নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
নেইমারের পর কুতিনহোই ব্রাজিল প্রেমীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু কুতিনহোর দিনও মনে হয় ফুরিয়ে এলো বার্সাতে। এই সিজনে বার্সা তাকে বিক্রি করে দিতে চায়।
অথচ এইতো কদিন আগেও কুতিনহো তার আগের ক্লাব লিভারপুলে ছিল এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। মোহাম্মাদ সালাহ, ফিরমিনো, মানেদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একের পর এক গোল করে যাচ্ছিল, তাও আবার লেফট উইং থেকে কিছুটা নিচে নেমে মাঝ মাঠ থেকে।
অন্যদের দিয়ে গোল করাতেও যেন কুতিনহোর জুড়ি ছিল না। সব মিলিয়ে বলতে হয়, এইতো ব্রাজিল পেয়েছে, ব্রাজিল পেয়েছে তাকে। কিন্তু বার্সাতে খেলার হাতছানি এবং মোটা অঙ্কের প্রলোভন যেন তাকে লিভারপুলে আটকিয়ে রাখতে পারলো না।
কুতিনহোর চলে যাওয়াটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় বর্তমান খেলোয়াড়দের নিজ ক্লাবের প্রতি লয়াল্টির (আনুগত্য) অভাবের কথা। একটি ক্লাবে ঠিকভাবে গ্রুমিং হতে না হতেই ক্লাব বদলের ভূত চেপে বসে তাদের ভেতর। এক্ষেত্রে বলতে হয়, লয়াল্টির রোল মডেলর যদি কোন তালিকা করা হয়, তাহলে তার প্রথম কাতারে থাকবে ফ্রান্সিসকে টট্টি, পল স্কোলস, রায়ান গিগসদের নাম।
এদেরকে দলে ভিড়াতে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে শুরু করে বিশ্বের নামি দামী সব ক্লাব কতই না চেষ্টা করেছিলো। একের পর এক বড় বড় অফার করছিল ক্লাবগুলো। কিন্তু তারা সবাইকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। কারণ তারা তাদের নিজ নিজ ক্লাবের প্রতি লয়াল ছিল এবং টাকা বা যশের প্রতি তাদের কখনো কোন লোভ ছিল না।
এখন নাম, যশ এবং অর্থের প্রলোভন এতোটাই প্রকট রূপ ধারণ করেছে যে, ব্রাজিল লিগে এক সিজন ভাল খেলেই ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে ব্রাজিলের কচি কচি খেলোয়াড়রা। গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও গ্যাব্রিয়েল বারবোসা ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছিল ২০ এর কোঠা পূরণ করতে না করতেই।
এদের থেকে আরও একধাপ এগিয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রদ্রিগো রদ্রিগেসদের মতো খেলোয়াড়রা। ১৮ বছর পূরণ হতে না হতেই রিয়াল মাদ্রিদ এদের কিনে নিয়েছে। ভিনিসিয়াস জুনিয়র এখন যদিও বা রিয়ালে বেশ দাপটেই আছে, কিন্তু এত অল্প বয়সে এত বেশি চাপ নেয়াটা একদমই অনুচিৎ। এদের মতো ট্যালেন্টদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ না দিলে এরা একে একে ঝরে পড়বে সময়ের গর্ভে। এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে রবিনহো যাকে বলা হত ‘দ্য নেক্সট পেলে’। একবার পেলে স্বয়ং বলেছিলেন, ‘রবিনহো আমার সব অর্জনকে একদিন পেরিয়ে যাবে। ঈশ্বরের কাছে আমাদের ধন্যবাদ জানানো উচিৎ যে তিনি আরেকটি পেলে আমাদের উপহার দিয়েছেন।’
কিন্তু রিয়াল ম্যাদ্রিদে অল্প বয়সে পাড়ি জমিয়ে রবিনহো যেন নিজের দুর্ভোগ নিজেই টেনে এনেছিল। মাদ্রিদে রবিনহো কখনই তার সেরাটা দিতে পারেনি। বরং বিভিন্ন কন্ট্রোভার্সিতে জড়িয়ে পড়ছিল তার ক্যারিয়ার। অন্তিম ফলাফল, ২০০৮ এ ম্যানচেস্টার সিটিতে ট্রান্সফার।
তাহলে প্রশ্ন জাগতেই পারে- ব্রাজিলের এই দুর্দিন থেকে উত্তরণের পথ কী?
সাম্বা ফুটবল ফিরিয়ে আনা? হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। তবে একটি বিষয় আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ব্রাজিলকে বিশ্ব শুধু পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলে চিনে না, ব্রাজিলকে বিশ্ব চিনে তার নান্দনিক ও সৌন্দর্যমন্ডিত খেলার ধরণের জন্য। ব্রাজিল দলটার খেলা ফুটবল প্রেমীদের এতটায় পছন্দের ছিল যে, ২০০২ বিশ্বকাপের ট্রেনিং সেশনে রোনালদো, রোনালদিনহো, রিভালদো ও কার্লোসদের দেখতে গ্যালারীতে দর্শকে ভরে যেত।
তাদের নিয়ে তৈরি হত নানান রকমের বিজ্ঞাপন। আরেকটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে জিকো ও সক্রেটিসের সেই ১৯৮২র ব্রাজিল। টুর্নামেন্ট থেকে তাড়াতাড়ি বিদায় নিলেও দলটিকে আজও ইতিহাস ভুলতে পারেনি। কারণ ছিল একটাই। সাম্বা ম্যাজিকে বিশ্বাসী ছিল দলটি।
কিন্তু আগ্রহী ফুটবল সমালোচকরা দাবী করতেই পারেন যে, সাম্বা ফুটবল এখন এক পুরনো ইতিহাসের নাম মাত্র। পাওয়ার ফুটবল বা ডিসিপ্লিন্ড ফুটবলের কাছে সাম্বা আর কুলিয়ে উঠতে পারবে না। তাদের কথা সত্য হতেও পারে। কিন্তু ব্রাজিল ভক্তরা যখন তাদের দলকে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে দেখে, তখন তাদের প্রত্যাশার জায়গাটা কোথায় গিয়ে ঠেকে? হতে পারে সাম্বাকে ফেরত আনা আর সম্ভব নয়। তবে আক্রমণাত্মক ফুটবলের মানসিকতা দলে অভিযোজন করা যেতেই পারে।
রিয়াল মাদ্রিদ জিনেদিন জিদানের বদৌলতে যেভাবে পরপর তিনবার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা পেল, তা কিন্তু সম্ভবপর হয়েছে শুধুমাত্র আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কারণেই। কয়েক দশক পর লিভারপুল এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পেতে পারে বলে মনে হচ্ছে। যদি এমনটা ঘটে থাকে, তবে তা ঘটবে লিভারপুলের আক্রমণাত্মক খেলার ধরনের কারণেই।
ব্রাজিল তার আক্রমণাত্মক ফুটবল থেকে এতটাই দূরে চলে গিয়েছে যে মাঝে মাঝে ধারাভাষ্যকারদের বলতে শোনা যায়, ‘দ্য অপজিসান ইজ প্লেয়িং মোর ব্রাজিলিয়ান স্ট্যাইল অফ ফুটবল দ্যান দ্য ব্রাজিলিয়ান সাইড।’ সত্যি বলতে গেলে, ইউরোপিয়ান ফুটবল পণ্ডিতরাও সেই পুরনো ব্রাজিলকে মিস করে।
দিন শেষে যারা ব্রাজিল ফুটবল প্রেমী তারা মন থেকে চাইবে যে, যেভাবে ব্রাজিল তার অলিম্পিক গোল্ড মেডেলের ‘কুফা’ কাটিয়ে ছিল গত আসরে, একইভাবে তারা আবার বিশ্বকাপের এই কুফা কাটিয়ে উঠবে কোন একদিন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআরএম/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। এটি তার অভিষেক ম্যাচ ছিল।
রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়াশে মারুমানি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ২ করেন তিনি।
পরে ক্রিজে আসেন ক্রেস আরভিন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নেন গাম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। থিতু হওয়ার আগেই রিশাদের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।
ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
আগামী বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে দারুণ ফুটবল খেলে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। আর তাই এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবে।
তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে আগের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল গেরেরোকে মিস করবে বায়ার্ন। পর্তুগিজ এই তারকা প্রথম লেগে নেমেছিলেন লিওন গোরেৎজকার বদলি হিসেবে। বদলি নেমেই মাঝমাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্নও ম্যাচে ফেরে গেরেরোর ডিফেন্সিভ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে।
কিন্তু, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। স্টুটগার্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় গোড়ালির চোটের কারণে উঠিয়ে নেয়া হয় এই পর্তুগিজ তারকাকে। বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখকে পরের কয়েক ম্যাচে রাফায়েল গেরেরোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। পর্তুগিজ এই তারকা বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পান এবং ক্যাপসুল ইনজুরিতে পড়েছেন। বায়ার্ন মিউনিখের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’
বায়ার্নের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন গেরেরো। যদিও চলতি মৌসুমে বায়ার্নের বাকি আছে সর্বোচ্চ আর চার ম্যাচ। বুন্দেসলীগায় দুই ম্যাচ খেলবে তারা। এর বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেতে পারলে খেলতে হবে দুই ম্যাচ। আর ফাইনালে যেতে পারলে হাতে থাকবে তিন ম্যাচ।
রাফায়েল গেরেরো উইংব্যাক হিসেবে থাকলেও মিডফিল্ড এবং উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সফল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মৌসুম শেষে ইউরোতে পর্তুগালের জার্সিতেও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
রিয়াল মাদ্রিদ বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।
আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।
শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।
তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।
মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।
গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।
এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।