ইনসাইড পলিটিক্স

‘হেফাজতে ইসলাম’র কী খবর?

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

২০১৩ সালের ৫ মে, বাংলাদেশের রাজেনৈতিক ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম লংমার্চ এবং ঢাকা অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ওঠে এসেছিল। কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগসহ ১৩ দফা দাবি তুলে সংগঠনটি এ ধরণের কর্মসূচি করেছিল। ২০১৩ সালের ৫ই মে হেফাজতে ইসলাম- এর ঢাকা অবরোধ এবং শাপলা চত্বরে অবস্থান নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতাও হয়েছিল। সেই সূত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি আলোচিত নাম ‘হেফাজতে ইসলাম’। 

এছাড়াও হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমেদ শফী ‘তেতুল তত্ত্ব’র কথা বলে আলোচিত হয়েছিলেন। সেইসঙ্গে কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হাস্যরসের মাধ্যমে একটি পরিচিত নাম হয়ে ওঠেছিল। ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল্লামা শাহ আহমেদ শফী মৃত্যুবরণ করেন ৷ তার মৃত্যুর পর দলটির নতুন আমির কে হবেন?- এই নিয়েও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং গণমাধ্যমও ছিল আলোচনা মুখর। পরে সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ক্রমশ আলোচনা বাড়লেও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের পর থেকে দলটির কর্মকাণ্ড নিয়ে তেমন কোনো আলেচনা চোখে পড়েনি। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল ( রোববার ) বেলা একটার দিকে মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের একাধিক নেতা-কর্মী জেল-হাজতে থাকলেও আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হেয়ে ওঠেছে সংগঠনটি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ( বৃহস্পতিবার ) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ- এর ঢাকা মহানগরের কর্মী সম্মেলন করেছে হেফাজতে ইসলাম। কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, ‘ইসলাম ও জাতিসত্তা বিরোধী সুদূর প্রসারী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই শিক্ষানীতি সিলেবাস নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের নৈতিক ভীত দূর্বল করে দিতে এবং মেরুদণ্ডহীন একটি দূর্বলচিত্ত জাতি তৈরির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীর এদেশিয় এজেন্টেরা এহেন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই অশুভ শক্তির কালো হাত ভেঙে দিতে ছাত্রসমাজকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

অন্যদিকে সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন হিজাব টুপি ও দাঁড়ি নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন- তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশেদ খান মেনন ইসলাম ও কোরআন-সুন্নাহকে নিয়ে কটাক্ষ করে বাংলাদেশের মুসলমানদের অন্তরে আঘাত দিয়েছেন। হিজাব টুপি ও দাঁড়ি নিয়ে কুরুচিপূর্ণ এসব মন্তব্য একজন রাজনীতিবিদের জন্য বেমানান। তাকে এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।’

তবে হেফাজতে ইসলাম ‘রাজনীতি করবে না’ কিংবা ‘রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়ে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে না’- এমন শর্তে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ‘মুচলেকা’ দিয়েছে- এমন কথাও শোনা গেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এই মুচলেকা দেওয়ার কারণেই হেফাজতে ইসলামের তৎপরতা খুব একটা দেখা য়ায়নি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁরা বলছেন, গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের শর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারকে ‘বিব্রত না করার অঙ্গীকার’ করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

অন্যদিকে সম্প্রতি এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ( বৃহস্পতিবার ) তিনি গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, হেফাজত কোনো ‘মুচলেকা’ দেয়নি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির বিষয়ে সরকার নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। তবে মামুনুল হকের বিষয়ে সরকারের জোর আপত্তি আছে। 

গত ডিসেম্বরে ( ২০২২ সাল ) কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠনটির নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর- এ সংগঠনটির যেসব নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার বা আটক রয়েছেন তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর আশা করছে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। সেইসঙ্গে হেফাজত নেতা-কর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের বিষয়টিকে হেফাজতের প্রতি সরকারের নমনীয় মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখছে সংগঠনটি। 

বিবৃতিতে শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি গণমাধ্যমে হেফাজতকে জড়িয়ে কিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়েছে। একই সঙ্গে হেফাজত রাজনীতি না করার বিষয়ে সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. হেফাজতকে প্রতিষ্ঠাই করেছিলেন অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় আধ্যাত্মিক সংগঠন হিসেবে। হেফাজত কোনোকালেই নিজেদের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করেনি, আগামীতেও করবে না। যেহেতু হেফাজত অরাজনৈতিক সংগঠন এবং অতীতেও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তাই নতুন করে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়ার প্রশ্নই অবান্তর।’

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, ‘সেই ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। কেউ কেউ নিজেদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য হেফাজতকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেফাজতকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা এবং স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাঁদেরকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার ১৫ দিন পর গত বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ। রয়েল রিসোর্ট- কাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ৩ নভেম্বর  মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।

হেফাজতে ইসলাম   মামুনুল হক   আল্লামা শাহ আহমেদ শফী   রাশেদ খান মেনন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার (৮ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকও অংশ নেয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোয়া এক ঘণ্টার ওই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অংশ নেন।


যুক্তরাজ্য   পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নোয়াখালীতে হেরে গেলেন কাদের

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ  এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী। 

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং টানটান উত্তেজনা ছিল। নোয়াখালী রাজনীতিতে একরামুল করিম চৌধুরীকে মনে করা হয় ওবায়দুল কাদেরের প্রতিপক্ষ। একরামুল করিম চৌধুরী একবার ওবায়দুল কাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং একরামুল প্রার্থী হওয়ার কারণেই ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। 

আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না- এই অবস্থানটি নেওয়ার পিছনে নোয়াখালীর রাজনীতি কাজ করেছে। এই নির্বাচনে যেন শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষ সেলিম বিজয়ী হন সেজন্য বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চেয়েছিলেন নোয়াখালী জেলার সভাপতি যেন বিজয়ী হন। আর এই কারণেই শাবাব চৌধুরীকে নির্বাচন থেকে বসানোর জন্য চেষ্টা তদবির করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একরামুল করিম চৌধুরীর একগুঁয়েমির কারণে শাবাব চৌধুরী নির্বাচন থেকে বসেননি। বরং একরামুল করিম চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সন্তান বড় হলে অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 

একরামুল করিম চৌধুরী মুখে যাই বলুক না কেন, এই নির্বাচনে জেতানোর জন্য তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মরিয়া চেষ্টা করেছেন। একরামুল করিম চৌধুরী যেমন নোয়াখালী- আসনের এমপি, তেমনই তাঁর স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। স্বামী-স্ত্রী মিলে সন্তানকে রাজনীতিতে অভিষিক্ত করার এক মরণপণ লড়াই করেছিলেন এবং এই লড়াইয়ে অবশেষে গতকাল ৭০৩ ভোটের ব্যবধানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পরাজিত করেছেন শাবাব। এটির ফলে নোয়াখালীতে একরামুল করিম চৌধুরীর কর্তৃত্ব আরও বেড়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যেহেতু কবিরহাট এবং সুবর্ণচর দুটি উপজেলার চেয়ারম্যানের পদ তাঁর দখলে এবং তিনি নিজে এমপি। নোয়াখালীর রাজনীতিতে তাঁর আগে থেকেই প্রভাব রয়েছে। আর এ কারণেই অনেকে মনে করছেন যে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আসলে ওবায়দুল কাদেরকে হারিয়ে দিলেন একরামুল করিম চৌধুরী।

তবে ওবায়দুল কাদেরের সমর্থকরা বলছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কে হলো না হলো তাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কিছু যায় আসে না। তিনি এই নির্বাচনে কারও পক্ষেও ছিলেন না আবার কারও বিপক্ষেও ছিলেন না। বরং তিনি চেয়েছিলেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যেন জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলের এই বিজয় নোয়াখালীর রাজনীতিতে একটি বড় ধাক্কা বলেই নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নোয়াখালী   ওবায়দুল কাদের   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডিএমপিতে বিএনপি তিন নেতা

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ঘোষিত সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে আলোচনার জন্য ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছে দলটির প্রতিনিধি দল। এ নিয়ে বিকেলে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ডিএমপি।

আলোচনা শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত সমস্যা থাকবে না। তাই সেদিন সমাবেশ ও মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। ডিএমপি এ বিষয়ে ইতিবাচক এবং সমাবেশে তারা সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঈদের পর গত এপ্রিলে এই সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে যায়।

ডিএমপি   বিএনপি   বিক্ষোভ মিছিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিএনপির যেসব বহিষ্কৃত নেতা

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে) । বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলটির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নেন। যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন নেতা।

দেখা গেছে, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে পরাজিত করেছেন।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফারুক ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২টি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। গোমস্তাপুরে আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাটে চেয়ারম্যান হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রেজাকে পরাজিত করেছেন। আর আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেককে ভোটে হারিয়েছেন।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ আনাসর প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য।

গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। তিনি পান ১৮ হাজার ৯৬৯ ভোট। মিলন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে পরাজিত করেছেন।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান। সুহেল আহমদ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে পরাজিত করেছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান   উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপির ১০ স্বজনের জয়

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলে যে দ্বৈরথ তৈরি হয়, তা উপজেলা নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে—এমন আশঙ্কায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত রাখতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেয় দলটি। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করার বিষয়ে অটল থাকেন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা।

বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের মধ্যে ১০ জন জিতেছেন আর হেরেছেন চারজন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত-

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন।

বগুড়া-১ আসনের এমপি শাহদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল সারিয়াকান্দি উপজেলায় এবং ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।

পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কিছু ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।

খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার জামাতা রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারীও জয়ী হয়েছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় নির্বাচনে লড়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী এবং মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাহজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান। তিনিও জয়ী হয়েছেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আতাউর রহমান আতা। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুবউল-আলম হানিফের চাচাতো ভাই।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচা ও এক চাচাতো ভাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েন। তাদের মধ্যে জয়ী হন ছোট চাচা শফিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের এমপি শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন ও ভাতিজা আব্দুল কাদের দুজন একই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে গেছেন।

টাঙ্গাইল-১ আসনের এমপি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই ধনবাড়ী উপজেলায় হারুনার রশিদ হিরা নির্বাচনে হেরে গেছেন।

নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক শরীফুল হক পলাশ উপজেলায় হেরেছেন। মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাহাব উদ্দিনের ভাগনে সোয়েব আহমেদ বড়লেখা উপজেলায় পরাজিত হয়েছেন।

এর আগে, হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী অমি ও মুন্সীগঞ্জ-৩-এর এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের চাচা আনিছ উজ্জামান আনিস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   মন্ত্রী-এমপি   স্বজন প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন