যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ‘রাজপথ কারও একার না। রাজপথেই বিএনপি-জামাতের কুকর্মের জবাব দিবে যুবলীগ। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এই দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমরা জনগণের শান্তির জন্য রাজপথে থাকি, শান্তি সমাবেশ করি। কারণ আমরা রাজপথে থাকলে তারা জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধণ করতে পারে না, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষের সম্পদের ক্ষতি করতে পারে না, মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে না, ভাংচুর করতে পারেনা। এজন্য তাদের মাথা ব্যাথা।’
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ফার্মগেইট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই শান্তি সমাবেশ আয়োজন করে যুবলীগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেই নাই। আমাদের জন্ম এই রাজপথে, ক্যান্টনমেন্টে না। সুতরাং আমরা রাজপথে থেকেই জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র অপরাজনীতির মোকাবিলা করবো। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, আপনারা ধৈর্যশীল থাকবেন, ওদের কৌশল আমাদেরকে অত্যাচারী এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসাবে বহির্বিশ্বে উপস্থাপন করা।’
তিনি বলেন, ‘ওরা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইবে, বিভিন্ন রকম উস্কানি দিতে চেষ্টা করবে। আপনারা ওদের ফাঁদে পা দিবেন না। ওরা প্রতারণায় এবং প্রোপাগান্ডায় ভীষণভাবে পটু। কিন্তু রাজপথ আমরা ছেড়ে দেব না। আমাদেরকে ব্লাকমেইল করার সুযোগ দেব না। ওরা কিন্তু দিনকে রাত বানাতে এবং রাতকে দিন বানাতে বড় পারদর্শী। মিথ্যার উপরই এই দলটার সৃষ্টি। ওরা জাতির পিতার নাম মুছে ফেলেছিল, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছিল। সুতরাং মিথ্যা চর্চার ক্ষেত্রে এই দলকে দুর্বল ভাবার কোন সুযোগ নাই। হত্যা ও মিথ্যাচারের উপর বিএনপির সৃষ্টি। অপরদিকে আমাদের জন্ম হচ্ছে রাজপথে। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে করতেই আমাদের জন্ম।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশবিরোধী শক্তি, ৭১’র পরাজিত গোষ্ঠী যারা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না সেই গোষ্ঠী আন্দোলন সংগ্রামের নামে দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করছে, তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা করছে, রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশের শান্তি বিনষ্ট করছে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে ধারণ করে না, তাদের সাথে মানুষের কোন সম্পর্ক নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের নতুন প্রজন্ম জাগ্রত, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি-জামাতের অপকর্মের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে। তাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এখন আর তারা মানুষকে বোকা বানাতে পারবে না। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সংগঠনকে ভালোবাসে বলেই শেখ হাসিনার ডাকে রাজপথে নেমে আসে।’
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা আর শান্তি সমাবেশ করব না, নেত্রী নির্দেশ দিলে রাজপথেই বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করবো।’
শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল। শান্তি সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসবিরুল হক অনু।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডাঃ হেলাল উদ্দিন, জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ প্রমুখ।
রাজপথ বিএনপি জামাত কুকর্ম জবাব যুবলীগ শেখ পরশ
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।