ইনসাইড পলিটিক্স

সুলতানা কামালকে আক্রমণ, তোপের মুখে রিজভী

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৬ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail সুলতানা কামালকে আক্রমণ, তোপের মুখে রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রায় বেসামাল কথাবার্তা বলেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তার জন্য তিনি দল এবং দলের বাইরে আলোচিত-সমালোচিত। মাঝে মাঝেই তার বক্তব্য কৌতুকের জন্ম দেয়, মাঝে মাঝে তার বক্তব্য জনমনে নানা রকম বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক সময়ে তার একটি বক্তব্য নিয়ে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদেরই তোপের মুখে পড়েছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন যে, সুলতানা কামাল কিসের বুদ্ধিজীবী, তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের মত কথা বলেন, আওয়ামী লীগের ক্যাডার। তার এই বক্তব্যের সূত্র ধরে সুশীল সমাজের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির সঙ্গে সুশীল সমাজে আধা গোপন-আধা প্রকাশ্য এক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সুশীল সমাজ বিএনপিকে নানারকম তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করছে। শুধু তাই নয়, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বিএনপির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকও করছে। সরকারকে চাপে ফেলার জন্য সুশীল সমাজ অর্থনৈতিক, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম তথ্য সরবরাহ করছে। এই তথ্যগুলোই উগড়ে দিচ্ছেন বিএনপির নেতারা। সুশীল সমাজের কোন কোন নেতা এখন প্রতিনিয়ত বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এরকম পরিস্থিতিতে সুলতানা কামালকে আক্রমণ করাতে সুশীল সমাজের বিএনপিপন্থী অংশরা অত্যন্ত বিব্রত এবং বিরক্ত। এ নিয়ে রুহুল কবির রিজভী মুখে পড়েছেন।

সুলতানা কামাল বেগম সুফিয়া কামালের কন্যা। কিন্তু তিনি স্বাধীন এবং স্বকীয় একটি অবস্থান সবসময় বজায় রেখেছেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও তিনি সবসময় সোচ্চার থাকেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন এবং যেখানে আওয়ামী লীগের দোষত্রুটি পান সেটি বলতে তিনি কার্পণ্য করেনা। বিশেষ করে মানবাধিকার ইস্যুতে তিনি সবসময় সোচ্চার। সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের বিষয়টি নিয়েও সুলতানা কামাল সবসময় কথা বলেন। এখন বিএনপি যখন চাইছে যে সুশীল সমাজকে আওয়ামী লীগের থেকে আলাদা করতে তখন সুলতানা কামালকে এই ভাষায় কথা বলাটা একেবারেই অবিবেচকসূলভ বলে মনে করা হচ্ছে। ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, বদিউল আলম মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, যারা এখন বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন হবে কাজ করছেন তারা বিষয়টি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মঈন খানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যে, সুলতানা কামালকে এভাবে আক্রমণ করাটা এই সময়ে সংযত হয়নি এবং সঙ্গত নয়। এর ফলে সুশীল সমাজের মধ্যে একটা ভুল বার্তা যাবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিএনপির অসহিষ্ণুতার চিত্রটি ফুটে উঠবে।

বিভিন্ন মহল মনে করবে যে, বিএনপি আসলে কতটুকু সহনশীল যতটুকু তাদের পক্ষে যায়। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তারা অসহনশীল হয়ে ওঠে। বিএনপি নেতারা গত এক বছর ধরে কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে এবং সুশীল সমাজের মধ্যে তাদের যে বদলে দেওয়ার গল্প শোনাচ্ছেন এবং তাদের যে নতুন ধারার কথা বলছেন সেটি রিজভী এক কথায় কর্পূরের মত উড়ে গেছে। কারণ, রিজভীর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির অসহিষ্ণুতার প্রকাশ হয়েছে। যারা সুলতানা কামালকে শ্রদ্ধা করেন তারা এই ঘটনাটাতে অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন। কারণ, সুলতানা কামাল আওয়ামী লীগ বা বিএনপির কারোরই নন। তিনি একটি মুক্ত চিন্তার ধারক-বাহক। এজন্যই ড. আসিফ নজরুল বা আদিলুর রহমান খানের মত কট্টর বিএনপিপন্থীরাও তাকে সম্মান করে। তাকে এভাবে আক্রমণ আওয়ামী লীগও করতে পারেনি। এরকম মন্তব্য করে বিএনপিপন্থী সুশীলরা এখন রিজভীকে সাবধান হয়ে যেতে বলছেন। কিন্তু রিজভীর এই মুখ কি তারা সামাল দিতে পারবেন?


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়াকে বিদেশ নিতে এবার লবিস্ট ফার্ম

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দাবি বিএনপির দীর্ঘদিনের। শুধু দাবি নয়, এ নিয়ে বিএনপির তদবিরও করছে। সরকারের সাথে পর্দার আড়ালে নানা রকম আলাপ আলোচনাও চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। আর বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তাঁকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি যেন সরকার দেয় এ জন্য দুটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই লবিস্ট ফার্মের একটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক, অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক। এই লবিস্ট ফার্মগুলো যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করবে এবং বাংলাদেশ সরকারের ওপর যেন এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয় সে জন্য চেষ্টা করবে। 

তবে বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি নয়, বরং তাঁরা সরকারের সাথে এই ইস্যুটি নিয়ে আলাপ আলোচনা করব, একটা সম্মানজনক সমাধানের জন্য চেষ্টা করবে। উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে সবচেয়ে বেশি তৎপর। তিনি ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং যে কোন শর্তে তিনি রাজি আছেন এমন বার্তাও দিয়েছেন। 

তবে বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিপক্ষে। এ নিয়ে তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই শেষ চেষ্টা হিসেবে দুটি লবিস্ট ফার্মের দ্বারস্থ হয়েছে। এই দুটি লবিস্ট ফার্ম প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগে যারা প্রভাবশালী তাদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য যেন তারা সরকারের সঙ্গে একধরনের দর কষাকষি করে সেজন্য চেষ্টা করবে। 

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের লবিস্ট ফার্মটি লেবার পার্টির সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তারেক জিয়া সরাসরি এই লবিষ্ট ফার্মের সঙ্গে কথা বলছেন বলেও জানা গেছে। এই লবিষ্ট ফার্মের কাজ হবে যে, তারা যুক্তরাজ্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার জন্য সরকারকে রাজি করাবে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লবিষ্ট ফার্মটির প্রধান কাজ হবে সরকারের ওপর এ সংক্রান্ত চাপ সৃষ্টি করা যেন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখার জন্য হলেও বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে রাজি হয়। 

তবে সরকারের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সরকার এ ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থানের কোন পরিবর্তন করেনি। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারক বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক নয়। এটি আইনগত বিষয়। তার মতে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি পথ খোলা রয়েছে। প্রথমত, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি যদি তাঁর ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করেন তাহলে তার দণ্ড মওকুফ হয়ে যাবে। তখন তিনি একজন মুক্ত ব্যক্তি হবেন এবং মুক্ত ব্যক্তি হিসাবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন। 

দ্বিতীয় উপায় হলো কেগম খালেদা জিয়া আদালতের আশ্রয় নিবেন। আদালত যদি তার দণ্ড স্থগিত করে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রে সরকার বাঁধা দিবে না।

তৃতীয়ত, বেগম খালেদা জিয়া যদি তার বর্তমানে যে নির্বাহী আদেশের জামিন সেই জামিন প্রত্যাহারের আবেদন করেন এবং তিনি কারাগারে যান, সেখান থেকে তিনি নতুন করে আবেদন করলে সেই আবেদন সরকার বিবেচনা করবে। তবে বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এই তিন সমাধানের কোনটিতে যেতে চায় না। বরং সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিবে এটি তারা প্রত্যাশা করে। আর শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম কতটুকু সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

খালেদা জিয়া   লবিস্ট ফার্ম   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় প্রভাব বিস্তারকারীরা দলের পদ হারাবেন, ভবিষ্যতের মনোনয়ন ঝুঁকিতে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা এবং প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন যেমন উপজেলা নির্বাচন তাদের নিজেদের মতো করে পর্যবেক্ষণ করছে, যারা আচরণবিধি এবং নির্মাণের নির্বাচনের আইন কানুন লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে, ঠিক তেমনই আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব উদ্যোগে দলের শৃঙ্খলা এবং মন্ত্রী-এমপিদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করছে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় টিম সরাসরি কাজ করেছে এবং তারা প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত সবগুলো উপজেলার নির্বাচন মনিটরিং করেছে। যেখানে তারা খোঁজখবর নিয়েছে যে, মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনে কতটা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে তারা কতটা বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করেছে এবং তাদের কারণে নির্বাচনে কী কী ধরনের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আর এক্ষেত্রে যারা নির্বাচনের স্বাভাবিক এবং স্বতস্ফূর্ত পরিবেশ নষ্টের জন্য দায়ী থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন যে, এই উপনির্বাচনগুলোতে যারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নীতিগত অবস্থান নেওয়া হয়েছে। যারা নির্বাচনে তাদের নিজস্ব প্রার্থী বা আত্মীয়স্বজনকে জেতানোর জন্য প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করতে চাইবে বা নির্বাচনের পেশি শক্তি প্রয়োগ করতে চাইবে তারা দলের পদ হারাবেন। উপজেলা নির্বাচনের সবগুলো ধাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে বলেও আওয়ামী লীগের ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছেন- একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আর এক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার প্রয়োগে যারা বাধা দেবে; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বানেকে যারা কলুষিত করতে চাইবে, তাদেরকে আওয়ামী লীগের কোন পদে থাকা রাখা হবে না, তারা যে পর্যায়ে বা যে পদেই থাকুন না কেন।

বিশেষ করে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা তাদের মাই ম্যান হিসাবে প্রার্থীদেরকে দাঁড় করিয়েছেন, তারা যদি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে তাহলে যারা প্রার্থী এবং যারা প্রার্থীদেরকে মদত দিচ্ছেন তারা উভয়ে দলের পদ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হল যে, এই সব উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের নির্দেশ অমান্য করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন, নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিকে জয়ী করার জন্য পেশিশক্তি প্রয়োগ করবেন ভবিষ্যতে মনোনয়নের খাতা থেকে খাতা থেকে তাদের নাম বাদ যাবে। তাদেরকে ভবিষ্যতে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও যারা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করেছিল এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল তাদের অনেককেই গত নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে এলাকায় নিজস্ব কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন ঝুঁকিতে পড়বে বলেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৮ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সস্ত্রীক ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন তিনি।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২ মে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ বিমানে মদিনা পৌঁছেন। মদিনা পৌঁছে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শুক্রবার মসজিদে নববীতে জুম্মার নামাজ আদায় করেন বিএনপি মহাসচিব। শনিবার এশার নামাজের পর সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

বিএনপি মহাসচিব   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফালুকে নিয়ে বিএনপিতে নতুন করে আলোচনা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।

এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।

ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।

কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।

তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।

এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।


তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   মোসাদ্দেক আলী ফালু   বিএনপি   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিদের সাথে তৃণমূলের শেষ লড়াই?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল দেশের ১৪০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নির্বাচন যেন সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক হয় সে জন্য যথা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগ এবার নির্বাচনে তাদের দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছে। নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি বাড়ে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সে কারণেই আওয়ামী লীগ এই কৌশল গ্রহণ করেছে। এই কৌশলের কারণে প্রায় প্রতিটি উপজেলায় একাধিক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচন অধিকাংশ স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

জাতীয় নির্বাচনের মতোই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা উপজেলা নির্বাচনে যেন ভোটাররা ভোট দিতে না যায় সে জন্য প্রচারণা করছে। তবে তাদের প্রচারণা খুব একটা সাড়া ফেলেনি। কারণ ১৪০ টি উপজেলার মধ্যে ৭৩ টিতে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। বিএনপি ঘোষণা করেছিল যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং এই কারণে দলের ৭৩ জন স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু দলের বহিষ্কারাদেশকে তোয়াক্কা না করে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন এই সমস্ত বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তবে নির্বাচনের মাঠে থাকলেও তারা তেমন সুবিধা করতে পারছেন না। কারণ একদিকে যেমন কর্মী সমর্থকরা বহিষ্কারাদেশের ভয়ে প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, অন্যদিকে দলীয় সমর্থন না পাওয়ার কারণে বিএনপির প্রার্থীদের অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। আর সেই কারণেই এবার উপজেলা নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নির্বাচন হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। 

তবে উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াইয়ের চেয়েও মন্ত্রী-এমপিদের মাইম্যানদের সাথে তৃনমূলের লড়াই হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ১৪০ টি উপজেলার মধ্যে ৩১ টি উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তবে সবগুলো উপজেলাতেই মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব পছন্দের প্রার্থী বা মাইম্যান রয়েছে। যে সমস্ত প্রার্থীদেরকে মন্ত্রী এমপিরাই নির্বাচনে দাঁড় করানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন, প্ররোচনা দিয়েছেন এবং তারা স্থানীয় পর্যায়ে মন্ত্রী-এমপির লোক হিসেবে পরিচিত। আর এই কারণেই এই সমস্ত ব্যক্তিরা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। মন্ত্রী-এমপিদের কর্মীবাহিনী এবং সমর্থকরা ওই সব প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তারা সবসময় সচেষ্ট থাকছেন যেন মন্ত্রী-মন্ত্রীদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন। আর এ কারণেই মন্ত্রীদের একাধিপত্য, তাদের পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল অধিকাংশ স্থানে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। কর্মী সমর্থকদের একটি বিপুল অংশ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে এবং তাদের পক্ষে একট্টা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্বীকার করেছেন, উপজেলা নির্বাচন আসলে মন্ত্রী-এমপিদের মাইম্যানদের সাথে তৃণমূলের লড়াই এবং এই লড়াইয়ে যদি তৃণমূল হেরে যায় তাহলে মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে হতাশা আসবে। যারা ত্যাগী পরীক্ষিত তারা অসহায় বোধ করবে এবং আওয়ামী লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী যে দিকটি অর্থাৎ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতশ এবং আশাহত হবেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগে স্বজন প্রীতি বন্ধ করার জন্য আহবান জানানো হয়েছিল। যারা মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজন তারা যেন নির্বাচন অংশগ্রহণ না করে সে জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে বার্তা কর্ণপাত করেননি অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিরা। এখন দেখার বিষয় মন্ত্রী-এমপিদের সাথে তৃণমূল যে যুদ্ধ করছে সেই যুদ্ধে কতটুকু সফল হয়। কার কাও মতে এটাই তৃণমূলের শেষ যুদ্ধ। যদি এলাকায় মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থী  জয়ী তাহলে তৃণমূলের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। প্রতিটি এলাকায় মন্ত্রী-এমপিদের একচ্ছত্র প্রতিষ্ঠা হবে। আর যদি মন্ত্রী-এমপিরা পরাজিত হয় তাহলে তৃণমূল শক্তিশালী হবে। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন