আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে শ্রমিকদের বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে কৃষকদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে কৃষক, শ্রমিক ও জনতা নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস করেছিলেন। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সমস্ত নেতাকর্মীদের তাদের গুরুত্ব অনুধাবনের আহ্বান জানান।’
তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে তা আজ আরও বলিয়ান এবং দৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দানের জন্য কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দকে নিরলস কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।’
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া দেশের সর্ববৃহৎ কৃষক সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘কৃষক ও কৃষিজীবীদের জন্য বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্যের জন্য আমাদের বিশ্বের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় না। সার, বীজ, বিদ্যুতের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে কৃষকদের সাথে নিয়ে কৃষক লীগের আন্দোলন লড়াই সংগ্রামে শহীদ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন কারণ তারা বিদেশী বন্ধুদের কাছে নালিশ এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কৃষক লীগের গৌরব সমুন্নত রাখতে কৃষক লীগের সমস্ত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে পরামর্শ প্রদান করেন। আগামী দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।’
বিশেষ অতিথি ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে এবং বর্তমান তাপদাহে কৃষকদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানান।
সভার সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি কৃষক লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি আসন্ন বোরো মৌসুমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দকে সারা বাংলাদেশের কৃষকের পাশে থেকে ধান কেটে দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনগুলোতেও কৃষকদের পাশে থাকার এবং তাদের অধিকারের প্রতি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সম্মানিত সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপিসহ কৃষক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। পরে সকাল ১০টায় মিনিটে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সম্মানিত সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র নেতৃত্বে র্যালীসহ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ইদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
কৃষক লীগের সম্মানিত সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভা ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু সহ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী ওবায়দুল কাদের একরামুল করিম চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী।