ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগগুলোর মধ্যে আইপিএল সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সমাদৃত। সারা
বিশ্বের ক্রিকেটাররা এই লিগে খেলতে মুখিয়ে থাকেন।
আইপিএলে ভালো খেলে দেশের জার্সি পরার সুযোগ পান রিঙ্কু সিংহ, আরশদীপ সিংহের
মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারেরা। কিন্তু, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এমন অখ্যাতদের কী করে ক্রিকেটের
মূল স্রোতে নিয়ে আসে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি এই নিয়ে কৌতুহল নানা মনে।
আইপিএল নামক এই কোটিপতি লিগে ভালো খেলেই ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন
যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ডিয়ারা।
২০২২ সালের নিলামের আগে লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর ঘরোয়া
ক্রিকেটের ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। দিল্লির তরুণ ক্রিকেটার আয়ুষ বাদোনির খেলা
দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা বাদোনির উপর যাতে কোনও রকম
চাপ তৈরি না হয়, তাই কাউকে কিছু না জানিয়েই মাঠে গিয়েছিলেন গম্ভীর। সেই ম্যাচ দেখার
পরই তরুণ ক্রিকেটারকে নেওয়ার জন্য নিলামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে লক্ষ্মৌ। গম্ভীর তার
ঘনিষ্ঠ সোর্সের মাধ্যমে তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের
ব্যসপারে খোঁজ রাখেন। সেই তরুণদের না জানিয়েই
তাদের খেলা দেখতে চলে যান।
তরুণ, অখ্যাত ক্রিকেটারদের দলে নিয়ে চমকে দেওয়ার পথটা অবশ্য দেখিয়েছিল মুম্বাই
ইন্ডিয়ান্স। পরে বাকি দলগুলোও তাদের অনুসরণ করতে শুরু করে। গোটা ভারত জুড়ে খেলা দেখে
ক্রিকেটার খুঁজে নেয় আইপিএলের দলগুলো। ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী তারকা খুঁজে নিতে দলগুলো
বয়সভিত্তিক, ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে নজর রাখে ক্লাব ক্রিকেটেও। সেখান থেকেই তারা খুঁজে
নেয় প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের। প্রতি বছর কোনও না কোনও অনামি ক্রিকেটার কোটিপতি হয়ে
যান। এবারের নিলামেও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। সমির রিজ়ভিকে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে
কিনে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।
কিন্তু এই খোঁজার প্রক্রিয়াটা কেমন? এসব ক্রিকেটারকে খুঁজে বের করার যে
প্রক্রিয়া তাকে বলা হয় স্কাউটিং। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমেই বিরাট সংখ্যক ক্রিকেটারদের
একটা তালিকা তৈরি করা হয়। সেখানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেটারদের বেছে নেওয়া
হয়। এরপর চলে সেই তালিকা ছোট করার প্রক্রিয়া। ওই সব ক্রিকেটার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়
কেমন খেলছেন, তাদের পরিসংখ্যান, ট্রায়ালে কেমন খেলছেন, সব কিছুর উপর ভিত্তি করে নাম
বাদ দেওয়া হয়। আর এই কাজ শুধু আইপিএলের আগে হয়, এমনটা নয়। সারা বছর ধরেই দলগুলি এই
প্রক্রিয়া চালায়। আইপিএলের দলগুলো প্রাক্তন ক্রিকেটার, পরিসংখ্যানবিদ, আম্পায়ার, ম্যাচ
রেফারি এবং ধারাভাষ্যকারদের একটা দলকে এই দায়িত্ব দেয়। তারা সারা বছর ধরে তথ্য যোগাড়
করেন।
অনেক দল আবার মৌসুম শুরুর আগে ক্যাম্প করে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা
নেওয়া হয় ক্রিকেটারদের। গুজরাট টাইটান্স যেমন নিলামের আগে ক্যাম্প করেছিল। দিল্লি ক্যাপিটালসও
কলকাতায় ক্যাম্প করেছিল। সেই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন সৌরভ গঙ্গুলি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও ক্যাম্প করেছিল নিলামের আগে। দলগুলো একই সময়ে
ক্যাম্প রাখে না। ক্রিকেটারেরা বিভিন্ন দলের ক্যাম্পে যোগ দেন। তাই দলগুলো বিভিন্ন
সময়ে ক্যাম্প শুরু করে। ক্রিকেটারদের কথা মাথায় রেখেই এটা করা হয়।
আইপিএলের সব দলই প্রায় ২০-২৫ জন ক্রিকেটারকে দলে রাখে। ৮ জন বিদেশি বাদ
দিলে বাকি সকলেই ভারতীয়। এত জন প্রতিভাবান ভারতীয় ক্রিকেটারকে খুঁজতে হলে সারা বছর
দলগুলোকে সন্ধান রাখতে হয়। আর সেই কাজটাই করেন স্কাউটেরা।
আইপিএল প্রতিভাবান দেশী ক্রিকেটার ক্রিকেট মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কলকাতা নাইট রাইডার্স স্কাউট ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আর তাই আজকের খেলায় সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে দলের নিয়মিত দুই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মুস্তাফিজুর রহমান নেই। দু’জনই চট্টগ্রাম পর্বে খেলবেন না। তাদের ছাড়াই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে শান্তর দল।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের পূর্বে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে পরীক্ষা: হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল!
এমন পরিস্থিতিতে কেমন হতে পারে বাংলাদেশ একাদশ, এই প্রশ্ন নিয়ে রীতিমতো চলছে আলোচনা। এই সিরিজ নিয়ে ভক্ত ও সমর্থকদের যত উৎসাহ কমই থাকুক না কেন, একাদশ নিয়ে আগ্রহ আছে সবার। কারণ একটাই— সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেহেতু মুস্তাফিজ নেই, তাই তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দিয়ে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট সাজাতে পারে বাংলাদেশ। এর বাইরে স্পিনার হিসেবে দলে থাকার সম্ভাবনা আছে রিশাদ ও শেখ মাহেদির।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা
এই ৫ বোলারের সঙ্গে ব্যাটার হিসেবে থাকতে পারেন লিটন দাস, বাঁহাতি তানজিদ হাসান তামিম, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদি, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের মধ্য দিয়ে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে সেখানে ফলাফলের দিক বিবেচনা করলে খুব একটা স্বস্তিতে নেই টাইগাররা। কারণ, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্টের মধ্যে শুধুমাত্র ওয়ানডে সিরিজ শিরোপা ঘরে তুলতে পেরেছিল নাজমুল শান্তরা।
এরই মধ্যে কাছাকাছি চলে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি, চলছে দল গোছানোর কাজ। আর সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেই সাথে টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তানজিদ হাসান তামিমও। বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের এই সিরিজে কেমন হবে প্রথম পরীক্ষার একাদশ সেই নিয়ে এখন চলছে আলোচনা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
এর অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে নেই সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। আর এই মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই প্লেয়ারের অভাব কি ভোগাবে টাইগারদের এমন প্রশ্নও ঘুরছে অনেকের মনে।
তবে সাকিব-মুস্তাফিজ না থাকলেও স্কোয়াডে ফিরেছেন আফিফ, তানভীরসহ অনেকেই। যার জন্য তাদের নিয়েই সাজানো হবে প্রথম ম্যাচের একাদশ৷ সেক্ষেত্রে ওপেনিং পজিশনে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে তরুণ তানজিদ তামিমকে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগলেও লিটনের টি-টোয়েন্টি পারফর্ম অবশ্যই স্বস্তি দেবে এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্টদের। আর তরুণ তামিমকে ভাবা হচ্ছে বিশ্বকাপের ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে।
তিন নম্বর পজিশনে অবধারিত নাম নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রাখতে হবে শান্তকে। এছাড়া চার নম্বরে থাকছেন বর্তমানে দলের অন্যতম ভরসার নাম হৃদয়। কারণ হৃদয় সম্প্রতি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে তাকে৷
পাঁচ নম্বরে দেখা যেতে পারে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। দলের একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার হিসাবে স্কোয়াডে আছে তার নাম। তার ব্যাটিংয়ের সাথে অভিজ্ঞতার দিক দিয়েও রিয়াদকে নিতে হবে বড় দায়িত্ব।
এর বাইরে একাদশে থাকতে পারে জাকের আলী অনিকের নামও। কারণ নিজের অভিষেক সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে মারকুটে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে পারফর্ম করে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছিলেন এই তরুণ। শুধু তাই নয়, নিজেকে প্রমাণ করে এখন বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও আলোচনায় আছেন তিনি। তাই এই সিরিজে নিজের সামর্থ্যের পুরোটা প্রকাশ করতে হবে তাকে।
আরও পড়ুন: কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?
এছাড়াও চোটের কারণে লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সর্বশেষ ২০২২ এর অক্টোবরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। তবে গেল বিপিএলে কয়েক ম্যাচ সুযোগ পেয়ে দারুণ ভেলকি দেখিয়েছিলেন তিনি। আর সেই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও লাল সবুজের জার্সিতে ফিরতে যাচ্ছেন সাইফউদ্দিন৷
এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন শেখ মেহেদি হাসান এবং একমাত্র লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। মূলত স্পিন বিভাগে তাদের দুজনকে নিতে হবে পুরো দায়িত্ব। আর পেস ইউনিটের দায়িত্বে থাকতে পারেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজের পারফরম্যান্স একদিকে যেমন টাইগারদের যোগাবে ভরসা, তেমনই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। আর তাই এখন দেখার পালা, পাঁচ ম্যাচের এই পরীক্ষায় কতটুকু সফল হতে পারেন তারা।
মন্তব্য করুন
কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর
বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে
ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই
তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।
সিকান্দার রেজা জিম্বাবুয়ে বিসিবি
মন্তব্য করুন
একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের
বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না
পিএসজির।
বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের
সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।
সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও
লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ
সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে
মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের
আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।
ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে
নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের
শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই।
তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে,
ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর
শট লাগে আরেক পোস্টে।
৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান
সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে
৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।
শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড
রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই।
প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।
ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি
পিএসজি ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগ
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার
জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী
দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।
ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ
কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন
শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।
আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে
যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা,
এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান
ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা
জানিয়েছেন দুই দলই।
এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা
ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে
অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে
সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে
পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।
ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড,
ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন
লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’
ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের
সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে।
অপেক্ষায় থাক।’
আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে
হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’
রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে
দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’
কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায়
সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’
অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার
কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে
বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল
হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’
ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের
সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও
থাকবে।
আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ
শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের
ফাইনাল হবে ২৯ জুন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্ট ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।