বিএনপি সমঝোতা নির্বাচন সরকার মির্জা ফখরুল ইসলাম
মন্তব্য করুন
দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সেইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসাও জানান তিনি। শনিবার (২৫ মার্চ) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গৌরবোজ্জল ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে আমি দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞচিত্তে সেই দেশের অবদান স্বীকার করছি, যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন ও সহায়তা জুগিয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছি ৩০ লাখ বীর শহীদদের। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করে যারা আমাদের লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছেন। সশ্রদ্ধ সালাম সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা জীবনবাজী রেখে লড়াই করেছেন আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের আধুনিকায়নে যার অপরিসীম অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বাংলাদেশীদের জীবনে এক অবিনশ্বর চেতনা। মহান স্বাধীনতা জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সামনে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। প্রতিটি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে একাত্তরের গৌরবোজ্জল উত্তাল দিনগুলো আজীবন পথ দেখাবে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্ববাসীর সামনে সাহস আর বিজয়ের প্রতিক হয়ে থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ আজীবন সুখী ও সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
এই শুভক্ষণে আগামী প্রজন্মের সুখময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ক্ষুধা, দারিদ্র এবং দুর্নীতিমুক্ত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
সবার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল, সমৃদ্ধি এবং সুস্থতা কামনা করছি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচন নোমান আল মাহমুদ
মন্তব্য করুন
১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্খা
নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল- তা আজও পূরণ
হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন
করার জন্য আজও দেশি-বিদেশী চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেবলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ণের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানী করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। নজীরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাই আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী গণআবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে একটি জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশাল রক্তস্রোত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। অথচ আজও বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সেইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসাও জানান তিনি। শনিবার (২৫ মার্চ) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তিনি।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ণের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানী করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। নজীরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাই আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী গণআবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে একটি জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা ৫৪ দল ও সংগঠনের অনেকেই সরকারের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিচ্ছে বলে জানুয়ারিতে এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ওরফে ভিপি নুর। তিনি বলেন, বিরোধী জোটের শরিকদের কেউ কেউ সরকারের সঙ্গেও লিয়াজোঁ করছেন এবং আসন ভাগাভাগি করে ঐকমত্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। অথচ সেই একই অভিযোগ এবার নুরের বিরুদ্ধে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে নুরুল হক নুর এখন সরকারের বলয়ে। গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র নেতাদের মুখেই এখন এই কথার চর্চা হচ্ছে।
বলা হয়ে থাকে, জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল যখনই বাড়বে বা রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠবে, বুঝতে হবে তখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা অনেক। কিন্তু বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে দশম সংসদে জাতীয় পার্টি দেখিয়েছে, কী করে 'বিরোধী দল' হতে হয়। একাদশ জাতীয় সংসদেও জাতীয় পার্টি কাগজে-কলমে বিরোধী দলের অবস্থানে রয়েছে। সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং উপনেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।