ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রীড়াঙ্গনেও পড়েছে ভালোবাসার ছাপ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

প্রেম শাশ্বত, প্রেম চিরন্তন! প্রেম চিরকাল বহে অন্তর থেকে অন্তরে, হৃদয় থেকে হৃদয়ে। বিশ্বভূবনের মতো প্রেমের স্পর্শে রঙিন হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনও। ভালোবাসা দিবসে জানবো এমন কিছু প্রেমের গল্প।

শাহজাহান আলী রনি ও মাহফুজা আক্তার শীলা: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) পরিচয়। দুইজনই সাঁতারু। ২০১০ সালে দিল্লির কমনওয়েথ গেমসে দুইজনই ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি। আগ্রায় সম্রাট শাহজাহানের তাজমহলের সামনে সাঁতারু শাহজাহানের প্রেমিক রূপ বেরিয়ে আসে। সেদিন মাহফুজা আক্তার শীলার নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন কোনোদিন ছেড়ে যাবেন না। কথা রেখেছেন তিনি। ২০১৬ সালে ১৮ মার্চ বিয়ে করেন দুইজন।

সাঁতারে সম্ভাবনা জাগিয়েও ইনজুরির কারণে জ্বলে উঠতে পারেননি শাহজাহান আলী রনি। ২০০৬ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি। এদিকে মাহফুজা আক্তার শীলা ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে ভারতের আসামের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে জেতেন দু’টি স্বর্ণপদক।

আন্দ্রে আগাসি ও স্টেফি গ্রাফ: দুইজনের জীবনের চিত্রনাট্যটা এক। অভিনেত্রী বরুক শিল্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন আন্দ্রে আগাসি। কিন্তু দুইজনের একসঙ্গে পথ চলা হয়নি তিন বছরের বেশি। নানান কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়ে ১৯৯৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলতে যান আগাসি।

আর ফর্মুলা ওয়ান তারকা মাইকেল বার্টেলের সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলতে আসেন স্টেফি গ্রাফ। ভাঙা হৃদয়ের শোককে শক্তিতে পরিণত করে দু’জনই জিতে নেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন হলে ডিনার পার্টিতে দুইজনে জুটি হয়ে নাচলেন। সেখান থেকে শুরু হয় একসঙ্গে পথচলা। ২০০১ সালের ২২ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। ৩০টি একক গ্র্যান্ড স্লাম ও দুটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক জেতা এই যুগলকে বলা হয় ক্রীড়াঙ্গনের সেরা জুটি।

বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার ও আনা ইভানোভিচ: এই জুটির জীবনচিত্র বড় অদ্ভুত। শোয়েনস্টাইগার জার্মানির, আর আনা ইভানোভিচ সার্বিয়ার। একজন ফুটবলার অন্যজন টেনিস তারকা। দু’জন, দু’জগতের বাসিন্দা, এমন কি দু’জনের ভাষাও আলাদা।

কিন্তু ভালোবাসা মানে না কোনো বাধা। তাই তো জগতের দূরত্ব কিংবা দেশের সীমানা কোনোকিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি দু’জনের মন দেওয়া-নেওয়ায়। সব বাধাকে জয় করে ২০১৬ সালের আগস্টে সাত পাঁকে বাঁধা পড়েন দু’জন।

মিচেল স্টার্ক ও অ্যালিশা হিলি: দুইজনই ক্রিকেটার। প্রতিনিধিত্ব করেন নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার। একজন নারী দলের উইকেটরক্ষক ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। অন্যজন পুরুষ দলের ফাস্ট বোলার। দুইজনের পরিচয় ক্রিকেট মাঠে। দীর্ঘ নয় বছরের বন্ধুত্ব।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বন্ধুত্বের জায়গা দখল করে নেয় ভালোবাসা। কখন যে হৃদয়ে আদান-প্রদান হয়ে যায় তা বুঝে ওঠেননি কেউ। যখন বুঝলেন, দেরি না করে বাকি কাজটুকু সেরে ফেলেন। ২০১৬ সালে এপ্রিলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দু’জন।

শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা: ‘পাকিস্তান ও ভারত’ সম্পর্কের বৈরিতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এর মাঝে প্রেমে পড়ে যান দুই দেশের দুই ক্রীড়াতারকা। ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। সব বাধা অতিক্রম করে দু’জনে ইতি টানেন দীর্ঘ প্রেমের। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করছেন দুবাইয়ে।

বিয়ের আগে একে অপরের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন, তাঁদের ক্যারিয়ার যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেই প্রতিশ্রুতি রেখে চলেছেন তাঁরা। দুইজনই এখনও খেলছেন নিজ নিজ দেশের হয়ে।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ। যার আয়োজক দেশ এবার বাংলাদেশ। যার জন্য কন্ডিশন মানিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও এসেছে বাংলাদেশে।

আজ রোববার জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু করার লক্ষ্যে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগ্রেসরা। গেল বছর বাংলাদেশ সফরে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো ভারতীয় নারীরা। সিরিজে একটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল টাইগ্রেসদের এই ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়। টি-২০র পর তিন ওয়ানডের তৃতীয় ম্যাচটি নাটকীয়ভাবে টাই করে ভারতের সাথে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভারতের জয় ১১টিতে।

সদ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে হেরে যাওয়ায় চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। অজিদের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগ্রেসরা। ভারতের জন্য সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরটি বেশ ঘটনাবহুল ছিল। শেষ ওয়ানডেতে আউট হবার পর ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙ্গেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। পরবর্তীতে দুর্বল আম্পায়ারিং নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ঐ ম্যাচটি টাই হয়। ঐ সিরিজে আম্পায়ার তানভীর আহমেদের দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন হারমানপ্রীত। এই সিরিজে আম্পায়ারিং প্যানেলে রাখা হয়নি তাকে। সেই উত্তজেনা এই সিরিজেও যে কিছুটা প্রমাণ ফেলবে তা নিশ্চিত।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও নতুন কীর্তি বাবরের

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম যেন মাঠে নামেনই নতুন কীর্তি গড়তে! গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে যথারীতি হেসেছে পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট। তাতে দলকে জেতানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ব্যাটার।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) ছিল পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ। এর আগে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের পর, পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতে বাবরদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে দেয় সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

গত শনিবারের ম্যাচে মাত্র ৪৪ বলে ৬৯ রান করেন বাবর। ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ২ ছক্কায়। এই পথচলায় আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিংকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন ২৯ বছর বয়সী বাবর।

১০৮ ইনিংসে বাবরের নামের পাশে চারের সংখ্যা এখন ৪০৯টি। আর স্টার্লিংয়ের বাউন্ডারি মেরেছেন ৪০৭টি, আইরিশ ব্যাটার ইনিংস খেলেছেন ১৩৬টি।

এই ম্যাচে আরও দুটি কীর্তিও গড়েছেন বাবর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাবেক অস্ট্রেলিয়া ব্যাটার অ্যারন ফিঞ্চের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ম্যাচে (৭৬) অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড এখন তারও। এর মধ্যে জিতেছেন ৪৪টি ম্যাচে। তাতে অধিনায়ক হিসেবে উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবার (৫৬ ম্যাচে ৪৪ জয়) রেকর্ডের সমান ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছেন বাবর।

বাবরের ব্যক্তিগত অর্জনের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ৮ উইকেটে করে ১৭৮। রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় চার বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানে। ৯ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ড্র করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসি ম্যাজিকে নিউ ইংল্যান্ডের জালে মায়ামির এক হালি

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে প্রায় এক মাস মাঠের বাইরে ছিলে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। এ সময়ে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিও যেন হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছিল না। তবে মেসি সম্প্রতি ফিরেছেন মাঠে। খেলেছেন কয়েকটি ম্যাচ। আর এই কয়েক ম্যাচের মধ্যেই মায়ামিকে আবারও লিগের শীর্ষে তুলেছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি গোল করলেন ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক এবং দলকে এনে দিলেন ৪-১ গোলের ব্যবধানে বড় জয়। ব্যক্তিগতভাবে নাম লেখালেন দারুণ এক রেকর্ডে। সেই সাথে সতীর্থদের অন্য দুটি গোলের অ্যাসিস্টও করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। লিগে শেষ চার ম্যাচে ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফুটবলার গোল করেছেন ৬টি।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভুলে যাওয়ার মতই ছিল মায়ামির। গোল হজম করে বসে প্রথম মিনিটেই। ৩২তম মিনিটে বক্সের ভেতর পাস পেয়ে প্লেসিং শটে সমতা টানেন মেসি। ৬৭তম মিনিটে দলীয় দ্বিতীয় গোলটিও সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডই করেন। বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।

৮৩তম মিনিটে বেঞ্জামিন স্কোরলাইন ৩-১ করার মিনিট পাঁচেক বাদে গোল করেন বদলি নামা লুইস সুয়ারেজ।

আর তাতে এই মৌসুমে এমএলএসে ৭ ম্যাচে মেসির নামের পাশে গোল ও অ্যাসিস্ট মোট ১৬টি। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এক আসরে প্রথম সাত ম্যাচের পর এর চেয়ে বেশি আর কেউ সরাসরি গোলে অবদান রাখতে পারেনি।

এই ম্যাচের পর এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্স জোনের পয়েন্ট টেবিলে ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মায়ামি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টিতে নেই মেহেদী মিরাজ, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। আসন্ন এই সিরিজের জন্য ইতোমধ্যেই ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ রোববার দুজনকে বাদ দিয়ে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

তবে এই দল ঘোষণা নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে বিসিবি। যার মধ্যে রয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দলে না থাকা প্রসঙ্গও। কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবির ঘোষিত ১৭ সদস্যের এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সময়ের অন্যতম অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের। বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতিপূর্বক এই ম্যাচে মিরাজের না থাকা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একটা বড় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপেও জায়গা হারাতে পারেন মিরাজ। তবে ঠিক কী কারণে অভিজ্ঞ মিরাজকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি, সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।

তবে মিরাজকে বাদ দেওয়ার পেছনে খোঁড়া যুক্তি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। একই সঙ্গে মিরাজের টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ঢোকার সুযোগও দেখছেন না তিনি।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মিরাজকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি জানতাম না। কিন্তু এখানে বেসিক জিনিসটা হচ্ছে, তারা যখন দলটা নির্বাচন করে, আপনি এখন এখানে কার কথা বলবেন, ১৫ জনের দলে বা ১৭ জনের দলের মধ্যে খেলবে কিন্তু ১১ জন। এই ১১ জন যখন আপনারা ঠিক করেন, আপনাদেরই যদি প্রশ্ন করি বলবেন, এখানে বাকিরা খেলবে না। এখন আপনি কি মনে করেন মিরাজের মতো ছেলেকে না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা উচিত।

বিসিবি বস বলেছেন, আমি বলছি যাদের নিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে, তারা আছে কিনা; সেটা দেখেন, বেস্ট ইলেভেন। সেরা একাদশে আপনি যদি নিজেরাই সাজাতে চান, তাহলে আপনি দেখবেন; স্কোয়াড ঠিক আছে! আপনি যদি এখন অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেয়া হচ্ছে, সেটার ভিতরে যদি মিরাজকে ধরেন, এটা তো দুঃখজনক। এটায় মিরাজকে ধরা উচিত না।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০টি ভেন্যুতে হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আর এবারের আসরে অংশগ্রহণ করছে ২০ দল।


টি-টোয়েন্টি   ক্রিকেট   মেহেদী মিরাজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

৫০৪ রানের ম্যাচে দিল্লির কাছে হারাল মুম্বাই

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আইপিএলের শুরু থেকেই যেন প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে ঝরছে রানের ফোয়ারা। দুই শতাধিক রান করা এবং তা চেজ করা যেন এখন আইপিএলে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন গতকালের ম্যাচেই কলকাতার ২৬১ রানের টার্গেটে ৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে পাঞ্জাব। গতকালের মতোই আজ (শনিবার) আরও একটি দুর্দান্ত রান তাড়া দেখার মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল।

দিল্লি ক্যাপিটালসের ২৫৭ রানের জবাবে বেশ কাছাকাছিই চলে এসেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে শেষ করতে পারেনি। ৫০৪ রানের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাইকে ১০ রানে হারিয়েছে রিশাভ পান্তের দিল্লি ক্যাপিটালস।

এদিন ওপেনার রোহিত শর্মা (৮) আর ইশান কিশান (১৪ বলে ২০) ব্যর্থ। মুম্বাই বড় রান তাড়ার চেষ্টা করেছে মূলত তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া আর টিম ডেভিডের ব্যাটে। সূর্যকুমার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ১৩ বলে ২৬ করে আউট হন।

এরপর ৩৯ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিলক আর হার্দিক। হার্দিক ২৪ বলে ৪৬ করে আউট হন। টিম ডেভিড ১৭ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় করেন ৩৭। তারপরও রান তাড়ায় আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিলক।

ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতে তিনি ফেরার পরই সব আশা শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। ৩২ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটি তিলক সাজিয়েছিলেন ৪টি করে চার-ছক্কায়।

দিল্লির মুকেশ কুমার আর রশিখ সালাম নেন তিনটি করে উইকেট।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছরের তরুণ জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্কের ২৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস।

ম্যাকগার্ক ৮৪ রানের ইনিংসে ৮০ রানই করেছেন বাউন্ডারি থেকে। টর্নেডো এই ইনিংসে ১১টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার।

এছাড়া অভিষেক পোরেল ২৭ বলে ৩৬, শাই হোপ ১৭ বলে ৪১ আর শেষদিকে রিশাভ পান্ত ১৯ বলে ২৯ এবং ত্রিস্টান স্টাবস ২৫ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।


আইপিএল   দিল্লি   মুম্বাই  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন