ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়ার সাজা ৬ মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২২


Thumbnail বেগম জিয়ার সাজা ৬ মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে বুধবার (২৩ মার্চ) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৬ মার্চ জানান, বেগম জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। দেশে করোনা মহামারি দেখা দিলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে এই পর্যন্ত কয়েক দফায় এ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

বেগম জিয়া   বিএনপি   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি ভোটারদের ভয় পায়, তাই নির্বাচনে আসে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ভোটারদের ভয় পায়, তাই নির্বাচনে আসে না। এই ভয় থেকে নির্বাচন বয়কট করে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থতা, এই ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারো আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। অনেকে বলেন- পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি। আজ কিন্তু আমরা কোনো সমাবেশ করিনি। সমাবেশ আমরা করব, কারণ বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা, রক্তপাত। বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি ছেড়ে দিই, তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যাও হতে পারে। এ কারণে আমাদের থাকতে হয়।

সমাবেশ থেকে এ পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি মারামারি, সংঘর্ষ, বিরোধ কিছু হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা নাম দিয়েছি শান্তি সমাবেশ, আমরা সেভাবেই শুরু ও শেষ করেছি। আমরা যদি মাঠে না থাকি তাহলে অতীতের অভিজ্ঞতা বলে বিএনপির সমাবেশ মানেই নৈরাজ্য, পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হাসপাতালে হামলা। এটা ২৮ অক্টোবর লক্ষ্য করেছি। আন্দোলন করেছে, আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। আর সেদিন দেখলাম কত যে দ্রুত মঞ্চ থেকে নেমে অলিগলি খুঁজে পাচ্ছিল না, পালাচ্ছিল। পালায় বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই নেতার আজও দেশে ফেরার সৎ সাহস হয়নি। যে নেতার নির্দেশে বিএনপি চলে সেটা রিমোট লিডারশিপ। নেতৃত্ব যদি দেশে না থাকে সে আন্দোলন কোনো দিন সফল হয় না। আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনেও ব্যর্থ হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল (শনিবার) মোহাম্মদপুরে আমরা শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেটি বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিজয়ীদের ফিরিয়ে আনবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ গুলোতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ২৭ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এদের মধ্যে সাতজন বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদেরকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা চলছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, সবগুলো নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিএনপি সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করবে। যারা বহিষ্কৃত হয়েছে, তাদের মনোভাব যাচাই করবে এবং তারা যদি ক্ষমাপ্রার্থনা করে দলে ফিরতে চান তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে। 

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বলেছেন, যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে বিএনপির নেতিবাচক অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ফলাফল অনুযায়ী বিএনপির যে সাত জন নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের আশরাফ হোসেন আলিম, ভোলাহাটে আনোয়ার হোসেন, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় আমিনুল ইসলাম বাদশা, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, গাজীপুর সদরে ইজাদুর রহমান মিলন, বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ ও সিলেট বিশ্বনাথের সোহেল আহমেদ চৌধুরী। এই সাতজনই বিএনপির জনপ্রিয় নেতা এবং এলাকায় তাদের প্রভাব রয়েছে। 

সরজমিনে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যে সমস্ত উপজেলাগুলোতে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে বিএনপির কর্মী সমর্থকরা নেমেছিল সেই সমস্ত স্থানে তারা বিজয়ী হয়েছেন। আর যে সমস্ত স্থানে বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীদের পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা নামেননি, তারা ভীত ছিলেন এবং দলের নির্দেশ অমান্য করার জন্য তাদেরকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাদেরকে পরাজয়বরণ করতে হয়েছে। 

বিএনপির মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ইতিহাসে সর্বনিম্ন। আর এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল। এটিকে তিনি বিএনপির জন্য একটি বিজয় হিসেবে দেখছেন। একই রকম মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাঁর মতে, উপজেলা নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়নি। বিএনপি যে ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছিল তাতে জনগণ সাড়া দিয়েছিল বলেই বিএনপির এই নেতা মনে করেন। 

তবে বিএনপির মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করার সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত ভোট হয়েছে এবং উপজেলাগুলোতে এখন আওয়ামী লিগের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কম ভোট হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে। আমাদের প্রার্থীদেরকে যদি আমরা সমর্থন দিতাম, প্রার্থীরা যদি মাঠে কাজ করতে পারত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। তার মতে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচন করেছেন তারা সকলে নিজ দায়িত্ব করেছেন। একদিক থেকে তারা যেমন দলের পৃষ্ঠপোষকতা পাননি অন্যদিক কর্মী সমর্থকেরা তাদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে এক ধরনের আড়ষ্ট ছিলেন। আর এ কারণেই তারা নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছেন।

বিএনপির কোনো কোনো নেতা অবশ্য দাবি করেন যে, এই নির্বাচনের ফলাফল পূর্বনুমতি ছিলো। কারণ ক্ষমতাসীন দল যে তাদের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আসবে এটি আগে থেকে জানা ছিলো। আর এ কারণেই বিএনপি ভোট বর্জনের সুযোগ নিয়েছিলো। তবে নির্বাচনের পর বিএনপি দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যারা নির্বাচনে পরাজিত হবে তাদের আপাতত বিএনপিতে ফেরা সম্ভাবন নাই। আর যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে নানারকম কৌশলে বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। অত্যন্ত ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ। টানা তিন বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরেই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। কিন্তু তিনি এখন তাঁর এলাকায় পরবাসী হয়ে গেলেন। এলাকায় তার কর্তৃত্ব নড়বড়ে হয়ে গেল। নিজ এলাকায় তিনি এখন আগন্তুক এবং অপাংক্তেয় হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

১৩৯ টি উপজেলায় প্রথম ধাপের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ছিল অন্যতম। এই সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের জন্য ছিল অগ্নিপরীক্ষা। আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী তাঁর ছেলে শাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলার প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। আর এই উপজেলাতেই প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অনেক ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা অধ্যক্ষ সেলিম। অধ্যক্ষ সেলিম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন বলে এলাকার সকলে জানেন। তিনি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বটে। কিন্তু তরুণ শাবাব চৌধুরী, একরামুল করিম চৌধুরী এবং তাঁর মার নির্বাচনী প্রচারণার বদৌলতে আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী নেতাকে পরাজিত করেছেন। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর রাজনীতিতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কবিরহাটের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছেলে সুবর্ণচরের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। ফলে নোয়াখালীতে একরামুল চৌধুরীর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ল। 

নোয়াখালীর রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদের এবং একরামুল করিম চৌধুরীর বিরোধ নতুন নয়। ওবায়দুল কাদের তাঁর নিজের লেখা গ্রন্থে এই বিরোধের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন এবং এই বিরোধের কারণেই তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বলেও ওই বইয়ে উল্লেখ করেছেন। নির্বাচনী বিরোধের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন, রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম (ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য) এবং সাবের হোসেন চৌধুরী (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী) দুই জনের মধ্যস্থতায় একরামুল করিম চৌধুরীর সাথে ওবায়দুল কাদেরের বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেন এবং এরপর থেকে দুজন মোটামুটি একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখে আসছিলেন। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। এসময় কাদের মির্জা একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করতে থাকেন। এটি একরামুল করিম চৌধুরীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে। এ নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছেও অভিযোগ করেছিলেন। এই বিরোধের জেরে নোয়াখালীর রাজনীতি আবার একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। 

শুধু নোয়াখালীর রাজনীতি না, কাদের মির্জার কারণে পুরো বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড প্রশ্নের মুখোমুখো হয়। সেই পরিস্থিতি ওবায়দুল কাদের দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর একরামুল করিম চৌধুরী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং তিনিও বিভিন্ন ভাবে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য রেখেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরকম বাস্তবতায় একরামুল করিম চৌধুরী এবার উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তাঁর ছেলেকে নির্বাচনে প্রার্থী করলেন এবং বিজয়ী করে আনলেন। এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়ল সেটা পরের কথা। নোয়াখালীর রাজনীতিতে কাদের পরিবারকে অনেকটাই কোণঠাসা করে ফেললেন একরামুল করিম চৌধুরী।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে কেন্দ্রীয় অসংখ্য নেতা ছিলেন আত্মগোপনে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন। সম্প্রতি শতাধিক নেতাকর্মী কারাবন্দি হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও আটক থেমে নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচন; কিন্তু বিএনপি এই উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে সারা দেশে লিফলেট বিতরণসহ কর্মিসভা করছে।

বিএনপির নেতাদের দাবি, তাদের আন্দোলন শেষ হয়নি; বিরতি চলছে। হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। যে কোনো সময় আন্দোলনের বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার আগে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করা হবে।

এদিকে নতুনভাবে গ্রেপ্তার বন্ধ এবং কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের চিন্তা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া আজ এবং আগামীকালের সমাবেশের পর ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো। এর আগে গত ১ মে শ্রমিক দিবসে বড় ধরনের শোডাউন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়।


নয়াপল্টন   বিএনপি   সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম পারভীনের মরদেহ তার নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনের নিকটস্থ শহর ওয়েষ্ট রক্সবুরির নিজ বাড়ির দরজা ভেঙ্গে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বোস্টনের আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নাসিম পারভীন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সাবেক স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই বাড়িতে একাই বসবাস করতেন।

তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের (বোস্টনের নিকটস্থ) ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন। পরে ছেলেমেয়েরা চাকুরির জন্য অন্যান্য শহরে বসবাস শুরু করলে তিনি ওই বাড়িতে একাই থাকতেন।

ছেলে-মেয়েদের ব্যস্ততার কারণে মাঝে মধ্যে মায়ের সঙ্গে দেখা হতো। সর্বশেষ মায়ের সঙ্গে তাদের ফোনে কথা হয় ২রা মে বৃহস্পতিবার। এরপর অনেক চেষ্টা করেও তারা আর মাকে ফোনে পাননি। এতে তাদের সন্দেহ হলে মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাসায় গিয়ে কলিং বেল টিপে এবং দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া না দিলে পুলিশে খবর দেন তার ছেলে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে নাসিম পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

নাসিম পারভীনের দেশের বাড়ি পাবনা জেলায়। পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের পর তার নামাজে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির নেতারা জানিয়েছেন।


নিউ ইংল্যান্ড   মহিলা আওয়ামী লীগ   লাশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন