ইনসাইড গ্রাউন্ড

১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে আর্সেনাল

প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সেই ২০১০ সালে শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল আর্সেনাল। এরপরে যতগুলো মৌসুম পেরিয়েছে তার একটিতেও শেষ আটে উঠতে পেরেছিল না গানাররা। তবে এবার ১৪ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে আবারও শেষ আটে পৌঁছেছে তারা।

মঙ্গলবার ডেভিড রায়ার নৈপূণ্যে পোর্তোকে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। এর মাধ্যমে ২০১০ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গানাররা।

এমিরেটস স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে লিয়ানদ্রো ট্রোসার্ডের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্সেনাল। এরপর ফলাফল নিষ্পত্তিতে টাইব্রেকারের প্রয়োজন হয়। গানার্স গোলরক্ষক রায়া দুটি শ্যুটআউট রক্ষা করে আর্সেনালের শেষ আট নিশ্চিত করেন।

আর এতে স্বপ্নভঙ্গ হয় দুইবারের চ্যাম্পিয়ন পোর্তোর। দারুণ এক ডাইভিং সেভে প্রথমে রায়া ওয়েনডেলকে হতাশ করেন। এরপর আবারো একই দক্ষতায় গ্যালেনোর শট রুখে দেন। বিপরীতে স্বাগতিক আর্সেনাল তাদের চারটি শ্যুটই জালে প্রবেশ করিয়েছে।

২০১৬ সালে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোন ম্যাচ টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হলো। 

ম্যাচ শেষে আর্সেনাল ম্যানেজার মাইকেল আর্তেতা টিএনটি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘সবাই নার্ভাস ছিল। সবাই নিজের সেরাটা দেবার জন্য মুখিয়েছিল। অথচ সবাই বুঝতে পারছিল শ্যুটআউট একটি লটারির মত। আমরা দারুণ খুশি।

কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে আমাদের ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর্সেনালের মত ক্লাবের জন্য যা লম্বা একটি সময়। এই পথটা অনেক কঠিন ছিল। দিনের শেষে যাদুকরী মুহূর্ত উপহার পাবার জন্য আমাদের গভীরে যেতে হয়েছে।

এজন্য আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে। সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছে। কিছু মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কঠিন মুহূর্তে সাহস দেখাতে হয়েছে। আর এসবের কারণেই আজ আমরা এখানে।’

প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাব আর্সেনালের জন্য এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। শেষ আট লিগ ম্যাচে গানার্সরা ৩৩ গোল করেছে। কাল গোছানো পোর্তোর বিপক্ষে শুরু থেকেই খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছিল না আর্সেনাল।

বিরতির ঠিক আগে ট্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল সমতা ফেরায়। এই গোলের আগ পর্যন্ত অবশ্য আধিপত্য দেখিয়েছে সার্জিও কনকেইসাওর পোর্তো। তবে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের গতি মন্থর করতে পোর্তো নিজেদের সেরাটা দিয়েছে।

এর ফলে স্বাগতিক সমর্থকদের প্রায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। চার মিনিটে আর্সেনাল ডিফেন্ডার বেন হোয়াইটের হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ১০ মিনিট পর অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ডের শট সাইড নেটে লাগে। 

২০০৪ সালে হোসে মরিনহোর অধীনে সর্বশেষ ইউরোপীয়ান শিরোপা জয়ী পোর্তো বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। এভানিলসনের দুরপাল্লার একটি শট গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। এরপর তার আরো একটি শট কোনমতে রক্ষা করেন রায়া।

ডেক্লান রাইসের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ৪১ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গে আর্সেনাল। ওডেগার্ডের দারুণ এক লো পাসে ট্রোসার্ড ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তাকে পাশ কাটিয়ে দলকে এগিয়ে দেন। 

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমভাগে আর্সেনাল কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ওঠে। কিন্তু পোর্তো ছেড়ে কথা বলেনি। দ্বিতীয়ার্ধে আর্তেতা এডি এনকেইটা ও আলেকসান্দার জিনচেনকোকে মাঠে নামান। কিন্তু কোন দলই শেষ পর্যন্ত কোন গোলের দেখা পায়নি। তাই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারনের জন্য টাইব্রেকারের প্রয়োজন হয়।


আর্সেনাল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   কোয়ার্টার ফাইনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

৫০৪ রানের ম্যাচে দিল্লির কাছে হারাল মুম্বাই

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আইপিএলের শুরু থেকেই যেন প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে ঝরছে রানের ফোয়ারা। দুই শতাধিক রান করা এবং তা চেজ করা যেন এখন আইপিএলে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন গতকালের ম্যাচেই কলকাতার ২৬১ রানের টার্গেটে ৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে পাঞ্জাব। গতকালের মতোই আজ (শনিবার) আরও একটি দুর্দান্ত রান তাড়া দেখার মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল।

দিল্লি ক্যাপিটালসের ২৫৭ রানের জবাবে বেশ কাছাকাছিই চলে এসেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে শেষ করতে পারেনি। ৫০৪ রানের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাইকে ১০ রানে হারিয়েছে রিশাভ পান্তের দিল্লি ক্যাপিটালস।

এদিন ওপেনার রোহিত শর্মা (৮) আর ইশান কিশান (১৪ বলে ২০) ব্যর্থ। মুম্বাই বড় রান তাড়ার চেষ্টা করেছে মূলত তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া আর টিম ডেভিডের ব্যাটে। সূর্যকুমার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ১৩ বলে ২৬ করে আউট হন।

এরপর ৩৯ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিলক আর হার্দিক। হার্দিক ২৪ বলে ৪৬ করে আউট হন। টিম ডেভিড ১৭ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় করেন ৩৭। তারপরও রান তাড়ায় আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিলক।

ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতে তিনি ফেরার পরই সব আশা শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। ৩২ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটি তিলক সাজিয়েছিলেন ৪টি করে চার-ছক্কায়।

দিল্লির মুকেশ কুমার আর রশিখ সালাম নেন তিনটি করে উইকেট।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছরের তরুণ জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্কের ২৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস।

ম্যাকগার্ক ৮৪ রানের ইনিংসে ৮০ রানই করেছেন বাউন্ডারি থেকে। টর্নেডো এই ইনিংসে ১১টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার।

এছাড়া অভিষেক পোরেল ২৭ বলে ৩৬, শাই হোপ ১৭ বলে ৪১ আর শেষদিকে রিশাভ পান্ত ১৯ বলে ২৯ এবং ত্রিস্টান স্টাবস ২৫ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।


আইপিএল   দিল্লি   মুম্বাই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাইকেল জ্যাকসনের সাথে মুস্তাফিজের তুলনা করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান আইপিএলে চেন্নাইয়ের জার্সিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল মুস্তাফিজের। ফলস্বরূপ ইতোমধ্যেই চেন্নাইয়ের মধ্যমণি  হয়ে উঠেছেন ফিজ। যার জন্য কিছুদিন পূর্বেই মুস্তাফিজকে বাংলা লায়ন বলে অ্যাখ্যায়িত করেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে এবার মুস্তাফিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কিংবদন্তি মার্কিন সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের ছবির সঙ্গে মিল রেখে তার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। মূলত, প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের নাচের একটি মুদ্রার ছবি শেয়ার করেছে চেন্নাই। তার সঙ্গে মিলিয়েছে মুস্তাফিজের বোলিং অ্যাকশন।

নিজের বিখ্যাত গান ‘স্মুথ ক্রিমিনাল’-এর পারফরম্যান্সের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন জ্যাকসন। গোড়ালির ওপর ভর করে সামনের দিকে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি ঝুঁকে গিয়েছিলেন। এমন অসম্ভব মুদ্রা তিনি কীভাবে রপ্ত করেছেন সেটি নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে।

এদিকে মুস্তাফিজও বোলিং করার সময় জ্যাকসনের মতোই কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বাংলাদেশি পেসারের ঝুঁকে পড়াটা এবার তার সাফল্যের কারণ হোক সেটাই যেন বোঝাতে চেয়েছে চেন্নাই।

শুধু ছবিই নয়, জ্যাকসনের স্মুথ ক্রিমিনাল গানটির দুটি লাইনের সঙ্গে মিল রেখে ক্যাপশনে লিখেছে চেন্নাই। যেখানে তারা লিখেছে,  ‘ইউ হ্যাভ বিন হিট বাই, ইউ হ্যাভ বিন স্টক বাই!’ যার অর্থ ‘তুমি আঘাত করতে পার, আবার আটকিয়েও দিতে পার।’

নিজেদের মাঠে রোববার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলে কামব্যাক করার প্রত্যাশা জ্যোতির

প্রকাশ: ০৬:৪৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ। যার আয়োজক দেশ এবার বাংলাদেশ। যার জন্য কন্ডিশন মানিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও এসেছে বাংলাদেশে।

রোববার থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে ম্যাচিউরড টিম হিসেবে মন্তব্য করেছেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর।

গত বছর বাংলাদেশ সফরে মাঠের আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি জানিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। বাজে আচরণ করে হয়েছিলেন নিষিদ্ধও। এবার মাঠের লড়াই শুরুর পূর্বে তার এমন কথা শুনে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।  

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, ‘অতীতে অনেক কিছু হয়ে গেছে। কিন্তু যা হয়েছে, তা অতীত। ওটা নিয়ে আমরা বসে নেই। কিন্তু শুনে ভালো লাগলো যে, তারা (ভারত) বলেছে আমরা আগের থেকে অনেক ম্যাচিউরড টিম। এর মানে হচ্ছে তারা আমাদের হালকাভাবে নেয়নি অবশ্যই।’

ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আর বলেন, ‘ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটা টি-২০ খেলা এবং বাজে সময় পার করে কামব্যাক করতে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সিলেটের মাঠে হয়তো এখনও বড় অর্জন নেই। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলার কিছু স্মৃতি আছে। সেগুলোকে নিয়েই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে।’

আগামী ২৮ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আর ৩০ এপ্রিল একই সময়ে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, রাতের আলোয়।

এরপর ২ ও ৬ মে পরের দুই ম্যাচ রাখা হয়েছে স্টেডিয়ামের আউটার গ্রাউন্ডে, যেটি গ্রাউন্ড-২ হিসেবে পরিচিত। এই দুই ম্যাচ হবে দুপুর ২টায়। ৯ মে শেষ ম্যাচটি আবার রাখা হয়েছে মূল মাঠে, সন্ধ্যায়।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লিভারপুলে ক্লপের উত্তরসূরি হচ্ছেন স্লট

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিভারপুলের সাথে সম্পর্কের ইতি টানছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। একটা লম্বা সময় ধরেই এ খবর শিরোনামে রয়েছে। তবে ক্লপ যাওয়ার পর তার উত্তরসূরি কে হবেন এমন প্রশ্নে একটা লম্বা সময় ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশেষে সেই উত্তরসূরির নাম জানা গেছে। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুরডের কোচ আর্নে স্লটকেই বেছে নিয়েছে অল রেডদের পরবর্তী কোচ হিসেবে।

এরই মধ্যে স্লটকে কোচ হিসেবে পেতে তার ক্লাব ফেয়েনুরডের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে বলা হচ্ছে, আর্নে স্লট খুবই উঁচু মাপের একজন কোচ। তার সঙ্গে চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে লিভারপুল ক্লাবের কর্তৃপক্ষ।

৪৫ বছর বয়সী স্লট বৃহস্পতিবারই লিভারপুলে যোগ দেয়ার ইচ্ছার কথা জানান। তখনই খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিভারপুল এবং ফেয়েনুরডের মধ্যে তার ব্যাপারে প্রায় সমঝোতা হয়ে গেছে। চলতি বছরের শুরুতেই মৌসুম শেষে লিভারপুল ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। প্রায় সাড়ে ৮ বছর তিনি লিভারপুলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।

ফেয়েনুরডের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি বাকি রয়েছে আর্নে স্লটের। ফলে কিভাবে তাকে অ্যানফিল্ডে নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে দুই ক্লাবের মধ্যে।

ইএসপিএন জানিয়েছে, ফেয়েনুরড স্লটের জন্য ৯ মিলিয়ন পাউন্ড (১১.২৫ মিলিয়ন ডলার) দাবি করেছে। যদিও প্রকৃত পরিমাণটা এখনও জানা যায়নি। তবে, পরিমাণ যাই হোক, দুই ক্লাব একটি ঐকমত্যে পৌঁছে গেছে এরই মধ্যে। সে সঙ্গে স্লটকে ফ্রি করে দিয়েছে লিভারপুলের সঙ্গে দর কষাকষি করার জন্য।


ক্লপ   স্লট   লিভারপুল   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আইপিএল ছাড়লেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক

প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর এক সপ্তাহ পরই শুরু হবে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ। আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিস্বরূপ এই সিরিজকে বেশ ভালোভাবেই নজরে রাখছে দল দুটি। সেই ধারাবাহিকতায় সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে আছেন সিকান্দার রাজা। রোডেশিয়ান অধিনায়ক বাংলাদেশ সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই আইপিএল ছেড়েছেন।

এবারের আসরে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছেন রাজা। জাতীয় দলের ব্যস্ততায় আসরের মাঝপথেই দল ছাড়লেন তিনি। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ করা এক পোস্টে জানিয়েছেন রাজা, ‘আমাকে নেওয়ার জন্য পাঞ্জাব কিংস, আইপিএল এবং ভারতকে ধন্যবাদ। প্রতিটি মিনিট উপভোগ করেছি। এখন জাতীয় দলের হয়ে দায়িত্ব পালনের সময়। ইনশা আল্লাহ আবার দেখা হবে।’

রাজার কাছে সবার আগে জাতীয় দল। বিশ্বের যে লিগেই খেলেন না কেন, যদি সেই সময়ে জাতীয় দলের খেলা থাকে তাহলে কোনোরকম দ্বন্দ্ব ছাড়াই লিগ ছেড়ে দেশের হয়ে খেলতে যাবেন রাজা। এমনকি নাইজেরিয়ার মতো খর্ব শক্তির দলের বিপক্ষেও যদি সিরিজ থাকে, তাহলেও সেটিই বেছে নেবেন এই অলরাউন্ডার। কয়েক দিন আগেই জিম্বাবুয়েভিত্তিক ওয়েবসাইট থ্রি-মোবডটকমকে রাজা বলেছেন, ‘আমি সেখানে থাকব ইনশা আল্লাহ। (বাংলাদেশ সিরিজের জন্য) আইপিএল ছেড়ে যাচ্ছি।’

সম্প্রতি আরেকটি ওয়েবসাইটকে রাজা বলেন, ‘আমি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, দেশের একটা সীমিত ওভারের ম্যাচও আমি মিস করব না। এর কারণে যে লিগকেই ছেড়ে যেতে হোক না কেন।’

‘জিম্বাবুয়ে যদি এখন আমাকে বলে যে তিন দিন পরই সিরিজ আছে, আর প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, তাতে আমার কিছু যায়–আসে না। জিম্বাবুয়ে যদি আমাকে দলে নেয়, তাহলে আমি পিএসএল ছেড়ে যাব। যদি আইপিএলের সময় সিরিজ আসে, আমি আইপিএল ছেড়ে যাব। গ্লোবালটি-টোয়েন্টি, সিপিএল, আইএলটি-টোয়েন্টি—যে লিগই হোক না কেন।’-যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন