ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরিয়ে দাও পেলে-রোনালদোর সেই ব্রাজিল (২য় পর্ব)

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

২০০২ এর ব্রাজিল নিয়ে যদি লিখতে হয়, তাহলে আরেকটি মহাভারত লেখা হয়ে যাবে। দলটিকে ১৯৭০ ব্রাজিলের সাথে তুলনা করলে খুব একটা অসমীচীন ব্যাপার মোটেও হবে না। কারণ এই দলেও ছিল বেশ কিছু লিজেন্ডারি খেলোয়াড় যাদের খেলা দেখে ফুটবলকে ভালবেসে ফেলে অনেকেই।

এ দলের রক্ষণভাগে যেমন ছিল লুসিও, রকি জুনিয়র, রবার্তো কার্লোস ও কাফুদের দিয়ে গড়া অভেদ্য এক চীনের মহাপ্রাচীর, আর আক্রমণভাগের সেনাপতি ছিলেন সর্বকালের সেরা নাম্বার নাইন ২৫ বছরের যুবক রোনালদো দ্য ফেনোমেনন।

ঐ সময় রোনালদো ছিলেন তার ক্যারিয়ারের একেবারে তুঙ্গে। তার সঙ্গী ছিল ‘স্মাইলিং অ্যাসাসিন’ (হাস্যোজ্জ্বল ঘাতক) রোনালদিনহো, ৩০ বছরের অভিজ্ঞ রিভালদো, কাকা, গিলবার্টো সিল্ভা ও ‘গড অব ফ্রি কিক’ খ্যাত জুনিনহো। এই দলের জন্য বিশ্বকাপটি ছিল প্রাতিষ্ঠানিক সনদপত্র মাত্র। তবুও, সেবার যদি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে ব্যর্থ হতো ব্রাজিল, দলটিকে জিকোর দলের মতো আরেকটি অযথাযথ তকমা যে পেতে হতো এটি নিশ্চিত।

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বলতেই হয়- ২০০২ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্রাজিল যেন ছিল এক সোনালী অতীতের নাম!

কারণ, ২০০৬ বিশ্বকাপে আরও একবার ব্রাজিলকে হোঁচট খেতে হয় জিদানের ফ্রান্সের কাছে। এরপর ব্রাজিল যেন আর মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি। ২০১০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের কাছে শোচনীয় হারে বিদায়, তারপর ২০১৪ তে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের এক ট্রমাটিক পরাজয়, যা ব্রাজিলকে অনন্তকাল ধরে ভোগাবে।

২০১৮ বিশ্বকাপে কোচ তিতের দিক নির্দেশনায় নেইমার ও কুতিনহোরা কিছুটা আশার আলো দেখাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ঐ যা তাইই রয়ে গেল যেন। কোচের দূরদর্শিতার অভাব ও ব্যাকআপ পরিকল্পনা না থাকার কারণে ব্রাজিলকে আরেকটি খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়।

ব্রাজিলের বর্তমানটা যেন এক অচেনা এক গল্প। বর্তমান কোচ থেকে শুরু করে সকল খেলোয়াড় ইউরোপে পাড়ি জমাতে বা তাদের খেলার ধরণ আত্মস্থ করতে যেন সদা ব্যস্ত। সেই সাম্বা জাদু, সেই ছন্দময় পাসিং আজ যেন এক কোন অতীতের গল্প। হারিকেন দিয়ে খুঁজলেও একজন জেনুয়িন নাম্বার ৯ (স্ট্রাইকার) পাওয়া যাবে না এই ব্রাজিল দলে। পেলে, জর্জিনহো, সক্রেটিসের যুগের কথা না হয় বাদই দিলাম। রোনালদো, রোনালদিনহো, রিভালদো, কাকা ও আদ্রিয়ানোর মতো একটা খেলোয়াড়ও বর্তমান ব্রাজিল দলে নেই, যাদের উপর দল কিছুটা হলেও নির্ভর করতে পারে।

নেইমার শুরুতে কিছুটা আশা জাগাতে পারলেও এখন মনে হচ্ছে সেও কালের গর্ভে হারিয়ে হাচ্ছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে খেলার আগের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়তে হয় নেইমারকে। ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলতে হয় ইনজুরি থেকে পুরোপুরি রিকভারি না করেই। ২০১৯ কোপা আমেরিকার আগে আবার ইনজুরিতে। ইনজুরি যেন নেইমারকে কোনভাবেই সফল হতে দিতে নারাজ।

বার্সাতে নেইমার ভালই করছিলো। নেইমার, মেসি ও সুয়ারেজ মিলে গড়ে তুলেছিলো এমএসএন ত্রয়ী। তারা তিনজন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে রীতিমতো নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছিল।

হঠাৎ নেইমার বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলো। কারণ তার মনে হয়েছিল যে, বিশ্বের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড় হতে হলে তাকে মেসির ছায়া থেকে বের হতেই হবে। এছাড়াও নেইমার নিজেকে বনের একমাত্র রাজা হিসাবে প্রমাণ করতে চাচ্ছিলো। তাই পাড়ি জমালো ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই মোনাকো থেকে আসা কুড়ি বছরের এক তরুণ এমবাপ্পে তার সাম্রাজ্যে ভাগ বসাতে চাইছে যেন।

ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ হয়ের পর তার দাবী যেন আরও জোড়াল হয়ে গেছে। অপরদিকে সিংহাসনচ্যুত এডিনসন কাভানির দৃষ্টি তো আছেই পিএসজির সিংহাসনের দিকে তাক করা। দু’জনের পেনাল্টি নিয়ে খোলামেলা একবার বিরোধও লেগেছিল।

(চলবে…)

বাংলা ইনসাইডার/জেডআরএম/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা আগামীকাল

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল (রোববার) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর।

দ্বিতীয়বারের মতো এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছিল।

সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ অ্যালার্ডিস এবং বাংলাদেশ-ভারত নারী ক্রিকেট দলের দুই অধিনায়ক উপস্থিত থাকবেন।

২৩ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টে শীর্ষ ১০টি নারী দল অংশ নেবে। ফাইনাল ছাড়া সবক’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই ভেন্যুতে। হোম অব ক্রিকেট হিসেবে বিবেচিত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।


নারী ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   আইসিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় ফোডেন ও খাদিজা

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারে এবার বাজিমাত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ এবার এই ক্লাব থেকেই পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের খেলোয়াড়রা নির্বাচিত হয়েছেন সেরা হিসেবে। ইংলিশ ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে  এবারের প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন এবং নারী বিভাগের বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজা শ’।

ইংল্যান্ডের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফোডেন গত চার বছরে সিটির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এই ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড জয় করলেন। এর আগে ২০২১ সালে সিটির রুবেন ডিয়াস ও গত বছর আর্লিং হালান্ড এই পুরস্কার জয় করেছিলেন।

এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ফোডেন ২৪ গোল করেছেন। ২৩ বছর বয়সী ফোডেন ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে আর্সেনালের ডিক্লান রাইস ও তার সতীর্থ রদ্রিকে পিছনে ফেলেছেন। এফডব্লিউএ’র প্রায় ৯০০ সদদ্যের ভোটে এই পুরস্কার বাছাই করা হয়।

ফোডেন বলেছেন, ‘ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া সত্যিই অনেক বড় সম্মানের। এই পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ খুশি। সতীর্থদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এই পুরস্কার জয় করতে পারতাম না।’

গার্দিওলা তার শিষ্যের প্রশংসা করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তার আরো ভাল খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর সে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলে তাতে নিজেকে আরো পরিণত করার সুযোগ পাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সে ম্যাচের আবহ আরো ভালভাবে বুঝতে পারছে। এখনো তার বয়স কম। সবকিছুই এখন তার উপর নির্ভর করছে। আমি নিশ্চিত মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে পারলে সে ভবিষ্যতে আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে।’ এদিকে শ’ নারী সুপার লিগে ২১ গোল করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।


ফিল ফোডেন   খাদিজা শ’   ম্যানসিটি   প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইংল্যান্ডের ইউরোতে ভালো করার টিপস দিলেন গার্দিওলা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাস্টারমাইন্ড পেপ গার্দিওলা। বার্সালোনাকে ট্রেবল জেতানোর পর গেল মৌসুমে ম্যানসিটিকেও জিতিয়েছেন ট্রেবল। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হবার পরও হাল না ছেড়ে লেগে থাকার ফলেই এই সফলতার মুখ দেখেছে গার্দিওলার দল। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে ম্যানসিটি। কিন্তু তারপরও ক্লাব ফুটবলের সাফল্য জাতীয় দলেও ধরে রাখতে পারলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয় নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন পেপ।

গার্দিওলা বলেন, ‘ইংল্যান্ড সত্যিই দারুণ একটি দল। এখানে শুধুমাত্র প্রতিভাবান স্ট্রাইকারই নয়, পুরো দলই একটি গ্রুপ হিসেবে অসাধারণ। গ্যারেথ জানে ঠিক কি করলে দলের সাফল্য আসবে। সে কারণেই আমার মনে হয় এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ও ইউরোতে ইংল্যান্ডের যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো তারা শুধরে নিতে পেরেছে। তারা শিরোপার একেবারেই কাছাকাছি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনালে পরাজিত হয়েছে, সেমিফাইনালে খেলেছে। প্রতি দুই বছরে একটি দল যখন এই পর্যায়ে খেলবে তখন সেই দলটির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। এটা অনেকটাই আমাদের মত চিত্র। আমরা শিরোপা কাছাকাছি গিয়েও তা হাতে নিতে পারিনি, শেষ পর্যন্ত সেটা ধরা দিয়েছে।’

গার্দিওলার বিশ্বাস, ফুটবলের প্রতি ইংলিশদের যে ভালবাসা তা অনেক সময় বড় টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এবার ইউরোতে সেই প্রত্যাশার চাপকে সামলে দল অবশ্যই ভাল কিছু করবে।

এ সম্পর্কে সিটি বস বলেন, ‘ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন খেলতে নামে তখন সমর্থকদের অনুভূতি আমি দেখেছি। তারা একেবারে পাগল হয়ে যায়। জাতীয় দলের জন্য তারা যেকোন কিছু করতে পারে। এতে এটাই প্রমাণ হয় যে জাতীয় দলকে নিয়ে তারা কতটা গর্বিত। একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবেও এই অনুভূতি সত্যিই অনুপ্রেরণার। পুরো দেশ তার দিকে তাকিয়ে আছে। বড় আসরে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারাটাও গর্বের। শুধু এই আত্মবিশ্বাস মনের মধ্যে রাখতে হবে, আমরাও পারবো।’

২০২১ সালে ওয়েম্বলিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেনাল্টিতে ইতালির কাছে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয় ইংলিশদের।


পেপ গার্দিওলা   ইংল্যান্ড   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ আজ

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail রিয়াল মাদ্রিদ

লা লিগায় যেন শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যার ফলে চার ম্যাচ হাতে রেখে আজই সেই সুযোগ ডন কার্লোর শিষ্যদের সামনে। তবে সেক্ষেত্রে নিজেদের জেতার পাশাপাশি অপেক্ষা থাকবে চিরপ্রতিদ্বন্দি বার্সালোনা হারার।

আজ রাত সোয়া আটটায় শুরু হবে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম কাদিজের ম্যাচ। সেই ম্যাচে জেতার পাশাপাশি রাত সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনা পয়েন্ট হারালেই শিরোপা যাবে রিয়ালের ঘরে।

অন্যদিকে সেরা চারের রেসে টিকে থাকতে রাত একটায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ মায়োর্কা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নামছে টেবিলের শীর্ষ দুই আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় বোর্নমাউথকে গানার্সআর রাত সাড়ে আটটায় উলভসকে আতিথ্য দেবে ম্যানসিটি।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা রেস এখন কার্যত দু’দলের। লড়াইটা মূলত চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের। তবে রূপালি ট্রফির পথে আপাতত এগিয়ে গানার্সরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে এক পয়েন্টে এগিয়ে আর্তেতার দল। কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও সে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তাদের।

গেলো ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এমিরেটসে নামবে আর্সেনাল। ইনজুরি কাটিয়ে মৌসুমে প্রথমবার খেলতে প্রস্তুত ডিফেন্ডার জুরিয়েন টিম্বার। শেষ ১৫ দেখায় প্রতিপক্ষ বোর্নমাউথ মাত্র একবারই হারাতে পেরেছে আর্সেনালকে।

অন্যদিকে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের সুযোগ ম্যানচেস্টার সিটির। গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্টের পাশাপাশি উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেয়ার হাতছানি সিটিজেনদের। সেপ্টেম্বরে প্রথম পর্বে উলভসের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল গার্দিওয়ালার দল।

ঘরের মাঠ ইতিহাদে টানা ১৯ লিগ ম্যাচ অপরাজেয় ম্যান সিটি। তার উপর অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরতে প্রস্তুত উইঙ্গার ফিল ফোডেন ও ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াজ। আর গোলবারে ফের দেখা যেতে পারে আস্থার প্রতিক এডারসনকে।

একই দিনে লা লিগায় আজই হতে পারে শিরোপার নিষ্পত্তি। সেজন্য দুই সমীকরণ মেলাতে হবে রিয়ালকে। এক কাদিজকে হারাতে হবে লস ব্লাঙ্কোসদের। আর জিরোনার কাছে হারতে হবে টেবিলের দুয়ে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনাকে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কিংবা পারফরমেন্স সব বিচারেই এগিয়ে রিয়াল। প্রতিপক্ষ কাদিজের বিপক্ষে শেষ ৬ আর ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ১৬ লিগ ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা। সবমিলে মৌসুমে ২৮ ম্যাচ অপরাজেয় আনচেলত্তির দল।

জিরোনার সঙ্গে প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ বার্সেলোনার। একই সঙ্গে টেবিলের দু’নম্বর পজিশন হারানোর শঙ্কাও আছে কাতালানদের। কেননা দু’দলের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র দুই। ঘরের মাঠে শেষ ১২ ম্যাচ অপরাজিত জিরোনার বিপক্ষে গাভি-ডি ইয়ংদের পাচ্ছেন না জাভি।


রিয়াল মাদ্রিদ   বার্সালোনা   রিয়াল মাদ্রিদ   লা লিগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নতুন ব্যবসায়ে নাম লেখাচ্ছেন লিও মেসি

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

ফুটবলের পাশাপাশি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছেন মেসি। এর আগে ২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন তিনি। সেই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতায় গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন (জলযোজন) পানীয় আনার ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।

নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে সবকিছু জানিয়েছেন মেসি। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই পোস্টেই নিজের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মেসি।

পোস্টে মেসি লেখেন, ‘আমাদের নতুন হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন (জলযোজন) প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জলযোজন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে জেনেছি।’

নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অংকের অর্থ আয় করেন মেসি। যার মধ্যে জনপ্রিয় দুটি ব্রান্ড হলো অ্যাডিডাস ও পেপসিকো। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।

মেসির শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। তাদের সঙ্গে আন্তক্রিয়াতে লিপ্ত হয়েছেন আর্জেন্টাইন দলপতি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন