ইনসাইড পলিটিক্স

নজরদারিতে শতাধিক এমপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail নজরদারিতে শতাধিক এমপি

৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার। ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসন পেয়ে বিজয়ী হয়েছিল। আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাই ছিলো তিন-চতুর্থাংশের বেশি। আওয়ামী লীগের এটি ছিলো টানা তৃতীয় মেয়াদে সংসদ নির্বাচন বিজয়। কিন্তু তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মধ্যে অনেকেই এখন সন্দেহভাজন তালিকায় রয়েছেন, অনেকে নজরদারিতে রয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের শতাধিক এমপি এখন বিভিন্ন রকম নজরদারিতে রয়েছেন। যে সমস্ত বিষয়ে তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে:

১. দুর্নীতির বিষয়: দুর্নীতির কারণে আওয়ামী লীগের ৬ এমপির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এদের মধ্যে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সহ কয়েক জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আর ১৪ জন এমপির বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। 

২. দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড: আওয়ামী লীগের একাধিক এমপির বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। আর সে কারণে তাদেরকে বিভিন্ন কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে হাবিবে মিল্লাত এমপিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে নরসিংদীর এমপি ও সাবেক মন্ত্রী নজরুল ইসলামকেও। এরকম বিভিন্ন জেলা থেকে অন্তত সাতজন এমপি যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থেকেছেন বা দলে  বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে দলের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরাও আওয়ামী লীগের নজরদারিতে রয়েছেন। 

৩. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহ:  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক এমপি তাদের নিজস্ব প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা করেছেন। যেখানে যেখানে তারা মনোনয়ন দিতে পারেননি সেখানে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন এবং নৌকাকে পরাজিত করার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। শুধু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নয়, উপজেলা এবং পৌরসভা নির্বাচনে একই প্রবণতা দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে এরকম ৫৭ জন এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে অভিযোগের কারণে তারা আওয়ামী লীগের নজরদারিতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকগণ তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন এবং কোথাও কোথাও তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এই এমপিদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৪. এলাকায়  নিষ্ক্রিয়তা: এলাকায় নিষ্ক্রিয়তার জন্য নজরদারিতে আছেন বেশকিছু এমপি। অন্তত ৯ জন এমপির সন্ধান পাওয়া গেছে যারা এলাকায় একেবারেই যান না। নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার কোনো কর্মকাণ্ডে তাদেরকে সক্রিয় দেখা যায়নি। এই সমস্ত এমপিদের নিয়ে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড অন্তত বিরক্ত। ভবিষ্যতে তারা মনোনয়ন পাবেন কিনা সেটি নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এরকম অন্তত দুজন এমপি পাওয়া গেছে যারা এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচবার বা তার  কম সময় নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছেন। এলাকায় তাদের অবস্থান অত্যন্ত নাজুক বলে জানা গেছে। 

৫. মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ততা: অন্তত ৮ থেকে ১০ জন এমপির বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান এবং অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং এই অভিযোগগুলো নিয়ে এখন বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছেন। এরাও নজরদারিতে আছেন। 

এভাবে মোট শতাধিক এমপি এখন বিভিন্ন ইস্যুতে নজরদারিতে রয়েছেন। ভবিষ্যতে এদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের জন্য আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে।

আওয়ামী লীগ   এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিজয়ীদের ফিরিয়ে আনবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ গুলোতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ২৭ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এদের মধ্যে সাতজন বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদেরকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা চলছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, সবগুলো নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিএনপি সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করবে। যারা বহিষ্কৃত হয়েছে, তাদের মনোভাব যাচাই করবে এবং তারা যদি ক্ষমাপ্রার্থনা করে দলে ফিরতে চান তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে। 

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বলেছেন, যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে বিএনপির নেতিবাচক অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ফলাফল অনুযায়ী বিএনপির যে সাত জন নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের আশরাফ হোসেন আলিম, ভোলাহাটে আনোয়ার হোসেন, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় আমিনুল ইসলাম বাদশা, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, গাজীপুর সদরে ইজাদুর রহমান মিলন, বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ ও সিলেট বিশ্বনাথের সোহেল আহমেদ চৌধুরী। এই সাতজনই বিএনপির জনপ্রিয় নেতা এবং এলাকায় তাদের প্রভাব রয়েছে। 

সরজমিনে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যে সমস্ত উপজেলাগুলোতে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে বিএনপির কর্মী সমর্থকরা নেমেছিল সেই সমস্ত স্থানে তারা বিজয়ী হয়েছেন। আর যে সমস্ত স্থানে বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীদের পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা নামেননি, তারা ভীত ছিলেন এবং দলের নির্দেশ অমান্য করার জন্য তাদেরকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাদেরকে পরাজয়বরণ করতে হয়েছে। 

বিএনপির মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ইতিহাসে সর্বনিম্ন। আর এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল। এটিকে তিনি বিএনপির জন্য একটি বিজয় হিসেবে দেখছেন। একই রকম মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাঁর মতে, উপজেলা নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়নি। বিএনপি যে ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছিল তাতে জনগণ সাড়া দিয়েছিল বলেই বিএনপির এই নেতা মনে করেন। 

তবে বিএনপির মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করার সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত ভোট হয়েছে এবং উপজেলাগুলোতে এখন আওয়ামী লিগের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কম ভোট হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে। আমাদের প্রার্থীদেরকে যদি আমরা সমর্থন দিতাম, প্রার্থীরা যদি মাঠে কাজ করতে পারত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। তার মতে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচন করেছেন তারা সকলে নিজ দায়িত্ব করেছেন। একদিক থেকে তারা যেমন দলের পৃষ্ঠপোষকতা পাননি অন্যদিক কর্মী সমর্থকেরা তাদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে এক ধরনের আড়ষ্ট ছিলেন। আর এ কারণেই তারা নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছেন।

বিএনপির কোনো কোনো নেতা অবশ্য দাবি করেন যে, এই নির্বাচনের ফলাফল পূর্বনুমতি ছিলো। কারণ ক্ষমতাসীন দল যে তাদের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আসবে এটি আগে থেকে জানা ছিলো। আর এ কারণেই বিএনপি ভোট বর্জনের সুযোগ নিয়েছিলো। তবে নির্বাচনের পর বিএনপি দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যারা নির্বাচনে পরাজিত হবে তাদের আপাতত বিএনপিতে ফেরা সম্ভাবন নাই। আর যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে নানারকম কৌশলে বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। অত্যন্ত ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ। টানা তিন বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরেই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। কিন্তু তিনি এখন তাঁর এলাকায় পরবাসী হয়ে গেলেন। এলাকায় তার কর্তৃত্ব নড়বড়ে হয়ে গেল। নিজ এলাকায় তিনি এখন আগন্তুক এবং অপাংক্তেয় হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

১৩৯ টি উপজেলায় প্রথম ধাপের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ছিল অন্যতম। এই সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের জন্য ছিল অগ্নিপরীক্ষা। আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী তাঁর ছেলে শাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলার প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। আর এই উপজেলাতেই প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অনেক ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা অধ্যক্ষ সেলিম। অধ্যক্ষ সেলিম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন বলে এলাকার সকলে জানেন। তিনি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বটে। কিন্তু তরুণ শাবাব চৌধুরী, একরামুল করিম চৌধুরী এবং তাঁর মার নির্বাচনী প্রচারণার বদৌলতে আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী নেতাকে পরাজিত করেছেন। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর রাজনীতিতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কবিরহাটের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছেলে সুবর্ণচরের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। ফলে নোয়াখালীতে একরামুল চৌধুরীর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ল। 

নোয়াখালীর রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদের এবং একরামুল করিম চৌধুরীর বিরোধ নতুন নয়। ওবায়দুল কাদের তাঁর নিজের লেখা গ্রন্থে এই বিরোধের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন এবং এই বিরোধের কারণেই তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বলেও ওই বইয়ে উল্লেখ করেছেন। নির্বাচনী বিরোধের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন, রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম (ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য) এবং সাবের হোসেন চৌধুরী (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী) দুই জনের মধ্যস্থতায় একরামুল করিম চৌধুরীর সাথে ওবায়দুল কাদেরের বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেন এবং এরপর থেকে দুজন মোটামুটি একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখে আসছিলেন। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। এসময় কাদের মির্জা একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করতে থাকেন। এটি একরামুল করিম চৌধুরীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে। এ নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছেও অভিযোগ করেছিলেন। এই বিরোধের জেরে নোয়াখালীর রাজনীতি আবার একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। 

শুধু নোয়াখালীর রাজনীতি না, কাদের মির্জার কারণে পুরো বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড প্রশ্নের মুখোমুখো হয়। সেই পরিস্থিতি ওবায়দুল কাদের দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর একরামুল করিম চৌধুরী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং তিনিও বিভিন্ন ভাবে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য রেখেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরকম বাস্তবতায় একরামুল করিম চৌধুরী এবার উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তাঁর ছেলেকে নির্বাচনে প্রার্থী করলেন এবং বিজয়ী করে আনলেন। এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়ল সেটা পরের কথা। নোয়াখালীর রাজনীতিতে কাদের পরিবারকে অনেকটাই কোণঠাসা করে ফেললেন একরামুল করিম চৌধুরী।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে কেন্দ্রীয় অসংখ্য নেতা ছিলেন আত্মগোপনে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন। সম্প্রতি শতাধিক নেতাকর্মী কারাবন্দি হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও আটক থেমে নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচন; কিন্তু বিএনপি এই উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে সারা দেশে লিফলেট বিতরণসহ কর্মিসভা করছে।

বিএনপির নেতাদের দাবি, তাদের আন্দোলন শেষ হয়নি; বিরতি চলছে। হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। যে কোনো সময় আন্দোলনের বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার আগে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করা হবে।

এদিকে নতুনভাবে গ্রেপ্তার বন্ধ এবং কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের চিন্তা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া আজ এবং আগামীকালের সমাবেশের পর ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো। এর আগে গত ১ মে শ্রমিক দিবসে বড় ধরনের শোডাউন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়।


নয়াপল্টন   বিএনপি   সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম পারভীনের মরদেহ তার নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনের নিকটস্থ শহর ওয়েষ্ট রক্সবুরির নিজ বাড়ির দরজা ভেঙ্গে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বোস্টনের আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নাসিম পারভীন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সাবেক স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই বাড়িতে একাই বসবাস করতেন।

তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের (বোস্টনের নিকটস্থ) ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন। পরে ছেলেমেয়েরা চাকুরির জন্য অন্যান্য শহরে বসবাস শুরু করলে তিনি ওই বাড়িতে একাই থাকতেন।

ছেলে-মেয়েদের ব্যস্ততার কারণে মাঝে মধ্যে মায়ের সঙ্গে দেখা হতো। সর্বশেষ মায়ের সঙ্গে তাদের ফোনে কথা হয় ২রা মে বৃহস্পতিবার। এরপর অনেক চেষ্টা করেও তারা আর মাকে ফোনে পাননি। এতে তাদের সন্দেহ হলে মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাসায় গিয়ে কলিং বেল টিপে এবং দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া না দিলে পুলিশে খবর দেন তার ছেলে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে নাসিম পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

নাসিম পারভীনের দেশের বাড়ি পাবনা জেলায়। পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের পর তার নামাজে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির নেতারা জানিয়েছেন।


নিউ ইংল্যান্ড   মহিলা আওয়ামী লীগ   লাশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: দেড় দশকের মধ্যে ভোটের হার সর্বনিম্ন

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেড় দশকের মধ্যে এবারের ভোটের হার সর্বনিম্ন। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের মুখে দলীয় প্রতীক না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছিল আওয়ামী লীগ। তবুও ভোটারদের উপস্থিতির হার বেশি ছিল না।

বিগত তিনটি উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে। তবে এবার ভোটের হার সবচেয়ে নিচে নেমেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৮১টিতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়ে।

১৫ বছর আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে তৃতীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশের মতো। আর ২০১৯ সালে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ। এবার প্রথম ধাপে ভোটের হার ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। পরপর চারটি উপজেলা নির্বাচনে ভোট কমেছে ধারবাহিকভাবে। এবার ভোটের হার সর্বনিম্ন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার কম হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এমন পটভূমিতে উপজেলায় ভোটের হার আরও কম পড়েছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের অনীহার বিষয়টি নতুন করে উঠে আসলো।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে, বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে ইভিএমে ভোটের হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ইসির হিসাবেই গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

বেশির ভাগ উপজেলায় খুব কম ভোট পেয়েও চেয়ারম্যান পদে বসতে যাচ্ছেন নির্বাচিত ব্যক্তিরা। প্রথম ধাপের ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৮১টিতে ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়ে যাঁরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১০ জন মোট ভোটারের ১০ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন। অবশ্য প্রদত্ত ভোটের হিসাবে তাঁদের ভোট পাওয়ার হার আরও বেশি। এর বাইরে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন।

‘নৌকা প্রতীক’ না দেওয়ার পেছনে উপজেলা নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করাও অন্যতম লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের। কিন্তু সেই লক্ষ্যও পূরণ করা যায়নি। প্রথম ধাপের ৬৩টি উপজেলায় তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এসব উপজেলায় বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান ১০ হাজারের বেশি।

মাত্র ১৩টি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বেশি। এই উপজেলাগুলোতে ব্যবধান ১ হাজার ভোটের কম। ৩১টি উপজেলায় ভোটের ব্যবধান হয়েছে ৩ হাজারের কম।

সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধান হয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায়। সেখানে মোট ভোটার ছিলেন ৬ লাখ ১১ হাজার ৬১০ জন। ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা শাহিন আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাব হোসেন পেয়েছেন ৬০ হাজার ২৯৩ ভোট। ভোটের ব্যবধান হয়েছে ১ লাখের বেশি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকারব্যবস্থার নির্বাচন—সব ধরনের ভোটেই মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এর প্রতিফলন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলায়ও দেখা যাচ্ছে। ভোটারের অনীহার বিষয়টি এখন আওয়ামী লীগের নেতাদেরও অনেকে স্বীকার করেন। এর কারণ কী এবং দায় কার—এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে না এবং উপজেলা নির্বাচনও হয়নি—সেটিই ভোটারদের নির্বাচনবিমুখ করার অন্যতম একটি কারণ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—দুই দলই তা মনে করছে।

অন্যদিকে বিএনপি দায় দিচ্ছে ক্ষমতাসীনদের ওপর। দলটি নির্দলীয় সরকারের দাবিতে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করছে। এই দাবিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। যদিও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে দলটির কিছু নেতা অংশ নিয়েছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে নির্বাচন নিয়ে মানুষের অনাস্থার বিষয়টি কাজ করেছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির অভিযোগ মানতে রাজি নন। তারা বলছেন, এবার মোট চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরের ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা তারা করবেন।

যদিও ভোটের এই হার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৮ মে) সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে—এ বিষয়টিকেই তাঁরা গুরুত্ব দিতে চাইছেন।

তবে নির্বাচনব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের অনাস্থাকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, ‘মানুষ শঙ্কায় থাকেন ভোট দিতে যেতে পারবেন কি না; গেলেও পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন কি না; ভোট দিলেও সেটা গণনা হবে কি না। এ অনাস্থার কারণে মানুষ এখন ভোটবিমুখ’।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের প্রতি মানুষের অনাস্থার প্রতিফলন এই ভোটের ফলাফল। আর এই অনাস্থার কারণে মানুষ এখন ভোটবিমুখ।


উপজেলা নির্বাচন   ভোটের হার   আওয়ামী লীগ   বিএনপি   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন