ইনসাইড গ্রাউন্ড

রাশিয়া বিশ্বকাপে আন্ডারডগ যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৮


Thumbnail

অনেকেই বিশ্বকাপে ছোট এবং অচেনা দলগুলোর সঙ্গে লড়তে চায় না। ড্র’য়ের আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে এমন কোনো দল যেন তাঁদের গ্রুপসঙ্গী না হয়। মোদ্দাকথা বিশ্বকাপে আন্ডারডগ মানেই যেন মূর্তিমান আতঙ্ক। প্রায়ই দেখা যায় যে আন্ডারডগ দলগুলো পাল্টে দেয় খেলার ছক। ওলটপালট করে দেয় ফেবারিট দলগুলোর বিশ্বকাপ মিশন।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, বেলজিয়ামসহ বেশকিছু দেশের দিকে সবার নজর থাকবে। কেননা দলগুলো বেশ বড় তারকায় ঠাসা। তবে প্রতিবারই হিসেবের বাইরে থাকা আন্ডারডগ দলগুলো অসাধারণ নৈপুণ্যে চমকে দেয় ফুটবলবিশ্বকে। চলুন দেখা নেয়া যাক এমন কয়েকটি দল: 

মিশর
ফুটবল বিশ্বে বর্তমান সময়ের আলোচিত নাম মোহাম্মেদ সালাহ। লিভারপুলের হয়ে ইউরোপীয় ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছেন এই মিশরীয় ফুটবলার। আর সালাহ’র হাত ধরেই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার আশা বুনছে মিশর। এর অবশ্য অনেক যৌক্তিক কারণ আছে। কেননা ইউরোপীয় ফুটবলে রোনালদো-মেসি- নেইমারদের পাশ কাটিয়ে ছড়ি ঘুড়াচ্ছেন মোহাম্মেদ সালাহ। এই দলে সালাহ ছাড়াও বেশ কয়েকজন ভালো মানের খেলোয়াড় আছে।

২০১৫ সালে মিশরের কোচের দায়িত্ব পান হেক্টর কুপার। কোচিং ক্যারিয়ারে ভ্যালেন্সিয়া, ইন্টার মিলান, রিয়াল বেতিসের মতো ক্লাবে কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে জর্জিয়ার ফুটবলকে নতুন মাত্রা দেন হেক্টর। তবে হেক্টর কুপার মিশরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর অধীণে এখন পর্যন্ত ৩০টি ম্যাচ খেলেছে সালাহরা। আর এই ৩০ ম্যাচে মাত্র একবার একটির বেশি গোল হজম করেছে মিশর। এ সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে মিশরের শক্তির জায়গা তাদের আক্রমণভাগ এবং দুর্বলতা হলো অভিজ্ঞতা।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: মোহাম্মেদ সালাহ (লিভারপুল)।

আইসল্যান্ড
প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলছে আইসল্যান্ড। মাত্র ৩ লাখ ৩৪ হাজার জনসংখ্যার দেশটি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ। ইংল্যান্ডকে ২০১৬ ইউরো থেকে ছিটকে দিয়ে নিজেদের সামর্থের প্রমাণ তারা আগেই দিয়েছে। সেবার ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলো তাঁরা। বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে আয়ারল্যান্ড খুব ভালো খেলেছে এবং প্রমাণ করেছে যে শুধুমাত্র হাইপ দিয়ে তারা এই পজিশনে আসেনি। তাই এবার পালা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রমাণের।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় তারকা নিঃসন্দেহে গিলফি সিগারসন। তবে তাঁর সঙ্গে বিরকির বায়ারসন(এ্যস্টন ভিলা), এ্যারন গুনারসন(কার্ডিফ সিটি) এবং আলফ্রেড ফিনবোগাসন(এফসি আউসবুর্গ)রা আছে যথেষ্ঠ সাহায্যের জন্য। গ্রুপ ডি’তে আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া আর নাইজেরিয়ার সাথে পড়া আইসল্যান্ড কতোদূর যেতে পারবে সেটা সময় বলে দিবে তবে তারা যে জান দিয়ে খেলবে এই ব্যাপার সন্দেহ নাই।

ডেনমার্ক
ডেনমার্ককে নিয়ে আলোচনা কম হয় কিন্তু তাঁরাও অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একটি দল। ডেনমার্ক সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছিলো ২০১০ সালে। তবে বিশ্বকাপে তাদের সেরা সাফল্য আসে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। সেবার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল ড্যানিশরা। তবে এবারের ডেনমার্কের শক্তি মাঝমাঠ। ইউরোপীয়ান বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘ই’-তে পোলান্ডের পেছনে থেকে রানার্স আপ হয় ডেনমার্ক। এরপর আয়ারল্যান্ডকে প্লে-অফে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখে তারা। কোচ এরিকজ হারিদা ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে পছন্দ করেন। অর্থাৎ খেলার ধরন আক্রমণাত্মক। তবে দলটির মূল সমস্যা ভালো স্ট্রাইকারের অভাব, অর্থাৎ ফরোয়াড লাইনে সমস্যা আছে। বাছাইপর্বে ডেনমার্ক ২৫টি গোল করে, যার মধ্যে স্ট্রাইকাররা করে ৬টি গোল।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: ডেনমার্ক দলে আছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন (টটেনহ্যাম)। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছেন এই খেলোয়াড়। সেবার ছিলেন কনিষ্ঠতম সদস্য এবার অভিজ্ঞ। বাছাইপর্বের ১২ ম্যাচে ১১ গোলই তাঁর সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়।

নাইজেরিয়া
আফ্রিকার ‘সুপার ঈগল’রা এবার সবাইকে চমকে দিতে পারে। বিশ্বকাপের আসরে নাইজেরিয়ার জার্সিতে নামার অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২৪.৯ বছর। এত কম গড় বয়স নিয়ে আর কোন দল মাঠে নামছেনা এবারের বিশ্বকাপে। এই নিয়ে যষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপ খেলবে নাইজেরিয়া। তরুণ এই দলকে নিয়ে বেশ আশাবাদী তাদের কোচ গারনট রোর ও অধিনায়ক জন ওবি মিকেল। তাছাড়া এই দলটিই কয়েক মাস আগে এক প্রীতি ম্যাকচে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে। সেই সঙ্গে নাইজেরিয়া সুশৃঙ্খল ও শান্ত একটি দল। সবাই সবার কাজ জানে এবং সেভাবেই করে যাচ্ছে। গত নভেম্বরে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ৪-২ গোলে জেতা ম্যাচটিতে তাঁরা তাঁরা কতটা ভয়ংকর হতে পারে। তাঁদের অ্যাটাক গ্রুপের অন্য তিন দিল- আর্জেন্টিনা, আইসল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়াকে সমস্যায় ফেলতে পারে। আর এই চার দল নিয়ে গড়া গ্রুপ ডি হলো এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে  কঠিন গ্রুপ।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: জন ওবি মিকেল (তাইনজিন টেডা), অ্যালেক্স ইয়োবি (আর্সেনাল) এবং কেলেচি ইহিয়ানাচো(লেস্টার সিটি)।

অস্ট্রেলিয়া
২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপ থেকে নিয়মিত ফুটবলের এই বড় আসরে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। জানলে অনেকেই অবাক হতে পারেন বাছাই পর্ব পেরোতে সকারুজদের প্রায় ২৫০০০০ মাইল ভ্রমন করতে হয়েছে। তবে এবার তারা অনেক কাঠখোড়ন পেরিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে। বাছাইপর্বে জাপান এবং সৌদি আরবের পেছনে ছিল তারা। যার কারনে দু’দুটি প্লে-অফ খেলতে হয়েছে তাদের। প্রথমে সিরিয়া এবং এরপর হন্ডুরাস। অস্ট্রেলিয়ায় দলেরও মূল শক্তির জায়গা টিম স্পিরিট। আর দুর্বলতার জায়গা ভালো স্ট্রাইকারের অভাব, অর্থাৎ ফরোয়াড লাইনে সমস্যা আছে। ৩৮ বছর বয়সেও আক্রমণভাগের প্রাধান টিম কাহিল। সেই সঙ্গে সকারুজদের দীর্ঘদিনের কোচ এঙ্গু পোস্তগলু পদত্যাগ করার পর এখনও কোচের দেখা পায়নি তারা। অথচ বিশ্বকাপের আছে মাত্র একমাস।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: অ্যারন মোই। ইপিএলের দল হাডার্সফিল্ডে খেলা এই মিডফিল্ডার হতে পারে অজিদের মূল ভরসা।

বাংলা ইনসাইডার/ডিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই না করা দলের সাথে টাইগারদের প্রস্তুতি!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

যে দলটি আসন্ন টে-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি, সেই দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, সেই কোয়ালিফাই না করা দলের সাথে ঘরের মাঠে জিততেই টাইগারদের ঝরছে ঘাম। আর এতে করে বোঝার বাকি থাকছে না যে কেমন হতে পারে টাইগারদের এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ।

যে দলটা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি তাদের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো মানে তো বিশ্বকাপের আগে অশনি সংকেত এটা গত রোববারের ম্যাচ দেখে বোঝাই যাচ্ছে। আর এই জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে হয়তো শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের আসল প্রস্তুতি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে দুই ম্যাচ ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের হেসেখেলেই হারিয়েছিল টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয় তুলে নিতে রীতিমতো ঘাম ছুটেছে টাইগারদের। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের এমন পারফরম্যান্স দেখে হতাশ হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যার ফলস্বরূপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে কঠোর সমালোচনা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই হানা দিয়েছে বৃষ্টি। তবে এই দুই ম্যাচে চমক বলতে কিছু ছিল না টাইগারদের পারফরম্যান্সে। সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা লিটন প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কিছু রান পেয়েছেন। তবুও যেন বেরোতে পারেননি সমালোচনা থেকে। কারণ স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে পিছিয়ে ছিলেন বেশ। সেই সাথে দলের সেরা ব্যাটার আর অধিনায়ক যেভাবে ব্যাটিং করছেন এই সিরিজে তাতে বিশ্বকাপের আগে দুশ্চিন্তাতা আরও কয়েকগুণ বাড়াচ্ছে বিশ্বকাপের পূর্বে।

রোববার টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক শান্ত। এতে করে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকলেও ধুঁকতে থাকেন টাইগাররা। আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন কুমার দাসও রান পান। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর লিটনকে সঙ্গ দেন শান্ত। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৫ বলে ১৬ রান করে শান্ত আউট হলে, ২৫ বলে ২৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।

তৃতীয় দফায় বৃষ্টির বাঁধা দিলে, ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। এরপর টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ১২ বলে ১৩ রান করে এনগারাভার বলে বোল্ট আউট হন তিনি।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ২৬ রান এবং হৃদয়ের ২৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টাইগাররা।

তবে এদিন বাংলাদেশ জয় পেলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা বলছেন, ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন পরিস্থিতি হলে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোন প্রত্যাশা রাখাটাই যেন বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।


বিশ্বকাপ   টে-টোয়েন্টি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ টি-২০তেও ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগ্রেসরা। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৮ রান করে স্বাগতিকরা। ৫৬ রানের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে গেছে ভারত।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১২৫ রান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেসরা। দিলারা-মুর্শিদা ওপেনিং জুটিতে দলকে ১৮ রান এনে দেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২ বলে ১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন দিলারা। এর আগে সোমবার (৬ মে) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।

সাজানা ৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। স্মৃতি মান্ধানা ও হেমালতা সমান ২২ রান করে আউট হন। ২৪ রান করেন রিচা ঘোষ। অবশ্য দিনের শুরুতে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দ্বিতীয় ওভারেই শেফালি ভার্মাকে ফেরান শরীফা।

পঞ্চম ওভারে রাবেয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মান্ধানা। ৫.৫ ওভারে নামে বৃষ্টি। এরপর ওভার কমে আবার খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ ২টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান। ১টি উইকেট নেন শরীফা খাতুন।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে সাকিবের রেকর্ডের দিনে রাজার নতুন কীর্তি

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন ক্রিকেটাররা। ঠিক তেমনই এক রেকর্ডের বন্যার ম্যাচে সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি নতুন কীর্তি গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে ফতুল্লায় মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক। যেখানে প্রথম ইনিংসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েন সাকিব আল হাসান। রাজ্জাক ও মাশরাফীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

আর সাকিবের এমন নজিরের দিনে মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।  লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। অবশ্য ১৪ রান কম দিলে বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলতে পারতেন প্রাইম ব্যাংকের এই পেসার। লিস্ট এ-তে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি ভারতের শাহবাজ নাদিমের দখলে।

প্রাইম ব্যাংকের রাজার তোপে ২৭১ রান তাড়ায় স্রেফ ৭১ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তামিম-জাকিরদের জয় ১৯৯ রানের বড় ব্যবধানে। এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় প্রাইম ব্যাংক।

দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপু ও তামিম ইকবালকে হারিয়ে কিছুটা বিপদেই পড়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে ৩য় উইকেটে গড়েন ১৩৩ রানের জুটি। দুজনই অবশ্য অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন।

সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৮৫ রান করেন জাকির। এছাড়া ৯৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। শেষদিকে ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন হাসান মাহমুদ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭০ রান।

১০ ওভার বল করে ৪২ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিকুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমানও। দ্বিতীয় ইনিংসে শেখ জামালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৈকত আলিকে ফিরিয়ে প্রাইম ব্যাংককে দারুণ শুরু এনে দেন হাসান মাহমুদ।

এরপর রাজত্ব শুরু করেন রাজা। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফেরান তিনি। একই ওভারের শেষ বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে এসে ফের দুই উইকেট তুলে নেন রাজা।

এবার প্রথম বলে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর তাইবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাজা। পরে রিপন মন্ডলকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রাজা। এরপর শেখ জামালের বাকি তিন ব্যাটারকেও সাজঘরে পাঠিয়েছেন এ পেসার।


সাকিব আল হাসান   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   রাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল ভারত

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে আজ চতুর্থ ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে বোলিংটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ নারী দলের।

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন স্বাগতিক বোলাররা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছে ভারত নারী দল। ফলে ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গেছে।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে ভারত। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১২৫ রানের।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মা। ২ রান করা এই ওপেনার শরিফা খাতুনের বলে রিতু মনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তবে তিনে নেমে রানের চাকা সচল রাখেন হেমলতা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২২ রান।

আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্দানাও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে করেছেন ২২ রান। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দ্রুত রান তোলেছেন। কারণ ৫ ওভার ৫ বলে খেলা শেষে ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক ম্যাচ বন্ধ ছিল। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। 

১৪ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটাররা। তাতে সফলও হয়েছেন। বিশেশ করে হারমানপ্রীত। অধিনায়ক ২৬ বলে করেছেন ৩৯ রান। শেষদিকে রিকা ঘোষ করেছেন ১৫ বলে ২৬ রান।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বায়ার্নের কোচ হওয়া বিষয়ে যা জানালেন জিদান

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিথের কোচ হিসেবে জোগ দিবেন জিনেদিন জিদান। কিন্তু সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে ফরাসি তারকা আশা প্রকাশ করেছেন, বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল, আগামী মৌসেুম থেকে বায়ার্ন মিউনিথে যোগ দিতে যাচ্ছেন জিনেদিন জিদান। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো তো ফরাসি এই তারকার সাথে বায়ার্নের চুক্তির পাকাপাকিও দেখে ফেলেছিল।

মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছিল, কাগজে কলমে কোন চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও মৌখিক সমঝোতা হয়ে গেছে বায়ার্ন এবং জিদানের মধ্যে। তবে তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে জিদান জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের বিপক্ষে রিয়ালকে সমর্থন দিতে মাঠে থাকবেন তিনি।

আগামী বুধবার ( মে) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন-রিয়াল। জিদান বলেন, আমি বায়ার্ন মিউনিখের ভবিষ্যৎ কোচ হব কিনা? না, আমি (বায়ার্ন-রিয়াল) ম্যাচ দেখতে যাব। এটা কঠিন একটা ম্যাচ হবে। আমি আশাবাদী মাদ্রিদ জিতবে।

আগের লেগ - গোলে ড্র হওয়ায়, ম্যাচে জয়ী দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে।

ম্যাচে জিদানের মাদ্রিদকে বেছে নেয়ার কারণটাও স্পষ্ট। ২০০১ থেকে ২০০৬ খেলোয়াড় হিসেবে বার্নাব্যুতে আলো ছড়ানোর পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১; দুই মেয়াদে রিয়ালের ডাগআউট সামলেছেন তিনি। 

লস ব্লাঙ্কোদের টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১১টি শিরোপা জিতিয়েছেন ফরাসি কিংবদন্তি। রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পর অবশ্য আর কোচিংয়ে দেখা যায়নি ৫১ বছর বয়সী মাস্টার মাইন্ডকে।


জিনেদিন জিদান   বায়ার্ন   রিয়াল মাদ্রিদ   কোচ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন