নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ২১ মে, ২০১৮
বার্সেলোনার ড্রিম টিম কিংবা স্পেনের বিশ্বকাপ জয়, যেটাই বলা হোক না কেন একটা নাম সব সময় উচ্চারিত হবেই। তিনি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ফুটবলে নতুন মাত্রা যোগ করে কীভাবে ফুটবল মাঠে সেটা আরও সুচারুরূপে উপস্থাপন করা যায় তা ইনিয়েস্তার মত ভালো মনে হয়না আর কেউ করতে পারবে।
বার্সা থেকেই শুরু
১২ বছর বয়সে ব্যালোম্পাইয়ে খেলার সময় বার্সেলোনার স্কাউটদের নজরে পড়েন। যদিও আরও অনেক দল আগ্রহী ছিল তার প্রতি কিন্তু বাবা-মায়ের কথা মত তিনি বার্সেলোনার যুবদল ‘লা মাসিয়া’ তে যোগ দেন। সেখানেই বেড়ে ওঠেন নিবিড় পরিচর্যায়।
তিনি বার্সেলোনার যুব দলে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত ছিলেন। এরপর বয়সভিত্তিক দলে খেলে ২০০৪-০৫ মৌসুমে বার্সার হয়ে অভিষেক হয় তার। সেই মৌসুমে ৩৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যার মধ্যে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন বদলি হিসেবে। এ মৌসুমে গোল করেছিলেন মাত্র ২টি। বার্সেলোনা জিতে নেয় লা লিগা শিরোপা। ২০০৫-০৬ মৌসুমে আরেক বার্সা গ্রেট জাভির ইনজুরির কারণে তিনি দলে আরও ভালভাবে নিয়মিত হন।
২০০৬-০৭ মৌসুমেও তাঁর উন্নতি অব্যাহত থাকে। এ মৌসুমে মিডফিল্ডের বিভিন্ন পজিশনে খেলার পরেও ইনিয়েস্তা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ গোল করেন। এ মৌসুমেও লিগ জিতে বার্সেলোনা। এরপরেই তাকে ৮ নম্বর জার্সি প্রদান করা হয়। ২০০৮ সালে নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বার্সায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
২০০৮-০৯ মৌসুমে ৬ মাস ইনজুরির কারণে খেলার বাহিরে ছিলেন। তিনি চাচ্ছিলেন যত তাড়াতাড়ি মাঠে ফেরা যায়। ২০০৯ সালে ৩ জানুয়ারি বদলি হিসেবে ৬৫ মিনিটের মাথায় মাঠে নেমেই ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় করে বসেন এক দারুণ গোল। ৫ ফেব্রুয়ারি কোপা দেল রে’তে মায়োর্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ২৫০তম ম্যাচ খেলেন ইনিয়েস্তা। সেই সঙ্গে ২০০৮-০৯ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। তিনি তারই ক্লাব সতীর্থ মেসি এবং জাভিকে পেছনে ফেলে জিতে নেন এই পুরুস্কার। সেই মৌসুমেও লিগ জিততে ভুল হয়নি বার্সেলোনার।
২০০৯-১০ মৌসুমে এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্যালন ডি অরের জন্য মনোনয়ন পান। উয়েফা মনোনীত বর্ষসেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় তিনি সেরা ৫ নম্বরে ছিলেন। এ মৌসুমে বেশ কয়েকবার ইনজুরিতেও পড়েছিলেন কিন্তু তবুও তিন ই বারবার ফিরে এসেছেন স্বরূপে। তার দলও জিতেছিল ২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। সঙ্গে লা লিগার শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা।
২০১০-১১ মৌসুমে আবারও লিগ শিরোপা অর্জন করে বার্সা। যার মূল কাণ্ডারি ছিলেন ইনিয়েস্তা। পেপ গার্দিওলার ড্রিম টিমের অন্যতম এ সদস্য ২০১০-১১ মৌসুমে জীবনের সেরা ফর্মে ছিলেন। সে বছর ছিলেন ব্যালন ডি অরের সেরা তিনে। তাঁর মনোনয়নের মূল কারণ ছিল এ মৌসুমে বার্সার ট্রেবলসহ হেক্সা জয়।
২০১১-১২ মৌসুমে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ইনিয়েস্তা। বার্সা শুধুমার কোপা দেল রেই জিতেছিল এ মৌসুমে। এর পরে ২০১২-১৩ মৌসুমেও লা লিগা এবং উয়েফা সুপার কাপ জেতে বার্সা। বার্সা থেকে গার্দিওলার বিদায়ের পরও দলে তিনি নিজের মত খেলেছেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনা আবারও ট্রেবল জিতে নেয়। ইনিয়েস্তা ছিলেন এ দলের মূল চালিকাশক্তি।
স্পেন দলে ইনিয়েস্তা
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে উয়েফা অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে জেতে স্পেন আর সেটাও ২০০১ সালে। সেই দলের সদস্য ছিলেন ইনিয়েস্তা। ২০০৩ সালে ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাজিলের কাছে হেরে শিরোপা হাত ছাড়া হয় স্পেনের। ২০০৬ সালের ১৫ মে জাতীয় দলে ডাক পান ইনিয়েস্তা। রাশিয়ার বিপক্ষে সেই বছর ২৭ মে অভিষেক হয়ে এই জাদুকরের।
২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম গোল করেন তিনি। ২০০৮ সালে ইউরোর বাছাইপর্বের বাধা পেরুতে তাঁর বেশ ভালো ভূমিকা ছিল। ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপে চিলির বিপক্ষে এক গোল করেন তিনি। ২-১ গোলে চিলিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠে স্পেন। সেই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পুরুস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম ওঠে। নেদারল্যান্ডের সঙ্গে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ১১৬ মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোল করে স্পেনকে এনে দেন অধরা বিশ্বকাপ। যা ছিল স্পেনের ১ম বিশ্বকাপ শিরোপা।
বার্সায় শেষ
ইনিয়েস্তা একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তবে ভারসাম্য, বল নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রুততার কারণে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও তিনি উন্নতি করতে থাকেন। ১৮ বছর বয়সেই বার্সার সিনিয়র দলে তাঁর অভিষেক হয়। ইনিয়েস্তা তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুমে জয় করেছেন ২ টি শিরোপা। এদিকে, ২০১৩ সালে করা পাঁচ বছরের চুক্তি শেষে গতকালই চলে বার্সাকে বিদায় বলেন ইনিয়েস্তা। যদিও গেল অক্টোবরে ইনিয়েস্তার সঙ্গে আজীবন চুক্তি করেছিল বার্সেলোনা। তিনি যতদিন চাইবেন বার্সায় থাকতে পারবেন এবং চাইলে অন্য ক্লাবে যেতেও পারবেন। এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চাইলে যেকোনো সময় বার্সার হয়ে খেলতে পারবেন। যদিও এই চুক্তিটা অনেকটাই সম্মানসূচক।
পরিশেষে…
চার মৌসুমে ১৪ ট্রফি কিংবা ২০১০ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা সব কিছু ছাপিয়ে ইনিয়েস্তা একজন বিশ্বসেরা মিডফিল্ডার। তার মত একজনকে আসলে শিরোপা ও ব্যক্তিগত অর্জন দিয়ে পরিমাপ করা যায়না। বার্সেলোনার হয়ে ফুটবল ইতিহাসে যতভাবে ইতিহাস তৈরি করা যায় তা ইনিয়েস্তা করেছেন। ইনিয়েস্তা একজনই এবং তার তুলনাও তিনি নিজেই।
বাংলা ইনসাইডার/ডিআর/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। এটি তার অভিষেক ম্যাচ ছিল।
রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়াশে মারুমানি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ২ করেন তিনি।
পরে ক্রিজে আসেন ক্রেস আরভিন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নেন গাম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। থিতু হওয়ার আগেই রিশাদের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।
ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
আগামী বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে দারুণ ফুটবল খেলে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। আর তাই এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবে।
তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে আগের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল গেরেরোকে মিস করবে বায়ার্ন। পর্তুগিজ এই তারকা প্রথম লেগে নেমেছিলেন লিওন গোরেৎজকার বদলি হিসেবে। বদলি নেমেই মাঝমাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্নও ম্যাচে ফেরে গেরেরোর ডিফেন্সিভ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে।
কিন্তু, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। স্টুটগার্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় গোড়ালির চোটের কারণে উঠিয়ে নেয়া হয় এই পর্তুগিজ তারকাকে। বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখকে পরের কয়েক ম্যাচে রাফায়েল গেরেরোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। পর্তুগিজ এই তারকা বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পান এবং ক্যাপসুল ইনজুরিতে পড়েছেন। বায়ার্ন মিউনিখের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’
বায়ার্নের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন গেরেরো। যদিও চলতি মৌসুমে বায়ার্নের বাকি আছে সর্বোচ্চ আর চার ম্যাচ। বুন্দেসলীগায় দুই ম্যাচ খেলবে তারা। এর বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেতে পারলে খেলতে হবে দুই ম্যাচ। আর ফাইনালে যেতে পারলে হাতে থাকবে তিন ম্যাচ।
রাফায়েল গেরেরো উইংব্যাক হিসেবে থাকলেও মিডফিল্ড এবং উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সফল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মৌসুম শেষে ইউরোতে পর্তুগালের জার্সিতেও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
রিয়াল মাদ্রিদ বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।
আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।
শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।
তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।
মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।
গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।
এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।