ইনসাইড গ্রাউন্ড

ম্যারাডোনা একজনই ছিলেন

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি তারকা আর্জেন্টিনার ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা ৬০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। বুয়েনাস আয়ার্সে তার বাসভবনে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

 

আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফুটবল মিডফিল্ডার এবং ম্যানেজার ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ২০২০ সালের নভেম্বরের শুরুর দিকে তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু, মৃত্যু যাকে ডাক দিয়েছে তাকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতেই হবে। তাইতো ডিয়াগো ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন।

বিশ্ব ফুটবলের অবিসংবাধিত এই নায়কের পুরো নাম দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। পুরো বিশ্ব যেন মুহূর্তেই থমকে পড়ে কিংবদন্তির প্রস্তানের খবরে। আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে সমগ্র পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে শোকের কালো ছায়া।

১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ম্যারাডোনা। ল্যানুসের সেই ছোট্ট ছেলেটি বাঁ পায়ের জাদুতে বিশ্বকে মোহিত করেছেন। ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ‘এল পিবে দে অরো’ বা (সোনালি বালক) নামে পরিচিত ছিলেন ম্যারাডোনা। আজ ৩ বছর হলো পৃথিবী থেকে মহানায়কের হারিয়ে যাবার।

 

মাত্র ১৯ বছর বয়সেই নিজের মেধা ও ফুটবল দক্ষতায় অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জয় করেন ম্যারাডোনা। ১৯৭৯ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে গোল্ডেন বল জিতেছিলেন এই মহানায়ক। সেই সঙ্গে আর্জেন্টিনা খুঁজে পায় তাদের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হওয়া নতুন এক তারকাকে। যিনি পরবর্তীতে সমগ্র বিশ্বের কাছে আর্জেন্টিনাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ফুটবল মাঠে বাঁ পায়ের অনবদ্য জাদুশৈলী দিয়ে।

১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন একক প্রচেষ্টায়। সেই প্রতিযোগিতায় মাত্র ১১ সেকেন্ডের তাণ্ডবে ১১ টাচে তিনজন ইংলিশ ফুটবলারকে বোকা বানিয়ে শতাব্দীর সেরা গোলটি করেন ম্যারাডোনা। এই ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই আরও একটি গোল হাত দিয়ে করেছিলেন ম্যারাডোনা। সেই গোলটিকে পরবর্তীতে ঈশ্বরের গোল নাম আখ্যা দিয়েছিলেন এই ফুটবল কিংবদন্তি।

 

১৯৯০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলেন ম্যারাডোনা। সেদিন ইতালিয়ানরা আলবিসেলেস্তেদের জন্য গলা ফাটিয়েছিল। কারণটা সেই নাপোলির ম্যারাডোনা। যিনি ১৯৮৪ সালে ইতালির এক সাদামাটা দল নাপোলিতে যোগ দিয়ে একক নৈপুণ্যে অখ্যাত ক্লাবকে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ট্রফি ইউরোপা লিগ জয়ের আনন্দে মাতান নেপলসবাসীকে। সেই সঙ্গে দুবার ইতালিয়ান সেরি আ লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন নাপোলি তারকা। এরপরই বিশ্বময় জ্বলজ্বল করে ওঠে নাপোলি ক্লাবের নাম। যিনি নেপলস শহরের মানুষের কাছে হয়ে ওঠেন এক মহানায়ক। আর তাইতো এই মহানায়কের মৃত্যুতে নাপোলির তৈরি করা স্টেডিয়ামে প্রিয় তারকার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার ব্রোঞ্জমূর্তি বসিয়েছে নাপোলি ক্লাব।

 

মোট ৬টি ক্লাবের হয়ে পেশাদার ফুটবল খেলেছেন ম্যারাডোনা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক ঘটে ফুটবল ঈশ্বরের। এরপর ইউরোপের সেভিয়া, বার্সেলোনা, নাপোলির হয়ে মাঠ মাতান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের হয়েও বাঁ পায়ের জাদু দেখান তিনি।

 

নিজের বাঁ পায়ে ফুটবল বিশ্বকে শাসন করলেও মুখে ছিল অসহায় মানুষের জয়গান। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ নামে খ্যাতি পেলেও ভীষণ রকম মানবিক গুণের অধিকারী ছিলেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার দরিদ্র এক অঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন, মাঝে সঙ্গী ছিল চরম ক্ষুধা, ছিল দারিদ্র্যের সঙ্গে এক অসম লড়াই।

 

কিউবার কালজয়ী প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রো ছিলেন ম্যারাডোনার জীবনের আদর্শ। নিজের বাঁ পায়ে এঁকেছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ট্যাটু। আর হাতের বাহুতে রেখেছিলেন আরেক বিপ্লবী চে গুয়েভারার ট্যাটু। দক্ষিণ আমেরিকার আরেক মানবিক নেতা হুগো শ্যাভেজেরও বন্ধু ছিলেন এই মহানায়ক। নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনের পক্ষেও প্রতিবাদের ধ্বনি তুলতেন মহাকালের মহানায়ক।

 

ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনা ৩ বছর আগে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেও মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই পাওয়া ডিয়াগো ম্যারাডোনা বেঁচে থাকবেন চিরকাল। কারণ, ফুটবলে ম্যারাডোনা একজনই। 


ফুটবল   ফিদেল ক্যাস্ক্রো   চে   আর্জেন্টিনা   ম্যারাডোনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালের দিকে ডর্টমুন্ড

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না পিএসজির।

বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।

সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।

ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই। তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে, ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর শট লাগে আরেক পোস্টে।

৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে ৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।

শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই। প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।

ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি


পিএসজি   ডর্টমুন্ড   চ্যাম্পিয়নস লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।

আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা, এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুই দলই।

এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।

ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড, ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’

ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে। অপেক্ষায় থাক।’

আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’

রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’

কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’

অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’

ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও থাকবে। 

আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুন।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   সেমিফাইনালিস্ট   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।

এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।

জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট   আবাহনী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ও  জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল এখন অবস্থান করছে চট্টগ্রামে। কারণ আর মাত্র একদিন পরেই সেখানে মাঠে গড়াবে এই দুই দলের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিসিবি।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার মাঠের আম্পায়ারসহ ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে মাঠে অন-ফিল্ড আম্পায়ার, তৃতীয় আম্পায়ার এবং চতুর্থ আম্পায়ারসহ সবমিলিয়ে কাজ করবেন ৫ বাংলাদেশি। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

চট্টগ্রামে ৩ মে প্রথম ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন মাসুদুর রহমান মুকুল এবং তানভীর আহমেদ। টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন মোহাম্মদ মোর্শেদ আলী খান।

একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে সৈকতের সঙ্গে থাকবেন মুকুল অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে। মোর্শেদ আলীকে দেখা যাবে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে। এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার থাকবেন তানভীর আহমেদ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ে মুকুলের পরিবর্তে থাকবেন মোর্শেদ আলী।

এছাড়া শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ে থাকবেন সৈকত। সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে গাজী সোহেল ও তানভীর আহমেদকে। তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে চতুর্থ ম্যাচে থাকবেন তানভীর ও শেষ ম্যাচে সোহেল। দুই ম্যাচেই চতুর্থ আম্পায়ার থাকবেন মুকুল। প্রতিটি ম্যাচেই ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীলঙ্কার রঞ্জন মদুগালে।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি   আম্পায়ার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন