

সাকিব আল হাসান নামটি অনেক ক্রিকেটমোদীকে আমোদিত করে। কাউকে কাউকে বিদ্বেষী করে তোলে। কেউবা, আবার সাকিব মানেই মনে করেন এক ‘স্পিরিট’ এক উৎসাহ। কারণ, এই তরুণ প্রজন্মের বাংলাদেশে যারাই ক্রিকেট দেখেন এবং ক্রিকেটার হতে চান তাদের বেশীরভাগই সাকিব হতে চান। তাই মাঠের বাইরের বিতর্ককে ছাপিয়ে সাকিব এক উদ্দীপনার নাম উৎসাহের নাম। আর এই লাল-সবুজের ক্রিকেট উদ্দীপকের সম্ভবত এবারই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। সম্ভবত শব্দটি এজন্য বলতে হলো যে তিনি নিজ মুখে এখনও ঘোষণা করেননি এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে তিনি আগেই বলেছিলেন ২০২৩ বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ। তারপরও তার বয়স অনুপাতে এটা বলা যায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবারই তিনি হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। 

প্রায় ৩৭ বছর ছুঁই ছুঁই সাকিব এই বিশ্বকাপে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। নিজের ক্যারিয়ারে ৬টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২টি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

২০০৭ বিশ্বকাপে সুযোগ পান সাকিব আল হাসান। পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচেই ফিফটির দেখা পান আল হাসান। ৮৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৫৩ রান।  

২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইটে যেতে বারমুডাকে হারাতেই হতো বাংলাদেশকে। পোর্ট অব স্পেনে সেই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব। ৩ ওভার বোলিং করে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। বৃষ্টি আইনে ৭ উইকেটে জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ দেখায় দ্বিতীয় চমক। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সুপার এইটের ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৮৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্প-এই দুই প্রোটিয়া ব্যাটারের গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ভারতের পর সেই বিশ্বকাপে আরও এক ফিফটি পেয়েছেন তিনি। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের ৯৫ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস ভেস্তে যায় বাংলাদেশ ৪ উইকেটে হেরে যাওয়ায়। নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ২৮.৮৫ গড় ও ৫৭.২২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২০২ রান। আর বোলিংয়ে ৪.৯৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। 

২০১১ সালে নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপেই সাকিব খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে। সেই ম্যাচ বাংলাদেশ ৩টি ম্যাচ হেরেছিল এবং জয়ের রেকর্ডও ছিল তিন ম্যাচে। ইংলিশদের প্রথমবারের মতো তারা বিশ্বকাপেই হারিয়ে দেবার স্বাদ পায়। সেবার বিশ্বকাপে বোলিংয়ে ৪.৮১ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৮ উইকেট। তবে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি সাকিব। 

চার বছর পর অর্থাৎ ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ খেলতে যায় নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপকে এখনো পর্যন্ত ধরা হয় বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডকে ছিটকে দিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সাকিব এই বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে ছিলেন দুর্দান্ত। ৩৯.২০ গড় ও ৯৩.৭৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৯৬ রান। আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি ফিফটি করেছেন। 

২০১৯ বিশ্বকাপে ভেন্যু বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ফরম্যাটও বদলে যায়। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপ ছিল ১০ দলের রাউন রবিন ফরম্যাটে। এই বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন অতিমানবীয় ফর্মে। ব্যাটিংয়ে ৮৬.৫৭ গড় ও ৯৬.০৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৬০৬ রান। যে ৮ ম্যাচ বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পেয়েছিল, তার মধ্যে ৭ টিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান-যে তিন ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, সবগুলোতেই দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফে ১১৯ বলে ১২১ রানের ইনিংসটাই ছিল সাকিবের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান-পাঁচ ম্যাচেই করেছেন ফিফটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন সাকিব। বোলিংয়ে এই বিশ্বকাপে ৫.৩৯ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১১ উইকেট। 

২০১৯ বিশ্বকাপের মতো ১০ দল ও রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে হচ্ছে ২০২৩ বিশ্বকাপ। ভারতের মাঠে হওয়া এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন সাকিব। এশিয়ান কন্ডিশনে হওয়ায় সাকিবের থেকে ভক্ত সমর্থকদের প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল। তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি নানা কারণে। দলেরও পারফরম্যান্স হয়েছে হতাশাজনক। তবে শেষ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি রাঙিয়েছেন সাকিব। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৫ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ৮২ রান। যা এবারের বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম ফিফটি। দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। বাংলাদেশের ৩ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ও শেষ দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছেন সাকিব। আর এই জয়ের ম্যাচটি আরেকটি কারণে ইতিহাসের পাতায় তার নাম উঠে থাকবে। তা হলো ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে টাইমড আউটের আবেদনটি তিনিই অধিনায়ক হিসেবে করেছিলেন। 

২০০৭ থেকে ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলে ৩৬ ম্যাচে ৪১.৬২ গড় ও ৮২.২৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৩৩২ রান। বিশ্বকাপে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় আছেন ৭ নম্বরে। ২ সেঞ্চুরি ও ১১ ফিফটিতে ১৩টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন তিনি। পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলার রেকর্ডে শচীন টেন্ডুলকার (২১), বিরাট কোহলির (১৪) পরেই আছেন সাকিব। আর বোলিংয়ে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে ৫.১৪ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে বিশ্বকাপে সাকিবের ওপরে শুধুই আছেন ৬৮ উইকেট নেওয়া মুত্তিয়া মুরালিধরন।


বিশ্বকাপ   সাকিব   লিজেন্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।

আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা, এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুই দলই।

এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।

ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড, ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’

ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে। অপেক্ষায় থাক।’

আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’

রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’

কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’

অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’

ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও থাকবে। 

আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুন।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   সেমিফাইনালিস্ট   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।

এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।

জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট   আবাহনী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ও  জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল এখন অবস্থান করছে চট্টগ্রামে। কারণ আর মাত্র একদিন পরেই সেখানে মাঠে গড়াবে এই দুই দলের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিসিবি।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার মাঠের আম্পায়ারসহ ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে মাঠে অন-ফিল্ড আম্পায়ার, তৃতীয় আম্পায়ার এবং চতুর্থ আম্পায়ারসহ সবমিলিয়ে কাজ করবেন ৫ বাংলাদেশি। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

চট্টগ্রামে ৩ মে প্রথম ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন মাসুদুর রহমান মুকুল এবং তানভীর আহমেদ। টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন মোহাম্মদ মোর্শেদ আলী খান।

একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে সৈকতের সঙ্গে থাকবেন মুকুল অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে। মোর্শেদ আলীকে দেখা যাবে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে। এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার থাকবেন তানভীর আহমেদ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ে মুকুলের পরিবর্তে থাকবেন মোর্শেদ আলী।

এছাড়া শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ে থাকবেন সৈকত। সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে গাজী সোহেল ও তানভীর আহমেদকে। তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে চতুর্থ ম্যাচে থাকবেন তানভীর ও শেষ ম্যাচে সোহেল। দুই ম্যাচেই চতুর্থ আম্পায়ার থাকবেন মুকুল। প্রতিটি ম্যাচেই ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীলঙ্কার রঞ্জন মদুগালে।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি   আম্পায়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তবে কি সালাহ লিভারপুল ছাড়বেন?

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছিল লিভারপুল। তবে ম্যাচটিতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক কাণ্ডে। এদিন বদলি হিসেবে কেলতে নামার পূর্বে ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মোহাম্মদ সালাহ। যার ফলে গুঞ্জন উঠেছে, লিভারপুলে আর বেশিদিন থাকছেন না সালাহ। কারণ আর এক বছর পরেই লিভারপুলের সাথে চুক্তিও শেষ হতে যাচ্ছে সালাহর।

তবে চুক্তির শেষ বছরটা মোহাম্মদ সালাহ অন্তত এ্যানফিল্ডেই কাটাবেন বলে আশাবাদী লিভারপুল। স্কাই স্পোর্টস ও দ্য এ্যাথলেটিকের সূত্রমতে, ৩১ বছর বয়সী সালাহ এখনো লিভারপুল ছাড়ার কোন ইঙ্গিত দেননি। লিভারপুলেরও তাকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

মিশরীয় এই তারকা গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি যদি আজ কোন কথা বলি তবে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।’

এই মৌসুমের শুরুতে সৌদি পেশাদার ক্লাব আল ইত্তিহাদের কাছে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে সালাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য লিভারপুলের আলোচনার বিষয়টি নিয়ে বেশ হইচই হয়েছে। যদিও লিভারপুল ওই সময় সব আলোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল।

এ মৌসুমের শেষে অবশ্য ক্লপ লিভারপুল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই দলের বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, সাদিও, মানে, করিম বেনজেমাদের দলে ভিড়িয়ে গত মৌসুমে সৌদি পেশাদার লিগ সারা বিশ্বে যেভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল এবারও তারা সেটা অব্যাহত রাখতে চায়। আর এ লক্ষ্যে তাদের প্রথম পছন্দ ইউরোপীয়ান শীর্ষ লিগে খেলা তারকা খেলোয়াড়রা।

এবারের মৌসুমে সালাহ ২৪ গোল করেছেন। যদিও জানুয়ারিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ার কারনে সালাহ কিছুটা ফর্মহীনতা ভুগছেন। আর সালাহর এই গোলখরা লিভারপুলের ওপর প্রভাব ফেলেছে। ইতোমধ্যেই শিরোপা দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে রেডসরা। ইউরোপা লিগ ও এফএ কাপ থেকে আগেই বিদায় ঘটেছে।

২০২২ সালে সালাহ লিভারপুলের সাথে যে তিন বছরের চুক্তি নবায়ন করেছিল তা শেষ হতে আর মাত্র এক বছর বাকি রয়েছে।


উয়েফা ইউরোপা লিগ   লিভারপুল   মোহাম্মদ সালাহ   ওয়েস্ট হ্যাম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন