ইনসাইড হেলথ

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১৬ এএম, ২২ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

দেশের মানুষের মাঝে খাদ্য গ্রহণে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগের চেয়ে ভাত ও আটা অর্থাৎ শর্করা গ্রহণের হার কিছুটা কমেছে। তাছাড়া শাক-সবজি খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ছয় বছরে দ্বিগুণ হয়েছে ডিম গ্রহণের হার। তবে দেশে আমিষ বা প্রোটিন গ্রহণের হার কিছুটা কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সম্প্রতি প্রকাশিত খানা আয় ব্যয় জরিপ-২০১৬ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপ অনুযায়ী মোট খাদ্য গ্রহণের হার পূর্বের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ বেড়েছে। ২০১০ সালে দৈনিক মাথাপিছু এক হাজার গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করা হলেও ২০১৬ সালে গ্রহণ করা হচ্ছে ৯৭৬ গ্রাম। চাল ও আটা গ্রহণের হার পূর্বের তুলনায় কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে ডাল, শাক-সব্জি, মাছ, মুরগরি মাংস ও ডিম খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে চাল ও আটা গ্রহণের পরিমান ছিল দৈনিক ৪১৬ দশমিক ০১ গ্রাম ও ২৬ দশমিক ০৯ গ্রাম। ২০১৬ সালে তা হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৩৬৭ দশমিক ১৯ গ্রাম ও ১৯ দশমিক ৮৩ গ্রামে। এ হ্রাসের ফলে খাদ্য ক্যালরি গ্রহণের হারও কিছুটা কমেছে। ২০১০ সালে মোট  ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ ছিল দৈনিক ২৩১৮ দশমিক ৩ কিলোক্যালরি যা ২০১৬ তে দাঁড়িয়েছে ২২১০ দশমিক ৪ কিলোক্যালরি। প্রোটিন গ্রহণের হার ২০১০ সালে ছিল ৬৬ দশমিক ২৬ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ৬৩ দশমিক ৮০ গ্রামে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে খানার আয়-ব্যয় নির্ধারণ জরিপ করে আসছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩-৭৪ সালে প্রথম এই জরিপ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫-৯৬ সালের পর হতে প্রতি ৫ বছর অন্তর এই জরিপ অনুষ্ঠিত হয়। এ জরিপ হতে খানার আয়-ব্যয়, ভোগ, পুষ্টিমান, জীবনযাত্রারমান সম্পর্কিত তথ্য, দারিদ্র্য হার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়। এবারের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ২০১৬ সালের এপ্রিল হতে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

এবারের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিগত সময়ের তুলনায় মানুষের খাদ্যাভাষের মধ্যে মাছ গ্রহণের হার বেড়েছে। তাছাড়া কমেছে দুধ, চিনি গ্রহণের হার। গরু ও খাসির মাংস গ্রহণের হারও কমেছে। বাইরের খাবার গ্রহণের হার কিছুটা বেড়েছে। বিবিএস উল্লেখ করেছে, নন-ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণের হার বৃদ্ধি পাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সংবাদ।

মাছ গ্রহণের হার ২০১০ সালে দৈনিক গড়ে ৪৯ দশমিক ৫০ গ্রাম থেকে ২০১৬ সালে ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম হয়েছে। দুধ ও দুধ গ্রহণের হার ৩৩ দশমিক ৭২ গ্রাম হতে কমে ২৭ দশমিক ৩১ গ্রাম হয়েছে। ফল গ্রহণ ৪৪ দশমিক ৭০ গ্রাম থেকে কমে ৩৫ দশমিক ৭৫ গ্রাম হয়েছে। চিনি গ্রহণের হার ৮ দশমিক ৪০ গ্রাম থেকে কমে ৬ দশমিক ৯০ গ্রাম হয়েছে। খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব উপাদানের বাইরে অন্যান্য খাবার আগে গড়ে ৭২ দশমিক ৭৮ গ্রাম খাওয়া হলেও এটি বেড়ে এখন ৮০ দশমিক ৬২ গ্রাম হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম বারের মতো খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় খাদ্যের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যা উন্নয়নের একটি নির্দেশনা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে খাদ্য বাহির্ভূত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩০ ভাগ যা ২০১০ সালে ছিলো ৪৫ দশমিক ১৯ ভাগ।

বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী পরিবারগুলোর জীবন মানেও কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করাগেছে। খানার বাসস্থানের দেয়ালের উপকরণ ইট/সিমেন্ট এর হার ২০১০ সালে ছিলো ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ, যা ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫ ভাগ। টিন ও কাঠের দেয়ালের হার ২০১০ সালে ছিলো ৩৮ দশমিক ৪৬ ভাগ যা ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ১২ ভাগ। ২০১০ সালে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে এমন পরিবারের হার ছিলো ৫৫ দশমিক ২৬ ভাগ। ২০১৬ সালে বিদ্যুতের এই হার ৭৫ দশমিক ৯২ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০১০ সালে স্বাক্ষরতার হার ছিলো ৫৭ দশমিক ৯ ভাগ। ২০১৬ সালে এই হার হয়েছে ৬৫ দশমিক ৬ ভাগ। সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে উপকারভোগী ২০১০ সালে ২৪ দশমিক ৬ ভাগ হতে ২০১৬ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০১০ সালে দেশে অক্ষম লোকের হার ছিলো ৯ দশমিক শুণ্য ৭ ভাগ যা ২০১৬ সালে হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ ভাগ। ২০১০ সালে ৩২ শতাংশ মানুষ কোন না কোন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করেছে, ২০১৬ সালে এ হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭০ ভাগ। ২০১০ সালে দেশে দুর্যোগ আক্রান্ত খানার পরিমাণ ছিল মোট খানার শুণ্য দশমিক ৮৪ ভাগ, যা ২০১৬ সালে দাঁড়ায় শুন্য দশমিক ৮৬ ভাগ।

 

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

করোনা টিকা ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রকাশ: ১০:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

করোনা অতিমারি পর্বে মৃত্যুমিছিল দেখেছিল বিশ্ব। প্রিয়জনকে হারানোর ঘা এখনও দগদগে। সেই পর্বে জীবনদায়ী করোনা টিকা কোভিশিল্ড বহু মানুষকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। সেই টিকা নিয়ে এবার বড়সড় তথ্য ফাঁস। জানা গেল কোভিশিল্ডের যথেষ্ঠ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর কেউ নয়, এ কথা খোদ স্বীকার করে নিল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

কোভিশিল্ডে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা?

জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা জানায়, তাদের তৈরি করা প্রতিষেধকের কারণে বিরল রোগ থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে (TTS)-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। সূত্রের খবর, এই কারণে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে গুনতে হতে পারে বিপুল অঙ্কের জরিমানাও।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় এই প্রতিষেধক তৈরি করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থাটি। করোনা অতিমারি পর্বে আশীর্বাদ স্বরূপ মনে করা হয়েছিল এই টিকাকে। কোভিশিল্ড ছাড়াও ভ্যাক্সেজেরিয়া নামে একটি প্রতিষেধকও বাজারে এনেছিল এই সংস্থা। করোনা পর্বের ভারতে কোভিশিল্ড সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়েছিল। ঘরে ঘরে মানুষ এই টিকার দু'টি এবং অনেকেই তিনটি অর্থাৎ বুস্টার ডোজও গ্রঙণ করেছেন। সে ক্ষেত্রে এতদিন পর টিকা সম্পর্কিত এই ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শিউরে উঠছেন সকলে।

কী ভাবে ধরা পড়ল অ্যাস্ট্রেজেনেকার এই তথ্য?

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যায় তাঁর। জেমি স্কটের মতো আরও অনেক টিকাগ্রহীতাই এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের পরিবারের তরফে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের হয়। সেই থেকে এই মামলাটি বিচারাধীন। বিভিন্ন নথি এবং তথ্যপ্রমাণ দেখিয়ে নিজেদের নির্দোষের প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছে সংস্থা। তবে মামলা চলাকালীন, আদালত জানিয়ে দেয়, সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তা হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে।

শেষ পর্যন্ত আর সাইড এফেক্টের কথা চেপে রাখতে পারল না অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থাটি। কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা আদালতে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হল, তাদের তৈরি প্রতিষেধকে কঠিন রোগের ঝুঁকি রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ভারতেও।



করোনা টিকা   অ্যাস্ট্রাজেনেকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসকদের কোন অবহেলা আমি সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাস করাবো। আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না।

বুধবার (০১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের ১২তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়, এটা খুবই ন্যক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না’।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন, আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইন পাস করানো হবে’।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   চিকিৎসক   বিএমডিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে দেহের পুষ্টিসাধন এবং দেহকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখার জন্য আনারস একটি কার্যকরী ফল। তাই গরমের এই সময়টাতে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি।

পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে, ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময়টাতে আনারস বেশ উপকারে আসে। এ ছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।

গবেষকরা বলছেন, , আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

দেহের কোষের ওপর ফ্রি রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস।

ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়, মজবুত হাঁড়ের গঠনে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্রনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আনারসের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে পারে। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও রসাল ও পুষ্টিকর এই ফলটি রাখতে পারেন গরমের ডায়েটে।

পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।

হজমশক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

হাড়ের সুস্থতায়: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ওজন কমায়: শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।

চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।


আনারস   গরম   উপকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

অস্ত্রোপচার কক্ষ চালু করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ পেল সিভিল সার্জন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড় জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে থাকা অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো চালু করায় ধন্যবাদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীকে ফোন করে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস’-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া উইং এসব সংবাদ সংগ্রহ করে। আমি একটি সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে ছিলাম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিট হবে, এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাদের এই কার্যক্রমের জন্য আমাদের পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আপনাকেও (প্রথম আলোকেও) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমরা সবার সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই।’

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট নিয়েও গ্রামীণ জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দক্ষ চিকিৎসক-কর্মকর্তারা অভিনব উপায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই একটি অভিনব উদ্যোগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার কিছু প্রান্তিক উপজেলায় চিকিৎসক ও অবেদনবিদের (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) সংকটে দীর্ঘদিন অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হয়নি। মাননীয় মন্ত্রী ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন, পঞ্চগড়ের নির্দেশনা মোতাবেক সার্জন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের একদল উদ্যমী চিকিৎসক রোস্টার করে পুনরায় অপারেশন থিয়েটার চালু করেন প্রতিটি প্রান্তিক উপজেলায়।’

পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘এতে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রায় বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় শল্যচিকিৎসা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মাননীয় মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সিভিল সার্জন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি আশা করেন দেশের সব জেলাতেই এই প্রকার উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’

এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেন নিউরোসার্জারির চিকিৎসক মোস্তফা জামান চৌধুরী। জেলায় এসে তিনি জানতে পারেন, আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার কক্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরদিনই অবেদনবিদ বদলি হওয়ায় সেখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই বছর, বোদায় দুই বছর ও তেঁতুলিয়ায় নয় বছর ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ।

এমন অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবেদনবিদসহ অন্য চিকিৎসকদের নিয়ে বসেন সিভিল সার্জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার চালুর বিষয়ে মতামত জানতে চান। সবাই ইতিবাচক সাড়া দেন। গত আগস্টের মাঝামাঝি দেবীগঞ্জে প্রথম অস্ত্রোপচার চালু করা হয়। একে একে আলো জ্বলে বোদা, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার কক্ষেও।

সিভিল সার্জন জানান, শুরুতে দেখা যায় কোথাও চিকিৎসক সংকট, কোথাও জনবল সংকট, আর কোথাও সরঞ্জাম সংকট। অনেক জায়গায় যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অনেক নার্সকে সদর হাসপাতালের ওটিতে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রথম দিকে দক্ষ জনবলের অভাবে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে সব চিকিৎসক সহায়তা করেন। এখন সবার আন্তরিকতা আর দক্ষতায় অস্ত্রোপচার চলছে।

এখন প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বোদায়; সোমবার দেবীগঞ্জে; মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় এবং বুধবার আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন, একজন অবেদনবিদসহ পঞ্চগড় থেকে চারজন চিকিৎসকের দল প্রতিটি উপজেলায় ঘুরে এসব অস্ত্রোপচার করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাদের সহায়তা করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব বলছে, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০৬ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অন্যান্য ধরনের সাধারণ অস্ত্রোপচার হয়েছে ১০৬টি। শেষ আট মাসে জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩১২টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   সিভিল সার্জন   স্বাস্থ্য বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিনা রিং ও অপারেশনে হৃদরোগ প্রতিকারের সচেতনায় সাওলের সেমিনার

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাওল হার্ট সেন্টারের ৪০০তম ‘সাপ্তাহিক ফ্রি সাওল হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ)  সকাল ১১টায় ইস্কাটন গার্ডেন রোডে সাওল হার্ট সেন্টারের কাজল মিলনায়তনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ও লেখক হোসেন আব্দুল মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ইউনিটের ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট আব্দুল হাকিম মজুমদার, প্রথিতযশা জনস্বাস্থ্য বিশারদ ড. আবু জামিল ফয়সাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল হক চৌধুরী সেলিম, সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমা জাহান বারী বাঁধন, স্যোশাল আক্টিভিস্ট রাইসিন গাজী, অ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কে এম কামাল, নাট্যজন আমিরুল হক চৌধুরী, রাজনীতিক মোশারফ হোসেন, সাওল চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া হৃদরোগী নজরুল ইসলাম এবং সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি মোহন রায়হান।

জানা গেছে, সাওল সফলভাবে এ পর্যন্ত ১৮টি জাতীয়, ৭৬টি আঞ্চলিক ও ৪০০টি সাপ্তাহিক সেমিনার সম্পন্ন করেছে। এই সেমিনারগুলোর মাধ্যমে সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ বিশেষ উপকৃত হয়েছেন।

সেমিনারে সাওল হার্ট সেন্টার-ভারতের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বখ্যাত হৃদরোগ ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিমল ছাজেড়-এমডি ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে আগত অতিথিদের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের জবাব দেন, সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ মুতাসিম বিল্লাহ ও সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ফারহান আহমেদ। সেমিনারে উপস্থিত শুভাকাঙ্খী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ সাওলের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রসংশা করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত হৃদরোগ চিকিৎসায় প্রচলিত অপারেশন ও বাইপাস সার্জারির বিকল্প হিসেবে বিনা রিং, বিনা অপারেশনে চিকিৎসা দিচ্ছে সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লিমিটেড। আধুনিক মেশিন, মেডিসিন ও লাইফস্টাইলের মাধ্যমে সাওলের নতুন ধারার হৃদরোগ চিকিৎসাপদ্ধতি আজ দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত ও স্বাস্থ্য-সামাজিক আন্দোলনে রূপলাভ করেছে।

বিশ্বের চিকিৎসা জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী- বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ১৩২টি শাখা সমন্বিত আন্তর্জাতিক চেইন হার্ট কেয়ার সেন্টারের বাংলাদেশ শাখা ‘সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.‘জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে চিকিৎসাসেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়মিত জাতীয়, আঞ্চলিক ও সাপ্তাহিক সেমিনার আয়োজন করে আসছে।


সাওল হার্ট সেন্টার   হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার   ডাঃ বিমল ছাজেড়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন