ইনসাইড গ্রাউন্ড

রোড টু সেমিফাইনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ১১ জুন, ২০১৭


Thumbnail


এ যেন ১৬ কোটি প্রাণের স্বপ্নপূরণ। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। আর এই সুবাদে প্রথম কোনো আইসিসি’র টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে খেলবে টাইগাররা।

১১ বছর পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে দুর্দান্তভাবে। গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় করেছে ২০১৫ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ `এ` রানার্সআপ হিসেবে সেমিতে উঠেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির `এ` গ্রুপের লড়াই। টানা তিন জয়ে ইংল্যান্ড পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। সেমিফাইনালে পৌঁছানো বাংলাদেশের অর্জন ৩ পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়া নিউজিল্যান্ডের অর্জন ১ পয়েন্ট।

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। এরপর অপেক্ষা ছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ফলাফলকে ঘিরে। শনিবার ইংল্যান্ড বৃষ্টি আইনে ৪০ রানে হারিয়েছে অজিদের। তাতে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর বাংলাদেশ অর্জন করেছে শেষ চারে খেলার যোগ্যতা।

প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে ওঠার সাফল্য নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুটা খুব ভালো হয়নি টাইগারদের। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে হেরে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ১ পয়েন্ট জমা হয় বাংলাদেশের ঝুলিতে। টিকে থাকে সেমিতে খেলার আশা। এরপর তো কিউইদের ৫ উইকেটে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ
আসরের প্রথম ম্যাচেই টাইগাররা মুখোমুখি হয় স্বাগতিকদের বিপক্ষে। সেটা ছিল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল টাইগারদের। তামিম-মুশফিকের জুটির ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ ৩০৫ রান করতে সক্ষম হয়। যদিও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছে, রান হওয়ার কথা ছিল ৩৪০ এর বেশি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, টাইগারদের বাজে বোলিংয়ে খুব সহজেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ইংলিশরা। বাংলাদেশ ম্যাচটা হারে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফির কন্ঠেও শোনা যায় ব্যাটিংয়ে ২০-৩০ রানের আক্ষেপের কথা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ:
 ৫০ ওভারে ৩০৫/৬ (তামিম ১২৮, সৌম্য ২৮, ইমরুল ১৯, মুশফিক ৭৯, সাকিব ১০, সাব্বির ২৪, মাহমুদউল্লাহ ৬*, মোসাদ্দেক ২*; ওকস ০/৪, উড ০/৫৮, বল ১/৮২, স্টোকস ১/৪২, প্লানকেট ৪/৫৯, মইন ০/৪০, রুট ০/১৮)

ইংল্যান্ড: ৪৭.২ ওভারে ৩০৮/২ (রয় ১, হেলস ৯৫, রুট ১৩৩*, মর্গ্যান ৭৫*; মাশরাফি ১/৫৬, সাকিব ০/৯২, মুস্তাফিজ ০/৫১, সৌম্য ০/১৩, মোসাদ্দেক ০/৪৭, রুবেল ০/৬৪, সাব্বির ১/১৩।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচেই হারলেই বিদায় নিতে হতো টুর্নামেন্ট থেকে। সেই সমীকরণ নিয়েই টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু এদিনের শুরুটা মনে হয় বাংলাদেশে নামে লেখা ছিল না। ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ১৮২ রানে অলআউট হয়ে টিম বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে জয়ের বন্দরের দিকেই যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১৬ ওভার শেষে বাদ সাধে বৃষ্টি। পরিশেষে বৃষ্টির আশীর্বাদেই ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশ নিশ্চিত হেরে যাওয়া ম্যাচ থেকে পায় ১ পয়েন্ট। আর সেই সঙ্গে সেমিতে যাওয়ার আশাও টিকে থাকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:বাংলাদেশ: ৪৪.৩ ওভারে ১৮২ (তামিম ৯৫, সৌম্য ৩, ইমরুল ৬, মুশফিক ৯, সাকিব ২৯, সাব্বির ৮, মাহমুদউল্লাহ ৮, মিরাজ ১৪, মাশরাফি ০, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ১*; স্টার্ক ৪/২৯, হেইজেলউড ১/৪০, কামিন্স ১/২২, হেড /৩৩, হেনরিকেস ১/৩০, জ্যাম্পা ২/১৩, ম্যাক্সওয়েল ০/৯)

অস্ট্রেলিয়া: ১৬ ওভারে ৮৩/১ (ওয়ার্নার ৪০*, ফিঞ্চ ১৯, স্মিথ ২২*; মুস্তাফিজ ০/২৭, মাশরাফি ০/৩০, রুবেল ১/২১, মিরাজ ০/৪)


বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড
সেমিফাইনালে যেতে হলে এই ম্যাচটাতে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। টসে হেরে ফ্লিন্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ডকে ২৬৫ রানের মধ্যে বেধে রাখতে সক্ষম হয় টাইগাররা। জবাবে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩৩ রানের মাঝে পরে যায় ৪ উইকেট। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচটাকে নতুনভাবে শুরু করলেন সাকিব-মাহমুদুল্লাহ। এক রেকর্ড পার্টনারশিপে ধুকতে থাকা দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতে নেয় ৫ উইকেটে।   

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড:
৫০ ওভারে ২৬৫/৮ (গাপটিল ৩৩, রনকি ১৬, উইলিয়ামসন ৫৭, টেইলর ৬৩, ব্রুম ৩৬, নিশাম ২৩, অ্যান্ডারসন ০, স্যান্টনার, মিলন ৭, সাউদি; মাশরাফি ০/৪৫, মুস্তাফিজ ১/৫২, তাসকিন ২/৪৩, রুবেল ১/৬০, সাকিব ০/৫২, মোসাদ্দেক ৩/১৩)

বাংলাদেশ: ৪৭.২ ওভারে ২৬৮/৫ (তামিম ০, সৌম্য ৩, সাব্বির ৮, মুশফিক ১৪, সাকিব ১১৪, মাহমুদউল্লাহ ১০২*, মোসাদ্দেক ৭*; সাউদি ৩/৪৫, বোল্ট ১/৪৮, মিলন ১/৫৮, নিশাম ০/৩০, স্যান্টনার ০/৪৭, অ্যান্ডারসন ০/১৯, উইলিয়ামসন ০/১৯)।


ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের সেমিতে যাওয়ার কথা উঠলে, এই ম্যাচের কথা আসবেই। বাংলাদেশ তাদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ঠিকই কিন্তু সেমিতে যাওয়া নিশ্চিত ছিল না। সেমিতে যাওয়ার ভাগ্য নির্ভর করছিল এই একটি ম্যাচের ওপর। ইংল্যান্ড জিতলে বা ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত হলে বাংলাদেশই চলে যাবে সেমিফাইনালে। তবে ইংল্যান্ড হারলে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমিতে।

ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ইংল্যান্ড অসিদের ব্যাটিংয়ে পাঠায়। ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ভালো সূচনার পরও, ইংলিশ বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ২৭৭ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু বেন স্টোকস ও অধিনায়ক মরগ্যানের অসাধারণ এক জুটিতে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের সংগ্রহ যখন ৪০.২ ওভারে ২৪০ রান তখন বাধা দেয় বৃষ্টি।  আর থ্রি-লায়ন্সদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৮ বলে ৩৮ রান। পরে বৃষ্টির কারণে আর খেলা মাঠে না গড়ালে ইংল্যান্ড বৃষ্টি আইনে ৪০ রানে জয় লাভ করে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ চলে যায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে। বাদ পড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

কে হতে পারে সেমির প্রতিপক্ষ?
সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কে হতে পারে, তা আজই জানা যাবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা বা ভারতের মধ্যে কোনো এক দল হবে তা নিশ্চিত। কারণ গ্রুপ `বি`তে চারদলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে প্রথম স্থানে ভারত আর দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৩০ মিনিটে মুখোমুখী হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলা ইন্সাইডার/ডিআর   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল ম্যানইউ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডের সাথে পিছিয়ে পড়ার পরই শঙ্কা জেগেছিল আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার। তবে সে ম্যাচে দারুণভাবেই ফিরে এসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু বার্নলির বিপক্ষে হেরে আটকে গেল রাশফোর্ড-ক্যাসেমিরোরা। এতে করে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ল ম্যানইউ।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ইউনাইটেড ড্র করেছে ১-১ গোলে। আর এই ফলাফলই তাদের আটকে দিয়েছে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা থেকে। তবে ইউরোপা লিগে খেলার স্বপ্নটা এখনো টিকে আছে এরিক টেন হাগের দল।

৩৪ ম্যাচ খেলা ইউনাইটেডের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৪। ম্যাচ বাকি আছে আর চারটা। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ৬৭। বাকী ৪ ম্যাচ জিতলেও যে ভিলাকে টপকাতে পারবে না ইউনাইটেড।

চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললেও তাতে হতাশই ইউনাইটেড।। গ্রুপ পর্ব থেকে নিয়েছিল বিদায়। শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে।

তবে সুযোগ আছে টটেনহামকে টপকে পাঁচে থেকে শেষ করার। অবশ্য সে কাজটাও বেশ কঠিন। নর্থ লন্ডনের ক্লাবটার ৩২ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৬০। দুই ম্যাচ কম খেলেও তারা ইউনাইটেড থেকে বেশ ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড   এফএ কাপ   ফুটবল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিজের কারণ জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এ তালিকায় আছে বাংলাদেশও।

বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে দলগুলোর। এরই মধ্যে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। রোডেশিয়ানদের সঙ্গে সিরিজ শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিবে টিম টাইগার্স। সেখানে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবেন শান্তরা।

তবে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের সঙ্গে সিরিজ খেলা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শনিবার বিকেলে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘প্রস্তুতি (বিশ্বকাপের) সম্পন্ন করার জন্য ঐখানে (যুক্তরাষ্ট্র) যাচ্ছে না। প্রস্তুতি যা হওয়ার এই বিশ্বকাপের আগেই শেষ বা করতে হবে। আর যেহেতু জীবনে প্রথমবার ঐখানে খেলছে, তাই সেখানকার কন্ডিশন বোঝার জন্যই তাদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি। সেটার জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেললাম, না কার সঙ্গে খেললাম; সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কন্ডিশন বোঝার জন্য খেলছে, সেটাই মূল কারণ।’


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার পাকিস্তানের দায়িত্বে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট যেন নতুনভাবে সাজছে। কোচ থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট সবক্ষেত্রেই যেন বদল আসছে বাবরদের দলে। এমনই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশটির ক্রিকেট পেল স্থায়ী কোচ। তাও একজন না, সাদা এবং লাল বলের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সাদা বলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার গ্যারি কারস্টেনকে নিয়োগ দিচ্ছে তারা। ২০১১ সালে ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন সাবেক এই প্রোটিয়া তারকা। এবার তার মিশন পাকিস্তানকে নিয়ে।

একইদিনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট ফরম্যাটের জন্য জাতীয় দলের কোচ পদে নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। আর সব ফরম্যাটেই দুই বিদেশী কোচের জন্য সহকারী কোচ হিসেবে থাকছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ।

আজ রোববার লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দুই কোচ নিয়োগের কথা জানান। কোচ হিসেবে অবশ্য কারস্টেনকেই আগে পাচ্ছেন বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিরা। ২২ মে থেকে লিডসে চার ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তান। সেই সিরিজেই কারস্টেনকে পেতে পারে পিসিবি।

সেই সিরিজের শেষ হচ্ছে ৩০ মে। এরপরেই বাবর আজমরা উড়াল দেবেন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।  

কোচ হিসেবে ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতানো কারস্টেন এখন আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের ‘মেন্টর’–এর দায়িত্বে আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০১টি টেস্ট ও ১৮৫টি ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই ওপেনার।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭১টি টেস্ট ও ৯৭টি ওয়ানডে খেলা গিলেস্পি কিছুদিন আগে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের ছেলেদের দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কোচ হিসেবে ইয়র্কশায়ারকে টানা দুবার শিরোপা জিতিয়েছেন গিলেস্পি।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি   কোচ   পিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ। যার আয়োজক দেশ এবার বাংলাদেশ। যার জন্য কন্ডিশন মানিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও এসেছে বাংলাদেশে।

আজ রোববার জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু করার লক্ষ্যে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগ্রেসরা। গেল বছর বাংলাদেশ সফরে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো ভারতীয় নারীরা। সিরিজে একটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল টাইগ্রেসদের এই ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়। টি-২০র পর তিন ওয়ানডের তৃতীয় ম্যাচটি নাটকীয়ভাবে টাই করে ভারতের সাথে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভারতের জয় ১১টিতে।

সদ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে হেরে যাওয়ায় চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। অজিদের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগ্রেসরা। ভারতের জন্য সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরটি বেশ ঘটনাবহুল ছিল। শেষ ওয়ানডেতে আউট হবার পর ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙ্গেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। পরবর্তীতে দুর্বল আম্পায়ারিং নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ঐ ম্যাচটি টাই হয়। ঐ সিরিজে আম্পায়ার তানভীর আহমেদের দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন হারমানপ্রীত। এই সিরিজে আম্পায়ারিং প্যানেলে রাখা হয়নি তাকে। সেই উত্তজেনা এই সিরিজেও যে কিছুটা প্রমাণ ফেলবে তা নিশ্চিত।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও নতুন কীর্তি বাবরের

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম যেন মাঠে নামেনই নতুন কীর্তি গড়তে! গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে যথারীতি হেসেছে পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট। তাতে দলকে জেতানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ব্যাটার।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) ছিল পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ। এর আগে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের পর, পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতে বাবরদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে দেয় সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

গত শনিবারের ম্যাচে মাত্র ৪৪ বলে ৬৯ রান করেন বাবর। ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ২ ছক্কায়। এই পথচলায় আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিংকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন ২৯ বছর বয়সী বাবর।

১০৮ ইনিংসে বাবরের নামের পাশে চারের সংখ্যা এখন ৪০৯টি। আর স্টার্লিংয়ের বাউন্ডারি মেরেছেন ৪০৭টি, আইরিশ ব্যাটার ইনিংস খেলেছেন ১৩৬টি।

এই ম্যাচে আরও দুটি কীর্তিও গড়েছেন বাবর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাবেক অস্ট্রেলিয়া ব্যাটার অ্যারন ফিঞ্চের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ম্যাচে (৭৬) অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড এখন তারও। এর মধ্যে জিতেছেন ৪৪টি ম্যাচে। তাতে অধিনায়ক হিসেবে উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবার (৫৬ ম্যাচে ৪৪ জয়) রেকর্ডের সমান ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছেন বাবর।

বাবরের ব্যক্তিগত অর্জনের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ৮ উইকেটে করে ১৭৮। রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় চার বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানে। ৯ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ড্র করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন