ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার মিশন ওয়ানডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

দেশের মাটিতে বাংলাদেশ ভয়ঙ্কর দল অনেক দিন ধরেই। তবে সেটা ওয়ানডেতেই বেশি লক্ষ্য করা যায়। সেই  ধারাবাহিকতায় দেশের বাইরেও সাফল্য পাচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল আর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে খেলায় রয়েছে তার প্রমাণ।

একটা বাজে টেস্ট সিরিজ পার করায় কিছুটা বিপর্যস্ত টিম বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও বড় কোন আশা ছিলনা। তবে কেউ যেন একটা সেঞ্চুরি বা তার চেয়ে বেশি কিছু করুক এইরকম আশাতো সবারই ছিলো। একই সঙ্গে মুশফিকের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই সব মিলিয়ে প্রায় ছোটো খাটো একটা ঝড় গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের উপর দিয়ে।

তবে এইবার ওডিআই এর পালা। আর একটা বিষয় সত্য যে, বাংলাদেশ তাদের ওডিআই’র সেরা দিন গুলো কাটাচ্ছে। সুতরাং সবসময়ের মতো এবারও সবার প্রত্যাশা বেশি, ২ দলের শেষ দেখায় বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয় পায় এবং ২-১ সিরিজও জিতে। তবে এবার চ্যালেঞ্জটা বেশি। সেবার ছিল দেশের মাটিতে, কিন্তু এবার খেলা হবে প্রোটিয়াদের মাটিতে। তাই কন্ডিশন বাংলাদেশ থেকে অবশ্যই ভিন্ন থাকবে।

প্রথম ওয়ানডে হবে কিম্বারলির ডায়ামন্ড ওভালে। যখানে প্রায় ৫ বছর আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক খেলা হয়েছিল। তবে তাদের ঘরোয়া লিগে বেশ ভালো ভাবেই এই মাঠ ব্যবহার করা হয়।

যদি এই মাঠের উইকেটেরর কথা বলা হয় তাহলে এই মাঠে এখনকার মতো বড় বড় স্কোর হয় না বললেই চলে। ২৫০-৩০০ এর ভিতরেই রান হয় বেশীরভাগ ম্যাচে। ৩০৪ রান এই মাঠে সর্বচ্চ দলীয় স্কোর। তবে এই মাঠের পিচ বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই বোলিং পিচ হয়ে থাকে। তাই এইরকম একটা কন্ডিশন এবং উইকেটে টাইগারদের সেরা একাদশ কেমন হবে? এই প্রশ্নের শতভাগ উত্তর ম্যাচের দিনই পাওয়া যাবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সম্ভাব্য সেরা একাদশটি কেমন হতে চলেছে তা কিছটা অনুমান করাই যায়।   

তামিম: প্রায় ৮০ ভাগ কনফার্ম তামিম প্রথম ওডিআই এ থাকছে, বাংলাদেশের ওপেনিং তাকে ছাড়া ভাবাই যায় না। ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন তিনি। আর তামিম নিজেই জানিয়েছন, তিনি যদি ৮০ ভাগও ফিট থাকেন তাহলে তিনি খেলবেন।

সৌম্য/লিটন: ওপেনিংয়ে সৌম্য কিংবা লিটন দুইজনেরই খেলার সুযোগ আছে। সৌম্যকে  বেছে নেওয়ার পিছন মূল কারণ, তাঁর প্রতি হাথুরুসিংহের সুনজর। আর পারফরম্যান্স এবং ফর্ম বিবেচনায় নিলে লিটন এগিয়ে। তবে সৌম্যই ভালো হতে পারে। কেননা ইদানীং তামিম সেট হতে কিছুটা সময় নেয়। লিটনও অনেকটা একইরকম। তাই হয়তো সৌম্য হতে পারে প্রথম পছন্দ।

রিয়াদ রিয়াদ বাংলাদেশের ‘সলিড গোল্ড’। বিপদে পড়লে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান তিনিই। তাঁর বেপারে কিছু বলার নাই। রিয়াদ ‘অটো চয়েস’।

মুশফিক: অবশ্যই চারে মুশি আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান, আমাদের মিডল অর্ডারের মূল স্তম্ভ তিনি।

সাকিব: চার এবং পাঁচ জেনো সাকিব মুশির জন্যই বরাদ্দ। তাই মুশি যদি চারে খেলেন তবে সাকিব পাঁচেই ব্যাট করতে নামবেন।

সাব্বির: এই পজিশনে সাব্বির সেরা। তাঁর হাতে হিট আছে, ভালো শট খেলার ক্ষমতা আছে। সাব্বির তিনে ব্যর্থ, তা প্রমাণিত। তাই আগের পজিশনে অর্থাৎ ছয়ে ব্যাট করলে হয়তো সাব্বির নিজেকে ফিরে পেতে পারেন।

নাসির: সাত নম্বরে  নাসিরকে সুযোগ দেওয়াই ভালো। কেননা নাসিরের অন্তর্ভুক্তি দলে শক্তি বাড়াবে। একই সঙ্গে সাকিব-নাসির-মিরাজকে নিয়ে স্পিন অ্যাটাকটাও চালিয়ে নেওয়া যাবে।

মিরাজ: যেহেতু স্পিনার দের এইখানে বেশি কিছু নেই তারপরেও মিরাজ এগিয়ে। কেননা  সাইফুদ্দিনের চেয়ে কারন মিরাজের অভিজ্ঞতা বেশি। তাছাড়া মিরাজ ব্যাট হাতেও রানের চাকা সচল রাখতে পারবেন।  

মাশরাফি: অধিনায়ক তিনি। একই সঙ্গে পেস ইউনিটকে সামন থেকে নেতৃত্ব দেন।

রুবেল: অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এবং ফাস্ট ডেলিভারি গুলো কাজে লাগবে। একই সঙ্গে রুবেলের ইনসুইংয়ে ঘায়েল হতে পারে প্রোটিয়ারা।

মুস্তাফিজ: ‘দ্য ফিজ’ এর ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছুই নাই। ওপেনিং ও ডেথ ওভারে ভালই সার্ভিস দিতে পারবেন তিনি।

এছাড়া দলে চমকও আসতে পারে। মাত্র একটি টি-২০ খেলা সাইফ উদ্দিনের অভিষেকেও হয়ে যেতে পারে। তাঁর সবচেয়ে বড় কারন হতে পারে পেস সহায়ক উইকেট, একই সঙ্গে কন্ডিশন।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকা চাইবেই টেস্ট সিরিজ যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু করতে। কিন্তু বাংলাদেশ চায়, দুই দলের শেষ ওয়ানডে সিরিজ যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকে শুরু করতে। কেননা সে স্মৃতি যে এখনও বাস্তব। 


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর





মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাদে আরো একবার ‘দ্য হলান্ড শো’

প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পুরো নব্বই মিনিটেও হল্যান্ডকে খুঁজে পাওয়া যায় না, এমন আলোচনা ফুটবল প্রেমীদের মুখে শোনা যায় হরহামেশাই। কিন্তু নিজের দিনে যে তিনি কতটা ভয়ংকর তার প্রমাণ তিনি দিলেন আরেকবার। প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ৩৫ ম্যাচে উলভসের বিপক্ষে একাই তিনি গোল করেছেন ৪ টি।

হলান্ডের এ গোলমেশিন হয়ে ওঠার দিনে ৫-১ গোলে সিটি হারিয়েছে উলভার হ্যম্পটনকে। দলের হয়ে হলান্ডের ৪ গোলের পাশাপাশি হুলিয়ান আলভারেজ করেন ১ গোল। সব মিলিয়ে সিটির জার্সিতে দুই মৌসুমে এটি ছিলো হলান্ডের ৯ম হ্যাট্রিক। আর চলতি মৌসুমে ৩য়।

সিটির এ জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াই জমে উঠেছে বেশ। ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান দুইয়ে। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৬ ম্যাচে ৮৩।

ইতিহাদ স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে হলান্ডের করা প্রথম তিন গোলের দুটিই পেনাল্টি থেকে। ১২ মিনিটে ইয়োস্কো গাভারদিওল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন হলান্ড। ৩৫তম মিনিটে করা দ্বিতীয় গোলটি আসে হেড থেকে। রদ্রির ক্রস থেকে আসা বল দীর্ঘ উচ্চতা কাজে লাগিয়ে লাফিয়ে চমৎকার হেড নেন হলান্ড।

এরপর ম্যাচের ৪৫ তম মিনিটে ভিএআর চেকের মাধ্যমে পেনাল্টি পায় সিটি। যা দারুনভাবে কাজে লাগাই হলান্ড। এতে ম্যাচের স্কোরলাইন তখন দাড়াই ৩-০ তে।

হলান্ড তার চতুর্থ গোলটি করেন বিরতির পর, ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে। ফোডেন নিজেদের অর্ধ থেকে চমৎকার এক শটে উঁচু করে বল হলান্ডের দিকে বাড়ান। সেটি দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান হলান্ড।

এরপর ম্যাচের ৮২ তম মিনিটে সিটি কোচ হলান্ডকে মাঠ থেকে তুলে নেন। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে সিটির স্কোরলাইন ৫-১ করে দেন হুলিয়ান আলভারেজ।

ম্যাচে উলভসের একমাত্র সান্ত্বনা হয়ে থাকে ৫৩ মিনিটে হি-চাং হোয়াংয়ের গোলটিই।


প্রিমিয়ার লিগ   হলান্ড   ম্যান সিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টেস্টে ভারতকে টপকে আবারও শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ কোথায়?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইসিসির টেস্ট খেলার বার্ষিক হালনাগাদ শেষে র‍্যাংকিংয়ে এসেছে বড় পরিবর্তন। কারণ গত বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হারা ভারতকে সরিয়ে পুনরায় টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করেছে অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির বাৎসরিক র‍্যাঙ্কিং হালনাগাদে এ সুখবর পায় প্যাট কামিন্সের দল।

এই হালনাগাদ করা হয়েছে ২০২১ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত । এই সময়ে ৩০ ম্যাচ খেলে ১২৪ রেটিং পয়েন্ট করেছে অজিরা। আর তা দুইয়ে থাকা ভারতের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেশি।

তবে ভারত টেস্টের শ্রেষ্ঠত্ব হারালেও ধরে রেখেছে বাৎসরিক র‍্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানডে ও টি-২০র শীর্ষস্থান। তাই শীর্ষের এ দুটি স্থান ছাড়া টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে আর কোনো পরিবর্তন নেই।

শীর্ষস্থানে জায়গা পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার রেটিং এখন ১২৪। অপরদিকে ভারতের রেটিং ১২০। টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে ইংল্যান্ড। এছাড়া ৪ থেকে ৯-এর মধ্যে থাকা দলগুলো হলো- দক্ষিণ আফ্রিকা (১০৩), নিউজিল্যান্ড (৯৬), পাকিস্তান (৮৯), শ্রীলংকা (৮৩), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৮২) ও বাংলাদেশ (৫৩)।

এদিকে ওয়ানডের বছর শেষের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে নেই কোনো পরিবর্তন । ১২২ রেটিং নিয়ে শীর্ষস্থান ভারতের, দুই ও তিনে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া (১১৬) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (১১২)।

৮৬ রেটিং নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আটে। সাতে থাকা শ্রীলংকার রেটিং ৯৩, আর নয়ে থাকা আফগানিস্তানের ৮০। টি-২০তে ২৬৪ রেটিং নিয়ে সবার ওপরে ভারত, দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া তাদের চেয়ে ৬ রেটিং পয়েন্ট পেছনে।

দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ধাপ এগিয়ে চারে অবস্থান করছে (২৫২), যা তিন নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের চেয়ে ২ রেটিং পয়েন্ট কম। অন্যদিকে ২৩১ রেটিং নিয়ে ৯ নম্বরে বাংলাদেশ।

বার্ষিক র‌্যাঙ্কিং করার আগে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে গত তিন বছরের পারফরম্যান্স। এর মধ্যে ২০২১ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত পারফরম্যান্সকে ৫০ শতাংশ ও সবশেষ এক বছরকে শতভাগ হারে বিবেচনায় নিয়েছে আইসিসি।

সম্প্রতি ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীনতম সংস্করণ টেস্টের এই র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দখল নিয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই যেন বেশ জমে উঠেছে।

 কখনও এক নম্বরে ভারত থাকছে তো কখনো রোহিতের দলকে হটিয়ে শীর্ষস্থান দখল করছে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া।


ভারত   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা আগামীকাল

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল (রোববার) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর।

দ্বিতীয়বারের মতো এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছিল।

সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ অ্যালার্ডিস এবং বাংলাদেশ-ভারত নারী ক্রিকেট দলের দুই অধিনায়ক উপস্থিত থাকবেন।

২৩ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টে শীর্ষ ১০টি নারী দল অংশ নেবে। ফাইনাল ছাড়া সবক’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই ভেন্যুতে। হোম অব ক্রিকেট হিসেবে বিবেচিত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।


নারী ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   আইসিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় ফোডেন ও খাদিজা

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারে এবার বাজিমাত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ এবার এই ক্লাব থেকেই পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের খেলোয়াড়রা নির্বাচিত হয়েছেন সেরা হিসেবে। ইংলিশ ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে  এবারের প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন এবং নারী বিভাগের বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজা শ’।

ইংল্যান্ডের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফোডেন গত চার বছরে সিটির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এই ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড জয় করলেন। এর আগে ২০২১ সালে সিটির রুবেন ডিয়াস ও গত বছর আর্লিং হালান্ড এই পুরস্কার জয় করেছিলেন।

এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ফোডেন ২৪ গোল করেছেন। ২৩ বছর বয়সী ফোডেন ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে আর্সেনালের ডিক্লান রাইস ও তার সতীর্থ রদ্রিকে পিছনে ফেলেছেন। এফডব্লিউএ’র প্রায় ৯০০ সদদ্যের ভোটে এই পুরস্কার বাছাই করা হয়।

ফোডেন বলেছেন, ‘ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া সত্যিই অনেক বড় সম্মানের। এই পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ খুশি। সতীর্থদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এই পুরস্কার জয় করতে পারতাম না।’

গার্দিওলা তার শিষ্যের প্রশংসা করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তার আরো ভাল খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর সে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলে তাতে নিজেকে আরো পরিণত করার সুযোগ পাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সে ম্যাচের আবহ আরো ভালভাবে বুঝতে পারছে। এখনো তার বয়স কম। সবকিছুই এখন তার উপর নির্ভর করছে। আমি নিশ্চিত মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে পারলে সে ভবিষ্যতে আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে।’ এদিকে শ’ নারী সুপার লিগে ২১ গোল করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।


ফিল ফোডেন   খাদিজা শ’   ম্যানসিটি   প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইংল্যান্ডের ইউরোতে ভালো করার টিপস দিলেন গার্দিওলা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাস্টারমাইন্ড পেপ গার্দিওলা। বার্সালোনাকে ট্রেবল জেতানোর পর গেল মৌসুমে ম্যানসিটিকেও জিতিয়েছেন ট্রেবল। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হবার পরও হাল না ছেড়ে লেগে থাকার ফলেই এই সফলতার মুখ দেখেছে গার্দিওলার দল। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে ম্যানসিটি। কিন্তু তারপরও ক্লাব ফুটবলের সাফল্য জাতীয় দলেও ধরে রাখতে পারলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয় নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন পেপ।

গার্দিওলা বলেন, ‘ইংল্যান্ড সত্যিই দারুণ একটি দল। এখানে শুধুমাত্র প্রতিভাবান স্ট্রাইকারই নয়, পুরো দলই একটি গ্রুপ হিসেবে অসাধারণ। গ্যারেথ জানে ঠিক কি করলে দলের সাফল্য আসবে। সে কারণেই আমার মনে হয় এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ও ইউরোতে ইংল্যান্ডের যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো তারা শুধরে নিতে পেরেছে। তারা শিরোপার একেবারেই কাছাকাছি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনালে পরাজিত হয়েছে, সেমিফাইনালে খেলেছে। প্রতি দুই বছরে একটি দল যখন এই পর্যায়ে খেলবে তখন সেই দলটির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। এটা অনেকটাই আমাদের মত চিত্র। আমরা শিরোপা কাছাকাছি গিয়েও তা হাতে নিতে পারিনি, শেষ পর্যন্ত সেটা ধরা দিয়েছে।’

গার্দিওলার বিশ্বাস, ফুটবলের প্রতি ইংলিশদের যে ভালবাসা তা অনেক সময় বড় টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এবার ইউরোতে সেই প্রত্যাশার চাপকে সামলে দল অবশ্যই ভাল কিছু করবে।

এ সম্পর্কে সিটি বস বলেন, ‘ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন খেলতে নামে তখন সমর্থকদের অনুভূতি আমি দেখেছি। তারা একেবারে পাগল হয়ে যায়। জাতীয় দলের জন্য তারা যেকোন কিছু করতে পারে। এতে এটাই প্রমাণ হয় যে জাতীয় দলকে নিয়ে তারা কতটা গর্বিত। একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবেও এই অনুভূতি সত্যিই অনুপ্রেরণার। পুরো দেশ তার দিকে তাকিয়ে আছে। বড় আসরে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারাটাও গর্বের। শুধু এই আত্মবিশ্বাস মনের মধ্যে রাখতে হবে, আমরাও পারবো।’

২০২১ সালে ওয়েম্বলিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেনাল্টিতে ইতালির কাছে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয় ইংলিশদের।


পেপ গার্দিওলা   ইংল্যান্ড   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন