ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরিসংখ্যানে বার্সা-বায়ার্ন দ্বৈরথ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি দুই ফেভারিট দল বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখ। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে পরিসংখ্যান, শক্তিমত্তা এবং অর্জনের দিক দিয়ে সমানে সমান উভয় দল। লিসবনের এই কোয়ার্টার ফাইনাল অবশ্য এবার ভিন্ন। করোনার কারণে এবার দুই লেগের বদলে এক ম্যাচেই নির্ধারিত হবে ম্যাচের ফলাফল। বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে এর আগে ছয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। বায়ার্নের জয় তিনটি, বার্সেলোনার দুইটি। অন্য ম্যাচটি ড্র। তবে দুই লেগ মিলিয়ে নকআউট পর্ব পেরোনোর হিসেবে বার্সেলোনা দুইবার এবং বায়ার্ন একবার সফল। এবার যেহেতু এক লেগে নির্ধারিত হবে বিজয়ী, তাই এসব পরিসংখ্যান একটু হলেও গুরুত্ব হারিয়েছে। তবুও হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল তাঁদের পূর্বের সাক্ষাতগুলো।

২০০৮-০৯ কোয়ার্টার-ফাইনাল: জয়ী বার্সেলোনা

বার্সেলোনার মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৮ এপ্রিল। নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধের নবম মিনিটে লিওনেল মেসি দলকে এগিয়ে নেওয়ার তিন মিনিট পর সামুয়েল এতোর গোলে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। এরপর ৩৮তম মিনিটে মেসি আবারও গোল করলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বায়ার্ন মিউনিখ। ৪৩তম মিনিটে থিয়েরি অঁরির লক্ষ্যভেদে স্কোরলাইন ৪-০ করে নেওয়া বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত জিতেছিল ওই ব্যবধান ধরে রেখে। এরপর ১৪ এপ্রিল আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার ফিরতি লেগে সেসময়ের পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে আটকাতে পারেনি বায়ার্ন। ৪-০ ঘাটতি পোষাতে রেকর্ড গড়তে হতো বুন্ডেসলিগার দলটিকে। ফ্রাঙ্ক রিবেরি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান সেইডু কেইটা। ১-১ ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ। ৫-১ এগ্রিগ্রেটে সেমি-ফাইনালে ওঠা বার্সেলোনা ওই মৌসুম চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ট্রেবল জিতেছিল।

২০১২-১৩ সেমি-ফাইনাল: জয়ী বায়ার্ন

তিতো ভিলানোভার বার্সেলোনাকে সেবার দুই লেগেই দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছিল বায়ার্ন। ২৩ এপ্রিলে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জিতেছিল জার্মানির দলটি। মুলার করেছিলেন জোড়া গোল। পহেলা মে’র ফিরতি লেগে কাম্প ন্যুতে চোটের কারণে খেলতে পারেননি মেসি। জমজমাট লড়াইয়ের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষের পর দ্বিতীয়ার্ধেও বার্সেলোনার ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেনি কেউ। উল্টো রবেন বায়ার্নকে এগিয়ে নেওয়ার পর বার্সেলোনার জেরার্দ পিকে করেন আত্মঘাতী গোল। এরপর মুলারের লক্ষ্যভেদে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-০ গোলের এগ্রিগ্রেটে সেমিফাইনাল পেরোয় বুন্ডেসলিগার দলটি। ১৯৬৪ সালের পর সেমি-ফাইনালে এটাই দুই লেগ মিলিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। সেবার ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন।

২০১৪-১৫ সেমি-ফাইনাল: জয়ী বার্সেলোনা

কাম্প ন্যুতে ৬ মে’র প্রথম লেগের শেষ ভাগে মেসি হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। বার্সেলোনাও উপহার দিয়েছিল স্মরণীয় রাত। ৭৭ থেকে ৮০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করেন মেসি। ৯৪তম মিনিটে নেইমার ঠুকে দেন শেষ পেরেক। কাতালুনিয়ার দলটি জিতে ৩-০ গোলে। সেসময় বায়ার্নের ডাগআউটে ছিলেন বার্সেলোনাকে মুঠোভরে সাফল্য এনে দেওয়া কোচ গুয়ার্দিওলা। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার ফিরতি লেগে গুয়ার্দিওলার বায়ার্নের শুরুটা ছিল দারুণ। সপ্তম মিনিটে বেনাতিয়ার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু ১৫ ও ২৯ মিনিটে নেইমারের জোড়া গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পরে রবের্ত লেভানদোভস্কি ও মুলারের গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে পিছিয়ে ছিটকে যায়। সেবার ফাইনালে ইউভেন্তুসকে হারিয়ে শিরোপায় চুমু এঁকেছিল লুইস এনরিকের বার্সেলোনা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে নারী আম্পায়ার বিতর্ক নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু তিনদিন আগে হয়ে যাওয়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই ম্যাচ নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। মূলত এই ম্যাচে নারী আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে না চাওয়া নিয়ে চলছে বিতর্ক। ঘটনাটা নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির উপস্থিতিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এর কারণ কী?

পুরো ব্যাপারটি নিয়েই ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, কেবল নারী বলেই আম্পায়ার জেসি থাকাকালে ম্যাচে নামতে চায়নি বড় দুই ক্লাব। কিন্তু দিন গড়াতেই জানা যায়, নারী আম্পায়ার নয়,  বরং ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই মূলত আপত্তি জানিয়েছিল তারা।  

ম্যাচটিতে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি। মনিরুজ্জামান আগে থেকেই লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ম্যাচ পরিচালনা করলেও, জেসিসহ দুজন নারী আম্পায়ার এবার প্রথম এমন দায়িত্ব পেয়েছেন। অবশ্য জেসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবুও তাকে নিয়ে সংশয়ের বেড়াজালে আটকে ছিল দুই ক্লাবই।   

এদিকে দেশের ক্রিকেটের এমন উত্তপ্ত অবস্থার মাঝেও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, “আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আম্পায়ার্স কমিটির সাথে কথা হলো, এ ব্যাপারে তারা তো আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নাই, তাই এ ধরনের কোনো কিছুই আমি জানি না।”

আম্পায়ার জেসিকে নিয়ে বিতর্কের পর দুই ক্লাবের কর্মকর্তারাই জানালেন জেসিকে নিয়ে সংশয়ের কারণেই মূলত এমন ঘটনার সূত্রপাত।

মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিলো। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্ট টিপোর্ট করিনি। আমাদের ধারণা ছিল তিনি নতুন আম্পায়ার, লিস্ট-এ ক্রিকেটে এ বছরই প্রথম খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তাই অভিজ্ঞতা কম। আমরা সাধারণত এসব ম্যাচে সিনিয়র আম্পায়ার চাই।’

প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কন বলেন, ‘মহিলা আম্পায়ার দেবে এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে মহিলা আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা করে তাদের আশা করছিলাম। মহিলা আম্পায়ার দেখেন যেটা এলবিডব্লিউ সেটা দেয় নাই, যেটা হয় নাই সেটা দিছে। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। সেটা তার অনভিজ্ঞতার জন্যই।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি   ডিপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অধিনায়ক জ্যোতির হাফ সেঞ্চুরি, তবুও ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দারুণ বোলিংয়ের মধ্য দিয়ে ভারতকে দেড়শর মধ্যেই আটকে রেখেছিলেন বোলাররা। তবে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন অসহায়ের মত ধরা দিলেন। তবুও স্বস্তির দেখা মিলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ভারতের কাছে ৪৫ রানে হেরেছে টাইগ্রেসরা।

এদিন আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে ভারত। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১০১ রান করে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

নতুন বলে মারুফার ওপর আস্থা রেখেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম ওভারেই দুই বাউন্ডারিতে এই পেসারকে সেট হতে দেননি শেফালি ভার্মা। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ।

সুলতানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন স্মৃতি মান্দানা। কিন্তু সেটা হাতে জমাতে পারেননি ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য সেই তৃষ্ণাই পরের ওভারে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন। তার করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন স্মৃতি।

অন্যপ্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেছেন ভার্মা। ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও রানের দেখা পেয়েছেন। ইয়শতিকা ভাটিয়া করেছেন ২৯ বলে ৩৬ রান।

চারে নেমে হারমানপ্রীত করেছেন ২২ বলে ৩০ রান। তাছাড়া রিকা ঘোষের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রাবেয়া খান। তাছাড়া ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন মারুফা আক্তার।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল ম্যানইউ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডের সাথে পিছিয়ে পড়ার পরই শঙ্কা জেগেছিল আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার। তবে সে ম্যাচে দারুণভাবেই ফিরে এসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু বার্নলির বিপক্ষে হেরে আটকে গেল রাশফোর্ড-ক্যাসেমিরোরা। এতে করে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ল ম্যানইউ।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ইউনাইটেড ড্র করেছে ১-১ গোলে। আর এই ফলাফলই তাদের আটকে দিয়েছে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা থেকে। তবে ইউরোপা লিগে খেলার স্বপ্নটা এখনো টিকে আছে এরিক টেন হাগের দল।

৩৪ ম্যাচ খেলা ইউনাইটেডের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৪। ম্যাচ বাকি আছে আর চারটা। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ৬৭। বাকী ৪ ম্যাচ জিতলেও যে ভিলাকে টপকাতে পারবে না ইউনাইটেড।

চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললেও তাতে হতাশই ইউনাইটেড।। গ্রুপ পর্ব থেকে নিয়েছিল বিদায়। শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে।

তবে সুযোগ আছে টটেনহামকে টপকে পাঁচে থেকে শেষ করার। অবশ্য সে কাজটাও বেশ কঠিন। নর্থ লন্ডনের ক্লাবটার ৩২ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৬০। দুই ম্যাচ কম খেলেও তারা ইউনাইটেড থেকে বেশ ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড   এফএ কাপ   ফুটবল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিজের কারণ জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এ তালিকায় আছে বাংলাদেশও।

বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে দলগুলোর। এরই মধ্যে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। রোডেশিয়ানদের সঙ্গে সিরিজ শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিবে টিম টাইগার্স। সেখানে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবেন শান্তরা।

তবে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের সঙ্গে সিরিজ খেলা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শনিবার বিকেলে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘প্রস্তুতি (বিশ্বকাপের) সম্পন্ন করার জন্য ঐখানে (যুক্তরাষ্ট্র) যাচ্ছে না। প্রস্তুতি যা হওয়ার এই বিশ্বকাপের আগেই শেষ বা করতে হবে। আর যেহেতু জীবনে প্রথমবার ঐখানে খেলছে, তাই সেখানকার কন্ডিশন বোঝার জন্যই তাদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি। সেটার জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেললাম, না কার সঙ্গে খেললাম; সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কন্ডিশন বোঝার জন্য খেলছে, সেটাই মূল কারণ।’


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার পাকিস্তানের দায়িত্বে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট যেন নতুনভাবে সাজছে। কোচ থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট সবক্ষেত্রেই যেন বদল আসছে বাবরদের দলে। এমনই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশটির ক্রিকেট পেল স্থায়ী কোচ। তাও একজন না, সাদা এবং লাল বলের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সাদা বলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার গ্যারি কারস্টেনকে নিয়োগ দিচ্ছে তারা। ২০১১ সালে ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন সাবেক এই প্রোটিয়া তারকা। এবার তার মিশন পাকিস্তানকে নিয়ে।

একইদিনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট ফরম্যাটের জন্য জাতীয় দলের কোচ পদে নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। আর সব ফরম্যাটেই দুই বিদেশী কোচের জন্য সহকারী কোচ হিসেবে থাকছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ।

আজ রোববার লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দুই কোচ নিয়োগের কথা জানান। কোচ হিসেবে অবশ্য কারস্টেনকেই আগে পাচ্ছেন বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিরা। ২২ মে থেকে লিডসে চার ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তান। সেই সিরিজেই কারস্টেনকে পেতে পারে পিসিবি।

সেই সিরিজের শেষ হচ্ছে ৩০ মে। এরপরেই বাবর আজমরা উড়াল দেবেন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।  

কোচ হিসেবে ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতানো কারস্টেন এখন আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের ‘মেন্টর’–এর দায়িত্বে আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০১টি টেস্ট ও ১৮৫টি ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই ওপেনার।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭১টি টেস্ট ও ৯৭টি ওয়ানডে খেলা গিলেস্পি কিছুদিন আগে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের ছেলেদের দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কোচ হিসেবে ইয়র্কশায়ারকে টানা দুবার শিরোপা জিতিয়েছেন গিলেস্পি।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি   কোচ   পিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন