বিএনপি'র নেতৃবৃন্দ কে ষড়যন্ত্র বন্ধ করে শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড۔ সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা সহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার পরিকল্পনায়। পরবর্তীতে জিয়ার অনুসারীরা হত্যা, ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। খালেদা-তারেকের নীল নকশায় জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাসহ গোটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বসহ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করতে চেয়েছিলো।
সোমবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির আয়োজনে ক্যান্টনমেন্ট থানা এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ড۔ সেলিম মাহমুদ বলেন, আমরা অবাক হচ্ছি এই জন্য যে, যারা এদেশে এতো বছর হত্যা আর নাশকতার ঘৃণ্য রাজনীতি করে আসছে, তারা আবার মানবাধিকারের কথা বলছে। তারা আজ গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করছে। আমরা অবাক হই, অতীতের কৃত কর্মের জন্য যাদের আজ লুকিয়ে থাকার কথা, তাদের অভিশপ্ত অতীতের জন্য আজীবন মাথা নীচু করে থাকার কথা, তারা আজ আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর হুমকি দিচ্ছে। তাদের এই ঔদ্ধত্ব পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ঘৃণ্যতম অপরাধ। এদেশের জনগণ এই নরপিশাচদের পিষে মারবে।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের প্রতিটি ঘাস, লতাপাতা আর ধূলিকণার সাথে মিশে আছে। আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা এতো সহজ নয়। এদেশের কোটি কোটি মানুষ আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক। যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে তারা সর্বদা প্রস্তুত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যা কিছু পেয়েছে, তার প্রত্যেকটিই জাতির পিতার কারণে অথবা তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার কারণে পেয়েছে। এই দুইজন ছাড়া আর কেও বাঙালি জাতিকে কিছু দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, শেখ হাসিনাই আবার ক্ষমতায় আসবেন। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, কোন লাভ নেই। এদের প্রতিটি ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেবো, আমাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। এদেশের জনগণ জানে, কারা প্রকৃত পক্ষে জনগণের বন্ধু।
ড۔ সেলিম আরো বলেন, ড۔ ইউনুসসহ কিছু ব্যক্তি বিদেশে লবিস্টের মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে। এই টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা। একটি কথা মনে রাখবেন, এই একুশ শতকে ষড়যন্ত্র করে কেও পার পাবে না।
ক্যান্টনমেন্ট থানা এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল ফারুক খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা۔ রোকেয়া সুলতানা। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব শেখ বজলুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক জনাব মান্নান কচি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যান্টনমেন্ট থানার সভাপতি জনাব খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর নেতা কর্নেল (অব) কানিজ ফাতেমা, জনাব ইয়াজউদ্দিন আহমেদ, ডা۔ মামুন আল মাহাতাব স্বপ্নিল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।