ইনসাইড গ্রাউন্ড

অভাগা এক ফুটবল কিংবদন্তির জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

পঞ্চাশ এর দশকের কালজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ টিম শুধু সময়ের সেরা দল ছিলো না, সর্বকালের সেরা ফুটবল দলগুলোর একটি তালিকা তৈরি করলে বেশ উপরের দিকেই থাকবে সেই দলটির নাম। সেই টিমের কান্ডারী ছিলেন অভাগা ফুটবলার। যিনি সব জিতেও যেন কিছুই জেতেননি, যাকে কেউ কেউ মনে করেন সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়- তবে খেলা হয়নি কোন বিশ্বকাপ। তবে তাকে দলে ভিড়ানোর মাধ্যমেই রিয়াল মাদ্রিদ ইউরোপিয়ান কাপের প্রথম আসরসহ টানা ৫টি ইউরোপিয়ান কাপ জিতে নিয়েছিলো। সব্যসাচী এই ফুটবলারের জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানো।

জন্মসূত্রে ছিলেন আর্জেন্টাইন। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন দেশীয় ক্লাব রিভারপ্লেটে। সেখানে থাকার সময়ই জেতেন ক্যারিয়ারের একমাত্র আন্তর্জাতিক শিরোপা ১৯৪৭’র কোপা। রিভারপ্লেট থেকে কলম্বিয়ার ক্লাব মিলোনারিওস ঘুরে আসেন যখন বিংশ শতাব্দীর সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে আসেন মাদ্রিদের তখন দুঃসময়। স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের পরে প্রায় ১৫ বছর কেটে গেলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তাঁরা। এমনই সময় ডি স্টেফানো আসলেন। যে রিয়াল মাদ্রিদ আগের ২০ বছর একবারও লা লিগা জিতেনি ডি স্টেফানো যোগ দেবার পর তাঁরাই পরের ১১ বছরে জিতলো ৮ লা লিগা আর টানা ৫ বার চ্যাম্পিয়নস লীগ।

রিয়ালের হয়ে ৩০৮ ম্যাচে করলেন ৩৯৬ গোল। জিতলেন ১৯৫৭ এবং ১৯৫৯ সালের ব্যালন ডি’অরসহ অসংখ্য ব্যক্তিগত পুরষ্কার। ১৯৬৪ সালে ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলায় রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যোগ দেন বার্সেলোনার নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলে। সেখানে ৩ মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে ১১ গোল বুঝিয়ে দেয় বয়স থাবা বসিয়েছে ভালোভাবেই। ১৯৬৬ সালে সকল ধরণের ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হলেও পরে স্পেনের নাগরিকত্ব নিয়ে খেলেছেন স্পেনের হয়েও। ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি জাতীয় দলেও দুর্দান্ত ফর্ম ছিল তাঁর। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে খেলেছেন কলম্বিয়ার হয়ে। আর্জেন্টিনার হয়ে ৬ ম্যাচে ৬ গোল, স্পেনের হয়ে ৩১ ম্যাচে ২৩ গোল এবং কলম্বিয়ার হয়ে ৬ ম্যাচে ৬ গোলই বলে দিচ্ছে শুধু ক্লাব ফুটবলেই না, জাতীয় দলেও আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর নামের পাশে ১৯৪৭ এর কোপা আমেরিকা ছাড়াও থাকতে পারতো আরও অনেক শিরোপা।

তবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১৫ টি টাইটেল জেতা ডি স্টেফানোর হয়তো এসব নিয়ে আক্ষেপ ছিল না। আক্ষেপ থাকতে পারতো অন্য একটা বিষয়ে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার যে কখনোই বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। প্রতিবারই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো কিছু না কিছু।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আর্জেন্টিনা ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণই করেনি। ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা অংশ নিলেও বিস্ময়করভাবে স্কোয়াডে ছিলেন না ডি স্টেফানো। ততদিনে রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে থাকলেও স্পেনের নাগরিকত্ব না পাওয়ায় বাদ যায় এই বিশ্বকাপও। সেরা সুযোগ হতে পারতো ১৯৫৮’র বিশ্বকাপ। কিন্তু কুবালা-ডি স্টেফানো-জেন্টোর স্পেন স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বাদ পড়ে বাছাইপর্বেই।

পরের বিশ্বকাপে ৩৫ বছর বয়সে স্পেনকে চিলিতে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিয়ে গেলেও বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে ইনজুরির কারণে আর খেলা হয়নি। সেই ইনজুরির পর স্পেনের হয়ে খেলতে নামেননি আর। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বেশ দুর্ভাগাই বলা যায় তাকে। এই আক্ষেপ নিয়েই ফুটবলকে বিদায় জানান স্টেফানো। অবশ্য অবসরে যাওয়ার পর ফুটবল থেকে বেশিদিন দূরে থাকেননি। বোকা জুনিয়র্সের হয়ে আবারো মাঠে নামেন, তবে এবার সাইডলাইনে কোচ হিসেবে।২৫

বছরের সাফল্যমন্ডিত কোচিং ক্যারিয়ারে মোট ৮টি ক্লাবকে কোচিং করিয়েছেন। জিতিয়েছিলেন বোকা জুনিয়র্স এবং রিভার প্লেটকে আর্জেন্টাইন লীগ টাইটেল এবং স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াকে ইউরোপিয়ান কাপ উইনারস কাপ এবং লীগ টাইটেল। ১৯৮২ সালে ফেরেন তার ভালোবাসার রিয়াল মাদ্রিদে। কিন্তু সেই সিজন খুব একটা ভালো কাটেনি। রিয়াল মাদ্রিদ রানার্স আপ হিসেবে সিজন শেষ করে পাঁচ পাঁচটি প্রতিযোগিতায়- স্প্যানীশ লীগ, কোপা দেল রে, স্প্যানিশ সুপার কাপ, কোপা দে লা লীগা এবং সর্বশেষ ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপে আন্ডারডগ আবেরদিনের কাছে হেরে বসে মাদ্রিদ।

ডি স্টেফানো তাঁর আজীবন যুক্ত ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, ‘হোয়াট ইজ রিয়াল মাদ্রিদ?’ তাঁর উত্তর ছিল, ‘ইট ইজ জাস্ট আ ফিলিং।’ ২০০০ সালে তাকে মাদ্রিদের আজীবন প্রেসিডেন্টের পদে ভূষিত করে সম্মাননা দেয়া হয় এবং ২০০৬ সালে মাদ্রিদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডের একটি স্টেডিয়ামের নাম তাঁর নামে নামকরণ করা হয়।

কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিগত অর্জন এবং রেকর্ড

পিচিচি ট্রফি - ৫ বার

ব্যালন ডি’অর - ২ বার

সুপার ব্যালন ডি’অর - ১ বার

চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টপ স্কোয়ার - ২ বার

টানা পাঁচ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গোল করার রেকর্ড

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে সবচেয়ে বেশী গোল - ৭ টি

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লড়াকু পুঁজি জিম্বাবুয়ের, লক্ষ্যে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। এটি তার অভিষেক ম্যাচ ছিল।

রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়াশে মারুমানি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ২ করেন তিনি।

পরে ক্রিজে আসেন ক্রেস আরভিন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নেন গাম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। থিতু হওয়ার আগেই রিশাদের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।

ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের পূর্বে বড় ধাক্কা খেল বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে দারুণ ফুটবল খেলে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। আর তাই এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবে।

তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে আগের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল গেরেরোকে মিস করবে বায়ার্ন। পর্তুগিজ এই তারকা প্রথম লেগে নেমেছিলেন লিওন গোরেৎজকার বদলি হিসেবে। বদলি নেমেই মাঝমাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্নও ম্যাচে ফেরে গেরেরোর ডিফেন্সিভ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে।

কিন্তু, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। স্টুটগার্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় গোড়ালির চোটের কারণে উঠিয়ে নেয়া হয় এই পর্তুগিজ তারকাকে। বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখকে পরের কয়েক ম্যাচে রাফায়েল গেরেরোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। পর্তুগিজ এই তারকা বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পান এবং ক্যাপসুল ইনজুরিতে পড়েছেন। বায়ার্ন মিউনিখের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

বায়ার্নের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন গেরেরো। যদিও চলতি মৌসুমে বায়ার্নের বাকি আছে সর্বোচ্চ আর চার ম্যাচ। বুন্দেসলীগায় দুই ম্যাচ খেলবে তারা। এর বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেতে পারলে খেলতে হবে দুই ম্যাচ। আর ফাইনালে যেতে পারলে হাতে থাকবে তিন ম্যাচ।

রাফায়েল গেরেরো উইংব্যাক হিসেবে থাকলেও মিডফিল্ড এবং উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সফল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মৌসুম শেষে ইউরোতে পর্তুগালের জার্সিতেও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।


রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ‍লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বোর্নমাউথকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।

আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।

শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।

মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।

গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।

এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।


আর্সেনাল   বোর্নমাউথ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রকাশিত হল নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরেই বাংলাদেশের মাটিতে গড়াতে যাচ্ছে আইসিসি নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ১০ দল। ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এ আসরের।

আসন্ন এ টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ করেছে আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ৩ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড নারী দল।

ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়। দিনের অন্য ম্যাচে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দল। ম্যাচটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, সন্ধ্যা ৭টায়।

এবারের আসরের সবগুলো ম্যাচ হবে ঢাকা ও সিলেটে। দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এবারের আসরে অংশগ্রহণ করবে দলগুলো। যার মধ্যে গ্রুপ এ-তে রয়েছে: অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং কোয়ালিফায়ার ১। আর গ্রুব বি-তে রয়েছে: বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও কোয়ালিফায়ার ২।

এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি-




আইসিসি   ক্রিকেট   নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন