ইনসাইড গ্রাউন্ড

আপাতত পাশ ‘সাব্বির’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

নিষেধাজ্ঞা তুলে জাতীয় দলে ফেরানো প্রক্রিয়া নিয়ে কম সমালোচানা হয়নি। দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার উপর দায় চাঁপিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সে দায় আবার নিজের কাঁধে তুলে নেন টাইগার দলপতি। প্রশ্ন উঠে মাশরাফির ভালবাসার প্রতিদান কি দিতে পারবেন ‘ব্যাডবয়’ খেতাব পাওয়া সাব্বির রহমান?

সদ্য সমাপ্ত নিউজিল্যান্ড সিরিজ বলছে দলপতির আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার প্রতিদান ঠিক মতোই দিতে পেরেছেন সাব্বির। বিশেষ করে তৃতীয় ওয়ানডেতে যেভাবে ব্যাট করলেন, তা একথায় অসাধারণ। তার উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন ভক্তরা। আর কেউ কেউ এতে তাড়াতাড়ি ভরষা করতে চান না সাব্বিরের উপর।

নিষেধাজ্ঞা, ব্যাটে নেই রান, চারিদিকে সমালোচনা—সবকিছু মিলিয়ে ভীষণ চাপে ছিলেন সাব্বির রহমান। শুধু একটাই ভরষা তাঁর মাথার উপর ছাদ হয়ে আছেন দলের অধিনায়ক। যে অধিনায়কের পরশে বদলে যায় পুরো একটি দল, সে একজনকে বদলাতে পারবে না তা কি করে হয়? তাই তো নিউজিল্যান্ড যাবার আগে গণমাধম্যকে সাব্বির জানিয়েছিলেন, ‘প্রতিদান দিতে পারবো কিনা জানি না, তবে সাধ্য মতো ভালো খেলতে চেষ্টা করবো।’

নিউজিল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি ম্যাচে সেই আভাস দিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ৪১ বলে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সাব্বির। সিরিজের প্রথম ওয়ানেডতে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন তিনি। প্রয়োজনের সময় ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয় তাঁর ব্যাট। ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন তিনি।

দাবি ওঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাদ দেওয়ার। কিন্তু মাশরাফি যার উপর আস্থা রাখেন, তাকে সুযোগ দেন বারবার। দ্বিতীয় ওয়ানডেও জায়গা পান একাদশে সাব্বির। সেই ম্যাচেও ব্যর্থ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৯৩ রানে দলকে বিপদে রেখে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজ ঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে থাকলেও ৬৫ বলে ৪৩ রানে দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেন সাব্বির।

আর তৃতীয় ওয়ানেডের কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান অবশেষে দেখা পান সেঞ্চুরি। আর সেঞ্চুরিটা করলেন সময় মতো। আগের দুই ম্যাচের মতো তৃতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ৩৩১ রানের পাহাড় সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে, দলীয় ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারিরা্

ছয় নম্বরে নেমে সাব্বির শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পারেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে সেটাই করলেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাইফকে নিয়ে ১০১ রান তোলেন সাব্বির। আর অষ্টম উইকেটে মিরাজকে নিয়ে গড়েন ৬৭ রানের জুটি।

কিউই বোলারদের বিপক্ষে তো বটেই লড়াই করলেন নিজের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে। সেঞ্চুরি পর বিতর্কিত হয়ে লক্ষচ্যুত হওয়া সাব্বির যেন সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন এই এক ইনিংসে।

নিজের ক্রিকেটীয় ব্যাকরণে সবটুকু দিয়ে খেললেন চমকপ্রদ এক ইনিংস। ১০২ রানের ইনিংসটি খেলতে খরচ করেন ১১০ বল। ১২টি চার ও ২টি বিশাল ছক্কার মার ছিল। এর আগে ৫৯ বলে অর্ধশতকের পর তিন অঙ্কের দেখা পান ১০৫ বলে।

এই ইনিংস সাব্বিরকে যতটা না নির্ভার করছে তারচেয়ে বেশি স্বস্তি দিয়েছে মাশরাফিকে। তাই ম্যাচ পরবির্ততে সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক বলেন, ‘এমন পারফরম্যান্সে ছেলেরা হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু সাব্বিরের ইনিংসটি আমাদের জন্য ইতিবাচক।’

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড সফর ছিলো বাংলাদেশের পরীক্ষা-নিরীক্ষার। অনেকদিন ধরে লোয়ার অর্ডারে একজন মারকুটে ব্যাটসম্যানের সংকটে ভুগছিল বাংলাদেশ। সাব্বিরের সক্ষমতা জানা সবার। তাই একটা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে একটা ঝুঁকি নেন মাশরাফি। আপাতত দৃষ্টিতে সফল টাইগার দলপতি। কিন্তু টাইগার ভক্তটা এখনই এ-প্লাস দিচ্ছেন না সাব্বির রহমানকে। কারণ বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে ‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়’। সাব্বিরকে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমিদের অবস্থা এখন অনেকটা এমনই। তাই তো নিউজিল্যান্ড সফরে তাঁর পারফরম্যান্সকে আপাতত পাশ মার্ক দিচ্ছেন দেশের ক্রিকেট পাগলমানুষেরা।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই না করা দলের সাথে টাইগারদের প্রস্তুতি!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

যে দলটি আসন্ন টে-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি, সেই দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, সেই কোয়ালিফাই না করা দলের সাথে ঘরের মাঠে জিততেই টাইগারদের ঝরছে ঘাম। আর এতে করে বোঝার বাকি থাকছে না যে কেমন হতে পারে টাইগারদের এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ।

যে দলটা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি তাদের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো মানে তো বিশ্বকাপের আগে অশনি সংকেত এটা গত রোববারের ম্যাচ দেখে বোঝাই যাচ্ছে। আর এই জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে হয়তো শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের আসল প্রস্তুতি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে দুই ম্যাচ ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের হেসেখেলেই হারিয়েছিল টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয় তুলে নিতে রীতিমতো ঘাম ছুটেছে টাইগারদের। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের এমন পারফরম্যান্স দেখে হতাশ হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যার ফলস্বরূপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে কঠোর সমালোচনা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই হানা দিয়েছে বৃষ্টি। তবে এই দুই ম্যাচে চমক বলতে কিছু ছিল না টাইগারদের পারফরম্যান্সে। সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা লিটন প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কিছু রান পেয়েছেন। তবুও যেন বেরোতে পারেননি সমালোচনা থেকে। কারণ স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে পিছিয়ে ছিলেন বেশ। সেই সাথে দলের সেরা ব্যাটার আর অধিনায়ক যেভাবে ব্যাটিং করছেন এই সিরিজে তাতে বিশ্বকাপের আগে দুশ্চিন্তাতা আরও কয়েকগুণ বাড়াচ্ছে বিশ্বকাপের পূর্বে।

রোববার টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক শান্ত। এতে করে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকলেও ধুঁকতে থাকেন টাইগাররা। আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন কুমার দাসও রান পান। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর লিটনকে সঙ্গ দেন শান্ত। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৫ বলে ১৬ রান করে শান্ত আউট হলে, ২৫ বলে ২৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।

তৃতীয় দফায় বৃষ্টির বাঁধা দিলে, ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। এরপর টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ১২ বলে ১৩ রান করে এনগারাভার বলে বোল্ট আউট হন তিনি।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ২৬ রান এবং হৃদয়ের ২৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টাইগাররা।

তবে এদিন বাংলাদেশ জয় পেলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা বলছেন, ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন পরিস্থিতি হলে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোন প্রত্যাশা রাখাটাই যেন বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।


বিশ্বকাপ   টে-টোয়েন্টি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ টি-২০তেও ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগ্রেসরা। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৮ রান করে স্বাগতিকরা। ৫৬ রানের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে গেছে ভারত।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১২৫ রান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেসরা। দিলারা-মুর্শিদা ওপেনিং জুটিতে দলকে ১৮ রান এনে দেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২ বলে ১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন দিলারা। এর আগে সোমবার (৬ মে) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।

সাজানা ৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। স্মৃতি মান্ধানা ও হেমালতা সমান ২২ রান করে আউট হন। ২৪ রান করেন রিচা ঘোষ। অবশ্য দিনের শুরুতে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দ্বিতীয় ওভারেই শেফালি ভার্মাকে ফেরান শরীফা।

পঞ্চম ওভারে রাবেয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মান্ধানা। ৫.৫ ওভারে নামে বৃষ্টি। এরপর ওভার কমে আবার খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ ২টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান। ১টি উইকেট নেন শরীফা খাতুন।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে সাকিবের রেকর্ডের দিনে রাজার নতুন কীর্তি

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন ক্রিকেটাররা। ঠিক তেমনই এক রেকর্ডের বন্যার ম্যাচে সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি নতুন কীর্তি গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে ফতুল্লায় মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক। যেখানে প্রথম ইনিংসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েন সাকিব আল হাসান। রাজ্জাক ও মাশরাফীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

আর সাকিবের এমন নজিরের দিনে মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।  লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। অবশ্য ১৪ রান কম দিলে বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলতে পারতেন প্রাইম ব্যাংকের এই পেসার। লিস্ট এ-তে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি ভারতের শাহবাজ নাদিমের দখলে।

প্রাইম ব্যাংকের রাজার তোপে ২৭১ রান তাড়ায় স্রেফ ৭১ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তামিম-জাকিরদের জয় ১৯৯ রানের বড় ব্যবধানে। এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় প্রাইম ব্যাংক।

দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপু ও তামিম ইকবালকে হারিয়ে কিছুটা বিপদেই পড়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে ৩য় উইকেটে গড়েন ১৩৩ রানের জুটি। দুজনই অবশ্য অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন।

সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৮৫ রান করেন জাকির। এছাড়া ৯৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। শেষদিকে ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন হাসান মাহমুদ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭০ রান।

১০ ওভার বল করে ৪২ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিকুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমানও। দ্বিতীয় ইনিংসে শেখ জামালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৈকত আলিকে ফিরিয়ে প্রাইম ব্যাংককে দারুণ শুরু এনে দেন হাসান মাহমুদ।

এরপর রাজত্ব শুরু করেন রাজা। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফেরান তিনি। একই ওভারের শেষ বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে এসে ফের দুই উইকেট তুলে নেন রাজা।

এবার প্রথম বলে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর তাইবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাজা। পরে রিপন মন্ডলকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রাজা। এরপর শেখ জামালের বাকি তিন ব্যাটারকেও সাজঘরে পাঠিয়েছেন এ পেসার।


সাকিব আল হাসান   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   রাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল ভারত

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে আজ চতুর্থ ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে বোলিংটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ নারী দলের।

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন স্বাগতিক বোলাররা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছে ভারত নারী দল। ফলে ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গেছে।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে ভারত। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১২৫ রানের।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মা। ২ রান করা এই ওপেনার শরিফা খাতুনের বলে রিতু মনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তবে তিনে নেমে রানের চাকা সচল রাখেন হেমলতা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২২ রান।

আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্দানাও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে করেছেন ২২ রান। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দ্রুত রান তোলেছেন। কারণ ৫ ওভার ৫ বলে খেলা শেষে ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক ম্যাচ বন্ধ ছিল। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। 

১৪ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটাররা। তাতে সফলও হয়েছেন। বিশেশ করে হারমানপ্রীত। অধিনায়ক ২৬ বলে করেছেন ৩৯ রান। শেষদিকে রিকা ঘোষ করেছেন ১৫ বলে ২৬ রান।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বায়ার্নের কোচ হওয়া বিষয়ে যা জানালেন জিদান

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিথের কোচ হিসেবে জোগ দিবেন জিনেদিন জিদান। কিন্তু সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে ফরাসি তারকা আশা প্রকাশ করেছেন, বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল, আগামী মৌসেুম থেকে বায়ার্ন মিউনিথে যোগ দিতে যাচ্ছেন জিনেদিন জিদান। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো তো ফরাসি এই তারকার সাথে বায়ার্নের চুক্তির পাকাপাকিও দেখে ফেলেছিল।

মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছিল, কাগজে কলমে কোন চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও মৌখিক সমঝোতা হয়ে গেছে বায়ার্ন এবং জিদানের মধ্যে। তবে তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে জিদান জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের বিপক্ষে রিয়ালকে সমর্থন দিতে মাঠে থাকবেন তিনি।

আগামী বুধবার ( মে) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন-রিয়াল। জিদান বলেন, আমি বায়ার্ন মিউনিখের ভবিষ্যৎ কোচ হব কিনা? না, আমি (বায়ার্ন-রিয়াল) ম্যাচ দেখতে যাব। এটা কঠিন একটা ম্যাচ হবে। আমি আশাবাদী মাদ্রিদ জিতবে।

আগের লেগ - গোলে ড্র হওয়ায়, ম্যাচে জয়ী দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে।

ম্যাচে জিদানের মাদ্রিদকে বেছে নেয়ার কারণটাও স্পষ্ট। ২০০১ থেকে ২০০৬ খেলোয়াড় হিসেবে বার্নাব্যুতে আলো ছড়ানোর পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১; দুই মেয়াদে রিয়ালের ডাগআউট সামলেছেন তিনি। 

লস ব্লাঙ্কোদের টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১১টি শিরোপা জিতিয়েছেন ফরাসি কিংবদন্তি। রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পর অবশ্য আর কোচিংয়ে দেখা যায়নি ৫১ বছর বয়সী মাস্টার মাইন্ডকে।


জিনেদিন জিদান   বায়ার্ন   রিয়াল মাদ্রিদ   কোচ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন