ইনসাইড গ্রাউন্ড

লঙ্কান ক্রিকেটের সোনালী দিন এখন ধূসর!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

দিন দুয়েক আগে, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ করেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার মুথিয়া মুরালিধরণ। তিনি বলেন, লঙ্কান ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা বেশ পীড়া দেয় তাকে। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ীদের নিম্নগামী গ্রাফ দেখে শঙ্কিত লঙ্কান ক্রিকেটের সোনালী সময়ের এই তারকা।

একটু পিছনে যেতেই হয়। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। আবির্ভাব ঘটে নতুন শক্তির। অর্জুনা রানাতুঙ্গা, অরবিন্দ ডি সিলভা, সনাৎ জয়সুরিয়ার মতো তারকা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে জিতে নেয় বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি।

তৈরি করা সেই পথে হেঁটেছেন মাহেলা জয়ার্বধনে, কুমার সাঙ্গাকারাসহ আরো অনেকে। ২০০৭ এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে তারা। আর ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাও ঘরে তলে দ্বীপদেশটি।

কিন্তু সেই শ্রীলঙ্কার অবস্থা বেশ করুণ। তাদের ক্রিকেটের মধ্যগগণের সূর্য দিন দিন নামছে অস্তাচলে। চলতি বছরের কথাই ধরা যাক। ভারতের কাছে নাকানিচুবানি খাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পরের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবারো হাবুডুবু খায় ব্যর্থতার চোরাবালিতে। অজিদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩৬৬ রানের ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৪০ রানের ব্যবধানে হার।

গত এক বছরে ১৩টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। যার মধ্যে ছয়টিতেই হেরেছে বড় ব্যবধানে, জয় চারটিতে আর বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র করেছে। টেস্টের চেয়ে ওয়ানডে’র অবস্থা আরো খারাপ। ১৪ ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে মাত্র তিন ম্যাচে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো মধ্যে শ্রীলঙ্কার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে কেবল অস্ট্রেলিয়া। পরিসংখ্যান বলছে গত এক বছরে আফগানিস্তানের চেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল লঙ্কানদের।

এই অবস্থার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম অধিনায়ক বদল। গত এক বছর নয়বার অধিনায়ক বদল করেছে শ্রীলংকা। টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন দুইজন। ওয়ানডেতে তিন জন আর টি-টোয়েন্টি সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার-এ। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বারবার অধিনায়ক বদল করায় দলের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। একটি দল হিসেবে খেলতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। তাই এমন বিপর্যয়।

কোচের একচ্ছত্র ক্ষমতাও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দশার কারণ। অনেকটা নাটকীয়ভাবে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে নিজ দেশের কোচের দায়িত্ব নেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ থাকালীন নিজের ক্ষমতা বেশ ভালো ভাবে ব্যবহার করতেন তিনি। লংকান ক্রিকেট বোর্ডও তাকে একই ক্ষমতা দেয়। সেটাই কাল হয়ে দাড়ায় দেশটির ক্রিকেটের জন্য।

তাঁর ক্ষমতার প্রথম বলি হন অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে স্কোয়াড গঠন করে সে। যার ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা না থাকয় পারফর্ম করতে পারছে না তরুণ ক্রিকেটাররা। ফলে ম্যাচে ঘটছে বড় ধরনের বিপর্যয়।

দিন দিন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। অভিযোগের তীর রয়েছে দেশটির কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বোর্ড কর্তার দিকেও। গত বছর অক্টোবরে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠে। আকসু তদন্ত শুরু করলে তাতে সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠে সানাথ জয়সুরিয়ার দিকে।

সম্প্রতি দুবাইয়ে আইসিসির বৈঠকে শ্রীলংকার ক্রিকেট কমিটিকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় দুর্নামই কুড়াচ্ছে বিশ্বকাপ জয়ীরা। এ সবের কারণে ক্রিকেটারদের জন্য খেলাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই, দলটির সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আরনল্ড রাসেল বলেন, ‘শ্রীলংকার ক্রিকেট খুব কঠিন সময় পার করছে। দলের সমর্থক, নীতিনির্ধারক ও ক্রিকেটার-সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলেই ফিরে আসবে শ্রীলংকার ক্রিকেটের সেই সোনালী অতীত।’

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার পাকিস্তানের দায়িত্বে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট যেন নতুনভাবে সাজছে। কোচ থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট সবক্ষেত্রেই যেন বদল আসছে বাবরদের দলে। এমনই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশটির ক্রিকেট পেল স্থায়ী কোচ। তাও একজন না, সাদা এবং লাল বলের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সাদা বলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার গ্যারি কারস্টেনকে নিয়োগ দিচ্ছে তারা। ২০১১ সালে ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন সাবেক এই প্রোটিয়া তারকা। এবার তার মিশন পাকিস্তানকে নিয়ে।

একইদিনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট ফরম্যাটের জন্য জাতীয় দলের কোচ পদে নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। আর সব ফরম্যাটেই দুই বিদেশী কোচের জন্য সহকারী কোচ হিসেবে থাকছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ।

আজ রোববার লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দুই কোচ নিয়োগের কথা জানান। কোচ হিসেবে অবশ্য কারস্টেনকেই আগে পাচ্ছেন বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিরা। ২২ মে থেকে লিডসে চার ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তান। সেই সিরিজেই কারস্টেনকে পেতে পারে পিসিবি।

সেই সিরিজের শেষ হচ্ছে ৩০ মে। এরপরেই বাবর আজমরা উড়াল দেবেন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।  

কোচ হিসেবে ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতানো কারস্টেন এখন আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের ‘মেন্টর’–এর দায়িত্বে আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০১টি টেস্ট ও ১৮৫টি ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই ওপেনার।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭১টি টেস্ট ও ৯৭টি ওয়ানডে খেলা গিলেস্পি কিছুদিন আগে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের ছেলেদের দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কোচ হিসেবে ইয়র্কশায়ারকে টানা দুবার শিরোপা জিতিয়েছেন গিলেস্পি।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি   কোচ   পিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ। যার আয়োজক দেশ এবার বাংলাদেশ। যার জন্য কন্ডিশন মানিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও এসেছে বাংলাদেশে।

আজ রোববার জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু করার লক্ষ্যে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগ্রেসরা। গেল বছর বাংলাদেশ সফরে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো ভারতীয় নারীরা। সিরিজে একটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল টাইগ্রেসদের এই ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়। টি-২০র পর তিন ওয়ানডের তৃতীয় ম্যাচটি নাটকীয়ভাবে টাই করে ভারতের সাথে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভারতের জয় ১১টিতে।

সদ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে হেরে যাওয়ায় চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। অজিদের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগ্রেসরা। ভারতের জন্য সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরটি বেশ ঘটনাবহুল ছিল। শেষ ওয়ানডেতে আউট হবার পর ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙ্গেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। পরবর্তীতে দুর্বল আম্পায়ারিং নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ঐ ম্যাচটি টাই হয়। ঐ সিরিজে আম্পায়ার তানভীর আহমেদের দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন হারমানপ্রীত। এই সিরিজে আম্পায়ারিং প্যানেলে রাখা হয়নি তাকে। সেই উত্তজেনা এই সিরিজেও যে কিছুটা প্রমাণ ফেলবে তা নিশ্চিত।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও নতুন কীর্তি বাবরের

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম যেন মাঠে নামেনই নতুন কীর্তি গড়তে! গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে যথারীতি হেসেছে পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট। তাতে দলকে জেতানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ব্যাটার।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) ছিল পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ। এর আগে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের পর, পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতে বাবরদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে দেয় সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

গত শনিবারের ম্যাচে মাত্র ৪৪ বলে ৬৯ রান করেন বাবর। ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ২ ছক্কায়। এই পথচলায় আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিংকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন ২৯ বছর বয়সী বাবর।

১০৮ ইনিংসে বাবরের নামের পাশে চারের সংখ্যা এখন ৪০৯টি। আর স্টার্লিংয়ের বাউন্ডারি মেরেছেন ৪০৭টি, আইরিশ ব্যাটার ইনিংস খেলেছেন ১৩৬টি।

এই ম্যাচে আরও দুটি কীর্তিও গড়েছেন বাবর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাবেক অস্ট্রেলিয়া ব্যাটার অ্যারন ফিঞ্চের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ম্যাচে (৭৬) অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড এখন তারও। এর মধ্যে জিতেছেন ৪৪টি ম্যাচে। তাতে অধিনায়ক হিসেবে উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবার (৫৬ ম্যাচে ৪৪ জয়) রেকর্ডের সমান ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছেন বাবর।

বাবরের ব্যক্তিগত অর্জনের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ৮ উইকেটে করে ১৭৮। রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় চার বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানে। ৯ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ড্র করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসি ম্যাজিকে নিউ ইংল্যান্ডের জালে মায়ামির এক হালি

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে প্রায় এক মাস মাঠের বাইরে ছিলে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। এ সময়ে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিও যেন হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছিল না। তবে মেসি সম্প্রতি ফিরেছেন মাঠে। খেলেছেন কয়েকটি ম্যাচ। আর এই কয়েক ম্যাচের মধ্যেই মায়ামিকে আবারও লিগের শীর্ষে তুলেছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি গোল করলেন ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক এবং দলকে এনে দিলেন ৪-১ গোলের ব্যবধানে বড় জয়। ব্যক্তিগতভাবে নাম লেখালেন দারুণ এক রেকর্ডে। সেই সাথে সতীর্থদের অন্য দুটি গোলের অ্যাসিস্টও করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। লিগে শেষ চার ম্যাচে ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফুটবলার গোল করেছেন ৬টি।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভুলে যাওয়ার মতই ছিল মায়ামির। গোল হজম করে বসে প্রথম মিনিটেই। ৩২তম মিনিটে বক্সের ভেতর পাস পেয়ে প্লেসিং শটে সমতা টানেন মেসি। ৬৭তম মিনিটে দলীয় দ্বিতীয় গোলটিও সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডই করেন। বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।

৮৩তম মিনিটে বেঞ্জামিন স্কোরলাইন ৩-১ করার মিনিট পাঁচেক বাদে গোল করেন বদলি নামা লুইস সুয়ারেজ।

আর তাতে এই মৌসুমে এমএলএসে ৭ ম্যাচে মেসির নামের পাশে গোল ও অ্যাসিস্ট মোট ১৬টি। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এক আসরে প্রথম সাত ম্যাচের পর এর চেয়ে বেশি আর কেউ সরাসরি গোলে অবদান রাখতে পারেনি।

এই ম্যাচের পর এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্স জোনের পয়েন্ট টেবিলে ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মায়ামি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টিতে নেই মেহেদী মিরাজ, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। আসন্ন এই সিরিজের জন্য ইতোমধ্যেই ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ রোববার দুজনকে বাদ দিয়ে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

তবে এই দল ঘোষণা নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে বিসিবি। যার মধ্যে রয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দলে না থাকা প্রসঙ্গও। কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবির ঘোষিত ১৭ সদস্যের এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সময়ের অন্যতম অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের। বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতিপূর্বক এই ম্যাচে মিরাজের না থাকা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একটা বড় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপেও জায়গা হারাতে পারেন মিরাজ। তবে ঠিক কী কারণে অভিজ্ঞ মিরাজকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি, সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।

তবে মিরাজকে বাদ দেওয়ার পেছনে খোঁড়া যুক্তি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। একই সঙ্গে মিরাজের টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ঢোকার সুযোগও দেখছেন না তিনি।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মিরাজকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি জানতাম না। কিন্তু এখানে বেসিক জিনিসটা হচ্ছে, তারা যখন দলটা নির্বাচন করে, আপনি এখন এখানে কার কথা বলবেন, ১৫ জনের দলে বা ১৭ জনের দলের মধ্যে খেলবে কিন্তু ১১ জন। এই ১১ জন যখন আপনারা ঠিক করেন, আপনাদেরই যদি প্রশ্ন করি বলবেন, এখানে বাকিরা খেলবে না। এখন আপনি কি মনে করেন মিরাজের মতো ছেলেকে না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা উচিত।

বিসিবি বস বলেছেন, আমি বলছি যাদের নিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে, তারা আছে কিনা; সেটা দেখেন, বেস্ট ইলেভেন। সেরা একাদশে আপনি যদি নিজেরাই সাজাতে চান, তাহলে আপনি দেখবেন; স্কোয়াড ঠিক আছে! আপনি যদি এখন অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেয়া হচ্ছে, সেটার ভিতরে যদি মিরাজকে ধরেন, এটা তো দুঃখজনক। এটায় মিরাজকে ধরা উচিত না।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০টি ভেন্যুতে হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আর এবারের আসরে অংশগ্রহণ করছে ২০ দল।


টি-টোয়েন্টি   ক্রিকেট   মেহেদী মিরাজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন