ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিদায় ফার্নান্দো তোরেস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ২৪ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

ফার্নান্দো তোরেস। ১৮ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন জাপানিজ ক্লাব সাগান তসু’র জার্সি গায়ে। ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারের তকমা গায়ে মেখে উঠিয়ে রাখলেন বুটজোড়া। যদিও শেষটা ভাল হলো না এই স্প্যানিয়ার্ডের। বিদায়ী ম্যাচে ইনিয়েস্তার ভিসেলে কোবের কাছে ৬-১ গোলের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে তোরেসের দলকে। 

ফুটবলে যদি ‘নন-ননসেন্স প্লেয়ার’ নামে কোনো খেলোয়াড়কে আখ্যায়িত করা যায়, ফার্নান্দো তোরেস তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। লিভারপুলে গোল করার সহজ সুযোগ পেয়ে তোরেস কাজে লাগাতে পারেননি, সেটা কখনো হয়নি। যার দরুন লিভারপুল সমর্থকেরা ‘He gets the ball and scores again’ নামক একটি জনপ্রিয় গান গাইত সবসময়।

অসামান্য ড্রিবল করার সামর্থ্য তার ছিলো না, চমকে দেবার মতো শারীরিক সক্ষমতাও তার ছিলো না। তবে মোক্ষম সময়ে সঠিক স্থানে চলে যাবার মতো দক্ষতা তার ছিলো, যে কারণে তিনি পেয়েছিলেন সেরা স্ট্রাইকারের খেতাব। দারুণ সেন্স অফ হিউমার আর প্রবল গতিতে দৌড়ানোর দক্ষতার কারণে স্টিফেন জেরার্ডের সাথে তোরেসের বনিবনা হতো দারুণ।

স্পেনের ফুটবলের সেরা প্রজন্মের অন্যতম নায়ক তোরেস। স্পেনের টানা দুই ইউরো এবং একটি বিশ্বকাপ জয়ে দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। ২০০৮ সালের ইউরোর ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন তোরেস। আর ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচও নির্বাচিত হন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়েও দলে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।

ফিফার সেরা দলে দুইবার জায়গা করে নিয়েছিলেন তোরেস। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে ফিফার সেরা একাদশের অন্যতম ফুটবলার ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০০৮ সালের ব্যালন ডি অরের তৃতীয় স্থান অর্জন করেন তিনি।

লা রোহাদের হয়ে মোট ১১ বছর খেলেছেন তোরেস। ২০০৩ সালে অভিষেকের পর ২০১৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেছেন। স্পেনের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ১১০ ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করেছেন ৩৮ বার। তোরেসের সামনে রয়েছেন ডেভিড ভিয়া (৫৯ গোল) ও রাউল (৪৪ গোল)। ২০১২ ইউরো ও ২০১৩ কনফেডারেশন্স কাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতছিলেন তিনি।

অ্যাথলেটিকোর জার্সি গায়ে চড়িয়ে ২০০১ সালে ক্লাব ফুটবলে যাত্রা শুরু তোরেসের। এরপর কেবল সামনে এগিয়ে চলা। ক্যারিয়ারের সব থেকে বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন অ্যাতলেটিকোর জার্সি পরেই। এরপর ২০০৭ সালে পাড়ি জমান ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে। লিভারপুলের হয়ে ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চার মৌসুমে ১০৫টি ম্যাচ খেলেন। আর নামের পাশে যোগ করেন ৬৫টি গোল। এর আগে অ্যাতলেটিকোর হয়ে ২১৪ ম্যাচে করেছেন ৮২টি গোল।

২০১১ সালে লিভারপুল অধ্যয়ের সমাপ্তি টেনে যোগ দেন লন্ডনের ক্লাব চেলসিতে। সেখানে খেলেছেন ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এই চার মৌসুমে ব্লুজদের হয়ে তোরেস ১১০ ম্যাচে ২০টি গোল করেছেন। চার বছর পর পাড়ি জমান ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানে। তবে সে সময় মিলানের সাফল্যের সুর্যটা ডুবতে শুরু করেছিল।

নিজের ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তোরেস। যেখানে শুরু করেছিলেন, সেই অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের জার্সি গায়ে আবারো ফিরেছিলেন ক্যারিয়ারের শেষভাগে। তবে সেখানেও ভাগ্য ফেরেনি তার। অবশেষে তার শেষ ম্যাচটা খেলতে হলো জাপানি ক্লাব সাগান তসুর হয়ে।

অনেকে হয়তো ফার্নান্দো তোরেসকে স্মরণে রাখবে চেলসি ফ্লপ হিসেবে, তবে লিভারপুলে কাটানো তার দুর্দান্ত সময়কে চেলসির ব্যর্থ সময় দিয়ে যে কখনো চাপা দেওয়া যাবে না। লিভারপুল ছেড়ে যাবার কারণে তোরেসকে অনেক লিভারপুল সমর্থক এখনও ঘৃণার চোখে দেখে। ঘৃণা, অভিমান থাকলেও লিভারপুলে তিন বছরের রোমাঞ্চকর তোরেস অধ্যায় ভুলে যাওয়ার সাধ্য কারও আছে?

বাংলা ইনসাইডার/এসএম  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরও এক শিরোপা জয়ের হাতছানি লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমে বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখেছে বায়ার লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। যার জন্য কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

লেভারকুসেনের এই সাফল্য এসেছে জাবি আলোনসোর হাত ধরে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।

এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।

রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।

যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।

এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।

স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।

আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।


বায়ার লেভারকুসেন   রোমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার লিও মেসি

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে ক্লাব ফুটবলে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে পাড়ি দিয়ে নানান স্বীকৃতিই পেয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথমবারের মতো এমএলএসের মাসসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

হ্যামস্ট্রিং-এর চোট থেকে ফিরে গত এপ্রিল মাস জুড়ে দারুণ পারফর্ম করায় এই স্বীকৃতি পেয়েছেন মেসি। গত ৬ এপ্রিল দলে ফিরেই গোল উৎসবে মাতেন মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা।

গত এপ্রিলে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যেখানে ৬ গোল করেছেন তিনি। গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার। স্বাভাবিকভাবেই লিগের মাসের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।

মেসি দলে ফেরার জয়ে ফিরেছে মায়ামি। টানা ৪ ম্যাচে অপরাজিত মায়ামি বর্তমানে লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে শীর্ষে মায়ামির পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২১।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন