ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোড ৭৫ : ম্যান ফ্রম অ্যানাদার প্ল্যানেট

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

ভীনগ্রহের ক্যালেন্ডারে ২০৮৭ সালের শেষভাগের কোনো একটা সময়! ভীন গ্রহের একটি স্থানে তৈরি হচ্ছে একটি টাইম মেশিন। উদ্দেশ্যে ৭৫ নাম্বার কোডধারী এক যাত্রীকে নিয়ে পৃথিবী নামক দূরবর্তী একটি গ্রহ ভ্রমণ করে আসা। টাইম মেশিনটি তৈরি হবার পর ভ্রমণের দিন তারিখ ঠিক করা হলো, সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো পেছনের কোন একটি সময়ে ঘুরে আসবার। টাইম মেশিনের সময়ের ডায়ালে সেট করা হলো ১৯৮৭ ডিজিটটি। যাত্রা শুরু করলো টাইম মেশিন। পৃথিবীর একটি অজ্ঞাত দেশে চুপিসারে এসে থামলো টাইম মেশিন। পৃথিবীর নিয়ম মেনে বিশ্বের একটি উন্নত দেশে ছোট্ট একটা শিশু জন্ম নিলো।

বাবা মায়ের কোলজুড়ে আসা ছেলেটি বড় হতে লাগলো। ছোট্ট শিশুটি যে দেশে জন্মেছিলেন সেই দেশেরই একটি ব্যাংকে চাকরি করতো ছেলেটির বাবা। ছেলেটি বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে একদিন ছেলেটির বাবা আবিষ্কার করলেন যে তার ছেলেটি ক্রিকেটে পারদর্শী। ছেলের এই প্রতিভার কথা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো গোটা দেশেই। ধীরে ধীরে মূলধারার ক্রিকেটে খুব সহজেই তাই ঢুকে পড়লো ছেলেটি। ছেলেটির দুইটি গুন ছিলো, একইসাথে ছেলেটি করতে পারতো ব্যাটিং ও বোলিং। ন্যাচারাল ক্রিকেট প্রতিভার সাথে সে এমন একটি দেশে জন্মেছিলো যে দেশের ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বের ধনী ক্রিকেট বোর্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম।

তাই ক্যারিয়ারের একদম শুরুতেই ছেলেটি বিশ্বের নামকরা সব ক্রিকেট কোচদের সান্নিধ্য পেতে শুরু করলো। যার ফলে তার সহজাত প্রতিভা নিয়মিত ক্রিকেট কোচিং এর বদৌলতে ধীরে ধীরে পৌঁছে গেলো এক অনন্য উচ্চতায়। এক সময় অভিষেক হলো দেশটির জাতীয় দলে। নতুন অভিষিক্ত সেই ছেলেটির পাশে থাকলো দেশটির ছোট বড় সব মিডিয়া। ছেলেটির ক্রিকেট প্রতিভা এতোটাই মুগ্ধ করতে লাগলো সবাইকে যে একের পর এক ক্রিকেট পরাশক্তিকে হারিয়ে সেই দেশটির সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের তকমা লাগাতে শুরু করলো অনেকে। গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম তকমা পাওয়াতে অনেকেই ছেলেটির পূজা করতেও শুরু করলো। চারদিকে শুধুই সেই ক্রিকেটারের বন্দনা। টানটান উত্তেজনায় হুট করে ঘুম ভাঙলো রেজা সাহেবের। হুড়মুড় করে ঘুম ভেঙ্গে লাফিয়ে ওঠাতে ঘুম ভাঙলো পাশে শুয়ে থাকা সন্তান সম্ভবা স্ত্রী শিরীন রেজার। এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়লেন রেজা সাহেব। মনে গেঁথে থাকলো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নটি।

পৃথিবীতে তখন ১৯৮৭ সাল চলমান। বাংলাদেশের মাগুরা নামক জেলায় বসবাস করা রেজা সাহেব চাকরি করেন একটি ব্যাংকে। অন্যান্য দিনের মতো ব্যাংকের ব্যস্ততার মাঝেই বেড়িয়ে পড়তে হলো রেজা সাহেবকে। বাড়ি থেকে খবর এসেছে তাই রেজা সাহেব ছুটলেন বাড়ির দিকে। রেজা সাহেব খুব চিন্তিত, কারণ প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী। কিছুক্ষণ পরে শোনা গেলো একটি সদ্যজাত শিশুর চিৎকার। রেজা দম্পতির কোলজুড়ে আসলো ফুটফুটে এক শিশু। রেজা সাহেব তার নাম রাখলেন সাকিব আল হাসান। ছোট্ট শিশুটি বড় হতে লাগলো। রেজা সাহেব বিকালে ছেলের সাথে ফুটবল খেলতেন আর মনে করতেন সেই রাতে দেখা সেই স্বপ্নটির কথা।

স্কুল পেরিয়ে ফেলা ছেলেটি একটা সময় ঝুকলো ক্রিকেটের দিকে। রেজা সাহেব প্রথমদিকে অবাক হতেন কিছুটা কিন্তু প্রোক্ষণেই ভাবতেন স্বপ্ন কি আর সত্য হয়। একটা সময় সত্যি সত্যি সাকিব নামের সেই ছেলেটি যুক্ত হলো বাংলাদেশ নামক নড়বড়ে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশটির ক্রিকেটের সাথে।

২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের সাথে এক ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক হলো রেজা সাহেবের ছেলে সাকিব আল হাসানের। ওই সময়টায় ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো অনেকটাই পিছনে। কালে ভদ্রে পেছনের সারির কিছু দলের সাথে হারতে হারতে জিতে গেলে উল্লসিত হতো এদেশের ক্রিকেট পাগল জনতা। ওই সময়টায় ক্রিকেট মোড়ল দেশগুলো মাঝে মাঝেও আওয়াজ তুলতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সামর্থ্য আর বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে। কিন্তু একজন তো আছেন যিনি হয়তো জন্মেছিলেন ক্রিকেট পাগল এ জাতির কঠিন সময়ের ত্রাণকর্তা হিসাবে।

আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিজের ক্রিকেট সামর্থ্য পৌঁছে দিতে শুরু করলেন সাকিব আল হাসান। মাঝে মাঝে ব্যাটিং বোলিং দুই পাশ থেকে একাই দলকে টেনে তুলতেন সাকিব। ফল আসতে শুরু করলো। নিজের প্রাপ্তির সাথে সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট আগাতে লাগলো সামনের দিকে। সাকিবের এই পথচলায় পাশ থেকে অবদান রাখতে শুরু করলেন তামিম, মুশফিক, মাশরাফি আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো ক্রিকেটাররা।

তবে সবাইকে ছাপিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোষ্টার বয় হয়ে উঠলেন সাকিব। অন্যদিকে দলের অন্যতম ভরসাও হয়ে উঠলেন সাকিব কারণ যেদিন সাকিব বল হাতে জ্বলে উঠতে পারতেন না সেদিন হাসতো সাকিবের ব্যাট। ফলে উন্নতি হতে লাগলো অলরাউন্ডার সাকিবের। বিশ্বের অনেক নামীদামী ক্রিকেটারদের পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে বিশ্বের অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষে উঠে আসলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একটা সময় তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের শীর্ষ অলরাউন্ডারের তকমা নিজের নামের সাথে জুড়ে গেলো জার্সি নাম্বার ৭৫ এর।

কিন্তু বিধি বাম। যে কোনো ইস্যুতে পশ্চাৎ দেশের খাঁজের মতো দুইভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া এ জাতি হয়তো সাকিবের মর্ম বুঝতে শিখবেনা কোনো কালেই। ক্রিকেট পাগল ভক্ত থেকে শুরু করে এ দেশের মিডিয়া কোনোটাই যেন পক্ষে থাকেনা সাকিবের। সাকিব আল হাসানই হয়তো দেশের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি দেশীয় দর্শকের কাছে বেয়াদব নামে পরিচিত। যদিও আজকের বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ নিজেকে বাজি রেখেছেন বারবার তাদের মধ্যে প্রথমেই থাকবেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই সাকিবই বাংলাদেশকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে শিখিয়েছেন। এই সাকিব শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে মনস্তাত্ত্বিক খেলায় এগিয়ে থাকতে হয়।

অথচ কোনো ম্যাচে একটু খারাপ করলে, কিংবা ব্যাটে বলে জ্বলে উঠতে না পারলেই শুনতে হয় সাকিবের দিন ফুরিয়ে এসেছে। কিন্তু যার জন্মই হয়তো হয়েছিলো দেশের ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে নিতে সেই সাকিব তো দুয়োধ্বনি শুনে দমে যাবার পাত্র নন। সাকিব বারবার ফিরে আসেন বীরদর্পে। একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গেচুরে নিজের রেকর্ডবুকে যুক্ত করেন রেকর্ডের নতুন নতুন পালক।

কোনো ম্যাচ খারাপ করলে বা টিম বাংলাদেশ হেরে গেলে হয়তো খুব মন খারাপ হয়ে যায় রেজা সাহেবের। কোনো এক মন খারাপের রাতে রেজা সাহেবের হয়তো মনে পড়ে যায় সেই স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্নের কথা। আফসোস করে হয়তো রেজা সাহেব মাঝে মাঝে ভেবে বসেন যে তার ছেলে সাকিব আল হাসান হয়তো ভুল সময়ে অথবা ভুলদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। পাশের দেশ ভারতের মাঝারি মানের কোনো অলরাউন্ডারকে নিয়ে উন্মাদনা দেখে হয়তো নিজের অজান্তেই আফসোসে ভোগেন রেজা সাহেব। ঠিক ওই সময়ে হয়তো মনে পড়ে যায় রেজুয়া সাহেবের দেখা সেই স্বপ্নটির কথা, কারণ স্বপ্নের শেষটা যেমন দেখেছিলেন সেই সময়টা আসতে হয়তো এখনো বেশ খানিকটা সময় বাকী। হয়তো এ জাতি কোনো একটা সময় বুঝতে শিখবে সাকিব আল হাসানের গুরুত্ব আর উচ্চতা। সেটি মিলে গেলে হয়তো অবাক হবেন না রেজা সাহেব। কারণ মাঝরাতে দেখা রেজা সাহেবের সেই ভিনগ্রহের ক্রিকেটারকে নিয়ে দেখা স্বপ্নটি যে এখনো কাউকে জানাননি তিনি।

ওদিকে ভীনগ্রহ থেকে এ দশকে আসবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি স্পেসশিপ। টাইম মেশিমের সময়ের ডায়াল ফিক্স করার আগে বার কয়েক ভেবে নিচ্ছে ওই গ্রহের বাসিন্দারা। কারণ তাদের ধারনা ৭৫ নাম্বার কোডধারী ভীনগ্রহ থেকে পৃথিবীর বুকে আসা মানুষটির মূল্য দিতে পারেনি পৃথিবীর কোনো এক দেশের বাসিন্দারা। যাত্রা কি তবে শুরু হবে স্পেসশিপের, কে জানে হয়তো হ্যা, হয়তোবা না...

 

বিঃদ্রঃ লেখাটির অনেকটা অংশই কাল্পনিক, বিষয়টি পাঠক দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।

এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।

জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট   আবাহনী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন যারা

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ও  জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল এখন অবস্থান করছে চট্টগ্রামে। কারণ আর মাত্র একদিন পরেই সেখানে মাঠে গড়াবে এই দুই দলের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিসিবি।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার মাঠের আম্পায়ারসহ ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে মাঠে অন-ফিল্ড আম্পায়ার, তৃতীয় আম্পায়ার এবং চতুর্থ আম্পায়ারসহ সবমিলিয়ে কাজ করবেন ৫ বাংলাদেশি। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

চট্টগ্রামে ৩ মে প্রথম ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন মাসুদুর রহমান মুকুল এবং তানভীর আহমেদ। টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন মোহাম্মদ মোর্শেদ আলী খান।

একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে সৈকতের সঙ্গে থাকবেন মুকুল অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে। মোর্শেদ আলীকে দেখা যাবে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে। এছাড়া চতুর্থ আম্পায়ার থাকবেন তানভীর আহমেদ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ে মুকুলের পরিবর্তে থাকবেন মোর্শেদ আলী।

এছাড়া শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ে থাকবেন সৈকত। সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে গাজী সোহেল ও তানভীর আহমেদকে। তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে চতুর্থ ম্যাচে থাকবেন তানভীর ও শেষ ম্যাচে সোহেল। দুই ম্যাচেই চতুর্থ আম্পায়ার থাকবেন মুকুল। প্রতিটি ম্যাচেই ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীলঙ্কার রঞ্জন মদুগালে।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি   আম্পায়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তবে কি সালাহ লিভারপুল ছাড়বেন?

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছিল লিভারপুল। তবে ম্যাচটিতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক কাণ্ডে। এদিন বদলি হিসেবে কেলতে নামার পূর্বে ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মোহাম্মদ সালাহ। যার ফলে গুঞ্জন উঠেছে, লিভারপুলে আর বেশিদিন থাকছেন না সালাহ। কারণ আর এক বছর পরেই লিভারপুলের সাথে চুক্তিও শেষ হতে যাচ্ছে সালাহর।

তবে চুক্তির শেষ বছরটা মোহাম্মদ সালাহ অন্তত এ্যানফিল্ডেই কাটাবেন বলে আশাবাদী লিভারপুল। স্কাই স্পোর্টস ও দ্য এ্যাথলেটিকের সূত্রমতে, ৩১ বছর বয়সী সালাহ এখনো লিভারপুল ছাড়ার কোন ইঙ্গিত দেননি। লিভারপুলেরও তাকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

মিশরীয় এই তারকা গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি যদি আজ কোন কথা বলি তবে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।’

এই মৌসুমের শুরুতে সৌদি পেশাদার ক্লাব আল ইত্তিহাদের কাছে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে সালাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য লিভারপুলের আলোচনার বিষয়টি নিয়ে বেশ হইচই হয়েছে। যদিও লিভারপুল ওই সময় সব আলোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল।

এ মৌসুমের শেষে অবশ্য ক্লপ লিভারপুল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই দলের বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, সাদিও, মানে, করিম বেনজেমাদের দলে ভিড়িয়ে গত মৌসুমে সৌদি পেশাদার লিগ সারা বিশ্বে যেভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল এবারও তারা সেটা অব্যাহত রাখতে চায়। আর এ লক্ষ্যে তাদের প্রথম পছন্দ ইউরোপীয়ান শীর্ষ লিগে খেলা তারকা খেলোয়াড়রা।

এবারের মৌসুমে সালাহ ২৪ গোল করেছেন। যদিও জানুয়ারিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ার কারনে সালাহ কিছুটা ফর্মহীনতা ভুগছেন। আর সালাহর এই গোলখরা লিভারপুলের ওপর প্রভাব ফেলেছে। ইতোমধ্যেই শিরোপা দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে রেডসরা। ইউরোপা লিগ ও এফএ কাপ থেকে আগেই বিদায় ঘটেছে।

২০২২ সালে সালাহ লিভারপুলের সাথে যে তিন বছরের চুক্তি নবায়ন করেছিল তা শেষ হতে আর মাত্র এক বছর বাকি রয়েছে।


উয়েফা ইউরোপা লিগ   লিভারপুল   মোহাম্মদ সালাহ   ওয়েস্ট হ্যাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বার্নাব্যুতেই স্বাগতিক রিয়ালকে হারানোর হুমকি টুখেলের

প্রকাশ: ০২:১৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে বায়ার্ন মিউনিখের ঘর থেকে সমতা নিয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জমজমাট উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলে ড্রতে। যার জন্য সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগেই হবে চূড়ান্ত সমাধান।

এমন পরিস্থিতিতে বার্নাব্যুতেই স্বাগতিক রিয়ালকে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। তিনি বলেন, ‘ফলাফল ফলাফলই। রিয়াল মাদ্রিদ এমনটা আগেও করেছে, দুই অর্ধে তারা দুটি চান্স পেয়েছে এবং দুটিতেই গোল। আমরা প্রথম কোনো প্রতিপক্ষ নই যে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি এখন ফিফটি-ফিফটি লড়াই। জয়ের জন্য বার্নাব্যু কঠিন জায়গা, তবে হ্যাঁ আমি আশা করি আমরা সেখানে সুযোগ কাজে লাগাতে পারব।’

অন্যদিকে, বেলিংহ্যামের চোট এবং এই ম্যাচের ফর্ম নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি। তবে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ থাকলেও প্রথম লেগের ফল নিয়ে তিনিও সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তার কণ্ঠে মুগ্ধতা ঝরেছে জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের জন্যও। সেই সাথে এদিন রিয়ালকে জোড়া গোলে সমতায় ফেরানো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও এই সতীর্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আর এই ব্রাজিলিয়ানের এক গোলে অ্যাসিস্ট করেছিলেন ক্রুস। যা নিয়ে ভিনি বলেন, ‘এটি টনির পক্ষ থেকে উপহার, সে গোলটি দেওয়া আমার জন্য সহজ করে দিয়েছিল। এবার বার্নাব্যুতে ম্যাজিক দেখানোর পালা।’

রিয়াল-বায়ার্ন ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বদলি হিসেবে জ্যুড বেলিংহ্যামকে তুলে নেন কোচ আনচেলত্তি। তাকে নিয়ে অস্বস্তি এবং ক্রুসকে নিয়ে রিয়াল ম্যানেজার জানান, ‘বেলিংহ্যাম ক্লান্ত ছিল, সে কারণে সে আর বেশিক্ষণ খেলতে পারছিল না। বেঞ্চেও আমাদের যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় আছে। তবে আশা করি সে (বেলিংহ্যাম) নিজের সেরা ফর্মে ফিরবে। আমার মনে হয় তার ইনজুরির সমস্যা রয়েছে, যা তার খেলায়ও প্রভাব ফেলেছে। টনি ক্রুস…তার জন্য কোনো শব্দ যথেষ্ট নয়। সে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, টাইমিং এবং পাস অসাধারণ। অবশ্য তার পাস সবার জন্য নয়, কিন্তু ভিনির মুভমেন্ট খুবই স্মার্ট–অসাধারণ।’

প্রথম লেগের ফল নিয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন এই ইতালিয়ান কোচ, ‘প্রথমার্ধে আমাদের রক্ষণশীল হতে হতো, তবে আমরা যেমনটা চাইনি তার বাইরে ঘটে গেছে। সে কারণে এ ধরনের জায়গায় আপনাকে ভুগতেই হবে, যা বিশ্বের সবাই জানে। আমি মনে করি এটা ভালো ফলাফল এবং সেকেন্ড লেগের জন্য আমাদের বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এটি এখনও সম্পূর্ণ খোলা (নিজেদের পক্ষে ফল নেওয়ার জন্য)।’

তবে এই ড্র মানতে পারছেন না বায়ার্নের মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। তরুণ এই জার্মান তারকা বলেন, ‘ভালো খেলার পরও এই ফলাফল কিছুটা তিক্ত অনুভূতির। রিয়াল মাদ্রিদ যেকোনো পরিস্থিতি কেটে ওঠার সামর্থ্য আছে, যেখানে আপনি মনে করবেন যে প্রতিপক্ষ কিছুই করতে পারবে না। তবে আমরা মাথা উঁচুতে রাখছি এবং বার্নাব্যুতে নতুন লক্ষ্যে নামব।’

মিউনিখে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। আগামী বুধবার (৮ মে) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হবে দুই দলের ফিরতি লেগ। শেষ পর্যন্ত দুই অভিজাত দলের মধ্য থেকে কারা ফাইনালের টিকিট কাটবে, সেটি নিশ্চিত হবে রিয়ালের ঘরের মাঠে।


টমাস টুখেল   বায়ার্ন মিউনিখ   রিয়াল মাদ্রিদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন