নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৬ এএম, ২০ মে, ২০১৭
তামিম-সৌম্য-সাব্বিরের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে আইরিশদের হেসেখেলে হারালো বাংলাদেশ। ১৮২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে, ২৭.১ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় টাইগাররা। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। আর দুই ম্যাচ জিতে আট পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নিউজিল্যান্ড। আর দুই পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে আইরিশরা।
এই ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে হারলে র্যাংকিংয়ে সাতে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু আশঙ্কাকে দূর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। ২৪ মে শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও সাত নম্বর অবস্থান হারাবে না মাশরাফিরা।
আর তাই আগামী বিশ্বকাপ সরাসরি খেলা মাশরাফিদের জন্য প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। তবে অলৌকিক কিছু ঘটে গেলে, এই সম্ভাবনা নষ্ট হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশ যতই ফেবারিট হোক, নিজেদের মাটিতে আইরিশরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু র্যাংকিংয়ে আইরিশরা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। আর সেটা মাঠে আবারো প্রমাণ করলো তামিম-সৌম্যরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড অলআউট হয় ৪৬.৩ ওভারে ১৮১ রান করে। তাদের কোন ব্যাটসম্যানই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি।
জবাবে বাংলাদেশ তামিমের ৪৭, সৌম্য’র এবং সাব্বিরের ৩৫ রানে খুব সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায়।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল দারুণ। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে দলে ফিরলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না মোস্তাফিজ। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ‘দ্যা ফিজ’কে দেখার অপেক্ষায় ছিল টাইগার সমর্থকরা। সর্বশেষ দুই সিরিজে সবাইকে হতাশ করলেও, অবশেষে ত্রিদেশীয় সিরিজে মোস্তাফিজ দেখাচ্ছেন তার ঝলক। নয় ওভারে দুইটি মেডেনসহ মাত্র ২৯ রান খরচায় নিলেন চার উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচে ওভার প্রতি ৮.৯২ করে রান দেওয়া মাশরাফি, এবার ভালো বোলিং করেছেন। রান দিয়েছেন ২.৭৬ করে, নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ২ উইকেট নেন ২২ রানে।
এই ম্যাচে দলে পরিবর্তন আসতে পারে, সেই রকম ঈঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিলো। গুঞ্জন ছিল সাব্বিরকে এই ম্যাচে বাদ দেওয়ার। কিন্তু সাব্বিরকে নয়, মিরাজের বদলে খেলানো হলো সানজামুল ইসলামকে। তবে আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে শূন্য ও এক রান করা সাব্বির তার শেষ সু্যোগটা নষ্ট করেননি।
এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য একটাই, শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়া। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আগে দলের মনোবল বাড়াবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৪৬.৩ ওভারে ১৮১ (জয়েস ৪৬, স্টার্লিং ০, পোর্টারফিল্ড ২২, বালবার্নি ১২, নায়াল ৩০, কেভিন ১০, উইলসন ৬, ডকরেল ২৫, ম্যাকার্থি ১২, মারটাগ ৫*, চেইস ০; রুবেল ০/৪১, মুস্তাফিজ ৪/২৩, মাশরাফি ২/১৮, মোসাদ্দেক ১/২১, সাকিব ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১৩, সানজামুল ২/২২)
বাংলাদেশ: ২৭.১ ওভারে ১৮২/২ (তামিম ৪৭, সৌম্য ৮৭*, সাব্বির ৩৫, মুশফিক ৩*; চেইস ০/৫৫, মারটাগ ০/২৬, ম্যাকার্থি ১/৪২, স্টার্লিং ০/১৪, কেভিন ১/২২, ডকরেল ০/২০।
বাংলা ইনসাইডার/ডিআর
মন্তব্য করুন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) এবারের মৌসুমের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ‘নর্থ লন্ডন ডার্বি’তে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলেছে আর্সেনাল।
রোববার (২৮ এপ্রিল) নিজেদের ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে আর্সেনালকে আতিথ্য জানায় টটেনহ্যাম হটস্পার। এদিন দুই অর্ধে দুই দল দেখিয়েছে দাপট। প্রথমার্ধ ছিল পুরোটাই আর্সেনালময়, আর দ্বিতীয়ার্ধ লেখা টটেনহ্যামের নামে। ম্যাচটা দর্শকদের জন্য পয়সা উশুলই বলা যায়। অফ সাইডে গোল বাতিলের সাথে ডিফেন্ডার, গোলকিপারদের ভুল কী ছিল না ম্যাচেটিতে?
তবে শেষ পর্যন্ত চাপটা ভালোই সামলেছে আর্সেনাল। আর তাতে জয় মিলেছে ৩-২ গোলের ব্যবধানে। এই জয়ে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচ নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনার রেকর্ড গড়লো আর্সেনাল।
ম্যাচটা জিতে সিটিকে কিছুটা চাপেই ফেললো তারা। আজ রাতেই মাঠে নামবে পেপ গার্দিওলার দল। পা হড়কালেই যে তারা শিরোপা দৌড় থেকে পিছিয়ে পড়বে আর্সেনাল থেকে। ৩৫ ম্যাচ শেষে গানারদের পয়েন্ট ৮০। দুইয়ে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭৬। যদিও দুই ম্যাচ কম খেলেছে তারা।
ম্যাচের ১৩ মিনিটেই প্রথম গোল পায় আর্সেনাল। অবশ্য কাই হাভার্টজের সেই গোল কাঁটা পড়ে অফ সাইডের ফাঁদে। হতাশা ভুলতে গানাররা সময় নেয়নি খুব একটা। ১৬ মিনিটেই মেলে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার পিয়েররা হোজবার্গের কল্যাণে প্রথম গোল মেলে আর্সেনালের। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে প্রবাশ করিয়ে দেন টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার।
গোল খেয়ে জবাব দিতে মরিয়া টটেনহ্যামও। ২৩ মিনিটে ফেরে সমতায়ও। তবে মিকি ভ্যান ডির গোলে এবার বাঁধ সাধলো অফ সাইড। ফলে স্কোরলাইন থাকে ১-০ তেই। মিনিট চারেক বাদে আর্সেনালের লিড দ্বিগুণ করেন বুকায়া সাকা। কাই হাভার্টজের লং পাস ধরে দারুন এক গোলই করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। আর তাতে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় টটেনহ্যাম।
৩৮ মিনিটে আগের গোলে অ্যাসিস্টের ভূমিকায় থাকা হাভার্টজ নাম তোলেন স্কোরশিটে। কর্নার থেকে অনেকটা ফাঁকা জায়গায়ই বল মেলে তার। আলতা করে ছুঁয়ে দেন মাথা, বল খুঁজে নেয় জাল। আর প্রথমার্ধেই ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় আর্তেতার দল।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই শুরু করে কিছুটা ঢিমেতালে। তারমাঝেও সুযোগ মেলে দু’দলেরই। ৫০ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হেড অল্পের জন্য চলে যায় বাইরে। আর মিনিট তিনেক বাদে সাকার সামনে আসে সুযোগ। তবে টটেনহাম গোলকিপারে দারণ সেইভে হতাশ হতে হয় তাদের।
৬৪ মিনিটে টটেনহাম সমর্থকদের উল্লাসের সুযোগ করে দেন আর্সেনাল গোলকিপার ডেভিড রায়া। তার ভুলে ফাঁকা জায়গায় বল পান রোমেরো। গোলকিপারকে একা পেয়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার করেননি ভুল। আলতো টোকায় বল জড়ান জালে।
আর ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ পুরটাই জমিয়ে তুলেন সন হিউং-মিন। শেষ কয়েকটা মিনিট ছিল রোমাঞ্চে ভরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিজেদের কাজটা ভালো ভাবেই করতে পেরেছে আর্সেনাল। আর তাতে সঙ্গী হয়েছে তিন পয়েন্ট।
মন্তব্য করুন
বছর ঘুরে আবারও ধুম পড়েছে টি-২০ বিশ্বকাপের। ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করা শুরু করেছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে কিউইরাও। বরাবরই আগেভাগে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করার রীতি রয়েছে নিউজিল্যান্ডের। সেই ধারায় এবারও সবার আগে দল ঘোষণা করল তারাই।
শক্তিশালী স্কোয়াডে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞদের, পাশাপাশি প্রথমবারের মত ২০ ওভারের বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রও। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সোমবারের ঘোষিত স্কোয়াডে অধিনায়ক হিসেবে আছেন নিয়মিতভাবে দায়িত্বটি পালন করা কেন উইলিয়ামসনই। দলে জায়গা পেয়েছেন দুই অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের আসর উইলিয়ামসনের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে, আর অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাউদির ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে সপ্তমবারের মত। আর বোল্টের পঞ্চম।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দেওয়া অলরাউন্ডার রাচিন গেল কয়েক মাসে অন্য দুই ফরম্যাটেও খেলছেন নিয়মিত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার ডাক পাওয়াটা তাই অনুমিতই ছিল। এই মূহুর্তে তিনি ব্যস্ত আইপিএলে, খেলছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে।
তিনি ছাড়া প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন পেসার ম্যাট হেনরিও। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে অভিজ্ঞ এই পেসারের। এছাড়া দলে আছেন দুই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম ও গ্লেন ফিলিপসও। গোড়ালিতে চোট পাওয়ার পর অস্ত্রোপচারের করানো অ্যাডাম মিলনে দলে জায়গা মেলেনি। আরেক পেসার কাইল জেমিসনকেও তার পিঠের চোটের পুনর্বাসন চালিয়ে যাওয়ার কারণে দলের বাইরে রাখা হয়েছে।
স্কোয়াডের ১৫ সদস্যের সাথে ইনজুরি কভার হিসাবে দলের সাথে ভ্রমণ করবেন পেসার বেন সিয়ার্স। আগামী ১ জুন শুরু হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ স্কোয়াড : কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি।
নিউজিল্যান্ড টি-২০ বিশ্বকাপ ট্রেন্ট বোল্ট রাচিন রবীন্দ্র
মন্তব্য করুন
চলতি
লীগ ওয়ানের নিজেদের ঘরের মাঠে লে হাভরের সাথে ড্রয়ের পর শিরোপার অপেক্ষা বেড়েছিল পিএসজির।
তবে অলিম্পিক লিঁওর কাছে মোনাকোর হারে অপেক্ষার অবসান ঘটল পিএসজির। এতে লিগ-১ এ তিন
ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতল প্যারিসিয়ানরা।
গতকাল পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা মোনাকোর মুখোমুখি হয়েছিল অলিম্পিক লিঁও। ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে মোনাকোকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এতে তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতে নিল পিএসজি।
এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই উইসাম বেন ইয়েদেরের গোলে এগিয়ে যায় মোনাকো। তবে ম্যাচের ২২তম মিনিটেই সমতা ফেরায় লিওঁ। স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেন আলেকসঁদ লাকাজেত।
মন্তব্য করুন
৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে
আজ ঢাকায় পৌঁছেছে সিকান্দার রাজার নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। আগামী ৩ মে থেকে
শুরু হবে এই টি-২০ সিরিজ।
ঢাকায় পৌঁছে সেখান থেকে সরাসরি
চট্টগ্রামে উড়ে যায় জিম্বাবুয়ে দল। আগামী ৩ মে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে
সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর ৫ ও ৭ মে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে।
এবং ১০ ও ১২ মে ঢাকায় সিরিজের শেষ ২ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের
জন্য ইতিমধ্যেই নাজমুল হাসান শান্তকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
এবং সিকান্দার রাজাকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন
শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লা রিয়াদ,
জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম
হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন, সাইফ হাসান।
জিম্বাবুয়ে দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক),
ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইন্সলে এনডিলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।
বিসিবি জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ টি-২০
মন্তব্য করুন
জেতাটা অসম্ভব, তবুও চমকের মাধ্যমে ফিরে আসা। প্রায় দুই দশকের
ও বেশি সময় ধরে সেই একই কাজ করে নিজেদেরকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলেছে চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের রাজা রিয়াল মাদ্রিদ। চলতি মৌসুমে সেই পথটাই বেছে নিয়েছে বায়ার লেভারকুসেন।
বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখে আসছে তারা। চমকে দিচ্ছে ফুটবল বিশ্বকে। কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলতে হচ্ছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’
স্টুর্টগার্টের বিপক্ষেও লেভারকুসেন অবাক করেছে সবাইকে। একেবারে শেষ মূহর্তে তারা আরও একবার ফিরে আসার গল্প লিখেছে তারা। তাতে অনেকেই এই লেভারকুসেনকে মেলানো শুরু করেছে রিয়ালের সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো দুই ক্লাবকে মিলিয়ে বানানো হচ্ছে নানা ধরনের ‘মেমে’-ও।
আগের ম্যাচে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে ড্র করেছিল লেভারকুসেন। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এই নিয়ে ১৩ বার ৯০ মিনিটের পর ম্যাচ বের করে এনেছে জাবি আলোনসোর দল। সব মিলিয়ে ৩৩৬ দিন অপরাজিত দলটা। ৪৬ ম্যাচ তাদের কেউ হারাতে পারেনি কোনো প্রতিযোগিতায়।
পরিসংখ্যানগুলো যে কাউকেই চমকে দেওয়ার কথা। আগের মৌসুমে এক পর্যায়ে রেলিগেশন জোনে থাকা দলটা এই মৌসুমে এসে পাঁচ ম্যাচ হাতে নিশ্চিত করে বুন্দেসলিগার শিরোপা। আছে অপরাজিত থেকে ট্রেবল জেতার দৌড়েও।
এমন অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড ঘটিয়ে চলা দলটার কোচ আলোনসোরও বিশ্বাস হচ্ছে না কি করছে তার দল। “ফুটবলে এমনটা আমি দেখিনি, এটা বর্ণনা করা বেশ কঠিন। গেল সপ্তাহের ম্যাচে আমি কিছুটা আবেগি হয়ে গিয়েছিলাম, তবে আজকেরটা বিশ্বাস করার মতো না।”
কথার সাথে কাজের মিলটাও দেখা গেছে আলোনসোর। গেল সপ্তাহে তার দল যখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে ম্যাচটা শেষ মূহর্তের নাটকীয়তায় ড্র করেছিল তখন আবেগটা প্রকাশ করতে বেশ লাফিয়েছিলেন তিনি। তবে স্টুটগার্টের বিপক্ষে ছিলেন স্থির। তার ফুটবলাররা উল্লাসে মাতলেও সাইডলাইনে আনন্দটা বুঝিয়েছে মুচকি হাসিতেই।
হয়তো মূল আনন্দটা জমিয়ে রাখছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। ট্রেবল জেতার
স্বপ্নটাও হয়তো উঁকি দিচ্ছে তাকে। কে জানে মৌসুমে বাকী সাত ম্যাচে আরও কি চমক তারা দেখায়।
লেভারকুসন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
মন্তব্য করুন