নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৭ এএম, ১৭ জুলাই, ২০১৭
তিনি ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে বছরে এক হাজার রান করা প্রথম বাংলাদেশি। ২০০৬ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩টি শতক ও ৪টি অর্ধশতকসহ করেন ১০৩৩ রান। সে বছর বিসিবির বর্ষসেরা ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সে বছর বিসিবির বর্ষসেরা ক্রিকেটার পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছিলেন। আইসিসির সেরা উদীয়মানের শর্ট লিস্টে ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালেই ফতুল্লা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরির ইনিংস (১৩৮ রান)।
তিনি শাহরিয়ার নাফিস। ডাকনাম আবির। টাইগারদের এক সময়কার সেরা ওপেনার। যার ভয়-ডরহীন ব্যাটিং মুগ্ধ করেছিল গোটা টাইগার সমর্থকদের। এত সব অর্জনের এই শাহরিয়ার নাফিস এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন।
২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ৪৩তম ক্রিকেটার টেস্ট এবং একই বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৭৬তম ক্রিকেটার হিসাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন শাহরিয়ার নাফিস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষেক বছরে ৭টি ওডিআই ম্যাচে দুটি অর্ধশতকের সাহায্যে ২৫৪ রান করে বুঝিয়ে দেন হারিয়ে যেতে আসেননি তিনি। ২০০৬ সালটা কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। তখনো বাংলাদেশ সমীহ পাওয়ার মতো দল হয়ে উঠতে পারেনি। জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া তখনো বাংলাদেশের সঙ্গে সমানে-সমানে লড়াই করতো এবং বড় দলের বিপক্ষে জয় পেলে ক্রিকেট বিশ্ব সেই জয়কে দুর্ঘটনা হিসাবে দেখতো।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে ১০ রান করে ফিরে গেলেও পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন, ৫৭ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। ওডিআইতে নিজের প্রথম অর্ধশতকও তুলে নেন অজিদের বিপক্ষে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ এবং অজিদের বিপক্ষে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ১১৬ বলে করেন ৭৫ রান। নিরপেক্ষ ভেন্যু ক্যান্টারবেরিতে ওই ম্যাচে শাহরিয়ার নাফিসের ৭৫ রান এবং খালেদ মাসুদের ৭১* রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ ২৫০ রান সংগ্রহ করেছিল। জবাবে রিকি পন্টিংয়ের ৬৬ এবং মাইকেল ক্লার্কের অপরাজিত ৮০ রানের উপর ভর করে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অজিরা। মাইকেল ক্লার্ক ম্যাচজয়ী অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেললেও ঐদিন ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে শাহরিয়ার নাফিসের হাতে।
হঠাৎ যেন বিধিবাম! ২০০৮ সালে ভারতের বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএলে ঢাকা ওরিয়র্সের হয়ে নাম লিখিয়েই নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২৩ মাস পর টেস্টে ফিরে প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করতে পারেননি। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৯৭ রানের সেই ইনিংসটি এখনো পোড়ায় তাকে আক্ষেপে। ওই টেস্টের পর ৭ ইনিংসে ফিফটি শূন্য, ২০১৩-এর পর টেস্টে আর ফিরতেই পারেননি। ২০১১-এর পর আর ফিরতে পারেননি ওয়ানডেতে, তা নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন। তবে এখনো জাতীয় দলে ফেরার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বছর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ব্যাটিংয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন (৩৫০ রান) ব্রাদার্সের হয়ে খেলা এই টপ অর্ডার। সে বছর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট জাতীয় লিগে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক (৬ ম্যাচে ৭১৫ রান) শাহরিয়ার নাফিস বরিশালকে দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে উঠিয়ে এনেছিলেন। বিসিএলে সাউথ জোনের হয়ে ৬ ইনিংসে করেছেন ৪০২ রান। ক্যারিয়ারে ৯০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৬ সেঞ্চুরির ৩টিই সর্বশেষ মৌসুমে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে এমন ব্যাটিং ধারাবাহিকতায় জানিয়ে দিয়েছেন, টেস্টে এখনো তার প্রয়োজন ফুরায়নি।
তাছাড়া বিপিএলের ৪র্থ আসরে ১৭টি ম্যাচ থেকে ৩৯৬ রান করেছেন নাফিস। রয়েছে তিনটি অর্ধশতকও। ব্যাটিং গড় ২৮.২৮।
শাহরিয়ার নাফিস এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ৭৫টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলে ৩১.৪৪ ব্যাটিং গড়ে করেছেন ২,২০১ রান। শতক ৪টি ও অর্ধশতক ১৩টি।
শাহরিয়ার নাফিস নিজের শেষ লিস্ট-এ ম্যাচে রুপগঞ্জের বিপক্ষে ৩১ রান করার পথে লিস্ট-এ ক্রিকেটে ৪ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন। এখন পর্যন্ত ১৪৫টি লিস্ট-এ ম্যাচে ২৯.৫৭ ব্যাটিং গড়ে ৪,০২২ রান করেছেন।
নাফিসের টেস্ট ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে একটি হলো, বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শতক হাঁকানো। বাংলাদেশের হয়ে ২০১৩ সালে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলা নাফিস ২৪টি টেস্টে ২৬.৩৯ ব্যাটিং গড়ে ১,২৬৭ রান করেছেন।
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও নিজের শেষ ইনিংসে ২০৭* রানের ইনিংস খেলার পথে ৭ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন। এখন পর্যন্ত ১০২ ম্যাচে ৪০.০২ ব্যাটিং গড়ে ৭,০৪৪ রান করেছেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৩টি শতক এবং ৪১টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।
বর্তমানে টপঅর্ডারে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লড়াই চলছে ভালোই। তামিমের পাশে এই লড়াইয়ে আছেন সৌম্য, ইমরুল কায়েস, এনামুল বিজয়। এই তিনজনের সঙ্গে লড়াই করে জায়গা ফিরে পেতে কষ্ট হবে।
ব্যাপারটা কিন্তু সহজ নয়। তারপরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জায়গাটা ফিরে পেতে চান এই বাঁ হাতি। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এখন অনেক কম্পিটিশন, তাই দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন।
আমরা দুই-তিনজন টপঅর্ডারে ঢোকার জন্য ফাইট করছি। এখন ফিটনেস ভালো আছে, ব্যাটিংয়ের অবস্থা ভালো আছে। যদি সুযোগ পাই তাহলে দলকে জেতানোর জন্য যতটুকু করা দরকার ততটুকু করার চেষ্টা করব।’
শাহরিয়ার নাফিসের বর্তমান বয়স ৩২ বছর। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে ৩২ বছরের পরেও অনেক ব্যাটসম্যান মাঠ কাঁপিয়ে গেছেন। শাহরিয়ার নাফিস এখনও ধৈর্য নিয়ে খেলে যাচ্ছেন, দারুণ পার্ফরমেন্স দিয়ে আবারও জাতীয় দলে খেলার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন।
বাংলা ইনসাইডার/ডিআর
মন্তব্য করুন
কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর
বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে
ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই
তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।
সিকান্দার রেজা জিম্বাবুয়ে বিসিবি
মন্তব্য করুন
একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের
বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না
পিএসজির।
বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের
সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।
সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও
লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ
সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে
মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের
আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।
ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে
নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের
শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই।
তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে,
ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর
শট লাগে আরেক পোস্টে।
৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান
সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে
৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।
শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড
রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই।
প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।
ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি
পিএসজি ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগ
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার
জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী
দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।
ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ
কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন
শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।
আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে
যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা,
এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান
ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা
জানিয়েছেন দুই দলই।
এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা
ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে
অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে
সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে
পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।
ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড,
ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন
লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’
ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের
সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে।
অপেক্ষায় থাক।’
আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে
হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’
রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে
দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’
কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায়
সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’
অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার
কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে
বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল
হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’
ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের
সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও
থাকবে।
আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ
শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের
ফাইনাল হবে ২৯ জুন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্ট ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।
বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।
৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।
সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।
আইসিসি ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।
লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।
এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।
অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।
জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।
ডিপিএল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট আবাহনী
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।