ইনসাইড গ্রাউন্ড

বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ: দলগুলোর পরিচিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে মেয়েদের আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের মাঠের লড়াই শুরু হবে আগামীকাল (২২ এপ্রিল)। স্বাগতিক বাংলাদেশের জন্য লাওস ও মঙ্গোলিয়া অচেনা প্রতিপক্ষ। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানকে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট হারিয়েছে বাংলার মেয়েরা। তাই শিরোপার দিকে নজর রয়েছে মৌসুমী-কৃষ্ণদের।

টুর্নামেন্টে খেলতে সবার আগে শুক্রবার ঢাকায় এসেছে তাজিকিস্তান। শনিবার পৌঁচ্ছেছে লাওস, মঙ্গোলিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর আজ (রোববার) এসেছে কিরগিজস্তান। ছয় দলের মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

জেনে নেবে অংশ গ্রহণকারি ছয় দলের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:  

মঙ্গোলিয়া (র‌্যাঙ্কিং: ১১৮)

গত বছর মেয়েদের প্রথম জয় পায় মঙ্গোলিয়া। নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারায় তারা। আর এ বছর শুরতে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় তারা। প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১৮-০ গোলের হারলেও ১-০ গোলে হংকংয়ের বিপক্ষে জয় পায় মঙ্গোলিয়া।

লাওস (র‌্যাঙ্কিংয়ের বাইরে)

২০০৭ সালে মেয়েদের ফুটবল শুরু করে লাওস। আসিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দু’বার সেমিফাইনাল খেলেছে তারা। এছাড়া সাউথইস্ট এশিয়ান গেসমেও দু’বার শেষ চারে খেলেছে তারা। আর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে লাওস।

তাজিকিস্তান (র‌্যাঙ্কিং: ১২৬)

গত বছর থেকে নিয়মিত ভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে তাজিকিস্তানের মেয়েদের জাতীয় দল। তবে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে তাজিকরা বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। ২০১৬ সালে তাদের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৪ এএফসি রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিলো বাংলাদেশ। আর সর্বশেষ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাইয়ে ৫-১ গোলের জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ।

সংযুক্ত আরব আমিরাত (র‌্যাঙ্কিং: ৯৮)

২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো মেয়েদের জাতীয় দল গঠন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরের দুই বছর ওয়েস্ট এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দলটি। তবে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলোতে নিজেদের তুলে ধরতে পারছে না তারা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইয়ে বাংলাদেশের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে দু’বার।

কিরগিজস্তান (র‌্যাঙ্কিংয়ের বাইরে)

২০১০ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে কিরগিজস্তান। এএফসি টুর্নামেন্টের বাইরে ম্যাচ খেলে না দলটি। তবে গত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাইয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়েও পরের রাউন্ডে যাওয়া হয়নি তাদের। 

বাংলাদেশ (র‌্যাঙ্কিং ১২৭)

২০০৫ সালে বাংলাদেশে শুরু হয় মেয়েদের ফুটবল। অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছে বাংলার মেয়েরা। নেপালে অনূর্ধ্ব-১৪ এএফসি রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম শিরোপা আসে ২০১৪ সালে। এই ধারাবাহিকতায় অনূর্ধ্ব-১৬ দল এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে নাম লেখায় মূল পর্বে।

গত বছর ধরা দেয় সাফ শিরোপা। অনূর্ধ্ব-১৫ দলের পর একই বছর ভুটানে অনূর্ধ্ব-১৮ দলের মেয়েরা উৎসব করে সাফ জয়ের। এ বছরের শুরুতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এএএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এবার মিশন ঘরের মাঠে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। প্রথম আসরে শিরোপা ঘরে তুলতে মরিয়া গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।

আগামীকাল (২২ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। উদ্বোধনী ম্যাচে সন্ধ্যা ৬টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ২৬ এপ্রিল গ্রুপের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে খেলবে লাল-সবুজরা। টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল ২৯ ও ৩০ এপ্রিল। ফাইনাল ৩ মে।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে দল

প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে আজ ঢাকায় পৌঁছেছে সিকান্দার রাজার নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। আগামী ৩ মে থেকে শুরু হবে এই টি-২০ সিরিজ।

ঢাকায় পৌঁছে সেখান থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে উড়ে যায় জিম্বাবুয়ে দল। আগামী ৩ মে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর ৫ ও ৭ মে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। এবং ১০ ও ১২ মে ঢাকায় সিরিজের শেষ ২ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ইতিমধ্যেই নাজমুল হাসান শান্তকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। এবং সিকান্দার রাজাকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লা রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন, সাইফ হাসান।   

জিম্বাবুয়ে দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইন্সলে এনডিলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।


বিসিবি   জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

খাদের কিনারা থেকে বারবার ফিরে আসার গল্প লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জেতাটা অসম্ভব, তবুও চমকের মাধ্যমে ফিরে আসা। প্রায় দুই দশকের ও বেশি সময় ধরে সেই একই কাজ করে নিজেদেরকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা রিয়াল মাদ্রিদ। চলতি মৌসুমে সেই পথটাই বেছে নিয়েছে বায়ার লেভারকুসেন।

বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখে আসছে তারা। চমকে দিচ্ছে ফুটবল বিশ্বকে। কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলতে হচ্ছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

স্টুর্টগার্টের বিপক্ষেও লেভারকুসেন অবাক করেছে সবাইকে। একেবারে শেষ মূহর্তে তারা আরও একবার ফিরে আসার গল্প লিখেছে তারা। তাতে অনেকেই এই লেভারকুসেনকে মেলানো শুরু করেছে রিয়ালের সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো দুই ক্লাবকে মিলিয়ে বানানো হচ্ছে নানা ধরনের ‘মেমে’-ও।

আগের ম্যাচে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে ড্র করেছিল লেভারকুসেন। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এই নিয়ে ১৩ বার ৯০ মিনিটের পর ম্যাচ বের করে এনেছে জাবি আলোনসোর দল। সব মিলিয়ে ৩৩৬ দিন অপরাজিত দলটা। ৪৬ ম্যাচ তাদের কেউ হারাতে পারেনি কোনো প্রতিযোগিতায়।

পরিসংখ্যানগুলো যে কাউকেই চমকে দেওয়ার কথা। আগের মৌসুমে এক পর্যায়ে রেলিগেশন জোনে থাকা দলটা এই মৌসুমে এসে পাঁচ ম্যাচ হাতে নিশ্চিত করে বুন্দেসলিগার শিরোপা। আছে অপরাজিত থেকে ট্রেবল জেতার দৌড়েও।

এমন অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড ঘটিয়ে চলা দলটার কোচ আলোনসোরও বিশ্বাস হচ্ছে না কি করছে তার দল। “ফুটবলে এমনটা আমি দেখিনি, এটা বর্ণনা করা বেশ কঠিন। গেল সপ্তাহের ম্যাচে আমি কিছুটা আবেগি হয়ে গিয়েছিলাম, তবে আজকেরটা বিশ্বাস করার মতো না।”

কথার সাথে কাজের মিলটাও দেখা গেছে আলোনসোর। গেল সপ্তাহে তার দল যখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে ম্যাচটা শেষ মূহর্তের নাটকীয়তায় ড্র করেছিল তখন আবেগটা প্রকাশ করতে বেশ লাফিয়েছিলেন তিনি। তবে স্টুটগার্টের বিপক্ষে ছিলেন স্থির। তার ফুটবলাররা উল্লাসে মাতলেও সাইডলাইনে আনন্দটা বুঝিয়েছে মুচকি হাসিতেই।

হয়তো মূল আনন্দটা জমিয়ে রাখছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। ট্রেবল জেতার স্বপ্নটাও হয়তো উঁকি দিচ্ছে তাকে। কে জানে মৌসুমে বাকী সাত ম্যাচে আরও কি চমক তারা দেখায়।


লেভারকুসন   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হায়দ্রাবাদকে উড়িয়ে চেন্নাইয়ের বড় জয়

প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের এবারের আসরে রীতিমতো উড়ছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। তবে হাইভোল্টেজ ম্যাচে অরেঞ্জ আর্মিদের গুঁড়িয়ে বড় জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।

এদিন চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১২ রান করে চেন্নাই। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮.৫ ওভারে ১৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের জয় ৭৮ রানে। আর এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।

চেন্নাইয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল হায়দরাবাদ। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ব্যাট হাতে উড়ন্ত শুরু করে এ জুটি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন তুষার দেশপান্ডে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হেডকে সাজঘরের পথ দেখান দেশপান্ডে। আউট হওয়ার আগে ১৩ করেন তিনি। এরপর ক্রিজে এসেই উইকেট বিলিয়ে দেন আমলপ্রিত সিং। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।

পরে ব্যাট হাতে আশা দেখিয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি অভিষেক। ১৫ রানে তাকে থামিয়েছেন দেশপান্ডে। এরপরেই খেই হারিয়ে ফেলে এই আসরে উড়তে থাকা দলটি।

এইডেন মার্করাম ছাড়া কেউই ৩০ এর কোটা পেরোতে পারেননি। পাথিরানার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩২ করেন এ প্রোটিয়া ব্যাটার।

তার বিদায়ের পর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে তারা।

চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন তুষার দেশপান্ডে। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিবি

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা। যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

আসন্ন বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চোটের কারণে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট কাটিয়ে সর্বশেষ বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরেন তিনি। খেলছেন চলমান ডিপিএলেও। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে যাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

১৫ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন ছাড়াও ফিরেছেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার মূলত অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি ডিপিএলে ভালো করায় তাকে দলে ফিরিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

ডিপিএলে পারফর্ম করায় সুযোগ মিলেছে পারভেজ হোসেন ইমনেরও। এই তরুণ ওপেনার ডিপিএলে ধারবাহিক রান পেয়েছেন। তাছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসাইন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে নারী আম্পায়ার বিতর্ক নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু তিনদিন আগে হয়ে যাওয়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই ম্যাচ নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। মূলত এই ম্যাচে নারী আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে না চাওয়া নিয়ে চলছে বিতর্ক। ঘটনাটা নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির উপস্থিতিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এর কারণ কী?

পুরো ব্যাপারটি নিয়েই ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, কেবল নারী বলেই আম্পায়ার জেসি থাকাকালে ম্যাচে নামতে চায়নি বড় দুই ক্লাব। কিন্তু দিন গড়াতেই জানা যায়, নারী আম্পায়ার নয়,  বরং ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই মূলত আপত্তি জানিয়েছিল তারা।  

ম্যাচটিতে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি। মনিরুজ্জামান আগে থেকেই লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ম্যাচ পরিচালনা করলেও, জেসিসহ দুজন নারী আম্পায়ার এবার প্রথম এমন দায়িত্ব পেয়েছেন। অবশ্য জেসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবুও তাকে নিয়ে সংশয়ের বেড়াজালে আটকে ছিল দুই ক্লাবই।   

এদিকে দেশের ক্রিকেটের এমন উত্তপ্ত অবস্থার মাঝেও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, “আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আম্পায়ার্স কমিটির সাথে কথা হলো, এ ব্যাপারে তারা তো আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নাই, তাই এ ধরনের কোনো কিছুই আমি জানি না।”

আম্পায়ার জেসিকে নিয়ে বিতর্কের পর দুই ক্লাবের কর্মকর্তারাই জানালেন জেসিকে নিয়ে সংশয়ের কারণেই মূলত এমন ঘটনার সূত্রপাত।

মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিলো। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্ট টিপোর্ট করিনি। আমাদের ধারণা ছিল তিনি নতুন আম্পায়ার, লিস্ট-এ ক্রিকেটে এ বছরই প্রথম খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তাই অভিজ্ঞতা কম। আমরা সাধারণত এসব ম্যাচে সিনিয়র আম্পায়ার চাই।’

প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কন বলেন, ‘মহিলা আম্পায়ার দেবে এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে মহিলা আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা করে তাদের আশা করছিলাম। মহিলা আম্পায়ার দেখেন যেটা এলবিডব্লিউ সেটা দেয় নাই, যেটা হয় নাই সেটা দিছে। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। সেটা তার অনভিজ্ঞতার জন্যই।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি   ডিপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন