ইনসাইড গ্রাউন্ড

সিরিজ বাঁচাতে ১৪৫ এর লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১১:১২ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘অঘটন’ জন্ম দিয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরেছে টিম টাইগার্স। সেই সঙ্গে প্রথম দেখায় টাইগারদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইতোমধ্যেই ৪ ওভারে এক উইকেটে ২৯ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি সৌম্য। শূন্য রানে ফিরে গেছেন তিনি। এখন ক্রিজে রয়েছেন তানজিদ তামিম ও নাজমুল শান্ত। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) টেক্সাসের হিউস্টনে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে যুক্তরাষ্ট্র।

সপ্তম ওভারে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে দলপতির বিশ্বাসের প্রতিদানও দেন রিশাদ। ২৮ বলে ৩১ রান করে টেইলর এবং অ্যান্ড্রিস গাউস রিশাদের দ্বিতীয় শিকার হন।

চতুর্থ উইকেটে অ্যারন জোন্সকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোনাঙ্ক প্যাটেল। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পূরণ করে স্বাগতিকরা। ১৭তম ওভারে জোন্সকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মোস্তাফিজ। ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন জোন্স।

এরপর মোনাঙ্ক প্যাটেলকে সঙ্গ দেন কোরি এন্ডারসন। ১০ বলে ১১ রান করে এন্ডারসন আউট হলে ৩৮ বলে ৪২ রান করে তার দেখানো পথে হাটেন মোনাঙ্ক। এই দুই ব্যাটারকে বোল্ড আউট করেন শরিফুল ইসলাম।

শেষ দিকে হারমীত সিং (০) আউট হলে নিতিশ কুমারের ৩ বলের ৭ রান এবং শ্যাডলি ফন শ্যালকউইকের ৪ বলে ৭ রানের ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি পোল্যান্ড, নেই লেভানদোভস্কি

প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মাঠে গড়িয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। যেখানে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছে নেদারল্যান্ডস। রোববার (১৬ জুন) তাদের প্রতিপক্ষ লেভানদোভস্কির পোল্যান্ড। কিন্তু ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলা হচ্ছে না বার্সা তারকার।

প্রায় তিন যুগ ধরে ইউরোর ট্রফি উঁচিয়ে ধরে না নেদারল্যান্ডস। আর এই শিরোপা এখনও স্পর্শ করার সুযোগ হয়নি পোল্যান্ডের। আরেকটি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দু’দলেরই চোখ চ্যাম্পিয়নশিপে।

সবশেষ আট ম্যাচের একটিতেও না হারা পোল্যান্ড অবশ্য এবার প্লে-অফ খেলে জায়গা করে নিয়েছে ইউরোতে। বাছাইপর্বের বৈতরণি পেরুতে পারেনি তারা। এরপর প্লে-অফে ওয়েলসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জায়গা করে নেয় মূলপর্বে।

অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডস তাদের সবশেষ ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতেছে। গেল সপ্তাহে তারা ৪-০ গোলে হারিয়েছে কানাডাকে। এরপর আইসল্যান্ডকেও একই ব্যবধানে হারায় তারা। দুটি ম্যাচেই গোল করেছেন অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক।

গত চার বছরে চারবার মুখোমুখি হয়েছে দুদল। নেদারল্যান্ডস জেতে তিন ম্যাচ। ড্র হয়েছে একটি ম্যাচ। ১৯৭৯ সালের পর ডাচদের বিপক্ষে কখনও জয় পায়নি লেভা’র দল। এবার কি সেই অচলায়তন ভাঙা সম্ভব? নাকি জয়ের পাল্লা ভারী করবে গাকপো-ডিপাইরা?


ইউরো কাপ   পোল্যান্ড   লেভানদোভস্কি   নেদারল্যান্ডস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিয়মরক্ষার ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে বেশ শক্ত-পোক্তভাবেই মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। অবসর ভেঙ্গে মোহাম্মদ আমিরকে দলে ফেরানো, বিশ্বসেরা বোলিং ইউনিট, বোর্ড-কোচিং প্যানেলে রদবদল- সবকিছু দেখে যেন মনে হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপটা বেশ ভালোই যাবে বাবর-রিজওয়ানদের। কিন্তু শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধাক্কা আর পরবর্তীতে ভারতের চমক- সবকিছু মিলিয়ে যেন শেষমেষ আর দ্বিতীয় রাউন্ডেই যাওয়া হলো না তাদের।

তবে নিয়মরক্ষার ম্যাচে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে পাকিস্তান। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে না পারলেও জয় দিয়েই এবারের বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে মরিয়া দুদলই।

রোববার ফ্লোরিডার লডারহিলে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এতে আগে ব্যাট করবে আইরিশরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। আর খেলা দেখাবে নাগরিক টিভি।

ম্যাচটিতে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে পাকিস্তান। নাসিম শাহের পরিবর্তে একাদশে ডাক পেয়েছেন আব্বাস আফ্রিদি। অপরদিকে নিজেদের একাদশে পরিবর্তন এনেছে আয়ারল্যান্ডও। ক্রেইগ ইয়ংয়ের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন বেন হোয়াইট।

পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর আজম, উসমান খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, আব্বাস আফ্রিদি, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ আমির।

আয়ারল্যান্ড একাদশ: অ্যান্ড্রু বালবির্নি, পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), লরকান টাকার, হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, ব্যারি ম্যাককার্থি, জস লিটল ও বেন হোয়াইট।


ভারত   পাকিস্তান   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   যুক্তরাষ্ট্র   আয়ারল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্ষমা চাইলেন ম্যাথিউজ

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

স্কোয়াডে চমক রেখে চলমান টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু করলেও বাজে পারফরম্যান্সের কারণে শুরুতেই ছিটকে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। আর দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সে হতাশ দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাই নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার পূর্বেই পুরো জাতির কাছে ক্ষমা পেয়েছেন লঙ্কান অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।

নবম টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষেও হারতে হয়েছে তাদের। আর তৃতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দল।

নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নামার আগে ম্যাথিউজ বলেন, ‘আমরা পুরো দেশকে হতাশ করেছি। আমরা সত্যিই দুঃখিত। কারণ, আমরা নিজেদেরকে হতাশ করেছি। আমরা কখনও এমনটা আশা করিনি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে সেগুলো দুর্ভাবনার কিছু নয়। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারিনি।’

কাগজে-কলমে নেদারল্যান্ডস পিছিয়ে থাকলেও তাদেরকে হালকাভাবে নিচ্ছে না লঙ্কানরা। কারণ, প্রস্তুতি ম্যাচে ডাচদের কাছে হারতে হয়েছে তাদের।

লঙ্কান এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমরা কোনো দলকে হালকাভাবে নিতে পারি না। নেপাল কীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিচ্ছিল আমরা দেখেছি। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে নেপালের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তবে যা হওয়ার হয়ে গেছে। শেষ ম্যাচে আমরা নিজেদের সম্মানের জন্য খেলব।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিজেদের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি আমরা। বিশেষ করে প্রথম দুই ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা হতাশ। নিজেদের মধ্যে আমরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি। আগামীকাল নতুন দিন এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আমাদের খেলতে হবে। তারা খুব, খুব বিপজ্জনক দল। তাই আমরা ভালো খেলে তাদের হারাতে চাই।’


অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানের জন্য বৃষ্টি যেমন আশির্বাদ, তেমনি আবার অভিশাপ!

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে বেশ শক্ত-পোক্তভাবেই মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। অবসর ভেঙ্গে মোহাম্মদ আমিরকে দলে ফেরানো, বিশ্বসেরা বোলিং ইউনিট, বোর্ড-কোচিং প্যানেলে রদবদল- সবকিছু দেখে যেন মনে হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপটা বেশ ভালোই যাবে বাবর-রিজওয়ানদের। কিন্তু শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধাক্কা আর পরবর্তীতে ভারতের চমক- সবকিছু মিলিয়ে যেন শেষমেষ আর দ্বিতীয় রাউন্ডেই যাওয়া হলো না তাদের।

তবে পর পর দুটি ম্যাচ হারলেও পাকিস্তানের একটি সুযোগ ছিল সুপার এইটে ওঠার। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি যেন সেই সুযোগে পানি ঢেলেছে। আর সেজন্যই এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে বেশ দুর্ভাগাই বলা চলে।

এবার ইতিহাসের পুনারাবৃত্তি করার সুযোগ ছিল ইমরান খান-ওয়াসিম আকরামদের উত্তরসূরিদের। সেই ১৯৯২ সালে বৃষ্টি ইমরানের পাকিস্তানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসলেও, ৩২ বছর পর আবার সেই বৃষ্টি বাবর-রিজওয়ানদের জন্য অভিশাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, আয়োজক দেশ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ইমরান খানের পাকিস্তানের জন্য সেবার আশির্বাদ হয়ে ধরা দিয়েছিল বৃষ্টি। সেবার বর্তমান টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েও বৃষ্টির কারণে মূল্যবান ১ পয়েন্ট পেয়েছিল পাকিস্তান। আর সেই এক পয়েন্ট অনেক কত ভূমিকা রেখেছিল পাকিস্তানের জন্য তা ক্রীড়াঙ্গনের সবারই জানা। মূল্যবান সেই এক পয়েন্ট পেয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা করা পাকিস্তানীদের পরের গল্প তো আরও সবারই জানা। শেষমেষ সেবার শিরোপাই জিতে নেয় পাকিস্তান। তবে যেই বৃষ্টির বদৌলতে সেবার পাকিস্তান পেয়েছিল শিরোপা, এবার সেই বৃষ্টিই কেড়ে নিল পাকিস্তানের শেষ আশা।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লডারহিলে বৃষ্টি শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। বৃষ্টির কারণে এ মাঠে এর আগে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটিও পণ্ড হয়। নেপালের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় লঙ্কানদের, আর তাতে সুপার এইটের দৌড় থেকেও ছিটকে যায় দ্বীপ রাষ্ট্রটি।

এবার সেই বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াল পাকিস্তানের জন্যও। যুক্তরাষ্ট্র আর আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হল সাবেক বিশ্বকাপজয়ী ও গত আসরের রানার্সআপ দল পাকিস্তানকে।

নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচের মধ্যে ২টি হেরে যাওয়ায় বাবর আজমরা লডারহিলে যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সেটা সবারই জানা ছিল আগে থেকেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কোনো সমীকরণ কাজে আসেনি পাকিস্তানের জন্য।

গ্রুপ ‘এ’-এর পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র জিতলেই পাকিস্তান বাদ—সমীকরণ ছিল এমন। ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও সুপার এইটের আশা শেষ হয়ে যেত পাকিস্তানের। হলো ও তা-ই। এদিন ফ্লোরিডায় ভেজা আউটফিল্ড ও পরে বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত টসই হয়নি ম্যাচের। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ডকে।

গ্রুপ ‘এ’-তে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট যুক্তরাষ্ট্রের,  ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ভারতের। এই দুই দলেরই নিশ্চিত সুপার এইট। পাকিস্তানের পয়েন্ট ৩ ম্যাচে ২, আয়ারল্যান্ডের ৩ ম্যাচে ১ ও কানাডার ৪ ম্যাচে ৩। সম্ভাবনা শেষ বাকি তিন দলেরই।

আর পাকিস্তানের কপাল পোঁড়ার এই আসরে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই বাজিমাত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিবাসীদের নিয়ে গড়া স্কোয়াডের বদৌলতে প্রথমবারই সুপার এইটে জায়গা করে নিল স্বাগতিক দেশটি।

কানাডাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দলটি তাদের বিশ্বকাপযাত্রা শুরু করেছিল। এরপর পাকিস্তানকে হারিয়ে পুরো ক্রিকেট–বিশ্বকে চমকে দেয় মোনাঙ্ক প্যাটেলের দল। ভারতের বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল স্বাগতিকেরা। অন্যদিকে, ভাগ্য যেন এবার কোনোভাবেই নিজেদের পক্ষে ছিল না পাকিস্তানের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচিতে লডারহিলে ৪টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কা-নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড, ভারত-কানাডা তিনটি ম্যাচ তো গেলই। আর তিনটি ম্যাচই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত। আজ বাংলাদেশ সময় রাত (৮.৩০) মিনিটে পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের ফ্লোরিডা পর্ব শেষ। ম্যাচটি দুই দলের জন্য এখন শুধুই নিয়ম রক্ষার।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ২০২২ সালের সর্বশেষ আসরে টানা ৩ ম্যাচ টস করার আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এবারের আসরে টস ছাড়াই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার রেকর্ডে নাম বসাল ফ্লোরিডার এই মাঠ। আজ নিয়ম রক্ষার পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে এই মাঠ সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে না তো?


পাকিস্তান   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রিকেটের আরেক কিংবদন্তির অবসর

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা, পরে নামিবিয়া। দুই দেশের জার্সি গায়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গন মাতিয়েছেন ‘কিংবদন্তি’ ডেভিড ভিসা। ব্যাটে-বলের সাথে দীর্ঘ পথচলা শেষে চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের নিয়মরক্ষার ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রিয় প্রাঙ্গণকে বিদায় জানালেন তিনি।

রোববার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে বিশ্বকাপের এই ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ হলেও, নামিবিয়ার জন্য ছিল নিয়মরক্ষার। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সান্ত্বনার এক জয়ের আশায় অ্যান্টিগায় নেমেছিল আইসিসির সহযোগী দেশটি। যেখানে ইংলিশ বোলারদের তোপ সামলে সেটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আর এটিই ছিল নামিবিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের এক ‘কিংবদন্তি’ ডেভিড ভিসার বিদায়ী ম্যাচ। এর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

কিংবদন্তির এই বিদায়ী ম্যাচে তাকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে বিশ্বকাপের প্রথম একটি কীর্তিরও দেখা মিলেছে। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় যখন নামিবিয়ার ২৫ বলে ৮৩ রান প্রয়োজন, তখন রিটায়ার্ড আউট হয়ে ওঠে যান ওপেনার নিকোলাস ডেভিন। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এ ধরনের আউট হওয়ার কীর্তি। দলের জয় কঠিন সমীকরণে রেখেই নামিবিয়া নিজেদের কিংবদন্তিকে বিদায় জানানোর এই উপায় কাজে লাগিয়েছে।

সাধারণত ক্রিকেটীয় নিয়ম বলে, অসুস্থতা, চোট কিংবা অন্য কোনো অনিবার্য কারণ ব্যতীত কোনো ব্যাটসম্যান যদি এভাবে অবসর নেন, তাহলে শুধু প্রতিপক্ষ অধিনায়কের অনুমতি সাপেক্ষেই সেই ব্যাটসম্যান পুনরায় ইনিংস শুরু করতে পারবেন।

এমন সুযোগ পেয়ে অবশ্য দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শেষ ম্যাচ খেলতে নামা ভিসা। ১২ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় তিনি ২৭ রান করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ডিএলএস পদ্ধতিতে ৪১ রানে জেতে ইংল্যান্ড।

ভিসার জন্য ডেভিনের রিটায়ার্ড আউট হওয়ার ঘটনায় তিনি নিজেও নাকি অবাক হয়েছেন। ম্যাচ শেষে যা স্বীকার করেছেন অকপটে, ‘জানতাম এরপর আমি নামব। কিন্তু বুঝতে পারিনি, ওভাবে উইকেট পড়বে। নামার জন্য প্রস্তুত থাকলেও কিছুক্ষণের জন্য বুঝতে পারিনি কী ঘটছে। তবে বার্তা পাওয়ার পর নামার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থেকে অবসর প্রসঙ্গে ভিসা বলেন, ‘হ্যাঁ, এখনকার জন্য (বিদায়)। মানে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরও দুবছর বাকি, এখন আমার বয়স ৩৯ বছর। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য আমার খুব বেশি অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। এখনও খেলতে পছন্দ করি, হয়তো আরও দুই বছরের মতো খেলব। মনে হয় এখনো অবদান রাখতে পারি, অনেক খেলা বাকি। তবে নামিবিয়ার হয়ে আমার বিশেষ ক্যারিয়ার শেষ করতে এর চেয়ে ভালো জায়গা কই পাব!’

ভিসা জাতীয় দলের জার্সি খুলে রাখলেও, যে ক্রিকেট ছাড়ছেন না সেটি তার কথায় স্পষ্ট। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের বেশ ভালো চাহিদা। এদিন ম্যাচে আউট হয়ে ফেরার পথে ভিসাকে জড়িয়ে ধরে বিদায়ী অভ্যর্থনা দেন ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান, হ্যারি ব্রুক ও জফরা আর্চাররা। দর্শকরাও তাকে অভিবাদন জানাতে থাকে, ভিসাও জবাব দেন হেলমেট খুলে, হাত উঁচিয়ে, আবেগমাখা দৃষ্টিতে।

নামিবিয়ার হয়ে ২০২১ সালে অভিষেক হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেন ভিসা। প্রোটিয়াদের হয়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত  তিন বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ২৬ ম্যাচ। এরপর বাবার জন্মসূত্রে নাম লেখা নামিবিয়া দলে। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ও ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। ভিসা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ১২৮ স্ট্রাইকরেটে ৬২৪ রান এবং ২২ গড়ে ৫৯টি উইকেট নিয়েছেন।


ডেভিড ভিসা   ক্রিকেট   নামিবিয়া   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন