ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়ার চিকিৎসা: শেষ পরিণতি ঝাঁড়-ফুক?


Thumbnail

বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের এতো দরদী হওয়ার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কিমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য উনাদের (মন্ত্রীদের) তো এতো দরদী হওয়ার দরকার নাই। আমরা দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তি চাই। নিঃশর্ত মুক্তি পাওয়ার পর উনি বিদেশে চিকিৎসা করবেন না দেশে চিকিৎসা করবেন, না ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাবেন, না ফকিরের কাছে ঝাঁড়-ফুক নেবেন, না তাবিজ নেবেন সেটা একান্তই তার নিজস্ব ব্যাপার।’

এদিকে শর্ত সাপেক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে এবং এই আবেদন ও সরকারের দুই মন্ত্রী সম্পর্কে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যকে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা পরিপন্থী বক্তব্য বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তারেক পন্থী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে মাইনাস করার ফর্মুলা অনুসারেই এমন বক্তব্য দিয়েছেন।  

শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেন সরকার হঠানোর আন্দোলনে থাকা বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য। বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ‘এমট্যাব’-এর ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান।

এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা আগ বাড়িয়ে কথাবার্তা বলছেন। এসব করে মানুষের মধ্যে ‘বিভ্রান্তি’ তৈরির পাঁয়তারা চলছে। নিঃশর্ত মুক্তির পর খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে না বিদেশের মাটিতে হবে, নাকি তিনি পীর ফকিরের শরণ নেবেন, সেটা একান্তই তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এখানে আগ বাড়াইয়া মাঝে মধ্যে আইনমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেসব কথা বলেন তাতে জনগণের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি, কনফিউশন সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চলে।’

এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতির আবেদন করা হলে- তার প্রেক্ষিতে তাকে বিদেশে চিকিৎসা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে টিকার প্রচার করা হয়। পরে ওই তথ্যকে ‘সর্বৈব অসত্য’ বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি আগের শর্তে নেই। তার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে যে সংবাদ এসেছে সেটিও সত্যি নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের, সরকারের না। প্রথমবার যখন আবেদন করা হয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণেই নিষ্পত্তি করে খালেদা জিয়াকে দণ্ডাদেশ স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।’  

সূত্র জানায়, গত সোমবার (৬ মার্চ) বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করেন। আবেদনে এবারও সাজা মওকুফ ও শর্ত শিথিল করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। মতামতের জন্য আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে। আইনি মতামতের পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে আবেদনটি যেহেতু স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট, সেক্ষেত্রে এই দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদ্বয় এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতেই পারেন। গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের মাঝে এই তথ্য ছাড়াতেই পারে। তাতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কিছু নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারের  এই দুই মন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, সেটা কি বেগম জিয়ার চিকিৎসা বিরোধী বক্তব্য নয়? তবে কি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় চান না যে- বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা হোক?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, বিএনপিতে তারেক এবং খালেদাপন্থী দুইটি গ্রুপ রয়েছে। খালেদা জিয়া বিএনপিতে এলে তারেক জিয়ার ক্ষমতা খর্ব হবে, যে কারণে তারেকসহ তার অনুসারীরা চান বেগম জিয়া মাইনাস হোক। বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের এমন বক্তব্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিপন্থী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁরা মনে করেন, বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়,সেক্ষেত্রে এখন বিএনপি নেতাদের উচিৎ সরকারের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে তার বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। বেগম জিয়ার রাজনীতি করা না করা নিয়ে কথা ওঠলেও- তার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারের মন্ত্রীদ্বয়ের নেতবিাচক কোনো বক্তব্য আজও কোনো গণমাধ্যমে প্রতিফলিত হয়নি।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতিমধ্যে সরকার বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে অনুমতি দিচ্ছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। যদিও আইনমন্ত্রী তথ্যটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। তথাপিও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সাথে বেগম জিয়া এবং তার অনুসারীদের একটা গোপন সমঝোতা রয়েছে। কিন্তু তারেক এবং তার অনুসারীরা এক্ষেত্রে বিরোধী ভূমিকা পালন করছে বলেও জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কি তারেক অনুসারী হয়ে খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসার বিরোধীতা করছেন কি না? নাকি বেগম জিয়াকে ফকিরের কাছে ঝাঁড়-ফুক করাবেন তারেকপন্থী গয়েশ্বর?


বেগম জিয়া   চিকিৎসা   শেষ পরিণতি   ঝাঁড়-ফুক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রথমে পরিবারের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান এরাই হল পরিবার। অন্যরা স্বজন নয়। সেই বিবেচনায় যারা শ্যালক, ভাতিজা, খালাতো ভাই, চাচাতো ভাইদের প্রার্থী করেছেন তারা পার পেয়ে যাবেন। 

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপির সন্তান বা পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের নানা কমিটিতে আছে। কেউ আগে থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ পৌরসভার চেয়ারম্যান আছেন। তারা রাজনীতির মধ্যে আছেন। এখন তাদেরকে নির্বাচনে বারণ করা যায় কীভাবে। অর্থাৎ এই যুক্তিতে ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান সহ যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বজনরা আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, বিভিন্ন কমিটিতে আছে বা আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের নির্বাচনে আর কোন বাধা থাকল না। 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, যারা তৃণমূলের নেতাকর্মী আছেন তাদেরকেও যেন সুযোগ দেওয়া হয়। সব পথ যেন তারা না নিয়ে নেয়। অর্থাৎ এটি একটি অনুরোধ। কোন নির্দেশনা নয় বা আবশ্যক পালনীয় বা বাধ্যতামূলকও নয়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন এই বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে বসেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর মধ্য দিয়ে সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, ওবায়দুল কাদের যে কথাগুলো বলেছিলেন বা যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন তা আসলে তেমন ভাবে কার্যকর হচ্ছে না। অন্তত আপাতত আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এটির প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। ওই দিন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলায় যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করা হবে মর্মে আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল। কিন্তু ওই বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি এই প্রসঙ্গটি আনেননি। এখন বুঝা গেল যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তারা কোন রকম শাস্তি পাচ্ছেন না। 

তবে আওয়ামী লীগে অনেক ধরনের শাস্তি হয়। আওয়ামী লীগ সরাসরি কাউকে বহিষ্কার বা কাউকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীতি কম অনুসরণ করে। বরং আওয়ামী লীগের শাস্তি হয় তিলে তিলে এবং নানা রকম ভাবে। অদূর ভবিষ্যতে বুঝা যাবে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের পরিণতি কী হয়।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশ ছেড়েছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী।

তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘এক জায়গা বউকে, আরেক জায়গা ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না’

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ কেউ আগে থেকেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, বা উপজেলা চেয়ারম্যান আছেন। আবার নিজের স্ত্রী বা ছেলেকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এক জায়গা বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত।

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
 
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলে-মেয়ে, কয়জন স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’ 

তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না,বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হাসপাতালে থেকে আজই বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।

এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। 


খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওমরাহ পালনে আজ সস্ত্রীক সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০১:৩১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম। 

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


মির্জা ফখরুল   ওমরাহ হজ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন