ইনসাইড হেলথ

খাদ্যে ভেজাল ও এর প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কি?

প্রকাশ: ০৮:১১ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail খাদ্যে ভেজাল ও এর প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কি?

দেশে আজ বিভিন্ন ডিজেনারেটিভ রোগ মহামারি আকার ধারন করেছে। যে রোগগুলো আগে ছিলোনা এখন হচ্ছে, নিত্য নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে দিনে দিনে আমাদের দেহ বিভিন্ন রোগের আবাসম্থলে পরিণত হচ্ছে অথচ ৪০-৫০ বছর আগেও এতো রোগের ছড়াছড়ি ছিলোনা। হাজারো রকমের রোগের প্রধান কারণ হলো ভেজাল খাদ্য। আজ ভেজাল খাদ্যের কারণে আমরা জাতীয় জীবনে অপুরনীয় ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছি। সময় এখন ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করার। খাদ্যে ভেজালকারীদের কঠোর শান্তির আওতায় আনতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারী ও তার পণ্যকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। ভেজালকারীর দোকানের পন্য আমরা কিনবো না। ভেজালকারীদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখবোনা। আসুন আমরা ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।

বিশ্বাস ঘাতকতার শাস্তি কি হবে?

খাদ্যে ভেজাল। আমাদের দেশের আদি সমস্যাগুলোর অন্যতম একটি। নীতি- নৈতিকতা, বোধ বিবেচনা, বিবেককে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে কিছু মানুষ এই অন্যায় কাজটি করেই যাচ্ছে৷ তারা হয়তো ভাবছে খাবারে অল্প কিছু ভেজাল দেয়া এতে আর এমন কি হবে। কিন্তু তারা জানেন (হয়তো জানে না) যে একটি জাতি এবং এর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে ঠেলে দিচ্ছেন৷ তথ্যসূত্রঃ মানবকন্ঠ, ২১ মে, ১৯।

কী খেয়ে থাকা যাবে নিরাপদ! ভেজাল আতঙ্ক।

মাছেও ফরমালিন, দুধেও ফরমালিন। শাক-শবজি, ফল-ফলাদি সব কিছুতেই ফরমালিন মেশানো এখন ব্যবসা বাণিজ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা "খাদ্য" খেতে বসলেই মনে প্রশ্ন জাগে কী খাচ্ছি? খাবারের নামে ভেজালের বিষ নয়তো? এমন সন্দেহ, প্রশ্ন আর উদ্বেগ- আতঙ্কের মধ্যেই চলছে সবার খাওয়া-দাওয়া। খাদ্য পণ্যে বেশুমার ভেজালের পরিণতিতে শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগবালাই; অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। এছাড়া বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম নেওয়া, অন্বত্ব, ক্যান্সার, হেপাটাইটিস, কিডনী এবং লিভারের জটিলতাসহ ১৫টি কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ভেজাল খাদ্যভোগী লোকজন। বাজারের ফল ফলাদি পর্যন্ত বিষে ভরা। প্রাকৃতিক শাক- সজির নামে সরাসরি কীটনাশক সেবনেরই নজির সৃষ্টি হয়েছে। তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিনঃ ২০ মে, ২০১৮।

ভেজালকারীরা মানুষকে তিলে তিলে মারছে

গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, যারা খদ্যে বিষ প্রয়োগ করে লাখ লাখ মানুষকে তিলে তিলে মারছে, আবার নকল ওষুধ প্রস্তুত করে পয়েজনিংয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে তারা উভয়ই হত্যাকারী। তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৬ জুন, ২০১৯।

মহামান্য হাইকোর্ট এক রিট আবেদনে গত ১২ মে, ২০১৯ বলেছেন; খাদ্যে ভেজালের কারণে দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে বিএসটিআই মান পরীক্ষায় নিয়মান প্রমানিত হওয়ায় ৫২টি প্রতিষ্ঠানের খাদ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট আরও পর্যবেক্ষণ দেন খাদ্যে ভেজাল ও নিয়মানের পণ্য এবং খাবারের কারণে এ দেশ বসবাসের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধ ঘোষণার আহুন জানিয়েছেন। তথ্যসূত্রঃ দৈনিক মানবকন্ঠঃ ১৯ মে, ২০১৯।

ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে

প্রতিদিন আমরা কি খাচ্ছি? এসব খাবার নিরাপদ তো? খাদ্য গ্রহনকালে এমন নানা প্রশ্ন হরহামেশা আমাদের মনে ভিড় করে৷ বাড়িতে অথবা বাইরে, একজন মানুষ যেখানেই খাদ্য গ্রহন করুক না কেন, খাদ্য গ্রহনকালে তার চেতনার ভেতরে অবাঞ্চিত চিন্তী চলে আসে। এ সত্য এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। তথ্যসূত্রঃ দৈনিক মানবকন্ঠঃ ২৪ মে, ২০১৯)

নিষিদ্ধ ৫২ খাদ্যপণ্য বিক্রি চলছেই

বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড এ্যান্ড টেস্টিং ইস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় ভেজাল ও নিয়মানের প্রমানিত হওয়া ৫২ খাদ্য পণ্য প্রত্যাহারে হাইকোর্টের নির্দেশের পরও এখনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠানকে বাজার থেকে পণ্য সরাতে ৩/৪ দিনের সময় বেঁধে দিলেও এ নিয়ে তাদের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তথ্যসূত্রঃ দৈনিক মানবকন্ঠঃ ১৫ মে, ২০১৯।

৪১০ টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর দুই কোটি টাকা জরিমানা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার দুটি হিমাগারে গতকাল সোমবার অভিযান চালিয়ে ৪১০ টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলোঃ ৩০ এপ্রিল, ১৯।

তরল দুধে ক্ষতিকর উপাদান

বাজারে ১০টি দুধের নমুনার সব কটিতে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষাতেও ত্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিকেল রিসার্স সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আব ম ফারুক ও তার সহ গবেষকরা জানিয়েছেন প্রথম দফায় তারা দুধে তিনটি ত্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন দ্বিতীয় দফায় মিলেছে চারটি। সাতটি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের নমুনা এবং খোলা দুধের তিনটি নমুনা একই জায়গা থেকে সংগ্রহ করে গবেষক দলের সদস্যরা দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করে ১০টি নমুনার সবকটিতে ত্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন। তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিনঃ ১৫ জুলাই, ২০১৯।

৭১ ভোগ্যপণ্যের ৫৯টিই মানহীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা।

# হলুদের গুড়ায় কাপড়ের রং দুধে আ্যান্টিবায়োটিক। তেলে ক্ষতিকর রাসায়নিক।
# পরীক্ষায় পাস্তুরিত তরল দুধের ৭টি নমুনাতেই আ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে।
# হলুদের দুটি নমুনা ছাড়া বাকি সব পণ্যেই ভেজাল অথবা ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে।

তেল, দুধ, মসলাসহ আট ধরনের ভোগ্যপণ্যের ৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে। পরীক্ষায় ৬৯টি পণ্যই মানোতরীর্ণ হতে পারেনি। পণ্যগ্তলোর বেশ কয়েকটিতে জ্যান্টিবায়োটিক ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে; ষা দীর্ঘ মেয়াদে নানা ধরনের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি লেকচার থিয়েটারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, খাদ্যের গুণগত মান নিয়ে সরকার ও সাধারণ মানুষের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মাসি অনুষদের বিভিন্ন পরীক্ষাগারে পণ্যগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে৷

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এবং বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক আব ম ফারুক। লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় এমন ঘির ৮টি, ফুট দড্রিংকসের ১১টি, শুকনা মরিচের গুঁড়ার ৮টি, পাম তেলের ১০টি, সরিষার তেলের ৮টি, সয়াবিন তেলের ৮টি, পাস্ভুরিত তরল দুধের ৭টি এবং অপাস্তুরিত তরল দুধের ৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডম জ্যান্ড টেষ্টিং ইনষ্টিটিউশনের (বিএসটিআই) নির্ধারিত মানদন্ড অনুযায়ী পণ্যগুলো পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় হলুদের দুটি নমুনা ছাড়া বাকি সব পণ্যেই ভেজাল বা তিক সানি পাওয়া যেছে। এর মধ্যে পার্ভুরিত তরল দুধের ৭টি নমুনাতেই মানবদেহে ব্যবহার করা হয় এমন ত্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়।

আব ম ফারুক বলেন, ত্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের একটি নিয়ম আছে। মানবদেহে ব্যবহার করা হয় এমন জ্যান্টিবায়োটিক পশুর শরীরে ব্যবহার করার যায়না। কিন্তু খামারগুলোতে সেটি করা হচ্ছে৷ এছাড়া গরুর খাবারেও ত্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। এতে দুধ ও মাংসে এ্যান্টিবায়োটিক থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই এ্যান্টিবায়োটিকযুক্ত দুধ ও মাংস খেলে মানুষের শরীরে আর প্রয়োজনের সময় এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। পরীক্ষার সংগে সংশ্লিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিষ্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ বলেন, হলুদের গুড়ায় কাপড়ের রং পাওয়া গেছে। এই রং লিভার, কিডনীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সার হতে পারে। এমন রং যুক্ত খাবার খেলে শিশুদের হাপানি হয়।

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি অনুষদের ডিন এস এম আবদুর রহমানও বক্তব্য দেন৷ তিনি বলেন, খাবার মানহীন হলে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় না। এছাড়া বিষাক্ত রাসায়নিকও পাওয়া যাচ্ছে৷ নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলোঃ ২৬ জুন, ২০১৯। আজ জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন, কিভাবে আমরা ভেজালমুক্ত, বিষমুক্ত খাবার পেতে পারি? আসলেই কি সুখাদ্য পাওয়া সম্ভব?

খাদ্যে ভেজাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসাসেবা খাতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ৬৫ শতাংশ অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত পাঁচ বছরে চিকিৎসাসেবা খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ৩৫ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে ৬৫ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

অভিযোগ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আগ্রহে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

আরও পড়ুন: অসুস্থতা নিয়েও পুরুষের তুলনায় বেশিদিন বাঁচে নারী: গবেষণা

বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে চিকিৎসাসেবাসংক্রান্ত ৬৬টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ সময় নিষ্পত্তি হয়েছে ২৩টি অভিযোগ। সে হিসাবে ৩৫ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ৪৩টি অভিযোগ, যা মোট অভিযোগের ৬৫ শতাংশ।

এর মধ্যে ২০২৩ সালে চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত ২৫টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে মানবাধিকার কমিশন, যা গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের ৩১ মার্চ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ২০২৩ সালের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে ২০২৩ সালের ২৫টি অভিযোগের মধ্যে ভুক্তভোগী কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগ দুটি।

অন্যদিকে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমটো) হয়ে গ্রহণ করা অভিযোগের সংখ্যা ২৩, যা এ সময় কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সুয়োমটো অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। ভুক্তভোগীদের দায়ের করা দুটি অভিযোগ নিষ্পত্তি হলেও কমিশন কর্তৃক গৃহীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র তিনটি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে।

নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে আরও ২০টি অভিযোগ। সে হিসাবে গত বছর চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত অভিযোগের ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

এদিকে, ২০২০ সালে করোনাকালীন সর্বনিম্ন দুটি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে কমিশন।

এর মধ্যে একটি অভিযোগ জমা পড়ে আর কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করে অন্যটি। ওই বছর কোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর ধারা ১২ অনুযায়ী, দেশের নাগরিকরা কমিশনে চিকিৎসাসেবা খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবা খাতের অব্যবস্থাপনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কমিশন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর কোন কোন ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন তার গুরুত্ব বিবেচনা করে উচ্চ আদালতে রিট করে কমিশন।

আরও পড়ুন: করোনা টিকা ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

চিকিৎসাসেবা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আগ্রহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যেসব অভিযোগ কমিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির জন্য আমরা নিয়মিত তাগিদ দিয়ে থাকি। চিকিৎসাসেবা খাতের অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরো বেশি আগ্রহী হতে হবে।’

এ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে কমিশন অনেক ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসাসেবা নিতে এসে অনিয়মের শিকার রোগীদের অভিযোগ জমা পড়তে পড়তে পাহাড় হয়েছে। আবার ভুল চিকিৎসা, সেবা নিতে গিয়ে অনিয়মের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগও অনেক। স্বাস্থ্যসেবার প্রকৃত চিত্র শিগগিরই পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলে ধরবে কমিশন। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনসাধারণকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে মনে করে কমিশন। গত বছর আমরা জরায়ু ক্যান্সারের ভুয়া ভ্যাকসিন, হাসপাতালের শয্যা নিয়ে বাণিজ্য, ওষুধের মোড়ক পরিবর্তন করে বিদেশি ওষুধ বলে বিক্রি, অনুমোদন ছাড়া ক্লিনিক এবং বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারে না কমিশন। এ জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কার্যকর ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্যারিস নীতিমালার আলোকে আইনের সংশোধন জরুরি।’


চিকিৎসাসেবা   জাতীয় মানবাধিকার কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

অসুস্থতা নিয়েও পুরুষের তুলনায় বেশিদিন বাঁচে নারী: গবেষণা

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী পুরুষের তুলনায় বেশি বছর বাঁচলেও অসুস্থতায় বেশি ভোগেন। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা পেশির সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মাথাব্যথার মতো রোগগুলোতে বেশি ভোগেন। যদিও এসব রোগ প্রাণঘাতী না হলেও তা অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতা তৈরি করে।

অন্যদিকে পুরুষেরা হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্র, যকৃতের রোগ, কোভিড-১৯–এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল প্রাণ হারায়। 

নারী ও পুরুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত অবস্থার যে ভিন্নতা আছে, তা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। এতে নারীরা জীবনভর অপেক্ষাকৃত উচ্চ মাত্রার অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতায় ভোগেন। আর এ অবস্থা নিয়েই তারা পুরুষদের চেয়ে বেশি বছর বাঁচেন।

গবেষণার সাথে যুক্ত ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর গবেষক ড. লুইসা সোরিও ফ্লর বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনটি স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছে যে গত ৩০ বছরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইস্যুতে বৈশ্বিকভাবে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অসম। নারীরা দীর্ঘ আয়ু পেলেও তারা অপেক্ষাকৃত বেশি বছর অসুস্থ থাকে। যেসব পরিস্থিতির কারণে তাদের অসুস্থতা ও অক্ষমতা তৈরি হয়, তা সামাল দিতে সীমিত অগ্রগতি হয়েছে। যেসব পরিস্থিতির (প্রাণঘাতী নয়) কারণে নারীদের বিশেষ করে বয়স্ক অবস্থায় তাদের যে শারীরিক ও মানসিক কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে, তার দিকে নজর দেওয়াটা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। একইভাবে পুরুষেরা অপেক্ষাকৃত উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এবং প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হন।’

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে অসুস্থতা ও মৃত্যুর শীর্ষ ২০টি কারণের মধ্যে ১৩টি কারণই পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। যেমন- কোভিড-১৯, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া, হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, যকৃতের রোগের মতো সমস্যাগুলো নারীর চেয়ে পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। নারীরা মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা, বিষণ্নতা, মাথাব্যথা, উদ্বেগ, হাড় ও পেশির সমস্যা, স্মৃতিভ্রম, এইচআইভির মতো রোগে ভোগেন বেশি। গবেষণা বলছে, এসব কারণে নারীরা অসুস্থতা ও অক্ষমতায় ভুগলেও অকাল মৃত্যু হয় না।

জনস্বাস্থ্য   ল্যানসেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

করোনা টিকা ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রকাশ: ১০:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

করোনা অতিমারি পর্বে মৃত্যুমিছিল দেখেছিল বিশ্ব। প্রিয়জনকে হারানোর ঘা এখনও দগদগে। সেই পর্বে জীবনদায়ী করোনা টিকা কোভিশিল্ড বহু মানুষকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। সেই টিকা নিয়ে এবার বড়সড় তথ্য ফাঁস। জানা গেল কোভিশিল্ডের যথেষ্ঠ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর কেউ নয়, এ কথা খোদ স্বীকার করে নিল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

কোভিশিল্ডে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা?

জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা জানায়, তাদের তৈরি করা প্রতিষেধকের কারণে বিরল রোগ থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে (TTS)-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। সূত্রের খবর, এই কারণে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে গুনতে হতে পারে বিপুল অঙ্কের জরিমানাও।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় এই প্রতিষেধক তৈরি করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থাটি। করোনা অতিমারি পর্বে আশীর্বাদ স্বরূপ মনে করা হয়েছিল এই টিকাকে। কোভিশিল্ড ছাড়াও ভ্যাক্সেজেরিয়া নামে একটি প্রতিষেধকও বাজারে এনেছিল এই সংস্থা। করোনা পর্বের ভারতে কোভিশিল্ড সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়েছিল। ঘরে ঘরে মানুষ এই টিকার দু'টি এবং অনেকেই তিনটি অর্থাৎ বুস্টার ডোজও গ্রঙণ করেছেন। সে ক্ষেত্রে এতদিন পর টিকা সম্পর্কিত এই ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শিউরে উঠছেন সকলে।

কী ভাবে ধরা পড়ল অ্যাস্ট্রেজেনেকার এই তথ্য?

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যায় তাঁর। জেমি স্কটের মতো আরও অনেক টিকাগ্রহীতাই এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের পরিবারের তরফে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের হয়। সেই থেকে এই মামলাটি বিচারাধীন। বিভিন্ন নথি এবং তথ্যপ্রমাণ দেখিয়ে নিজেদের নির্দোষের প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছে সংস্থা। তবে মামলা চলাকালীন, আদালত জানিয়ে দেয়, সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তা হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে।

শেষ পর্যন্ত আর সাইড এফেক্টের কথা চেপে রাখতে পারল না অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থাটি। কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা আদালতে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হল, তাদের তৈরি প্রতিষেধকে কঠিন রোগের ঝুঁকি রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ভারতেও।



করোনা টিকা   অ্যাস্ট্রাজেনেকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসকদের কোন অবহেলা আমি সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাস করাবো। আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না।

বুধবার (০১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের ১২তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়, এটা খুবই ন্যক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না’।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন, আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইন পাস করানো হবে’।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   চিকিৎসক   বিএমডিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে দেহের পুষ্টিসাধন এবং দেহকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখার জন্য আনারস একটি কার্যকরী ফল। তাই গরমের এই সময়টাতে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি।

পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে, ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময়টাতে আনারস বেশ উপকারে আসে। এ ছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।

গবেষকরা বলছেন, , আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

দেহের কোষের ওপর ফ্রি রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস।

ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়, মজবুত হাঁড়ের গঠনে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্রনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আনারসের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে পারে। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও রসাল ও পুষ্টিকর এই ফলটি রাখতে পারেন গরমের ডায়েটে।

পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।

হজমশক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

হাড়ের সুস্থতায়: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ওজন কমায়: শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।

চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।


আনারস   গরম   উপকার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন