ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম প্রণয়ের গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

খেলোয়াড়দের খেলা দেখে তাদের ব্যক্তিত্ব ও চেহারার প্রেমে পরেননি এমন দর্শক হয়তো খুঁজে পাওয়া কঠিন। দর্শক হয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু থাকে সেই খেলোয়াড় কার সাথে প্রেম করছে কিংবা কাকে বিয়ে করছে। বহু দর্শকের মন ভেঙ্গে যখন কোন খেলোয়াড়রের বিয়ের সানাই বাজে তখন আমাদের আগ্রহের জায়গা কিভাবে শুরু হয়েছিল দুজনের প্রেম?

বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে কোটি নারীর ক্রাশ সাকিব আল হাসান। তাই সাকিব যখন শিশিরকে বিয়ে করেছেন তখন কিভাবেই হয়েছিল তাদের প্রথম পরিচয় এ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের কমতি ছিলনা। সাকিবের সাথে শিশিরের পরিচয়টা ছিল ফেইসবুকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হওয়ার পর সাকিবকে দেখে বেশ হ্যান্ডসাম লাগে শিশিরের। প্রথমে সাকিবের একটি ফেইক আইডি থেকে কথা বলার পর সাকিবের আসল আইডিতে রিকোয়েস্ট দেয় শিশির। আর এখান থেকেই দুজনের ভালোবাসার গল্পটা শুরু।

ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার যেমন সফল খেলায় তেমনি সফল তার প্রেম কাহিনীতেও। শচীন আর অঞ্জলির প্রথম দেখা ছিল এয়ারপোর্টে। মাকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে যান অঞ্জলি আর তার এক বান্ধবি আর তখন ওই বিমানবন্দরে ইংল্যান্ড সফর শেষে ফিরছিলেন শচীন। প্রথম দেখাতেই শচীনকে খুব ভাল লেগে যায় অঞ্জলির। এরপর সেই বন্ধুর সাহায্যে শচীনের ফোন নম্বর যোগাড় করেন অঞ্জলি। এরপর শুরু হয় দুজনের কথা, আর সেখান থেকে সম্পর্কের সূচনা।

তখন শচীনের জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে, তার বাড়ি থেকে বের হওয়াটা অসম্ভব ছিল। তাই অঞ্জলিকে সাংবাদিক সেজে প্রথমবার শচীনের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হয়েছিল। পাঁচ বছর ধরে চলে শচীন-অঞ্জলির প্রেম এরপর বিয়ে করেন তারা।  

সাউথ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স খেলায় যেমন ছিল আক্রমণাত্মক কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন শান্ত। মাত্র ২৩ বছর বয়সে এবি ডি ভিলিয়ার্সের বাবার ফার্ম হাউসের এক প্রোগ্রামে তার স্ত্রী ড্যানিয়েল কে প্রথম দেখেন তিনি। প্রথম দেখাতেই ড্যানিয়েলের প্রেমে পরেন তিনি। কিন্তু ড্যানিয়েলের সাথে কথা অথবা তার  নাম্বার কিছুই নিতে পারেননি তখন  এবি ডি ভিলিয়ার্স। এর কিছুদিন পর দুইজনের দেখা হয় এবির ভাইয়ের বিয়ের প্রোগ্রামে। এবির ভাইয়ের বিয়েতে ড্যানিয়েল গান গায় তখন ড্যানিয়েলের গানে মুগ্ধ হয়ে ড্যানিয়েলের নাম্বার নেন এবি। এরপর কথা বলতে বলতে এবির প্রেমে পরে ড্যানিয়েল। ২০১৩ সালে এবি ডি ভিলিয়ার্স তাজমহলের সামনে ড্যানিয়েলকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব করেন এবং সেই বছর তারা বিয়ে করেন।

আলোচিত সুদর্শন খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ডেভিড বেকহাম। ১৯৯৭ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের ফুটবলার ডেভিড বেকহামের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় সাবেক স্পাইস গার্ল তারকা ও ডিজাইনার ভিক্টোরিয়ার। এই বছর বান্ধবীর সাথে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলা দেখতে গিয়েছিল ভিক্টোরিয়ার। ম্যাচের পর ২ জনের আড্ডা দেয়ার সময় সময় দেখা হয়। প্রথম দেখাতেই সুদর্শন বেকহামের প্রেমে পরে যায় ভিক্টোরিয়া।প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ব্রিটিশ ফুটবল তারকাও হাবুডুবু খেতে থাকেন। পরের বছর জানুয়ারিতেই দুজন এনগেজমেন্টের ঘোষণা দেন।

কোর্টে রজার ফেদেরারের খেলা মানেই অবধারিতভাবে দর্শক সারিতে একটা কোমল মুখের ওপর বারবার ক্যামেরা ফেরানো।২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকের অলিম্পিক ভিলেজে এই দুই সুইস টেনিস খেলোয়াড়ের পরিচয় ও প্রণয়।সেই থেকে তাঁরা আজও আছেন একসঙ্গেই।আকিলিস ইনজুরির কারণে ২০০২ সালে অল্পদিনেই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে বাধ্য হন মিরকা।শুধু ইনজুরি নয়, ফেদেরারের ক্যারিয়ারের স্বার্থেই নিজের ক্যারিয়ার জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন মিরকা।২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল বিয়ে করেন ফেদেরার-মিরকা।মাস তিনেক পর জন্ম নেয় তাঁদের যমজ প্রথম সন্তান রিভা ও রোজ।

এই সকল খেলোয়াড়রা কেউ বা প্রেমে পড়েছে প্রথম দেখায় আবার কারো প্রেমের প্রনয় শুরু হয়েছে প্রথম দেখা থেকেই। হয়তো তাদের জীবনেও খারাপ সময় এসেছে কিন্তু খারাপ সময়ে বিচ্ছেদের কথা না ভাবে তারা এখনও ধরে রেখেছে একে অন্যের হাত।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই না করা দলের সাথে টাইগারদের প্রস্তুতি!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

যে দলটি আসন্ন টে-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি, সেই দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, সেই কোয়ালিফাই না করা দলের সাথে ঘরের মাঠে জিততেই টাইগারদের ঝরছে ঘাম। আর এতে করে বোঝার বাকি থাকছে না যে কেমন হতে পারে টাইগারদের এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ।

যে দলটা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি তাদের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো মানে তো বিশ্বকাপের আগে অশনি সংকেত এটা গত রোববারের ম্যাচ দেখে বোঝাই যাচ্ছে। আর এই জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে হয়তো শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের আসল প্রস্তুতি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে দুই ম্যাচ ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের হেসেখেলেই হারিয়েছিল টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয় তুলে নিতে রীতিমতো ঘাম ছুটেছে টাইগারদের। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের এমন পারফরম্যান্স দেখে হতাশ হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যার ফলস্বরূপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে কঠোর সমালোচনা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই হানা দিয়েছে বৃষ্টি। তবে এই দুই ম্যাচে চমক বলতে কিছু ছিল না টাইগারদের পারফরম্যান্সে। সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা লিটন প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কিছু রান পেয়েছেন। তবুও যেন বেরোতে পারেননি সমালোচনা থেকে। কারণ স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে পিছিয়ে ছিলেন বেশ। সেই সাথে দলের সেরা ব্যাটার আর অধিনায়ক যেভাবে ব্যাটিং করছেন এই সিরিজে তাতে বিশ্বকাপের আগে দুশ্চিন্তাতা আরও কয়েকগুণ বাড়াচ্ছে বিশ্বকাপের পূর্বে।

রোববার টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক শান্ত। এতে করে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকলেও ধুঁকতে থাকেন টাইগাররা। আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন কুমার দাসও রান পান। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর লিটনকে সঙ্গ দেন শান্ত। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৫ বলে ১৬ রান করে শান্ত আউট হলে, ২৫ বলে ২৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।

তৃতীয় দফায় বৃষ্টির বাঁধা দিলে, ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। এরপর টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ১২ বলে ১৩ রান করে এনগারাভার বলে বোল্ট আউট হন তিনি।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ২৬ রান এবং হৃদয়ের ২৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টাইগাররা।

তবে এদিন বাংলাদেশ জয় পেলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা বলছেন, ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন পরিস্থিতি হলে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোন প্রত্যাশা রাখাটাই যেন বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।


বিশ্বকাপ   টে-টোয়েন্টি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ টি-২০তেও ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগ্রেসরা। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৮ রান করে স্বাগতিকরা। ৫৬ রানের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে গেছে ভারত।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১২৫ রান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেসরা। দিলারা-মুর্শিদা ওপেনিং জুটিতে দলকে ১৮ রান এনে দেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২ বলে ১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন দিলারা। এর আগে সোমবার (৬ মে) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।

সাজানা ৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। স্মৃতি মান্ধানা ও হেমালতা সমান ২২ রান করে আউট হন। ২৪ রান করেন রিচা ঘোষ। অবশ্য দিনের শুরুতে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দ্বিতীয় ওভারেই শেফালি ভার্মাকে ফেরান শরীফা।

পঞ্চম ওভারে রাবেয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মান্ধানা। ৫.৫ ওভারে নামে বৃষ্টি। এরপর ওভার কমে আবার খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ ২টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান। ১টি উইকেট নেন শরীফা খাতুন।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে সাকিবের রেকর্ডের দিনে রাজার নতুন কীর্তি

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন ক্রিকেটাররা। ঠিক তেমনই এক রেকর্ডের বন্যার ম্যাচে সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি নতুন কীর্তি গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে ফতুল্লায় মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক। যেখানে প্রথম ইনিংসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েন সাকিব আল হাসান। রাজ্জাক ও মাশরাফীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

আর সাকিবের এমন নজিরের দিনে মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।  লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। অবশ্য ১৪ রান কম দিলে বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলতে পারতেন প্রাইম ব্যাংকের এই পেসার। লিস্ট এ-তে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি ভারতের শাহবাজ নাদিমের দখলে।

প্রাইম ব্যাংকের রাজার তোপে ২৭১ রান তাড়ায় স্রেফ ৭১ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তামিম-জাকিরদের জয় ১৯৯ রানের বড় ব্যবধানে। এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় প্রাইম ব্যাংক।

দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপু ও তামিম ইকবালকে হারিয়ে কিছুটা বিপদেই পড়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে ৩য় উইকেটে গড়েন ১৩৩ রানের জুটি। দুজনই অবশ্য অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন।

সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৮৫ রান করেন জাকির। এছাড়া ৯৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। শেষদিকে ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন হাসান মাহমুদ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭০ রান।

১০ ওভার বল করে ৪২ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিকুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমানও। দ্বিতীয় ইনিংসে শেখ জামালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৈকত আলিকে ফিরিয়ে প্রাইম ব্যাংককে দারুণ শুরু এনে দেন হাসান মাহমুদ।

এরপর রাজত্ব শুরু করেন রাজা। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফেরান তিনি। একই ওভারের শেষ বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে এসে ফের দুই উইকেট তুলে নেন রাজা।

এবার প্রথম বলে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর তাইবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাজা। পরে রিপন মন্ডলকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রাজা। এরপর শেখ জামালের বাকি তিন ব্যাটারকেও সাজঘরে পাঠিয়েছেন এ পেসার।


সাকিব আল হাসান   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   রাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল ভারত

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে আজ চতুর্থ ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে বোলিংটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ নারী দলের।

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন স্বাগতিক বোলাররা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছে ভারত নারী দল। ফলে ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গেছে।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে ভারত। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১২৫ রানের।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মা। ২ রান করা এই ওপেনার শরিফা খাতুনের বলে রিতু মনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তবে তিনে নেমে রানের চাকা সচল রাখেন হেমলতা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২২ রান।

আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্দানাও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে করেছেন ২২ রান। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দ্রুত রান তোলেছেন। কারণ ৫ ওভার ৫ বলে খেলা শেষে ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক ম্যাচ বন্ধ ছিল। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। 

১৪ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটাররা। তাতে সফলও হয়েছেন। বিশেশ করে হারমানপ্রীত। অধিনায়ক ২৬ বলে করেছেন ৩৯ রান। শেষদিকে রিকা ঘোষ করেছেন ১৫ বলে ২৬ রান।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বায়ার্নের কোচ হওয়া বিষয়ে যা জানালেন জিদান

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিথের কোচ হিসেবে জোগ দিবেন জিনেদিন জিদান। কিন্তু সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে ফরাসি তারকা আশা প্রকাশ করেছেন, বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল, আগামী মৌসেুম থেকে বায়ার্ন মিউনিথে যোগ দিতে যাচ্ছেন জিনেদিন জিদান। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো তো ফরাসি এই তারকার সাথে বায়ার্নের চুক্তির পাকাপাকিও দেখে ফেলেছিল।

মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছিল, কাগজে কলমে কোন চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও মৌখিক সমঝোতা হয়ে গেছে বায়ার্ন এবং জিদানের মধ্যে। তবে তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে জিদান জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের বিপক্ষে রিয়ালকে সমর্থন দিতে মাঠে থাকবেন তিনি।

আগামী বুধবার ( মে) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন-রিয়াল। জিদান বলেন, আমি বায়ার্ন মিউনিখের ভবিষ্যৎ কোচ হব কিনা? না, আমি (বায়ার্ন-রিয়াল) ম্যাচ দেখতে যাব। এটা কঠিন একটা ম্যাচ হবে। আমি আশাবাদী মাদ্রিদ জিতবে।

আগের লেগ - গোলে ড্র হওয়ায়, ম্যাচে জয়ী দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে।

ম্যাচে জিদানের মাদ্রিদকে বেছে নেয়ার কারণটাও স্পষ্ট। ২০০১ থেকে ২০০৬ খেলোয়াড় হিসেবে বার্নাব্যুতে আলো ছড়ানোর পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১; দুই মেয়াদে রিয়ালের ডাগআউট সামলেছেন তিনি। 

লস ব্লাঙ্কোদের টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১১টি শিরোপা জিতিয়েছেন ফরাসি কিংবদন্তি। রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পর অবশ্য আর কোচিংয়ে দেখা যায়নি ৫১ বছর বয়সী মাস্টার মাইন্ডকে।


জিনেদিন জিদান   বায়ার্ন   রিয়াল মাদ্রিদ   কোচ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন