ইনসাইড হেলথ

মেয়েদের ইউরিন ইনফেকশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ২৫ মে, ২০১৭


Thumbnail

মুত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ইউরিন ইনফেকশন দেখা দেয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এ রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে। সময়মত চিকিৎসা না নিলে ভুগতে হতে পারে আজীবন। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জানতে হবে ইউরিন ইনফেকশন সম্পর্কে।

‘ঘরোয়া চেম্বার’ এর আজকের পর্বে আলোচনা হবে ইউরিন ইনফেকশন নিয়ে। পরামর্শে আছেন গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কোহিনুর বেগম।

ইউরিন ইনফেকশনের কারণগুলো কী?
যেকারো ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে। তবে একাধিক সন্তান প্রসব, শারীরিক গঠনসহ একাধিক কারণে মেয়েদের এই রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে। এছাড়াও কিছু কারণে ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে-

- ডায়াবেটিস

- অসতর্ক যৌন সম্পর্ক

- অপরিচ্ছন্নতা

- কিডনির পাথর

- গর্ভাবস্থা

- মূত্রথলিতে ক্যাথেটার পড়া থাকলে

- দীর্ঘসময় চলাফেরা না করা

- মূত্রনালীতে একাধিক রোগ

এ রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণগুলো বয়স, লিঙ্গ, মুত্রনালীর কোন অংশ সংক্রামিত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। তবে সবক্ষেত্রেই কিছু লক্ষণ দেখা যায়-

- প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া

- প্রস্রাবে বাজে গন্ধ

- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা কিন্তু ঠিক মতো না হওয়া

- প্রস্রাবের সময় জ্বালা-পোড়া বা ব্যথা করা

- তলপেটে বা পিঠে তীব্র ব্যথা

- জ্বর জ্বর ভাব থাকা

- বমি ভাব বা বমি হওয়া

ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধের উপায় কী ?

- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি ইনফেকশন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে।

- প্রস্রাবের সঙ্গে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বের হয়। তাই প্রসাব আটকে রাখা যাবে না।

- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার খান। ভিটামিন সি প্রস্রাবকে অম্লীয় বা অ্যাসিডিক করে শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলো মেরে ফেলে।

- ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে যাতে অতিরিক্ত ঘাম না হয়।

- হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে। ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।

- পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে।

- মেয়েদের ক্ষেত্রে স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো, সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে।

শুধু প্রতিরোধ নয়, সচেতন হওয়ার মাধ্যমে ইউরিন ইনফেকশন দ্রুত প্রতিকার করা সম্ভব।

গাইনি যেকোনো সমস্যায় আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন 

বাংলা ইনসাইডার/এমএ




মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে দেহের পুষ্টিসাধন এবং দেহকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখার জন্য আনারস একটি কার্যকরী ফল। তাই গরমের এই সময়টাতে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি।

পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে, ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময়টাতে আনারস বেশ উপকারে আসে। এ ছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।

গবেষকরা বলছেন, , আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

দেহের কোষের ওপর ফ্রি রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস।

ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়, মজবুত হাঁড়ের গঠনে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্রনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আনারসের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে পারে। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও রসাল ও পুষ্টিকর এই ফলটি রাখতে পারেন গরমের ডায়েটে।

পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।

হজমশক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

হাড়ের সুস্থতায়: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ওজন কমায়: শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।

চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।


আনারস   গরম   উপকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

অস্ত্রোপচার কক্ষ চালু করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ পেল সিভিল সার্জন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড় জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে থাকা অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো চালু করায় ধন্যবাদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীকে ফোন করে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস’-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া উইং এসব সংবাদ সংগ্রহ করে। আমি একটি সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে ছিলাম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিট হবে, এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাদের এই কার্যক্রমের জন্য আমাদের পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আপনাকেও (প্রথম আলোকেও) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমরা সবার সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই।’

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট নিয়েও গ্রামীণ জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দক্ষ চিকিৎসক-কর্মকর্তারা অভিনব উপায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই একটি অভিনব উদ্যোগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার কিছু প্রান্তিক উপজেলায় চিকিৎসক ও অবেদনবিদের (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) সংকটে দীর্ঘদিন অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হয়নি। মাননীয় মন্ত্রী ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন, পঞ্চগড়ের নির্দেশনা মোতাবেক সার্জন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের একদল উদ্যমী চিকিৎসক রোস্টার করে পুনরায় অপারেশন থিয়েটার চালু করেন প্রতিটি প্রান্তিক উপজেলায়।’

পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘এতে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রায় বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় শল্যচিকিৎসা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মাননীয় মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সিভিল সার্জন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি আশা করেন দেশের সব জেলাতেই এই প্রকার উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’

এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেন নিউরোসার্জারির চিকিৎসক মোস্তফা জামান চৌধুরী। জেলায় এসে তিনি জানতে পারেন, আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার কক্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরদিনই অবেদনবিদ বদলি হওয়ায় সেখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই বছর, বোদায় দুই বছর ও তেঁতুলিয়ায় নয় বছর ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ।

এমন অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবেদনবিদসহ অন্য চিকিৎসকদের নিয়ে বসেন সিভিল সার্জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার চালুর বিষয়ে মতামত জানতে চান। সবাই ইতিবাচক সাড়া দেন। গত আগস্টের মাঝামাঝি দেবীগঞ্জে প্রথম অস্ত্রোপচার চালু করা হয়। একে একে আলো জ্বলে বোদা, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার কক্ষেও।

সিভিল সার্জন জানান, শুরুতে দেখা যায় কোথাও চিকিৎসক সংকট, কোথাও জনবল সংকট, আর কোথাও সরঞ্জাম সংকট। অনেক জায়গায় যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অনেক নার্সকে সদর হাসপাতালের ওটিতে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রথম দিকে দক্ষ জনবলের অভাবে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে সব চিকিৎসক সহায়তা করেন। এখন সবার আন্তরিকতা আর দক্ষতায় অস্ত্রোপচার চলছে।

এখন প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বোদায়; সোমবার দেবীগঞ্জে; মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় এবং বুধবার আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন, একজন অবেদনবিদসহ পঞ্চগড় থেকে চারজন চিকিৎসকের দল প্রতিটি উপজেলায় ঘুরে এসব অস্ত্রোপচার করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাদের সহায়তা করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব বলছে, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০৬ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অন্যান্য ধরনের সাধারণ অস্ত্রোপচার হয়েছে ১০৬টি। শেষ আট মাসে জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩১২টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   সিভিল সার্জন   স্বাস্থ্য বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিনা রিং ও অপারেশনে হৃদরোগ প্রতিকারের সচেতনায় সাওলের সেমিনার

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাওল হার্ট সেন্টারের ৪০০তম ‘সাপ্তাহিক ফ্রি সাওল হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ)  সকাল ১১টায় ইস্কাটন গার্ডেন রোডে সাওল হার্ট সেন্টারের কাজল মিলনায়তনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ও লেখক হোসেন আব্দুল মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ইউনিটের ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট আব্দুল হাকিম মজুমদার, প্রথিতযশা জনস্বাস্থ্য বিশারদ ড. আবু জামিল ফয়সাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল হক চৌধুরী সেলিম, সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমা জাহান বারী বাঁধন, স্যোশাল আক্টিভিস্ট রাইসিন গাজী, অ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কে এম কামাল, নাট্যজন আমিরুল হক চৌধুরী, রাজনীতিক মোশারফ হোসেন, সাওল চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া হৃদরোগী নজরুল ইসলাম এবং সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি মোহন রায়হান।

জানা গেছে, সাওল সফলভাবে এ পর্যন্ত ১৮টি জাতীয়, ৭৬টি আঞ্চলিক ও ৪০০টি সাপ্তাহিক সেমিনার সম্পন্ন করেছে। এই সেমিনারগুলোর মাধ্যমে সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ বিশেষ উপকৃত হয়েছেন।

সেমিনারে সাওল হার্ট সেন্টার-ভারতের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বখ্যাত হৃদরোগ ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিমল ছাজেড়-এমডি ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে আগত অতিথিদের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের জবাব দেন, সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ মুতাসিম বিল্লাহ ও সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ফারহান আহমেদ। সেমিনারে উপস্থিত শুভাকাঙ্খী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ সাওলের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রসংশা করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত হৃদরোগ চিকিৎসায় প্রচলিত অপারেশন ও বাইপাস সার্জারির বিকল্প হিসেবে বিনা রিং, বিনা অপারেশনে চিকিৎসা দিচ্ছে সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লিমিটেড। আধুনিক মেশিন, মেডিসিন ও লাইফস্টাইলের মাধ্যমে সাওলের নতুন ধারার হৃদরোগ চিকিৎসাপদ্ধতি আজ দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত ও স্বাস্থ্য-সামাজিক আন্দোলনে রূপলাভ করেছে।

বিশ্বের চিকিৎসা জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী- বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ১৩২টি শাখা সমন্বিত আন্তর্জাতিক চেইন হার্ট কেয়ার সেন্টারের বাংলাদেশ শাখা ‘সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.‘জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে চিকিৎসাসেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়মিত জাতীয়, আঞ্চলিক ও সাপ্তাহিক সেমিনার আয়োজন করে আসছে।


সাওল হার্ট সেন্টার   হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার   ডাঃ বিমল ছাজেড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ হচ্ছে’

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গোপালগঞ্জে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন এবং কোথায় ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতলগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। ষ্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। এসময় তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডে এর প্ল্যাান্ট পরিদর্শন করেন। 

এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জনবল সংকট   স্বাস্থ্য মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সক্ষমতা ও সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে তোমরা স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হবে।’

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তোমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কর্মমুখী প্রোগ্রামে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছ সেই হিসেবে তোমাদের কর্মক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সম্প্রসারিত ও অবারিত। তবে, তোমরা শুধু চাকরির পেছনেই ছুটবেনা, উদ্যোক্তাও হবে। তরুণদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।’

তিনি বলেন, ‘তোমাদের অপরিসীম ধৈর্য ও মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে, সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। নিজেদের দক্ষতা গুণে ও যোগ্যতা বলে কর্মজীবনে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করতে হবে।’

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এন্থনি কস্টেলো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


ডা. সামন্ত লাল সেন   স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন