ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাফুফের সাবেক দুই কর্মকর্তা নিষিদ্ধ, সালাম মুর্শেদীকে জরিমানা

প্রকাশ: ০৭:৫৭ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল সে সময়ের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা। আজ আবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দুই কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা, আর্থিক জরিমানা করেছে আরও কয়েকজনকে।  জরিমানা গুণতে হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীও আছেন।

অভিযোগ পুরোনো - ফিফার তহবিল ব্যবহারে অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ কারণেই গত বছর আবু নাঈম সোহাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ফিফা। সে তদন্ত তখন শেষ হয়নি, বাফুফের আরও কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর তদন্ত জারি রেখেছিল ফিফা। সে তদন্তের রায়েই আরও দুই কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও কয়েকজনকে জরিমানার এই শাস্তি এসেছে। আজ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ রায়ের কথা জানিয়েছে ফিফা।

এ ছাড়া গত বছরের রায়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আবু নাঈম সোহাগকে আজকের বিবৃতিতে তিন বছর নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিফা। অবশ্য এই তিন বছর বলতে আগের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে এক বছর যোগ করা হলো, নাকি নতুন করে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা – এ নিয়ে সংশয় আছে।

আজ বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, আবু নাঈম সোহাগকে সব ধরণের ফুটবল-সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড থেকে তিন বছর নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকারও বেশি।

সোহাগ তো গত বছর থেকেই নিষিদ্ধ, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দুই বাফুফে কর্মকর্তা হলেন বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থবিষয়ক কর্মকর্তা আবু হোসেন এবং সাবেক অপারেশনস ম্যানেজার মিজানুর রহমান। দুজনকেই দুই বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল-বিষয়ক কর্মকান্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। পাশাপাশি জরিমানা করেছে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ।

সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাফুফের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে।

এর বাইরে প্রকিউরমেন্ট এন্ড স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফকে ভবিষ্যতে তাঁর কর্মকান্ডের ব্যাপারে  সতর্ক করে দিয়েছে ফিফা, পাশাপাশি ফিফা আয়োজিত ‘কমপ্লায়েন্স ট্রেইনিং’-এর মধ্য দিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।

বিবৃতিতে ফিফা লিখেছে, আবু নাঈম সোহাগ, আবু হোসেন ও মিজানুর রহমান ফিফার আচরণবিধির ধারা ১৪ (সাধারণ দায়িত্ব), ধারা ১৬ (আনুগত্যের দায়িত্ব) ও ধারা ২৫ (জালিয়াতি ও নথিবিকৃতি) ভঙ্গ করেছেন। আর আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও ইমরুল হাসান শরীফ ভেঙেছেন ধারা ১৪ (সাধারণ দায়িত্ব)।

বাফুফে   সালাম মুর্শেদী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানের জন্য বৃষ্টি যেমন আশির্বাদ, তেমনি আবার অভিশাপ!

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে বেশ শক্ত-পোক্তভাবেই মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। অবসর ভেঙ্গে মোহাম্মদ আমিরকে দলে ফেরানো, বিশ্বসেরা বোলিং ইউনিট, বোর্ড-কোচিং প্যানেলে রদবদল- সবকিছু দেখে যেন মনে হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপটা বেশ ভালোই যাবে বাবর-রিজওয়ানদের। কিন্তু শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধাক্কা আর পরবর্তীতে ভারতের চমক- সবকিছু মিলিয়ে যেন শেষমেষ আর দ্বিতীয় রাউন্ডেই যাওয়া হলো না তাদের।

তবে পর পর দুটি ম্যাচ হারলেও পাকিস্তানের একটি সুযোগ ছিল সুপার এইটে ওঠার। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি যেন সেই সুযোগে পানি ঢেলেছে। আর সেজন্যই এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে বেশ দুর্ভাগাই বলা চলে।

এবার ইতিহাসের পুনারাবৃত্তি করার সুযোগ ছিল ইমরান খান-ওয়াসিম আকরামদের উত্তরসূরিদের। সেই ১৯৯২ সালে বৃষ্টি ইমরানের পাকিস্তানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসলেও, ৩২ বছর পর আবার সেই বৃষ্টি বাবর-রিজওয়ানদের জন্য অভিশাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, আয়োজক দেশ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ইমরান খানের পাকিস্তানের জন্য সেবার আশির্বাদ হয়ে ধরা দিয়েছিল বৃষ্টি। সেবার বর্তমান টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েও বৃষ্টির কারণে মূল্যবান ১ পয়েন্ট পেয়েছিল পাকিস্তান। আর সেই এক পয়েন্ট অনেক কত ভূমিকা রেখেছিল পাকিস্তানের জন্য তা ক্রীড়াঙ্গনের সবারই জানা। মূল্যবান সেই এক পয়েন্ট পেয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা করা পাকিস্তানীদের পরের গল্প তো আরও সবারই জানা। শেষমেষ সেবার শিরোপাই জিতে নেয় পাকিস্তান। তবে যেই বৃষ্টির বদৌলতে সেবার পাকিস্তান পেয়েছিল শিরোপা, এবার সেই বৃষ্টিই কেড়ে নিল পাকিস্তানের শেষ আশা।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লডারহিলে বৃষ্টি শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। বৃষ্টির কারণে এ মাঠে এর আগে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটিও পণ্ড হয়। নেপালের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় লঙ্কানদের, আর তাতে সুপার এইটের দৌড় থেকেও ছিটকে যায় দ্বীপ রাষ্ট্রটি।

এবার সেই বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াল পাকিস্তানের জন্যও। যুক্তরাষ্ট্র আর আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হল সাবেক বিশ্বকাপজয়ী ও গত আসরের রানার্সআপ দল পাকিস্তানকে।

নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচের মধ্যে ২টি হেরে যাওয়ায় বাবর আজমরা লডারহিলে যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সেটা সবারই জানা ছিল আগে থেকেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কোনো সমীকরণ কাজে আসেনি পাকিস্তানের জন্য।

গ্রুপ ‘এ’-এর পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র জিতলেই পাকিস্তান বাদ—সমীকরণ ছিল এমন। ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও সুপার এইটের আশা শেষ হয়ে যেত পাকিস্তানের। হলো ও তা-ই। এদিন ফ্লোরিডায় ভেজা আউটফিল্ড ও পরে বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত টসই হয়নি ম্যাচের। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ডকে।

গ্রুপ ‘এ’-তে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট যুক্তরাষ্ট্রের,  ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ভারতের। এই দুই দলেরই নিশ্চিত সুপার এইট। পাকিস্তানের পয়েন্ট ৩ ম্যাচে ২, আয়ারল্যান্ডের ৩ ম্যাচে ১ ও কানাডার ৪ ম্যাচে ৩। সম্ভাবনা শেষ বাকি তিন দলেরই।

আর পাকিস্তানের কপাল পোঁড়ার এই আসরে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই বাজিমাত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিবাসীদের নিয়ে গড়া স্কোয়াডের বদৌলতে প্রথমবারই সুপার এইটে জায়গা করে নিল স্বাগতিক দেশটি।

কানাডাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দলটি তাদের বিশ্বকাপযাত্রা শুরু করেছিল। এরপর পাকিস্তানকে হারিয়ে পুরো ক্রিকেট–বিশ্বকে চমকে দেয় মোনাঙ্ক প্যাটেলের দল। ভারতের বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল স্বাগতিকেরা। অন্যদিকে, ভাগ্য যেন এবার কোনোভাবেই নিজেদের পক্ষে ছিল না পাকিস্তানের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচিতে লডারহিলে ৪টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কা-নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড, ভারত-কানাডা তিনটি ম্যাচ তো গেলই। আর তিনটি ম্যাচই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত। আজ বাংলাদেশ সময় রাত (৮.৩০) মিনিটে পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের ফ্লোরিডা পর্ব শেষ। ম্যাচটি দুই দলের জন্য এখন শুধুই নিয়ম রক্ষার।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ২০২২ সালের সর্বশেষ আসরে টানা ৩ ম্যাচ টস করার আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এবারের আসরে টস ছাড়াই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার রেকর্ডে নাম বসাল ফ্লোরিডার এই মাঠ। আজ নিয়ম রক্ষার পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে এই মাঠ সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে না তো?


পাকিস্তান   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রিকেটের আরেক কিংবদন্তির অবসর

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা, পরে নামিবিয়া। দুই দেশের জার্সি গায়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গন মাতিয়েছেন ‘কিংবদন্তি’ ডেভিড ভিসা। ব্যাটে-বলের সাথে দীর্ঘ পথচলা শেষে চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের নিয়মরক্ষার ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রিয় প্রাঙ্গণকে বিদায় জানালেন তিনি।

রোববার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে বিশ্বকাপের এই ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ হলেও, নামিবিয়ার জন্য ছিল নিয়মরক্ষার। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সান্ত্বনার এক জয়ের আশায় অ্যান্টিগায় নেমেছিল আইসিসির সহযোগী দেশটি। যেখানে ইংলিশ বোলারদের তোপ সামলে সেটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আর এটিই ছিল নামিবিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের এক ‘কিংবদন্তি’ ডেভিড ভিসার বিদায়ী ম্যাচ। এর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

কিংবদন্তির এই বিদায়ী ম্যাচে তাকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে বিশ্বকাপের প্রথম একটি কীর্তিরও দেখা মিলেছে। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় যখন নামিবিয়ার ২৫ বলে ৮৩ রান প্রয়োজন, তখন রিটায়ার্ড আউট হয়ে ওঠে যান ওপেনার নিকোলাস ডেভিন। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এ ধরনের আউট হওয়ার কীর্তি। দলের জয় কঠিন সমীকরণে রেখেই নামিবিয়া নিজেদের কিংবদন্তিকে বিদায় জানানোর এই উপায় কাজে লাগিয়েছে।

সাধারণত ক্রিকেটীয় নিয়ম বলে, অসুস্থতা, চোট কিংবা অন্য কোনো অনিবার্য কারণ ব্যতীত কোনো ব্যাটসম্যান যদি এভাবে অবসর নেন, তাহলে শুধু প্রতিপক্ষ অধিনায়কের অনুমতি সাপেক্ষেই সেই ব্যাটসম্যান পুনরায় ইনিংস শুরু করতে পারবেন।

এমন সুযোগ পেয়ে অবশ্য দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শেষ ম্যাচ খেলতে নামা ভিসা। ১২ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় তিনি ২৭ রান করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ডিএলএস পদ্ধতিতে ৪১ রানে জেতে ইংল্যান্ড।

ভিসার জন্য ডেভিনের রিটায়ার্ড আউট হওয়ার ঘটনায় তিনি নিজেও নাকি অবাক হয়েছেন। ম্যাচ শেষে যা স্বীকার করেছেন অকপটে, ‘জানতাম এরপর আমি নামব। কিন্তু বুঝতে পারিনি, ওভাবে উইকেট পড়বে। নামার জন্য প্রস্তুত থাকলেও কিছুক্ষণের জন্য বুঝতে পারিনি কী ঘটছে। তবে বার্তা পাওয়ার পর নামার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থেকে অবসর প্রসঙ্গে ভিসা বলেন, ‘হ্যাঁ, এখনকার জন্য (বিদায়)। মানে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরও দুবছর বাকি, এখন আমার বয়স ৩৯ বছর। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য আমার খুব বেশি অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। এখনও খেলতে পছন্দ করি, হয়তো আরও দুই বছরের মতো খেলব। মনে হয় এখনো অবদান রাখতে পারি, অনেক খেলা বাকি। তবে নামিবিয়ার হয়ে আমার বিশেষ ক্যারিয়ার শেষ করতে এর চেয়ে ভালো জায়গা কই পাব!’

ভিসা জাতীয় দলের জার্সি খুলে রাখলেও, যে ক্রিকেট ছাড়ছেন না সেটি তার কথায় স্পষ্ট। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের বেশ ভালো চাহিদা। এদিন ম্যাচে আউট হয়ে ফেরার পথে ভিসাকে জড়িয়ে ধরে বিদায়ী অভ্যর্থনা দেন ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান, হ্যারি ব্রুক ও জফরা আর্চাররা। দর্শকরাও তাকে অভিবাদন জানাতে থাকে, ভিসাও জবাব দেন হেলমেট খুলে, হাত উঁচিয়ে, আবেগমাখা দৃষ্টিতে।

নামিবিয়ার হয়ে ২০২১ সালে অভিষেক হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেন ভিসা। প্রোটিয়াদের হয়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত  তিন বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ২৬ ম্যাচ। এরপর বাবার জন্মসূত্রে নাম লেখা নামিবিয়া দলে। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ও ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। ভিসা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ১২৮ স্ট্রাইকরেটে ৬২৪ রান এবং ২২ গড়ে ৫৯টি উইকেট নিয়েছেন।


ডেভিড ভিসা   ক্রিকেট   নামিবিয়া   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিশ্চিত সুপার এইটের ৭ দল, বাকি একটির লড়াইয়ে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় শেষের পথে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের গ্রুপ পর্বের খেলা। ইতোমধ্যেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ৭ দল। বাকি শুধু একটি। আর সেই শেষ আটের শেষ দলের লড়াইয়ের দৌঁড়ে রয়েছে ‘ডি’ গ্রুপের বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস।

সুপার এইটের শেষ দল হিসেবে কারা জায়গা করে নেবে সেই স্থানে, বাংলাদেশ নাকি নেদারল্যান্ডস? সেই প্রশ্নের উত্তরের জন্য বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। কেননা আগামীকাল সকালেই শেষ হচ্ছে ‘ডি’ গ্রুপের লড়াই।

টুর্নামেন্টে ইতোমধ্যেই দুই ম্যাচ জিতে বেশ শক্ত অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। পয়েন্টের হিসেবে পিছিয়ে থাকলেও এখনও সম্ভাবনা রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। নিজেদের শেষ ম্যাচে যদি দলটি শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয়, তবে বিপাকে পড়তে হবে বাংলাদেশকে। কারণ তখন দেখা হবে দুদলের নেট রানরেট। যে দল এগিয়ে থাকবে, তারাই যাবে সুপার এইটে।

অবশ্য নেদারল্যান্ডসের চেয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা কিছুটা কম। কারণ নেপালকে হারাতে পারলেই সরাসরি শেষ আট নিশ্চিত হবে শান্তদের। আর হারলে পড়তে হবে সমীকরণের মারপ্যাচে। এবার দেখে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা-নেপাল ম্যাচের পর সবশেষ সমীকরণ কি দাঁড়াল।

সমীকরণ-১: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডসকে করতে হবে ১৪০ রান। লঙ্কানদের হারাতে হবে ৫৩ রানে।

সমীকরণ-২: যদি নেপালের কাছে ৩৮ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে লঙ্কানদের ১৫ রানে হারালে নিশ্চিত হবে নেদারল্যান্ডসের সুপার এইট।

এই সমীকরণ দুইটির কোনোটিই যদি ডাচরা পূরণ করতে না পারে সেক্ষেত্রে নেপালের কাছে হারলেও রান রেটের সুবিধা নিয়ে সুপার এইটে চলে যাবে বাংলাদেশ। তাই নেপাল ম্যাচের আগে এই জটিল সমীকরণও ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, সুপার এইটে ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ইংল্যান্ডের শঙ্কা জেগেছিল ছিটকে যাওয়ার। তবে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে কপাল খুলে গেলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। আর হৃদয় ভাঙলো স্কটল্যান্ডের ।

এদিন ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও হেরে গেলো তারা। স্কটিশদের এই পরাজয়ে লাভ হয়েছে ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের মতো সমান ৫ পয়েন্ট নিয়েও রান রেটে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

এই ম্যাচ জিতলে অবশ্য বিশ্বকাপের সুপার এইটে চলে যেত স্কটল্যান্ড। সম্ভাব্য সব কিছু করেও স্কটল্যান্ড ম্যাচটা জিততে পারলো না। ম্যাচ শেষে স্কটিশদের চোখে মুখে ফুটে ওঠে আর্তনাদ।

রোববার (১৬ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের পুঁজি পায় স্কটিশরা। জবাবে ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় মিচেল মার্শ বাহিনী।

ইনিংস গোড়াপত্তনে নেমে ভালো শুরু পায়নি স্কটিশরা। অল্পতেই ফেরেন মাইকেল জোনস। তবে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তোলেন ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ও জর্জ মানসি।

এরপর মাত্র ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন ম্যাকমুলেন। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শিকার হয়ে মানসি ফিরলে ভাঙে তাদের ৪৮ বলে ৮৯ রানের জুটি। ফেরার আগে দুটি চার ও তিন ছক্কায় ২৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস সাজান এই ব্যাটার।

এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি ম্যাকমুলেনও। ফেরার আগে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৪ বলে বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান।

শেষ দিকে অধিনায়ক রিচি বেরিংটনের ঝোড়ো ৪২ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮০ রান করে স্কটল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় অজিরা। এরপর মিচেল মার্শও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ম্যাক্সওয়েলকেও থিতু হতে দেয়নি স্কটিশরা। এক ছক্কায় ১১ রানে ম্যাক্সওয়েল ফিরলে ৬০ রান তুলতেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে অজিরা।

এরপর ৪৪ বলে ৮৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টয়নিস। ইনিংসের ১৫তম ওভারেই নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ট্রাভিস হেড। অন্যপ্রান্তে বিধ্বংসী রূপে আর্বিভূত হন স্টয়নিস। ইনিংসের ১৬তম ওভারে মাত্র ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার।

দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রেখে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯ বলে ৬৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হেড। অন্যপ্রান্তে স্টয়নিসও তার দেখানো পথেই হাঁটেন। ফেরার আগে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ বলে ৫৯ রানে ফেরেন এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার।

এরপর বাকি পথ পাড়ি দেন ম্যাথু ওয়েড ও টিম ডেভিড। ডেভিডের ১৪ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার জয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড।


ইংল্যান্ড   অস্ট্রেলিয়া   সুপার এইট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আলবেনিয়াকে উড়িয়ে ইউরো শুরু ইতালির

প্রকাশ: ০৯:৫০ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মাঠে গড়িয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। যেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ইতালি ও আলবেনিয়া। 

গ্রুপ বি’র এই ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আলবেনিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইতালি। খেলার প্রথম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পরও জয় তুলে নিতে পারেনি আলবেনিয়া।

আলবেনিয়ার সাথে ম্যাচে নিজেদের সীমানায় থ্রোয়িং পেয়ে ভুল করে বসে ইতালি। সেটিকে কাজে লাগিয়ে খেলার ২৩ সেকেন্ডেই আলবেনিয়াকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন নেদিম বাজরামি। যা ইউরোর ইতিহাসে দ্রুততম গোল হিসেবে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।

পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে ইতালি। ১১ মিনিটে পেল্লেগ্রিনির বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রস থেকে বল পেয়ে দলকে সমতায় ফেরান আলেসান্দ্রো বাস্তোনি।

ঠিক ৫ মিনিট পর ইতালিকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন বারেল্লা। ইতালির একটি আক্রমণ সুযোগ পেয়েও ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন আলবেনিয়ার ডিফেন্ডাররা। সেই ভুলকে কাজে লাগিয়ে বল জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার। খেলার বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইতালি।


ইউরো কাপ   ইতালি   আলবেনিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন