একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপি সংসদ সদস্য হয়ে যেসব কাজ শেষ করতে পারেননি, উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে সেসব কাজ সমাপ্ত করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। নিজের ছেড়ে দেওয়া আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচিত বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সকাল ১০টার পর সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন উকিল আব্দুস সাত্তার। এ সময় তার সঙ্গে কয়েকজন অনুসারী উপস্থিত ছিলেন; যারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
এসময় সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। আমি জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। জয়লাভ করলে এলাকার বাকি কাজগুলো সমাপ্ত করবো ইনশাআল্লাহ। আমি কোথাও কোনো গোলযোগ দেখিনি। সব জায়গায় সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উকিল আব্দুস সাত্তার বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে আমার যে অসমাপ্ত কাজ সেগুলো সমাপ্ত করব।”
এই আসনের উপ-নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে প্রার্থী হিসেবে আরও আছেন- জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মৃধা, আবু আসিফ আহমেদ। আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ না নিলেও নেতাকর্মীরা সমর্থন দিচ্ছেন পাঁচবারের এমপি উকিল সাত্তারকে।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির অন্য সংসদ সদস্যদের মত সাত্তারও পদত্যাগ করেন। তবে ফাঁকা আসনে উপনির্বাচনে দাঁড়াতে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন তিনি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আসিফকে ভোটের দিনও দেখা মেলেনি।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ 'নিখোঁজ' আছেন বলে দাবি করেছে পরিবারের। আসিফের সন্ধান ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়ে মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তার স্ত্রী মেহেরুন নিছা। পরে নির্বাচন কমিশন জানায় আসিফ আত্মগোপনে রয়েছেন। এ সংক্রান্ত একটি অডিও কথপোকথনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন তারা সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ভোট সাত্তার ভূঁইয়া অসমাপ্ত কাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।