গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বাকি আর প্রায় দুই মাসের মতো সময়। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৫ মে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। এরপর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পাশাপাশি সংরক্ষিত আসনে এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলরসহ মোট ৩৮৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন ভোটে মেয়র পদে ১৩ জন মনোনয়নপত্র নিলেও দাখিল করেছেন ১২ জন। সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৮৯ জন মনোনয়নপত্র নিয়ে জমা দেয় ৮২ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪৩ জন মনোনয়নপত্র নিলেও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিল করেন ২৯০ জন। মোট ৪৪৫টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হলেও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ৩৮৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
ইসি আরও জানায়, মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. রাজু আহম্মেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. হারুন অর রশিদ, সরকার শাহনুর ইসলাম, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জায়েদা খাতুন ও মো. আবুল হোসেন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন মেয়র কাউন্সিলর প্রার্থী
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।