নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ০১ জানুয়ারী, ২০১৯
সাফল্য ও ব্যর্থতা দিয়ে শেষ হয় ক্রীড়াঙ্গনের ২০১৮ সালের দিনপঞ্জিকা। গেল বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য এসেছে ওয়ানডে ফরম্যাটে- ২০ ম্যাচের ১৩ টিতেই জয়। কিন্তু ব্যর্থতা ছিল টি-২০ ও টেস্টে। নতুন কোচে স্টিভ রোডসের ছত্রচ্ছায়ায় আট টেস্টের জয় এসেছে মাত্র তিনটিতে, ড্র একটি। ১৬ টি-২০ তে বাংলাদেশ জিতেছে চারটিতে। টেস্ট বা টি-২০ কোনটিতেই আশানুরূপ কোন ফল নেই টাইগারদের।
সামনের বছর আইসিসি বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্ট ছাড়াও দেশে বিদেশে বাংলাদেশকে টানা সিরিজ খেলতে হবে। নিউজিল্যান্ড সফর, আয়ারল্যান্ড সফর তারপর বিশ্বকাপ ক্যাম্পেইন শেষ করে অস্ট্রেলিয়াকে স্বাগত জানাবে টাইগাররা। বছরের শেষ দিকে ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফরেরও কথা রয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে সফলতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
নারী ক্রিকেট দলের এই বছর সাফল্য একটি মাত্র। জুনে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ছয় জাতির এশিয়া কাপের ফাইনাল ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ফাইনালে ৩ উইকেটে হারিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে রুমানা-জাহানারারা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-২০ নারী বিশ্বকাপের ক্যাম্পেইনটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। এ বছর ২৪টি টি-২০ খেলে ১২টিতে জয় পায় নারী ক্রিকেট দল।
ক্রিকেটে বিশেষত পুরুষ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য দীর্ঘদিন ধরে। স্পন্সর, অত্যাধুনিক সুবিধা এবং অর্থনৈতিক দৈনতা না থাকার পরও ক্রিকেটে সামগ্রিক অর্জন খুব একটা ভালো নেই। এমনকি নতুন খেলোয়াড় তৈরির ব্যাপারে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না বিসিবি। দলভিত্তিক বা জেলাভিত্তিক কোন বড় প্রতিযোগিতার আয়োজন নেই যদিও এই বছর সর্বাধিক সংখ্যক নতুন খেলোয়াড় জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। পাশাপাশি নারী ক্রিকেট দলের উন্নয়নে সচেষ্ট হতে হবে বোর্ডকে, আয়োজন করতে হবে বিভিন্ন মহিলা ক্রিকেট লিগ।
ব্যর্থতার ধারা বজায় ছিল বাংলাদেশের ফুটবলেও। নতুন কোচ জিমি ডে’র প্রতিশ্রুতির হিসাব মাঠে পাওয়া যায়নি। ফেডারেশনের সদিচ্ছা বা জেলা ফুটবল অ্যাসোশিয়েশনের অদূরদর্শিতায় ফুটবলকে দীর্ঘ সময় ধরেই অন্ধকারে থাকতে হয়েছে। সম্প্রতি কিছু পেশাদারিত্ব লিগ ও বয়সভিত্তিক প্রতীযোগিতা আয়োজনে ব্রতী হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু গত বছর সেখান থেকে চোখে পড়ার মতো কোন অর্জন ছিল না তাদের।
গেল বছর পুরুষ ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ৮টি। জিতেছে ৩টি, হেরেছে ৪টি, ড্র করেছে ১টি। বছরের শুরুতে ফিফা র্যাঙ্কিং ছিল ১৯৭, আর শেষ করে ১৯২-এ অবস্থান করে। বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ জাতীয় দল অংশ দেয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। কিন্তু ব্যর্থতা এখানেও ছিল।
অন্যদিকে, আগস্টে ভুটানে মেয়েদের সাফ অ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। অক্টোবরে ভুটানেও সাফল্য আসে, সাফ অ-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের মেয়েরা ফাইনালে ১-০ গোলে হারায় নেপালকে।
বছরের শেষ দিকে মেয়েরা অংশ নেয় মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিক গেমস বাছাইপর্বে। তবে প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। চার দলের গ্রুপে তাদের সংগ্রহ মাত্র ১ পয়েন্ট।
এ বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ মিয়ানমারে এএফসি অ-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয়পর্ব অনুষ্ঠিত হবে যেখানে বাংলাদেশ অংশ নেবে। মার্চে সাফ মহিলা ফুটবল দলের খেলা রয়েছে কাঠমান্ডুতে। তারপর প্রস্তুতি নেবে অক্টোবরে সাফ অ-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। এছাড়া মহিলা ও পুরুষ উভয় দলের জন্য ২০১৯ সালের মার্চে হতে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমস একটা বড় সুযোগ হতে পারে।
গত বছর হকিতে সব থেকে বড় সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এশিয়ান গেমসের গেল আসরে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে জিমি-চয়নরা। এর ফলে আগামী এশিয়ান গেমস হকিতে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ আছে বাংলাদেশের জন্য। এছাড়া হকিতে কোন বিশেষ অর্জন আসেনি পুরো বছরে।
নারী হকিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে ২০১৮ সালে। নতুন করে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ নারী হকি দলের এবং প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক সিরিজে অংশগ্রহণ করে কলকাতা অ্যাথলেটিক ওয়ারিওর্সের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দুটিতে জয় পায় বাংলাদেশের প্রমীলারা।
এবছর সব থেকে বড় ব্যর্থতা এশিয়ান গেমসে। ১৪ ডিসিপ্লিনে ১১৭ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েও পদকশূন্য হয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশের ফিরে আসে বাংলাদেশ। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করে। প্রথম দুই আসরে পদকশূন্য ছিল বাংলাদেশ। তারপর ৩২ বছর পর আবার পদকশূন্য হয়ে দেশে ফিরল বাংলাদেশ। কাবাডি, আর্চারি ও শ্যুটিং এ পদক জয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও শূন্য হাতে ফিরে আসে অ্যাথলেটরা।
প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও ক্রীড়ায় গত বছর ছাপ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। পুরুষ ক্রিকেট দল, বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক নারী দলের সাফল্য ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন অর্জন নেই। ফেডারেশনগুলোর সদিচ্ছা এখান থেকেই স্পষ্ট হয়।
বাংলা ইনসাইডার/ডিএম/এমআর
মন্তব্য করুন
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে আটকে রেখে দারুণ ফুটবল খেলে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। যার জন্য দ্বিতীয় লেগের পূর্বে নতুন কিছুর সন্ধানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, দলের পারফরমেন্স ভালো করা না গেলে জার্মান জায়ান্টদের পিছনে ফেলা মুশকিল হবে।
প্রথম লেগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুই গোলে মাদ্রিদ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ঐ ম্যাচের পর আনচেলত্তি আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে বলেছিলেন, ‘বায়ার্ন খুবই বিপদজনক দল। তারা আজ সেরা ম্যাচ খেলেছে, যা আমরা পারিনি। নিজেদের উন্নতি করার এখনও সময় আছে।’
এরই মধ্যে গত শনিবার কাদিজকে ৩-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত করেই মাদ্রিদ ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বায়ার্নকে আতিথ্য দিচ্ছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচকে সামনে রেখে লা লিগার শিরোপা জয় উৎসব আপাতত বন্ধ রেখেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ এখন তাদের ইউরোপীয়ান মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করতে মুখিয়ে আছে।
আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমরা সকল সমর্থকদের সাথে জয়ের উৎসব উদযাপন করতে চাই। সবাই বিষয়টি বুঝতে পারছে। বুধবার আমাদের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মৌসুমে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’
মাদ্রিদ অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজও কোচের সাথে একমত পোষন করেছেন, ‘আমরা ফাইনালে খেলার একেবারে দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। সবাই এই একটি ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। যে কারণে এই মুহূর্তে খুব একটা আনন্দ উদযাপন করছি না।’
রিয়াল মাদ্রিদ বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-২০তে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে টিম টাইগার্স।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন হৃদয়। ৩৮ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ ছক্কা ও ৩ চারে।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা দুজন। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন মুজারাবানি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মুজারাবানির বল স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। আউট হওয়ার আগে ১২ করেন এ ব্যাটার।
পরে ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি। সিকান্দার রাজার ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন টাইগার দলপতি।
এরপর বাইশ গজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন তামিম। কিন্তু ফারাজ আকরামের বল উড়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে মাদান্দের তালুবন্দী হন তিনি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় এ জুটি। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
জাকের আলী অনিককে নিয়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান হৃদয়। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রান। তবে ফিফটি করে হৃদয় (৫৭) ফিরলে ভেঙে যায় এ জুটি।
তার বিদায়ের পর ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন জাকের (৪৪)। মুজারাবানির ডেথ ইয়র্কারে বোল্ড হন তিনি। শেষদিকে রিয়াদ-রিশাদের ব্যাটে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬৫ রানে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম দুই ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে দুটিতেই সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। সে অনুযায়ী আগে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
তবে ব্যাট করতে নেমে এদিন পাওয়ারপ্লেতেই দুই উইকেট হারিয়েছে কিছুটা চাপে পড়েছে টাইগাররা। এদিন ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থ হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস। এরপরেই রাজার ঘূর্ণিতে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ ওভারে দুই উইকেটে ৪২ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা দুজন। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন মুজারাবানি।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম দুই ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে দুটিতেই সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে দুই দল। যেখানে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিততে চায় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ বাঁচাতে মরিয়া সফরকারীরা। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে মুখোমুখি হচ্ছে দুদল। ম্যাচটি শুরু হবে বেলা ৩টায়।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এতে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ।
সিরিজ জয়ের মিশনে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। শেখ মাহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলামের জায়গায় দলে এসেছেন তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।
অপরদিকে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে সফরকারী জিম্বাবুয়েও। রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভুর পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ করিম।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তানজিম হাসান সাকিব।
জিম্বাবুয়ের একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ করিম।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে আটকে রেখে দারুণ ফুটবল খেলে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। যার জন্য দ্বিতীয় লেগের পূর্বে নতুন কিছুর সন্ধানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, দলের পারফরমেন্স ভালো করা না গেলে জার্মান জায়ান্টদের পিছনে ফেলা মুশকিল হবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-২০তে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে টিম টাইগার্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন হৃদয়। ৩৮ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ ছক্কা ও ৩ চারে।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম দুই ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে দুটিতেই সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। সে অনুযায়ী আগে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।