ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: পরিপূর্ণ ক্রিকেটারে ভরপুর অজি স্কোয়াড

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পর আগামী ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ব্যাটে বলে যার আধিপত্য, মাঠের লড়াইটাও তারই পক্ষে- এটাই সত্য। আর এজন্যই অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলই নিজেদের সেরা সৈন্যদের নিয়েই সাজিয়েছে স্কোয়াড।

এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই প্রায় প্রতিটি দলই তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া। তবে তারাও শীঘ্রই তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করবে ইতোমধ্যেই তা জানিয়েছে।

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি দলই বৈশ্বিক এই আসরে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাড়ি জমানোর। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানও করছে স্বাগতিকদের সাথে প্রস্তুতিমূলক সিরিজের জন্য।

এবারের বিশ্বকাপ অন্যান্যবারের তুলনায় ভিন্ন। কারণ এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করা হচ্ছে ভিন্নভাবে। ১০ দলের জায়গায় ২০ দল নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞ। আর তাই বদলেছে সমীকরণও। 

বিশ্ব ক্রিকেটের এই সংস্করণের সেরা আট দল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল আগেই। এর সঙ্গে অটোমেটিক চয়েজে বিশ্বকাপের টিকিট পায় সেরা র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান করা দুদল এবং আয়োজকরা। বাকি ৮ দলকে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আঞ্চলিক পর্যায়ে লড়াই করতে হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আফ্রিকা, ইউরোপা, এশিয়া থেকে দুটি করে দল সুযোগ পেয়েছে। সেইসঙ্গে আমেরিকা এবং ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে একটি করে দল বিশ্বকাপে খেলবে।

নতুন আদলের এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ভাগ করা হবে চার গ্রুপে। যার মধ্যে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৫টি করে দল। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ।

এবারে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে দলের সংখ্যা বেশি হলেও পারফরম্যান্স বিবেচনায় হাতেগোনা কিছু সংখ্যক দলকেই সেমিফাইনাল এবং শিরোপার দৌঁড়ে দেখছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। যার মধ্যে বিশেষ নজরে রয়েছে সম্প্রতি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা এবং ২০২১ এর টি-২০ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ইতোমধ্যেই বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের আসন্ন এই আসরের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে অজিরা। যেখানে রয়েছেন তরুণ থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ, হার্ড হিটার থেকে অলরাউন্ডার সব ধরনের তারকা খেলোয়াড়রা।

টি-২০ বিশ্বকাপের ৭ম আসরে ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেবার বেশ ভালোভাবেই নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিল তারা। তবে বৈশ্বিক এই মেগা ইভেন্টের ৮ম আসরে মাঝপথে খেয় হারিয়েছিল তারা।

তবুও ওয়ানডেতে ছয়বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২১-এর চ্যাম্পিয়নরা যেন ক্রিকেটের প্রতিটি বড় আসরেরই ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। 

ঘরোয়া লিগ আইপিএল-বিগ ব্যাশের অভিজ্ঞতা, সঙ্গে তারুণ্যের সাথে অভিজ্ঞদের সুবিধা- সবমিলিয়ে দলটির একাদশে যে মানের ক্রিকেটার আছেন তাতে এবারও অস্ট্রেলিয়া কাপ নেয়ার দৌঁড়ে ফেভারিট হিসেবেই থাকছে। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে এবারের আসরে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জেতার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে। তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি কারণের মধ্যে রয়েছে-

১. পরিপূর্ণ ক্রিকেটার

অস্ট্রেলিয়ার শক্তিমত্তার জায়গার একটি মূল বিষয় হচ্ছে এই দলটি দীর্ঘদিন একসাথে ক্রিকেট খেলছে এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে খুব বেশি পার্থক্য নেই। একেবারে নিকট অতীতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আর সেই বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতাই এবার কাজে আসতে পারে অজিদের এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

শুধু তাই নয়, এবার অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে রয়েছে পরিপূর্ণ ক্রিকেটাররা। যাদেরকে ক্রিকেটের ভাষায় কমপ্লিট প্যাকেজ বলা চলে। কারণ তারা তাদের ক্রিকেটীয় ধরনে একদিকে যেমন সামর্থ্যবান, অন্যদিকে তেমনই পারফরম্যান্সেও তুখোড়। যেমন- ট্র্যাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মার্কাস স্টয়নিস, মিশেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। একদিকে তারা যেমন নিজেদের ব্যাটিংয়ে সামর্থ্যবান, অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও তুখোড়। যদিও অজিদের স্কোয়াডের প্রায় শতভাগ ক্রিকেটারই ফিল্ডিংয়ে অন্যান্য যেকোনো দলের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি একটিভ। 

২. হার্ড হিটিং ব্যাটিং ইউনিট

অস্ট্রেলিয়া বরাবরই মারকুটে ব্যাটিংয়ের দিক থেকে সেরাদের কাতারে থাকে। যা অজিদের ক্রিকেট দুনিয়ায় সাফল্যের অন্যতম কারণও বটে। আর শুধু যে অভিজ্ঞরা এই মারকুটে ব্যাটিংয়ের দায়িত্বভার সামলান অজি শিবিরের এমনটি নয়, তরুণরাও যেন নব উদ্যমে জ্বলে ওঠেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। 

অস্ট্রেলিয়ার হার্ড হিটিং ইউনিটের মধ্যে যারা আসন্ন বিশ্বকাপে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস।

সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরোয়া লিগ আইপিএলে হায়দ্রাবাদের হয়ে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন ট্রাভিস হেড। একাধিক ম্যাচে করেছেন সেঞ্চুরি। ব্যাট চালিয়েছেন ২০০+ স্ট্রাইক রেটে। শুধু ট্রাভিস হেড নয়, গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে আইপিএল সবখানেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এর জয়জয়কার চলছেই। ব্যাট হাতে যেমন ঝড় তুলছেন সেই সাথে বল হাতেও নিচ্ছেন উইকেট। এছাড়া মার্কাস স্টয়নিস তো রয়েছেই। আইপিএলে তিনিও রীতিমত ঝড় তুলেছেন একাধিক ম্যাচে। আর এদের পাশাপাশি ডেভিড ওয়ার্নার, মিশেল মার্শ, ম্যাথ্যু ওয়েডদের মত খেলোয়াড়রা তো রয়েছেই। 

৩. বিশ্বসেরা বোলিং ইউনিট

টি-টোয়েন্টি সাধারণত চার-ছক্কার খেলা হয়ে থাকলেও বিশ্ব ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বোলারদের নৈপুণ্যও কম না। আর সেই বোলিং ইউনিট যদি হয় বিশ্বসেরাদের কাতারের তাহলে তো কথাই নেই। তেমনই বিশ্বের সেরা বোলিং ইউনিট রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের। 

ওয়ানডে ক্রিকেট ও টেস্ট ক্রিকেটে আইসিসি বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাত নম্বরে আছেন জশ হ্যাজলউড। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বার নম্বরে আছেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। সাথে আছেন টেস্ট ক্রিকেটে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের পাঁচ নম্বর বোলার ও ওয়ানডে দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। 

অস্ট্রেলিয়ার মূল চারজন বোলারই ম্যাচ উইনার। যে কারণে অস্ট্রেলিয়া পাঁচজন বোলার নিয়ে ম্যাচ খেলে না।ম্যাক্সওয়েল, স্টয়নিস অথবা মিচেল মার্শ- পঞ্চম বোলারের কোটা পূরণ করেন উইকেট ও চাহিদা অনুযায়ী। যেহেতু এতে করে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যানও পাওয়া যায়। একইসাথে প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক দুজনই সপাটে ব্যাট চালাতে পারেন।

কামিন্স তার আইপিএল টিম সংরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে দুর্দান্ত কিছু ইনিংস খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই মৌসুমে। এছাড়া এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ দামী খেলোয়াড় হিসেবে কলকাতার হয়ে মাঠে বল হাতে আগুন লাগিয়েছিলেন স্টার্ক। কোয়ালিফায়ারে ম্যাচসেরা হয়ে দলকে তুলেছেন ফাইনালেও। যে কারণে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও বড় চমক দেখাতে পারে অজিরা। 

৪. অলরাউন্ডারের ছড়াছড়ি

অস্ট্রেলিয়া দলটা নিঃসন্দেহে শক্তিশালী, যে কোন দলকে টেক্কা দেয়ার মতো বোলিং ও ব্যাটিং লাইন আপ আছে। শুধু তাই না, অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে বিশ্বের সেরাদের মধ্যে কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছেন যারা অলরাউন্ড ইউনিটে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। যেমন- গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স, মার্কাস স্টয়নিস, মিশেল মার্শ।

একদিকে তারা যেমন ব্যাটিংয়ে অজিদের অন্যতম ভরসার নাম, অন্যদিকে বল হাতেও সেরাদের কাতারে তারা। যেকোন বিশ্বসেরা ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ জানাতে যেকোন সময় প্রস্তুত থাকে এই অজি বাহিনী।  

৫. বিশ্বসেরা ফিল্ডিং

অন্যান্য দল বিশেষত ব্যাটিং-বোলি ইউনিট শক্তিশালী করার দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে থাকে। তবে অস্ট্রেলিয়া এক্ষেত্রে সবার থেকে আলাদা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণত এক একটি রান অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। কারণ এই একটি রানই দলের ফলাফল বদলে দিতে পারে।

আর অস্ট্রেলিয়া এই এক একটি রানের দিকে বিশেষ নজর রাখে। প্রতিপক্ষ দলকে আটকে রাখার জন্য অজিদের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে বিশ্বসেরা ফিল্ডিং। যেটির জন্য অস্ট্রেলিয়া পুরো বিশ্বে প্রশংসিত হয় প্রায় সময়। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক দলই ভিন্ন কিছু চেষ্টা করে, নতুন কোন অলরাউন্ডার, নতুন কোনও পন্থা অথবা একেবারেই 'আউট অফ দ্য বক্স' কিছু - যা প্রতিপক্ষ ভাবেনি। কিন্তু টিম অস্ট্রেলিয়া প্রায় সবার থেকে আলাদা।

আর সব মিলিয়ে কাগজে কলমে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডের বিশ্বকাপ ধরে রাখার সামর্থ্য রয়েছে। এমনকি মূল স্কোয়াডের বাইরেও রিজার্ভ হিসেবে এমন ক্রিকেটার আছেন যারা বিশ্বের যে কোন দলের সাথে চমক দেখাতে পারেন। আর এমন পরিপূর্ণ স্কোয়াডের কারণে ক্রীড়া প্রেমীদের প্রত্যাশা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মত এবার অস্ট্রেলিয় টি-টোয়েন্টিতেও চমক দেখাবে এবং শিরোপা জিতবে।

অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাস্টন অ্যাগার, ম্যাথু ওয়েড, ক্যামেরন গ্রিন, টিম ডেভিড, মিচেল স্টার্ক, নাথান এলিস, জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স। রিজার্ভ : জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, ম্যাথিউ শর্ট।


ক্রিকেট   অস্ট্রোলিয়া   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, সুপার এইটে ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ইংল্যান্ডের শঙ্কা জেগেছিল ছিটকে যাওয়ার। তবে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে কপাল খুলে গেলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। আর হৃদয় ভাঙলো স্কটল্যান্ডের ।

এদিন ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও হেরে গেলো তারা। স্কটিশদের এই পরাজয়ে লাভ হয়েছে ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের মতো সমান ৫ পয়েন্ট নিয়েও রান রেটে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

এই ম্যাচ জিতলে অবশ্য বিশ্বকাপের সুপার এইটে চলে যেত স্কটল্যান্ড। সম্ভাব্য সব কিছু করেও স্কটল্যান্ড ম্যাচটা জিততে পারলো না। ম্যাচ শেষে স্কটিশদের চোখে মুখে ফুটে ওঠে আর্তনাদ।

রোববার (১৬ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের পুঁজি পায় স্কটিশরা। জবাবে ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় মিচেল মার্শ বাহিনী।

ইনিংস গোড়াপত্তনে নেমে ভালো শুরু পায়নি স্কটিশরা। অল্পতেই ফেরেন মাইকেল জোনস। তবে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তোলেন ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ও জর্জ মানসি।

এরপর মাত্র ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন ম্যাকমুলেন। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শিকার হয়ে মানসি ফিরলে ভাঙে তাদের ৪৮ বলে ৮৯ রানের জুটি। ফেরার আগে দুটি চার ও তিন ছক্কায় ২৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস সাজান এই ব্যাটার।

এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি ম্যাকমুলেনও। ফেরার আগে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৪ বলে বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান।

শেষ দিকে অধিনায়ক রিচি বেরিংটনের ঝোড়ো ৪২ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮০ রান করে স্কটল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অজিরা। এরপর মিচেল মার্শও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ম্যাক্সওয়েলকেও থিতু হতে দেয়নি স্কটিশরা। এক ছক্কায় ১১ রানে ম্যাক্সওয়েল ফিরলে ৬০ রান তুলতেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে অজিরা।

এরপর ৪৪ বলে ৮৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টয়নিস। ইনিংসের ১৫তম ওভারেই নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ট্রাভিস হেড। অন্যপ্রান্তে বিধ্বংসী রূপে আর্বিভূত হন স্টয়নিস। ইনিংসের ১৬তম ওভারে মাত্র ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার।

দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রেখে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯ বলে ৬৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হেড। অন্যপ্রান্তে স্টয়নিসও তার দেখানো পথেই হাঁটেন। ফেরার আগে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ বলে ৫৯ রানে ফেরেন এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার।

এরপর বাকি পথ পাড়ি দেন ম্যাথু ওয়েড ও টিম ডেভিড। ডেভিডের ১৪ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার জয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড।


ইংল্যান্ড   অস্ট্রেলিয়া   সুপার এইট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আলবেনিয়াকে উড়িয়ে ইউরো শুরু ইতালির

প্রকাশ: ০৯:৫০ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মাঠে গড়িয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। যেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ইতালি ও আলবেনিয়া। 

গ্রুপ বি’র এই ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আলবেনিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইতালি। খেলার প্রথম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পরও জয় তুলে নিতে পারেনি আলবেনিয়া।

আলবেনিয়ার সাথে ম্যাচে নিজেদের সীমানায় থ্রোয়িং পেয়ে ভুল করে বসে ইতালি। সেটিকে কাজে লাগিয়ে খেলার ২৩ সেকেন্ডেই আলবেনিয়াকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন নেদিম বাজরামি। যা ইউরোর ইতিহাসে দ্রুততম গোল হিসেবে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।

পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে ইতালি। ১১ মিনিটে পেল্লেগ্রিনির বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রস থেকে বল পেয়ে দলকে সমতায় ফেরান আলেসান্দ্রো বাস্তোনি।

ঠিক ৫ মিনিট পর ইতালিকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন বারেল্লা। ইতালির একটি আক্রমণ সুযোগ পেয়েও ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন আলবেনিয়ার ডিফেন্ডাররা। সেই ভুলকে কাজে লাগিয়ে বল জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার। খেলার বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইতালি।


ইউরো কাপ   ইতালি   আলবেনিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সুপার এইটের দৌঁড়ে টিকে থাকল ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ০৯:৪৬ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা জেগেছিল ছিটকে যাওয়ার। সেই সাথে চোখ রাঙাচ্ছিল বেরসিক বৃষ্টি। কিন্তু শেষমেষ মাঠে গড়ায় খেলা। যেখানে নামিবিয়াকে হারিয়ে সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল ইংলিশরা। 

শনিবার অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে ১০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৫ উইকেটে ১২২ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান সংগ্রহ করে নামিবিয়া। ইংল্যান্ডের জয় ৪২ রানের (বৃষ্টি আইনে)।  

বৃষ্টির কারণে এদিন আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ম্যাচ শুরু হয়। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নামিবিয়া। ১১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের অষ্টম ওভার শেষ হতেই ফের বৃষ্টি নামলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি থেমে যায়। এই দফায় আরো এক ওভারের খেলা কমিয়ে আনা হয়।

ইংল্যান্ড ১২২ রান করলেও ডিএলএস মেথডে নামিবিয়াকে জয়ের জন্য করতে হতো ১২৭ রান। কিন্তু পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করার চেষ্টাও করেনি আফ্রিকার দেশটি। 

নামিবিয়ার দুই ওপেনার ফন লিঙ্গেন ও ডাভিন ৬ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। রানের গতি বাড়াতে না পারায় রিটায়ার্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডাভিন। তার আগে ১৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি।

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ওয়ান ডাউনে নামা ডেভিড ভিসা আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করেন। ফন লিঙ্গেনের সঙ্গে ১৮ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন ভিসা। ২৯ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৩৩ রান করে জর্ডানের বলে বিদায় নেন ফন লিঙ্গেন।

পরের ওভারেই আর্চার তুলে নেন ভিসার উইকেট। আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ২৭ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন আর্চার ও জর্ডান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক বাটলার ও সল্টকে হারায় ইংল্যান্ড। তাতে অবশ্য চাপে পড়েছিল তারা। কিন্তু হ্যারি ব্রুকের ২০ বলে ৪৭ ও জনি বেয়ারস্টোর ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১২২ রান করে ইংল্যান্ড। 

নামিবিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেন রুবেন ট্রাম্পপেলম্যান।


বৃষ্টি   নামিবিয়া   ইংল্যান্ড   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেরসিক বৃষ্টিতে ভাসল ভারত-কানাডা ম্যাচ, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন রোহিত বাহিনী

প্রকাশ: ০৯:২৯ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ এ’র ভারত-কানাডা ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামে মাঠে নামার কথা ছিলো দু’দলের।

কিন্তু বৈরি আবহাওয়া ও আউটফিল্ডে পানি জমায় খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে মাঠটি। পরে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আইসিসির ম্যাচ অফিসিয়ালসরা।

এর আগে, শুক্রবার এই মাঠেই গ্রুপের অপর দু’দল আয়ারল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়। যার ফলে এক ম্যাচ আগেই পাকিস্তানের ‘সুপার এইট’ সমীকরণ ভেস্তে যায়।

উল্লেখ্য, ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে মেন ইন ব্লু’রা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি এখন আসরের একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।


ভারত   কানাডা   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দিনশেষে রিয়াদেই ভরসা খুঁজছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার মাঝেও বাংলাদেশ দলকে দিনশেষে নির্ভর করতে হচ্ছে ৩৮ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর ওপরই। এছাড়াও সমর্থকদের যে অন্যদিকে তাকানোর সুযোগ নেই  তা প্রকাশ পাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্সে। কারণ শেষটা তিনি রাঙাতে পারলেই, ম্যাচ শেষ করে আসতে পারলেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটছে সমর্থকদের।

অপরদিকে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়ও হাসিমুখে নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। দায়টা নিচ্ছেন নিজের কাঁধেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহর মাথায় হাত দেওয়া বলছিলো সে কথাই। 

অবশ্য পরের ম্যাচে ঠিকই ফের দায়িত্ব নিয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সাকিবের সঙ্গে নেমে ২৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে রেখেছেন ভালো অবস্থানে।

চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভালো করতে পারলেও পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যেন ম্যাচ শেষ করে আসার দায়িত্বটা কেবলই মাহমুদউল্লাহর।

এই বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহই বাংলাদেশের অন্যতম কাণ্ডারি। যার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সাফল্য। অথচ এই মাহমুদউল্লাহকে সবশেষ বিশ্বকাপে বিবেচনা করেনি দল। 

সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই বিশ্বকাপে তিনিই এখন বাংলাদেশর আস্থার নাম। 

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার ১২৫ রানের জবাবে মাঝপথে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ৯১ রানে থাকা বাংলাদেশ, ১১৩ রানেই হারিয়ে বসে ৮ উইকেট। তীরে এসে ডুবতে থাকা বাংলাদেশকে টেনে তুলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ রানে শেষমেষ জয় পায় বাংলাদেশ।

শ্রীলংকার বিপক্ষে হারলে সুপার এইটের লক্ষ্যযাত্রায় শুরুতেই ধাক্কা খেতো বাংলাদেশ। টাইগারদের সেই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই দেন রিয়াদ। শুধু তাই নয়, চলতি বিশ্বকাপে প্রয়োজনের সময় বল হাতেও দুর্দান্ত রিয়াদ। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৪ রান দেন তিনি। 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব আল হাসান বল করতে পারেন স্রেফ এক ওভার। আর মাহমুদউল্লাহ বনে যান নিয়মিত স্পিনার। ৩ ওভার বল করে ১৭ রান দেন রিয়াদ। উইকেটবিহীন থাকলেও বেশ আঁটোসাঁট বোলিংই করেন তিনি। 

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রিয়াদ খেলেছেন দুটি করে চার এবং ছক্কায় ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংস। বল হাতে মাত্র ১ ওভার বল করে তিনি সাজঘরে ফেরার ভয়ংকর হয়ে উঠা বিক্রমজিৎ সিংকে। 

বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ডানহাতি স্পিনার আনতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনয়কের সে পরিকল্পনা সফল করেন রিয়াদ। 

আইসিসি আসরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ খেলেছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। এবার কি নতুন উচ্চতায় যেতে পারবে বাংলাদেশ? যেখানে বড় অবদান রাখতে হবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই।

তবে হয়তো নিজের শেষ বিশ্বকাপটাই খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। যদি সত্যিই এমন হয়, আচমকা বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে যদি বিদায় বলে দেন মাহমুদউল্লাহ! 

তবে কি হবে? শেষদিকে কার ওপর ভরসা করে টিভির পর্দায় চোখ রাখবে সমর্থকরা? শূন্য জায়গা পূরণ করতে হয়তো কেউ আসবে, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে রিয়াদের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এটা নিশ্চিত।


রিয়াদ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন