ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টি আইন ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ০৭ জুন, ২০১৭


Thumbnail



চলছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০১৭। এবারের আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস এ। আর এবাবের আসরে প্রায়ই হানা দিচ্ছে বেরসিক বৃষ্টি। যার কারণে আসরের অন্যতম ফেবারিট অস্ট্রেলিয়ার কোন ম্যাচই খেলা হয়নি ঠিকমতো।

বৃষ্টি সেই আদিকাল থেকেই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শত্রু। খেলাধুলার দুনিয়ায় টেনিস ছাড়া আর কোনো খেলাকে ক্রিকেটের মতো এতটা প্রভাবিত করতে পারে না বৃষ্টি। আকাশ থেকে দু’ফোটা বৃষ্টি ঝরে পড়লেই খেলাটার চরিত্র বদলে যায়। বল পিছলে হয়ে যায়, বোলাররা রানআপ ঠিক রাখতে পারেন না, ব্যাটসম্যান বল দেখতে পান না, ফিল্ডাররা পিছলে পড়ে যান, সবমিলে খেলাই আর সম্ভব হয় না। ঝড়ো বৃষ্টিতে তো কোনো খেলাই চলে না, ফুটবল-হকিও চলে না। তবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে এসব খেলা চলে। ক্রিকেটেও একেবারে শুরুর দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে খেলা চালানো হতো। সে রকম খেলা চালাতে গিয়ে বিকট সব অভিজ্ঞতা হয়েছে দু’দলের, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড টেস্ট দলের।

একটা ম্যাচের গল্প করা যাক। ১৯৩৬-৩৭ সালের ঘটনা। এমসিসির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান একাদশের ৫ ম্যাচের সিরিজ চলছে। তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করছিল। ১৮০ রান পর্যন্ত তরতর করে ব্যাট করে চললো তারা। এরপরই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হলো। তখন অস্ট্রেলিয়া ২০০ রানে পৌঁছালোই জীবন দিয়ে, এক গাদা উইকেট হারিয়ে ফেললো তারা এই সময়ে। এরপর আর ব্যাটিং না করে বৃষ্টিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিং করানোর জন্য ইনিংস ঘোষণা করে দিলো। ইংল্যান্ড ৩০ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে ডিক্লেয়ার করে দিলো। এবার অস্ট্রেলিয়া আবার সেই বিপদে। তবে অস্ট্রেলিয়া একটা বুদ্ধি করলো। তারা বোলারদের, মানে নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের সেই বৃষ্টির বিকেলে ব্যাটিং শুরু করতে পাঠালো। গোটা তিনেক উইকেট পড়লো। তবে পরদিন সকালে বৃষ্টি চলে যাবার পর ব্যাটসম্যানরা ঠিকই ব্যাট করতে নেমে এলেন। ফলে বুঝতেই পারছেন, সেই সময়ে বৃষ্টিটা কী ভয়ানক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতো খেলার জন্য।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে বৃষ্টি হলে যে নিয়মে খেলা পরিচালিত হয় তার নাম হয়ত সবাই জানেন কিন্তু এই মেথডের কথা মাথায় এলেই কিছু দুর্বোধ্য সমীকরণ মাথায় চলে আসে। অধিকাংশ মানুষই এই মেথড সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। আসুন জেনে নেওয়া যাক বৃষ্টি আইন বা ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড সম্পর্কে;

ডিএল মেথড

২০০১ সালে ক্রিকেট খেলার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে। তবে ডি এল মেথডের প্রথম ব্যবহার ঘটে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে বনাম ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ম্যাচে। ঐ খেলায় জিম্বাবুয়ে ডি/এল মেথডে ৭ রানে জয়ী হয়। প্রধান মানদণ্ড হিসেবে বৃষ্টিবিঘ্নিতজনিত কারণে ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ফলাফলের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্যকরণের হিসাব-নিকাশে এ পদ্ধতির গুরুত্বকে বিশেষভাবে বিবেচনায় আনে আইসিসি।

স্মরণযোগ্য যে, পূর্বে অনুসৃত ওভারের সেরা রানের পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক পর্যায়ে ১ বলে ২১ রান করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়। অথচ, ১ বলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৬ রান তোলা যায়। বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় এ বিতর্কের অবসান ঘটেছে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে। নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শেষ করার পূর্ব মুহুর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রানের। কিন্তু সংক্ষিপ্ত বৃষ্টি পর্বের ফলে পুণরায় তাদেরকে ২১ রান করতে বলা হয় মাত্র ১ বলে যা ছিল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিতর্কের বিষয়। যদি ডি/এল মেথড প্রয়োগ করা হতো তাহলে ঐ খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে চার রান করলে টাই কিংবা পাঁচ রান করলে জয়লাভের জন্য নির্দেশনা দেয়া যেত।

বৃটিশ নাগরিক – পরিসংখ্যানবিদ ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ এবং গণিতজ্ঞ টনি লুইস ডি/এল মেথড বা ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির প্রধান প্রবক্তা। ডাকওয়ার্থ এর জন্ম ১৯৩৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর। টনি লুইসের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। দু’জনেরই জন্ম ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারে।

এই মেথড চালু হবার আগে আরও দুটি মেথড চালু ছিল। এর মধ্যে বেশি প্রচলিত ছিল MPO মেথড বা Most Productive Over Method. এই পদ্ধতি অনুসারে ২য় ইনিংসে ব্যাটিং করা দলের যত ওভার কমানো হবে, সেই ওভার গুলো হবে প্রথমে ব্যাট করা দলের সবচেয়ে কম রান পাওয়া ওভার। অর্থাৎ পরে ব্যাট করা দলের যদি ১০ ওভার কমে যায়, তাহলে প্রথমে ব্যাট করা দল যেই ১০ টি ওভারে সবচেয়ে কম রান করেছে, সেই ১০ ওভারের রানই কমে যাবে টার্গেট থেকে। এই পদ্ধতির বড় গলদ ধরা পড়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল ম্যাচে। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১ বলে ২২ রানের অবাস্তব টার্গেট দেয়া হয়।

বৃষ্টি বা অন্যান্য কারণে যদি ম্যাচের পুরো ওভার শেষ করা না যায়, তাহলে ডিএল মেথড ব্যবহার করা হয়। এই মেথড ওয়ানডে এবং টি টুয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যবহার করা হয়। আমাদের আলোচনা হবে ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে। ডিএল মেথড অনুযায়ী কোনো ওয়ানডে ম্যাচের ফল তখনই ঘোষিত হবে যখন উভয় ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলা হবে।

প্রথমতঃ যদি ম্যাচের আগেই বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচ ঘোষণা করা হয় এবং উভয় পক্ষকেই রিডিউসড ওভার খেলতে দেয়া হয় এবং ম্যাচের মধ্যে আর কোনো ওভার কাটা না লাগে, সেক্ষেত্রে ডিএল মেথড প্রযোজ্য হবেনা। যেমন, হয়তো বৃষ্টি হয়েছে ম্যাচের আগে, একটা সময় বৃষ্টি থেমে মাঠ খেলার উপযোগী হল, কিন্তু এতে কিছু সময় নষ্ট হওয়ায় ৫০ ওভারের বদলে উভয় পক্ষকে ৪০ ওভার দেয়া হল খেলার জন্য এবং দুই দলই পুরো ৪০ ওভার করে খেলার সুযোগ পেল। এক্ষেত্রে ডিএল মেথড প্রযোজ্য হবেনা। কেননা এক্ষেত্রে ইনিংস শুরুর আগে সবারই রান শুন্য এবং উইকেটের ঘরেও শুন্য এবং প্রত্যেকেই জানে রিডিউসড ওভারের কথা।

যদি প্রথম ইনিংসে কোনো বিঘ্ন ঘটে, যাতে প্রথম ইনিংস শুরুর পরে সেটাকে রিডিউস করা হয়, কিন্তু সেই রিডিউসড ওভারের সমান ওভারই দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে দেয়া হয় তখন প্রথম ইনিংস শেষে দ্বিতীয় ইনিংসের টার্গেট পুনরায় সেট করা হয়। এটা হাতে কত ওভার ছিল, কত রান হয়েছে আর কত উইকেট ছিল এটার উপর ভিত্তি করে করা হয়। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে টার্গেট বাড়ানো হয় দ্বিতীয় ইনিংসে, কেননা প্রথম ইনিংসের কিছুটা অংশ জুড়ে ব্যাটিং দল ভেবেছিল তাদের হাতে আরও ওভার আছে। সেক্ষেত্রে আগে জানলে তারা আরও দ্রুত রান নেয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাটিং করতে পারতো। সেই রানটা ব্যালান্স করে দেয়া হয় টার্গেট পুনর্নির্ধারণ করে বাড়িয়ে।

যদি দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো বিঘ্ন ঘটে এবং এর জন্য দ্বিতীয় ইনিংসের ওভার সংখ্যা কমাতে হয়, তাহলে ডিএল মেথড অনুযায়ী হাতে থাকা রান, ওভার ও উইকেট অনুযায়ী তাদের টার্গেট পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

প্রশ্ন আসতেই পারে এই নির্ধারণ কিসের ভিত্তিতে করা হয়? এটা করা হয় “রিসোর্সের” ভিত্তিতে। এই রিসোর্স হল হাতে থাকা ওভার এবং উইকেট মিলিয়ে একটা পার্সেন্টেজ। উদাহরণ হিসেবে এখানে একটি টেবিল দেয়া আছে যেখানে ৫ ওভার পর পর এবং উইকেট হাতে থাকার ভিত্তিতে রিসোর্স দেখানো হয়েছে। প্রতিটি বলের বিস্তারিত হিসাব আছে সম্পূর্ণ টেবিলে।

ব্যবহার নির্দেশিকা ও প্রয়োগ
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি খুবই স্বাভাবিকভাবে প্রয়োগ করা হয়। এজন্যে পূর্ব থেকেই প্রস্তুতকৃত একটি টেবিল বা ছক এবং কিছু সাধারণ গাণিতিক হিসাব-নিকাশের প্রয়োজন রয়েছে। স্বল্প বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় ফলাফল নির্ণয়কল্পেই এ পদ্ধতির সফলতা প্রধান বিবেচ্য বিষয় ও নির্ভরশীল। সেজন্যে -

৫০ ওভারের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে প্রত্যেক দলকে কমপক্ষে ২০ ওভার বলের মুখোমুখি হতে হবে।

আধুনিক ক্রিকেটের নব সংযোজন টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলায় এ পদ্ধতি অনুসৃত হতে হলে উভয় দলকে কমপক্ষে ৫ ওভার বা ৩০ বল খেলতে হবে।

ডিএল মেথড যেভাবে অ্যাপ্লাই হবেঃ
১. ইনিংসের শুরুতে রিসোর্স পার্সেন্টেজ যত ছিল
২. বিরতির ফলে যেটুকু রিসোর্স নষ্ট হবে
৩. বাকি যা রিসোর্স থাকবে

এখন, পরে ব্যাট করা দলের রিসোর্স যদি প্রথমে ব্যাট করা দলের থেকে কম হয়, তাহলে দুই দলের বাকি থাকা রিসোর্সের রেশিও করতে হবে। এরপর পরে ব্যাট করা দলের টার্গেট হবে প্রথমে ব্যাট করা দলের স্কোর কে সেই রেশিও দিয়ে ভাগ করে।

যদি পরে ব্যাট করা দলের রিসোর্স প্রথমে ব্যাট করা দলের রিসোর্সের থেকে বেশি হয়, তাহলে ১ম দলের রিসোর্স কে ২য় দলের রিসোর্স থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এরপর এটাকে ২২৫ এর পার্সেন্টেজ বানাতে হবে (আইসিসি নির্ধারিত ওয়ানডের গড় স্কোর)। এরপর সেটাকে প্রথমে ব্যাট করা দলের রানের সাথে যোগ করে পরে ব্যাট করা দলকে টার্গেট দিতে হবে।

১ম উদাহরণঃ (২য় দলের ইনিংসের মাঝে ওভার কার্টেল হলে)
প্রথমে ব্যাট করে টিম ‘এ’ ৫০ ওভারে ২৫০ রান করলো। চেজ করতে নেমে টিম ‘বি’ ৪০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান করলো এমন অবস্থায় বৃষ্টিতে খেলা স্থগিত হয়ে গেল।

এখানে, টিম ‘এ’ পুরো ৫০ ওভারে খেলেছে, তাই তাদের রিসোর্স = ১০০%
টিম ‘বি’ এর শুরুতে রিসোর্স ছিল = ১০০%
৪০ ওভার শেষে টিম ‘বি’ ৫ উইকেট হারিয়েছে, টেবিল অনুযায়ী তাদের রিসোর্স বাকি = ২৬.১%
টিম ‘বি’ এর মোট ব্যবহৃত রিসোর্স = ১০০-২৬.১=৭৩.৯%
এখানে টিম ‘বি’ এর রিসোর্স ‘এ’ থেকে কম, সুতরাং ‘বি’ এর টার্গেট হবে মেইন টার্গেটের ৭৩.৯/১০০ গুণ।
টিম ‘এ’ এর স্কোর ছিল ২৫০, তাই টিম ‘বি’ এর টার্গেট হবে ২৫০x৭৩.৯/১০০=১৮৪.৭৫=১৮৫

যেহেতু ম্যাচ আর হয়নি, সেহেতু বিজয়ী ঘোষণা হবে টিম ‘বি’ এই টার্গেট অতিক্রম করেছে কিনা এটা দেখে। যেহেতু টিম ‘বি’ ১৯৯ রান করেছে, তারা ১৮৫ থেকে ১৪ রান বেশি করেছে, ফলে তারা ১৪ রানে বিজয়ী হয়েছে পরে ব্যাট করা সত্বেও।

২য় উদাহরণঃ
 ২য় ইনিংসের মাঝপথে খেলা স্থগিত হয়ে কিছু ওভার কেটে আবার চালু হলেঃ
ধরা যাক, ৪০ ওভারের কার্টেল ম্যাচে ১ম ইনিংসে ব্যাট করে টিম ‘এ’ ২০০ রান করলো এবং টিম ‘বি’ ৩০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪০ করলো। এ অবস্থায় বৃষ্টির জন্য ৫ ওভার খেলা স্থগিত থাকার পর আবার শুরু। এ অবস্থায় টিম ‘বি’ এর নতুন টার্গেট কি হবে?

টিম ‘এ’ ৪০ ওভার খেলেছে প্রথম থেকে, সুতরাং তাদের রিসোর্স = ৮৯.৩%
টিম ‘বি’ এর ইনিংস শুরুর সময় রিসোর্স (৪০ ওভার হবার কথা) = ৮৯.৩%
৩০ ওভার শেষে টিম ‘বি’ এর ১০ ওভার হাতে ছিল এবং ৫ উইকেট হাতে ছিল, এই অবস্থায় রিসোর্স = ২৬.১%
৫ ওভার কাটা যাওয়ায় খেলা নতুন করে শুরু হলে ৫ ওভার হাতে থাকলো, এই অবস্থায় রিসোর্স থাকলো = ১৫.৪%
সুতরাং, রিসোর্স কাটা গেল ২৬.১-১৫.৪=১০.৭%
অর্থাৎ রিসোর্স বাকি থাকলো = ৮৯.৩-১০.৭=৭৮.৬%
টিম ‘বি’ এর রিসোর্স ‘এ’ থেকে কম, সুতরাং ‘বি’ এর টার্গেট হবে মেইন টার্গেটের ৭৮.৬/৮৯.৩ গুণ।

যেহেতু টিম ‘এ’ ২০০ করেছে, সুতরাং টিম ‘বি’ এর টার্গেট হবে ২০০x৭৮.৬/৮৯.৩=১৭৬ রান।
যেহেতু তারা ১৪০ রান করেছে, সুতরাং বাকি ৫ ওভারে তাদের করতে হবে আরও ৩৬ রান।

৩য় উদাহরণঃ (১ম ইনিংসে ইন্টারাপশন হলে)
ধরি, ৫০ ওভারের ম্যাচে টিম ‘এ’ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ করলো, এই অবস্থায় বৃষ্টির কারণে ওভার কাটা যাওয়ায় ১ম দলের ইনিংস শেষ ঘোষণা করা হল এবং টিম ‘বি’কে ২৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ দেয়া হল। এখন টিম ‘এ’ জানতো না যে তাদের ইনিংস ২৫ ওভারে শেষ হবে, কিন্তু টিম ‘বি’ ২৫ ওভার জেনেই মাঠে নামছে, এটা টিম ‘এ’ এর জন্য আনফেয়ার হয়ে যায়। ফলে টিম ‘বি’ এর টার্গেট বেশি দেয়া হয়।

টেবিলে দেখতে পাবো, টিম ‘এ’ মাত্র ২৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাওয়ায় এবং ২ উইকেট হারানোয় তাদের ৬০.৫% রিসোর্স বাকি ছিল। যেহেতু ১০০% রিসোর্স থাকা অবস্থায় ইনিংস শুরু করেছে সুতরাং তারা মাত্র ১০০-৬০.৫=৩৯.৫% রিসোর্স ব্যবহার করতে পেরেছে।

টিম ‘বি’ ২৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাবে। তাদের হাতে ১০ উইকেট থাকায় রিসোর্স হবে ৬৬.৫%। ফলে টিম ‘বি’ এর হাতে ৬৬.৫-৩৯.৫=২৭% বেশি রিসোর্স থাকবে টিম ‘এ’ এর তুলনায়। সুতরাং তাদেরকে ২২৫ এর ২৭% অর্থাৎ ৬০.৭৫ রান বেশি করতে হবে টিম ‘এ’ থেকে (৫০ ওভারের ওয়ানডের এভারেজ স্কোর ২২৫ ধরা হয়)।

সুতরাং টিম ‘বি’ এর টার্গেট হবে ১০০+৬০.৭৫=১৬০.৭৫ বা ১৬১ রান ২৫ ওভারে। এভাবে ‘বি’ টিমের আগে থেকে জেনে ২৫ ওভার ব্যাটিং করার সুবিধাটা নিউট্রিলাইজ করা হল।

এছাড়া ১ম ইনিংসের মাঝপথে খেলা স্থগিত হয়ে আবার ১ম ইনিংস শুরু হলে সেক্ষেত্রেও ডিএল মেথড অনুযায়ী টার্গেট কাটাছেড়া হবে।

নিয়মটা আসলেই অনেক জটিল। তবে এটা দিয়ে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া সম্ভব। বর্তমানে ডিএল মেথডের ক্যালকুলেটর আছে যেখানে শুধুমাত্র রান, উইকেট আর ওভার সংখ্যা বসিয়ে দিলেই তারা টার্গেট নির্ধারণ করে দেয়। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড ক্যালকুলেটর থেকে সহজেই আমরা টার্গেট জেনে নিতে পারি।

মেথডটি না বুঝলে কি হতে পারে?
ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড সঠিকভাবে না জানলে কি হয় তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ সেই দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৩ বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে তারা অন্যতম ফেভারিট ছিল। এক পর্যায়ে সুপার সিক্সে উঠতে হলে শ্রীলংকার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিততেই হতো প্রোটিয়াদের। শ্রীলংকার জন্যও অপরিহার্য ছিল জয় তাই সমীকরণ এমন ছিল যে হারলেই বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ৪৫ বলে ৫৭ রান। ৪৫তম ওভারে ড্রেসিংরুম থেকে মার্ক বাউচারকে জানানো হয় ৪৬তম ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ২২৯ তুললেই পরের রাউন্ডে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। মুরালিধরনের করা পঞ্চম বলটিকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন বাউচার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর এক বল বাকি থাকতেই হয় ২২৯। বাউচার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন ভেবে পরের বলটি ধীরে সুস্থে মিড উইকেটে খেলে কোন রান নিলেন না। এর পরপরই আকাশ ভেঙে নামলো তুমুল বৃষ্টি। হঠাৎই দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রেসিংরুমে রাজ্যের হতাশা ! অধিনায়ক শন পোলক বসে আছেন গালে হাত দিয়ে। পোলকের হিসাবের ভুলে ছিটকে গেল দল। বাউচারকে পাঠানো বার্তায় পোলক জানিয়েছিলেন ২২৯ রান করলে ম্যাচটি জিতবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু আসল জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ২৩০ রান।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর 


 

Save

Save

Save



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ‍লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বোর্নমাউথকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।

আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।

শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।

মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।

গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।

এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।


আর্সেনাল   বোর্নমাউথ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রকাশিত হল নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরেই বাংলাদেশের মাটিতে গড়াতে যাচ্ছে আইসিসি নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ১০ দল। ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এ আসরের।

আসন্ন এ টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ করেছে আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ৩ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড নারী দল।

ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়। দিনের অন্য ম্যাচে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দল। ম্যাচটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, সন্ধ্যা ৭টায়।

এবারের আসরের সবগুলো ম্যাচ হবে ঢাকা ও সিলেটে। দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এবারের আসরে অংশগ্রহণ করবে দলগুলো। যার মধ্যে গ্রুপ এ-তে রয়েছে: অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং কোয়ালিফায়ার ১। আর গ্রুব বি-তে রয়েছে: বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও কোয়ালিফায়ার ২।

এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি-




আইসিসি   ক্রিকেট   নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দশ বছর পর আবারও বাংলাদেশে বিশ্বকাপ, গণভবনে ট্রফি উন্মোচন

প্রকাশ: ০৩:১২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরেই বাংলাদেশের মাটিতে গড়াতে যাচ্ছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যা দীর্ঘ ১০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে গড়ানো আইসিসির টি-টোয়েন্টি সংস্করণের কোন বড় আয়োজন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে একই সাথে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল বিসিবি। তবে এবার কেবলমাত্র নারীদের টুর্নামেন্টের দায়িত্ব পেয়েছে তারা।

আগামী ৩ অক্টোবর ঢাকায় ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নারী টি২০ বিশ্বকাপের এবারের আসর। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে উন্মোচিত হয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি।

রোববার (৫ মে) গণভবনে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর। এসময় ট্রফি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিশেষ বিমানে ঢাকায় এসে পৌঁছেছিল নারীদের বিশ্বকাপ ট্রফি। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সূচি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের ট্রফিও উন্মোচন করেছে সেখানেও।


আইসিসি   ক্রিকেট   নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়াতে আজ দ্বিতীয় টি-২০তে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে নাজমুল শান্তর দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। বোলিংসহ তিন বিভাগেই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। মূলত প্রথম ম্যাচে একক আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচ জিতেছে স্বাগতিক দল।

পেসার শরিফুল ৪ ওভার বোলিং করে ৩৭ রান দিয়েও ছিলেন উইকেটশুন্য। তবে অপর দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের নৈপুণ্যে ম্যাচে জয় পেতে টাইগারদের কোন সমস্যা হয়নি। তাসকিন-সাইফুদ্দিন উভয়েই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এছাড়া দুই স্পিনার মাহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে মাত্র ১২৪  রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে অভিষেক হওয়া তানজিদ হাসান তামিমের অপরাজিত ৬৭ রানে ১৫.২ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

ওপেনিংসহ মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও সফরকারীদের টেলএন্ডার দৃঢ়তা দেখিয়েছে। মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে ছয় উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে দলীয় ৪১ রানে ৭ উইকেটে পরিনত হয় জিম্বাবুয়ে।

অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইকেটরক্ষক ক্লাইভ মানদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ১৮তম ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ১শতে নিয়ে যান তারা। ১৯তম আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন মানন্দান্দে।

অষ্টম উইকেটে ৬৫ বলে ৭৫ রান যোগ করেন মানদান্দে ও মাসাকাদজা। টি-২০ ভার্সনে বাংলাদেশের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। মূলত তাদের কল্যাণেই এর আগে টি-২০তে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ৮০ রানের কোটা পার করে জিম্বাবুয়ে।

সংক্ষিপ্ত ভার্সনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ ম্যাচে এটা ছিল বাংলাদেশের ১৪তম জয়।  বাকি সাত ম্যাচে পুর্ব আফ্রিকার দেশটির কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকালের ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরতে মরিয়া থাকবে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

জিম্বাবুয়ের দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গি, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, এন্সলি এন্দলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন