ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে স্পটলাইট: চমকে দিতে পারেন ইমাদ ও জুনায়েদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৮ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

আগামী ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ডের শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর বিশ্বকাপ। রণকৌশল ঠিক করার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের শক্তিমত্তা পরখ করে নিচ্ছে অংশগ্রহণকারী দশটি দল। একই সঙ্গে চলছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ইনসাইডার-এর বিশেষ আয়োজন, বিশ্বকাপে, বিশ্ব কাঁপে…। কাউন্ট ডাউন স্টোরিতে এবার থাকছে বিশ্বকাপের বিশাল মঞ্চে কোন কোন তারকা ক্রিকেটার থাকবেন স্পটলাইটে। এবার থাকছে ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। আজ থাকছেন পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ও জুনায়েদ খান।

প্রথম বিশ্বকাপে রং ছড়াতে চান ইমাদ ওয়াসিম: প্রকৌশলী বাবা চাকুরি সূত্রে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে বাল্যকালে পাকিস্তান ফিরে আসে তাঁর পরিবার। এতে বদলে যায় জীবনের বাঁক। হয়ে যান পেশাদার ক্রিকেটার। তাঁর আইডল ওয়াসিম আকরাম।   

২০০৬ ও ২০০৮ সালের দুটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন ইমাদ। এছাড়া পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। ২০১৫ সালে লাহোরে জিম্বাবুয়ে’র বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পথচলা শুরু হয় ইমাদ ওয়াসিমের। একই বছর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটেও অভিষেক হয় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের।

পাকিস্তানের প্রথম স্পিনার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন তিনি। দুবাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪ রানে পাঁচ উইকেট টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

সাবেক ক্রিকেটারদের মতো ইমাদ ওয়াসিম হতে যাচ্ছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডার। বর্তমানে আইসিসির টি-টোয়েন্টি বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থ স্থানে আছেন ইমাদ।

ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও ক্রিকেটের জন্য শিক্ষাজীবনকে বিসর্জন দেন বাঁহাতি এই তারকা ক্রিকেটার। এ পর্যন্ত ৪১টি ওয়ানডেতে রান করেছেন ৭১১। আর উইকেট শিকার করেছেন ৩৩টি। ৩৪ টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রান ১৬৯ আর ঝুলিতে উইকেট রয়েছে ৩৮টি। এবারের বিশ্বকাপে তিনি হতে পারে পাকিস্তানের তুরুপের তাস।

জুনায়েদের উপর নির্ভর করছে পাকিস্তানের পেস বোলিং: পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ আমির। একমাত্র অভিজ্ঞ পেসার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছে জুনায়েদ খান। সঙ্গে অন্য দুই পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ও শাহীন শাহ আফ্রিদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একেবারে নতুন। সুতরাং বাঁহাতি এই পেসার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরিচিত মুখ জুনায়েদ খান। গত কয়েক বছর দরে নিয়মিত ভাবে অংশ নিচ্ছেন এই টুর্নামেন্টে।

২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে লাইমলাইটে আসেন জুনায়েদ খান। ২০১১ বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহুর্তে ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হন মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। বিপদে পড়ে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছাড়াই ডাক পান বিশ্বকাপ স্কোয়াড। যদিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি।

বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় জুনায়েদ খানের। ২০১২ শেষ দিকে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরমন্স করেন তিনি। গতি আর সুইংয়ে তিন ম্যাচে জুনায়েদের শিকার হন সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি।

ইনজুরির কারণে ২০১৫ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তাঁর। দু’বছর টেস্ট ছাড়া অন্য কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবারো ডাক পান তিনি। দুর্দান্ত পারফরমেন্সে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।

এ পর্যন্ত ৭৪ ওয়ানডেতে উইকেট শিকার করেছেন ১০৮টি। আর ২২ টেস্ট তাঁর উইকেট নিয়েছেন ৭১টি। এবারের বিশ্বকাপে অনাভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণে একমাত্র অভিজ্ঞ বোলার জুনায়েদ খান। পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব থাকবে তাঁর উপর।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন

প্রকাশ: ১০:৫৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে মেনত্তির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।

খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন মেনোত্তি। সান্তোসের হয়ে ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গেও খেলেছেন মেনত্তি।

লিওনেল মেসির জন্মশহর রোজারিওতে ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন মেনোত্তি। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এ স্ট্রাইকার খেলেছেন ১১টি ম্যাচ। খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে দুটি দেশের জাতীয় দলের এবং ১১টি ক্লাবের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ১৯৭৪ সালে আর্জেন্টিনাকে কোচিংয়ের দায়িত্ব পান তিনি। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত নিজ দেশের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও মেক্সিকোর কোচের দায়িত্বেও ছিলেন এক বছর।

কোচ মেনোত্তি ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান। আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর দেশের অনূর্ধ্ব-২০ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার খেলার ধরন বদলে যায় মেনোত্তির হাত ধরেই।


সিজার লুইস মেনত্তি   আর্জেন্টিনা   বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কিংবদন্তির মৃত্যুতে মেসি-স্কালোনির শোক

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান সিজার লুইস মেনোত্তি। এটি ছিলো আলবিসেলেস্তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। পরের বছর তার হাত ধরেই বড়দের মতো প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইনদের কাছে বনে কিংবদন্তি।

সেবার তিনি আর্জেন্টিনা ও বিশ্বকে উপহার দেন আরেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৭৯ যুব বিশ্বকাপে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক। যার পেছনে বড় অবদান ছিলেন মেনোত্তির।

তবে অন্য এক কারণে আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করছেন তিনি। তার কোচিংয়ে বদলে যায় আজেন্টিনার খেলার ধরণ। সহিংসতাপূর্ণ খেলার কুখ্যাতিকে পেছনে ফেলে নানন্দিক ফুটবলে জয় করেন আর্জেন্টাইনদের মন।

কিংবদন্তি কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসি তার একাউন্টে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’

প্রায় একই রকম শোক বার্তায় স্কালোনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’

আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে এ কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।

খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগ ছাড়াও ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে ফুটবল সম্রাট পেলের সতীর্থ ছিলেন মেনোত্তি।


সিজার লুইস মেন্তি   আর্জেন্টিনা   বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। রোববার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

লিওনেল মেসির জন্মশহর রোজারিওতে ১৯৩৮ সালে জন্ম মেনোত্তির। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত মাত্র ১১ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন এই স্ট্রাইকার। খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি ক্লাব ও দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন নিজের দেশ আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে। এছাড়াও এক বছর মেক্সিকোর কোচের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান এই মেনোত্তি। আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর দেশের অনূর্ধ্ব-২০ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার খেলার ধরন বদলে যায়।

এদিকে মেনোত্তির মৃত্যুর শোক সংবাদ প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে লিওনেল মেসি লিখেছেন, ‘আমাদের ফুটবলের অন্যতম গ্রেট উদাহরণ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’

আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও শোক প্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’


আর্জেন্টিনা   বিশ্বকাপ   ফুটবল   সিজার লুইস মেনোত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লিটন ফর্মে ফিরবেন কবে?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না লিটন। 

আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নামলেই যেন ১০ এর গণ্ডিও পেরোতে পারছেন না তিনি। সবমিলিয়ে তার সবশেষ আন্তর্জাতিক ফিফটি এসেছে ১৯ ইনিংস আগে। ফর্মহীনতার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর টেস্টে ফিরে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তার শুরুটা হয়েছে ১ রান দিয়ে। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ রান করেছেন। তবুও যেন স্ট্রাইক রেটে রয়েছেন পিছিয়ে। 

এভাবে লিটনের ধারাবাহিক ফর্মহীনতায় তার পাশাপাশি ধুঁকছে বাংলাদেশও। শুরুতে দ্রুতই তার উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে অবস্থা থেকে ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে হয় পরবর্তী টপঅর্ডারদের। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য বড় ভাবনার কারণ।

চলমান ডিপিএলেও তিন ম্যাচ খেলে একটি ফিফটি পেয়েছেন লিটন, বাকি দুই ম্যাচ মিলে করেছেন ৩৮ রান। লিটনের এমন ফর্মহীনতার পরও একের পর এক ম্যাচ-সিরিজে সুযোগ পেয়েই যাচ্ছেন তিনি। যার জন্য সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গন- সবখানেই। এমনকি লিটনের এই অফফর্মের জন্য তাকে নিয়ে নানা ট্রোল ও হচ্ছে। নেটিজেনরা এরই মধ্যে তার এই অফফর্মের কারণে তাকে দলে দেখতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে অনেক ক্রীড়া বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, লিটনের এই অফফর্ম যাবে কবে?

এরই মধ্যে ব্যাট হাতে লিটনের ধারাবাহিক এই ব্যর্থতা কাটাতে কোচদের বিশেষ নজর দিতে বলেছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘লিটনকে নিয়ে আমরা সবাই জানি, তার মেধা আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সে ফর্মের বাইরে। তাকে নিয়ে জালাল (ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস) ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে ব্যাটিং কোচ যে আছেন আমাদের, তার সঙ্গেও কথা বলতে বলা হয়েছে। বলেছি তার (লিটনের) ওপর বিশেষ নজর দিয়ে দেখতে যে সমস্যাটা কোথায়।’

সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ দিয়ে ফেরার কথা রয়েছৈ তাদের। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের খেলার কথা, মুস্তাফিজ খেলবে কি না আমি নিশ্চিত না। আমার ধারণা ওকে বিশ্রামে রাখা হবে। কতদিন বিশ্রামে রাখা হবে তা জানিনা। সাকিব তো লিগে সেঞ্চুরি করল এতদিন পরে। ওর রানে ফিরে আসাটা একটা ভালো দিক। আমি যতটুকু শুনেছি ও খেলবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে পাপন বলেন, ‘বোলিংটা প্রথমদিকে ভালোই লাগছিল। পরের দিকে একদম ভালো লাগেনি। ব্যাটিংটা ভালো লাগেনি। ব্যাটিংয়ে এখনও মনে হচ্ছে আমরা স্ট্রাগল করছি। বোলিংয়ে যে অবস্থা ছিল, ৪০-৪১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এত রান করতে দেওয়া ওদের, এটা আমাদের পুরোনো অভ্যাস। এটা দেখে মনে হচ্ছে এখনও বের হতে পারিনি।’


বিসিবি   ক্রিকেট   লিটন দাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে ৬ উইকেটের জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। চট্টগ্র্রামে ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীদের ছয় উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা।

রোববার (৫ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর লিটনকে সঙ্গ দেন শান্ত। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৫ বলে ১৬ রান করে শান্ত আউট হলে, ২৫ বলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।

তৃতীয় দফায় বৃষ্টির বাঁধা দিলে, ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। এরপর টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ১২ বলে ১৩ রান করে এনগারাভার বলে বোল্ট আউট হন তিনি।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ২৩ রান এবং হৃদয়ের ২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন লুক জঙ্গি। এ ছাড়াও রিচার্ড এনগারাভা এবং এনডলোভু নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৩৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৪ বলে ২ রান করে মুরামানি আউট হলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জয়লর্ড গাম্বি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩০ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সিকান্ডার রাজাও। ৮ বলে ৩ রান করে রিশাদের প্রথম শিকার হন রোডেশিয়ানদের দলপতি। ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গে দেন মানদান্দে।

এরপর ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অভিষিক্ত জনাথন ক্যামফেল। ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে শেষ পর্যন্ত বেনেটের ২৯ বলের হার না মানা ৪৪ রানে ভর করে ১৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম, মাহেদী হাসান এবং সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন