ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিজয় দিবস এবং জয় বাংলার ক্রিকেট

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail বিজয় দিবস এবং জয় বাংলার ক্রিকেট

আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস এদিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশসহ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। ২৪ বছরের নাগ পাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়। একটি দেশের স্বাধিকার আন্দোলনের ‘প্রতীক’ হিসেবে ক্রিকেটের মাঠেও ছিল ‘জয় বাংলার’ উপস্থিতি।

১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের উত্তাল সময়। ঢাকায় খেলতে এসেছিল কমনওয়েলথ একাদশ নামের একটি দল। ইংলিশ ক্রিকেটারদের আধিক্য ছিল সেই দলে, আর ছিলেন অন্যান্য দেশের বেশ কিছু ক্রিকেটার। সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার অ্যালেক স্টুয়ার্টের বাবা মিকি স্টুয়ার্ট ছিলেন সে দলের অধিনায়ক। সে সময়কার পাকিস্তান ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (পিসিসিবি) নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে তিনটি বেসরকারি টেস্টের একটির ভেন্যু ছিল ঢাকা। ১৯৭১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সেই ম্যাচ ঠাঁই নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে। রকিবুল হাসান নামের ১৮ বছর বয়সী এক বাঙালি ক্রিকেটার সে ম্যাচে নিজের ব্যাটে ‘জয় বাংলা’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে পাকিস্তানিদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকুতি। পাকিস্তানিদের সামনে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন কাগজে-কলমে এক দেশ হলেও পশ্চিম আর পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে মানসিক দূরত্বটা। করাচির আজমত রানাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামলেন ১৮ বছরের তরুণ রকিবুল। তখন একজন ফটোগ্রাফার প্রথম খেয়াল করলেন ভিন্ন এক ব্যাপার। ছুটে এলেন ছবি তুলতে। খানিকপরই স্টেডিয়ামজুড়ে খবর ছড়িয়ে পড়ল— ‘জয় বাংলা’ স্টিকার নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে খেলছে একজন বাঙালি ছেলে। খানিক পরে স্টেডিয়ামে থাকা প্রায় ১৫ হাজার দর্শক স্লোগান তুলল- জয় বাংলা। পাকিস্তানি প্রশাসনের কাছে সেই ঘটনা ছিল দেশদ্রোহীতার সামিল। যে কারণে পরবর্তীতে হুলিয়া জারি করেছিল পাকিস্তানি মিলিটারি। পরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতেই রকিবুল ব্যাট ছেড়ে হাতে তুলে নেন অস্ত্র। দেখেছেন গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। ব্যাট-বল হাতে বয়ে নিয়ে গেছেন প্রতিভার ধারা। সেই ব্যাটন এখন উত্তরসূরি মাশরাফী-সাকিব-তামিম-মুশফিকদের হাতে।

স্বাধীন দেশের ক্রিকেট আমাদের স্বপ্ন, আবেগ ও ভালোবাসা। বাঙালি মাত্রই আবেগপ্রবণ, স্বপ্নবাজ। ক্রিকেটের সফলতা স্বপ্নবাজ বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে নতুন পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে। ক্রিকেট আমাদের স্বপ্নকে আগামীর পথ ধরে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আর এই এগিয়ে যাওয়ার পথে আছে অনেক ক্রীড়াবিদের আত্মদানও রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ২৫ মার্চ কালরাতে নির্মমভাবে নিহত হন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মুশতাক। আক্রমণাত্মক ওপেনার ও ক্র্যাক প্লাটুনের নির্ভীক সদস্য জুয়েল মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি ধরা পড়েন পাক বাহিনীর হাতে। ঢাকায় বেশ কয়েকটি গেরিলা অপারেশনে অংশ নেওয়া জুয়েলের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের স্মরণে বিজয় দিবসে আয়োজন করা হয় প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ।যথারীতি এবারও সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া হয়েছে স্কোয়াড। প্রতি দলে রাখা হয়েছে ১৫ জন করে ক্রিকেটার। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর ক্রিকেটার শহীদ জুয়েল ও কালরাত্রিতে প্রাণ হারানো শহীদ মুশতাকের নামে খেলবে দুই দল।

১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবসে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল এগারোটায়। দুই দলের ক্রিকেটার ছাড়াও এতে দেশ বরেণ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও বোর্ড কর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

শহীদ জুয়েল একাদশ: মেহরাব হোসেন অপি, রকিবুল হাসান, সজল চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, সাজ্জাদুল আলম শিপন, আব্দুল হান্নান সরকার, মাহমুদুল হাসান রানা, হাবিবুল বাশার, নাসির আহমেদ নাসু, এনামুল হক মনি, সাইফউদ্দিন আহমেদ বাবু, মুশফিকুর রহমান বাবু, মোর্শেদ আলী খান, মঞ্জুরুল ইসলাম, ওয়াহিদুল গনি।

শহীদ মুশতাক একাদশ: জাভেদ ওমর বেলিম, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিক, এহসানুল হক সিজান, হাসিবুল হোসেন শান্ত, আতহার আলী খান, তারেক আজিজ খান, তালহা জুবায়ের, মোহাম্মদ আলী, সানোয়ার হোসেন, আজহার হোসেন শান্ত, ফাহিম মুনতাসির সুমিত।


বিজয়   জয়-বাংলা   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাট হাতে শুভসূচনার পর অল্পেই গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বল হাতেও করেছিল দুর্দান্ত শুরু। তবে হাল না ছাড়া জিম্বাবুয়ে লড়েছে শেষ পর্যন্ত। যদিও টাইগারদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। আর তাই টানা চার জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের জয় ৫ রানে।

রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে আউট হন বেনেট। তিনে নামা সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করেন এ পেসার। রাজা করেন ১৭ রান। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানশে মারুমানিকে আউট করেন সাকিব। তিনি করেন ১৪ রান।

রিশাদের বলে মাদান্দে ১২ রানে আউট হলেও হাল ছাড়েনি জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন জনাথন ক্যাম্পবেল ও রায়ান বার্ল। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। তবে বার্ল ১৯ রানে আউট হলে আবার ধাক্কা খায় সফরকারীরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে সাকিবের বলে আউট হন ক্যাম্পবেল। শেষ ওভারে জম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সাকিবের করা ওভারের তৃতীয় বলে ছয় হাঁকান মুজারাবানি। 

তিন বলে ৭ প্রয়োজন, এমন পরিস্থিতিতে পরপর দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান সাকিব। তিনি চারটি, মুস্তাফিজুর তিনটি, তাসকিন দুটি এবং রিশাদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ এ ম্যাচে ৩ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। দলকে ব্যাট হাতে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার।

শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন সৌম্য। তবে অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তামিম। দুজনের জুটিতে ১১তম ওভারে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ। তবে এরপরই ছন্দপতন।

লুক জঙ্গের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। এরপরের গল্পটা জিম্বাবুয়ের বোলারদের। যেখানে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সৌম্য।

তিনে নামা হৃদয় ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। দলের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার জঙ্গে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া বেনেট এবং গারাভা দুটি ও রাজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

জিম্বাবুয়ে   শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

উড়ন্ত শুরুর পর দুরন্ত পতন বাংলাদেশের, অবশেষে সংগ্রহ ১৪৩

প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু  অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফেরা সৌম্যের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি ‍তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। অন্যদিকে একটা লম্বা সময় পর দলে ফিরে ভালো করেন সৌম্যও। তাদের জুটিতে দলীয় শতকে পৌঁছায় টাইগাররা।

তবে শতকের ঘরে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় পতন। একের পর এক উকেট যেন নিজ হাতে বিলিয়ে দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে করে ১৪৩ রানের স্বল্প পুঁজিতে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

এদিন বিপর্যয়ের শুরুটা হয় তানজিদ তামিমকে দিয়েই। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।

চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।

একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তামিম-সৌম্যের ব্যাটে বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এদিন অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। আর সৌম্যের সাথে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম।

শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তানজিদ তামিম শুরু থেকেই আছেন উড়ন্ত ছন্দে। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই তুলেন নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি।

এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ওভার দিয়ে শুরু। সেই ওভারে পেয়েছেন একটি চারের দেখা। পরের দুই ওভারে ছিল আরও দুইটি করে চারের দেখা। মুজারাবানির পরের ওভারেও জুনিয়র তামিম দেখালেন নিজের ব্যাটিং কারিশমা। জোড়া চার ছিল সেই ওভারেও। এমনকি পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারেও ছিল দুই চার। যদিও সেবার একটা চার আছে লেগবাই থেকে।

পাওয়ারপ্লেতে তামিমের এমন তাণ্ডব দেখেই কিনা ঝড় শুরু করেছেন সৌম্য সরকারও। সপ্তম আর অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দুই ছক্কাও এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। আর ইনিংসের নবম ওভারে এসে ফিফটির দেখা পান তানজিদ তামিম।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ রান।


তানজিদ তামিম   সৌম্য সরকার   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৪৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই তিন ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে এবং সবকটিতেই জিতে দুই ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। যার জন্য বাকি দুই ম্যাচ অনেকটাই নিয়ম রক্ষার।

তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে টাইগার স্কোয়াডে, তাই একেবারে গুরুত্বহীনও নয় এই ম্যাচগুলো। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১০ মে) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় রোডেশিয়ানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাটিং করবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল।

এই ম্যাচের একাদশে টাইগাররা তিনটি পরিবর্তন এনেছে। স্কোয়াডে নতুন করে যুক্ত হওয়া সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার এই ম্যাচের একাদশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মাদান্দে, রায়ান বার্ল, ‍লুক জঙ্গুই, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ফারাজ আকরাম, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাবা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আয়ারল্যান্ড সিরিজ খেলা নিয়ে সুখবর পেলেন আমির

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর অবসর ভেঙে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তনটা মন্দ হয়নি তার। তবে মাঠের বাইরের ইস্যুতে সমস্যায় পড়েছিলেন তারকা এই পেসার।

টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। দলে আছেন আমিরও। তবে ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিমানে চড়া হয়নি তার। তাতে সিরিজটি খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সে সমস্যার সমাধান হয়েছে।

দল চলে যাওয়ার দুই দিন পর আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন আমির। পাকিস্তান দলের অন্যদের সঙ্গে গত মাসেই আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেতে আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফসহ দলের সবার ভিসা হলেও আমির পাননি।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৭ মে) আমিরকে দেশে রেখে আয়ারল্যান্ডে রওনা দেয় পাকিস্তান দল। ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন আমির। তার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পরে আইরিশ দূতাবাসে ভিসার জন্য আবারও কাগজপত্র জমা দেন আমির। আসন্ন সিরিজের আগে ভিসা নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফও। তবে শেষ পর্যন্ত ভিসা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দলের সঙ্গেই আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দিতে পেরেছেন তিনি।


মোহাম্মদ আমির   পাকিস্তান   নিউজিল্যান্ড   আয়ারল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন