নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১৯ মে, ২০২০
গোটা দুনিয়ার মানুষের জীবন আর জীবিকা এলোমেলো করে দিয়েছে সার্স -২ বা করোনাভাইরাসে। উন্নত দেশগুলো একেবারেই নাজেহাল। জ্ঞান, বিজ্ঞান, অর্থ-বিত্তে পৃথিবীর অন্যতম সেরা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। শিকারির বন্দুকের ছররা গুলি খেয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি মরার মত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর প্রতিকারের জন্য দুনিয়া জুড়ে বিজ্ঞানীরা রাতদিন কাজ করে চলেছেন, কিন্তু বাস্তবে কোন আশার আলো এখনো দেখা যায় না। যা শোনা যাচ্ছে তা অনেকটাই অনুমান নির্ভর প্রত্যাশিত সত্যে।
বিবিসি শুক্রবার এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন ‘ম্যাকক’ প্রজাতির ছয়টি বানরের দেহে প্রয়োগের পর দেখা গেছে, তা করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এছাড়া এর কার্যকারিতা যাচাইয়ে এক হাজার মানুষের দেহে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলছে। তাই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন গবেষকরা এর কার্যকারিতা নিয়ে বেশ আশাবাদী।
বিবিসি শুক্রবার এক অনলাইন ঐ একই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বানরের ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও তা মানুষের ক্ষেত্রেও যে শতভাগ কার্যকর হবে তার নিশ্চয়তা এখনই দেওয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে বানরের উপর প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়েছে অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। ছয়টি বানরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন বানরগুলোর দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে পারেনি। ছয়টি বানরই করোনায় সংক্রমিত। ফলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ববাসীর আশায় গুড়ে বালি পড়লো।
দ্য টেলিগ্রাফ আরও জানিয়েছে, ছয়টি বানরের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছে। বানরের উপরে সফল না হওয়ার কারণে এই ভ্যাকসিন মানুষের উপর কতটুকু ফলদায়ক হবে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তবে এই ভ্যাকসিনের কিছুটা সাফল্য আছে। তা হলো- ৩টি বানরকে এক ডোজ করে ভ্যাকসিন দিয়ে দেখা যায় যে, ১৪ দিনের মধ্যে তারা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করতে পেরেছিল। আর বাকি বানরগুলোর দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল ২৮ দিন পর। ভ্যাকসিনটি উচ্চমাত্রার ডোজ প্রয়োগ করেও দেখা গেছে যে, বানরগুলোর শ্বাসতন্ত্রকে ভাইরাসমুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মলিকিউলার ভাইরোলজির অধ্যাপক জনাথন বল বলেন, ভ্যাকসিনটি পরীক্ষার পরে যে ডাটা পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে মনে হচ্ছে না যে, এটা করোনার সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারবে।
আমেরিকান কোম্পানি মোদার্না আটজন ব্যক্তির উপর করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা গেছে যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ছিল এবং সমস্ত গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিলেন।
ভ্যাকসিন মানব দেহে পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায়ে সবুজ সংকেত অর্জন করেছে। গত সপ্তাহে, মার্কিন নিয়ন্ত্রকরা নিয়ন্ত্রক পর্যালোচনার গতি বাড়ানোর জন্য এই ভ্যাকসিনটিকে "ফাস্ট ট্র্যাক" স্ট্যাটাস দিয়েছিল।
দ্বিতীয় ধাপে, বা মাঝখানে, পরীক্ষার কার্যকারিতা আরও উন্নত করতে এবং সর্বোত্তম ডোজ সন্ধানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, মোদার্না বলেছে যে, তাঁরা এটি ২৫০এমসিজি ডোজ পরীক্ষা করার পরিবর্তে ৫০ এমসিজি ডোজ পরীক্ষা করার পরিকল্পনা বাদ দেবে।
মোদার্না বলেছিলেন যে এটি জুলাইয়ের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের বিচার শুরু হবে বলে তারা আশাবাদী।
COVID-19 এর জন্য বর্তমানে কোনও অনুমোদিত চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন নেই এবং বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাকসিনটি পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় নিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক শীর্ষ চিকিৎসক ক্যারোল সিকোরা মনে করেন যে, করোনার ভ্যাকসিন পেতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত সবাইকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। আগামী ১ বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক-ভাবেই করোনার প্রকোপ আসতে পারে মন্তব্য করেছেন এই বিশেষজ্ঞ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সাবেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং বাকিংহাম মেডিকেল স্কুলের ডিন তাঁর টুইটারে লিখেন, বিশ্বে যে কোনো একটি ভ্যাকসিন আসার আগেই প্রাকৃতিক-ভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে করোনাভাইরাস। তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার আগেই এই ভাইরাসটি স্বাভাবিকভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সত্যিকারের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা প্রায় সর্বত্রই ভাইরাসের এমন ধরনের বৈশিষ্ট্য দেখছি, আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা ধারণার চেয়েও বেশি বলে আমার সন্দেহ হয়। তবে আমাদের ভাইরাসটির বিস্তার ধীরগতি রাখা দরকার। যদিও এটি আপনা-আপনি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।’
করোনার ভ্যাকসিন সহসাই মানুষের হাতে আসছে না বলেই মত দিয়েছেন গবেষকরা। কারণ কয়েক বছরের গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও ২০০২ সালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ আরও জানিয়েছে, অক্সফোর্ড ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং চীনসহ এই মুহূর্তে বিশ্বে ১০০টির বেশি করোনার ভ্যাকসিনের কাজ চলছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একটি কার্যক্ষম টিকা তৈরি করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগে যেতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে, ভ্যাকসিন ছাড়াই আমাদের করোনা মোকাবেলা করতে হবে।
এমতাবস্থায় সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, সুসম খাবার আর কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া আমাদের মত দেশে কোন বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের ফেরিঘাট, কাঁচা বাজার, আর সুপার মার্কেটের দিকে তাকালে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। চলায়, কাঁচা বাজারে, ফেরিঘাটে কিংবা সুপার মার্কেটের কোথাও শারীরিক দূরত্ব মানার কোন বালাই নেই। এমন আবেগী তাঁরা যে, সাহায্য পাওয়া সামান্য টাকায় সন্তানদের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদের কেনাকাটায় বিজি তাঁরা। এভাবে কি করোনা ভাইরাস তাড়ান যাবে আমাদের দেশ থেকে?
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা
আইন পাস করাবো। আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব
রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না।
বুধবার (০১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো
সায়েন্সের ১২তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার
কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসার অজুহাতে
চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়, এটা খুবই ন্যক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে
মারধর, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না’।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন,
আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইন পাস করানো হবে’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসক বিএমডিসি
মন্তব্য করুন
গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে দেহের পুষ্টিসাধন এবং দেহকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখার জন্য আনারস একটি কার্যকরী ফল। তাই গরমের এই সময়টাতে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি।
পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে, ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময়টাতে আনারস বেশ উপকারে আসে। এ ছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।
গবেষকরা বলছেন, , আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
দেহের কোষের ওপর ফ্রি রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস।
ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়, মজবুত হাঁড়ের গঠনে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্রনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আনারসের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে পারে। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও রসাল ও পুষ্টিকর এই ফলটি রাখতে পারেন গরমের ডায়েটে।
পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
হজমশক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
হাড়ের সুস্থতায়: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওজন কমায়: শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড় জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে থাকা
অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো চালু করায় ধন্যবাদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
সামন্ত লাল সেন।
গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীকে ফোন করে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব চিকিৎসক,
নার্স ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেজ ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস’-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ
করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া উইং এসব সংবাদ সংগ্রহ করে। আমি
একটি সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে ছিলাম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১৪
মিনিট হবে, এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাদের এই কার্যক্রমের জন্য
আমাদের পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আপনাকেও (প্রথম আলোকেও) ধন্যবাদ
জানিয়েছেন। আমরা সবার সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত
রাখতে চাই।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান
জনসংখ্যার বিপরীতে চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট নিয়েও গ্রামীণ জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা
নিশ্চিতকরণে মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দক্ষ চিকিৎসক-কর্মকর্তারা
অভিনব উপায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই একটি অভিনব উদ্যোগের দৃষ্টান্ত স্থাপন
করেছে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার কিছু প্রান্তিক উপজেলায় চিকিৎসক
ও অবেদনবিদের (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) সংকটে দীর্ঘদিন অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব
হয়নি। মাননীয় মন্ত্রী ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে
সিভিল সার্জন, পঞ্চগড়ের নির্দেশনা মোতাবেক সার্জন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের একদল উদ্যমী
চিকিৎসক রোস্টার করে পুনরায় অপারেশন থিয়েটার চালু করেন প্রতিটি প্রান্তিক উপজেলায়।’
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘এতে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রায় বিনা
মূল্যে প্রয়োজনীয় শল্যচিকিৎসা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মাননীয় মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সিভিল
সার্জন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং এই কর্মকাণ্ডের
সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি আশা করেন দেশের সব জেলাতেই এই প্রকার উদ্ভাবনী
কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’
এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেন
নিউরোসার্জারির চিকিৎসক মোস্তফা জামান চৌধুরী। জেলায় এসে তিনি জানতে পারেন, আটোয়ারী
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার কক্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরদিনই
অবেদনবিদ বদলি হওয়ায় সেখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
দুই বছর, বোদায় দুই বছর ও তেঁতুলিয়ায় নয় বছর ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ।
এমন অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবেদনবিদসহ অন্য চিকিৎসকদের
নিয়ে বসেন সিভিল সার্জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার চালুর বিষয়ে মতামত
জানতে চান। সবাই ইতিবাচক সাড়া দেন। গত আগস্টের মাঝামাঝি দেবীগঞ্জে প্রথম অস্ত্রোপচার
চালু করা হয়। একে একে আলো জ্বলে বোদা, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার
কক্ষেও।
সিভিল সার্জন জানান, শুরুতে দেখা যায় কোথাও চিকিৎসক সংকট, কোথাও
জনবল সংকট, আর কোথাও সরঞ্জাম সংকট। অনেক জায়গায় যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী। পরে স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সগুলোর অনেক নার্সকে সদর হাসপাতালের ওটিতে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
প্রথম দিকে দক্ষ জনবলের অভাবে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে সব চিকিৎসক সহায়তা করেন।
এখন সবার আন্তরিকতা আর দক্ষতায় অস্ত্রোপচার চলছে।
এখন প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বোদায়; সোমবার দেবীগঞ্জে; মঙ্গলবার
তেঁতুলিয়ায় এবং বুধবার আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন, একজন অবেদনবিদসহ পঞ্চগড় থেকে চারজন চিকিৎসকের দল প্রতিটি উপজেলায় ঘুরে
এসব অস্ত্রোপচার করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাদের সহায়তা
করেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব বলছে, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০৬ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অন্যান্য ধরনের সাধারণ অস্ত্রোপচার হয়েছে ১০৬টি। শেষ আট মাসে জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩১২টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য বিভাগ
মন্তব্য করুন
নারী পুরুষের তুলনায় বেশি বছর বাঁচলেও অসুস্থতায় বেশি ভোগেন। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা পেশির সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মাথাব্যথার মতো রোগগুলোতে বেশি ভোগেন। যদিও এসব রোগ প্রাণঘাতী না হলেও তা অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতা তৈরি করে।
করোনা অতিমারি পর্বে মৃত্যুমিছিল দেখেছিল বিশ্ব। প্রিয়জনকে হারানোর ঘা এখনও দগদগে। সেই পর্বে জীবনদায়ী করোনা টিকা কোভিশিল্ড বহু মানুষকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। সেই টিকা নিয়ে এবার বড়সড় তথ্য ফাঁস। জানা গেল কোভিশিল্ডের যথেষ্ঠ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর কেউ নয়, এ কথা খোদ স্বীকার করে নিল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।