জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এটি বার বার প্রমাণ হয়েছে। যে ক’টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সাধারণের মানুষের ধারণা কোনো নির্বাচনই সঠিকভাবে হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নষ্ট করা হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেছে ইভিএমে কারচুপি করা হচ্ছে, বাইরে থেকে লোক এনে বুথের মধ্যে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এজেন্সির লোকজন ব্যবহার করে নির্বাচনে মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের লোকজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, তাদের কেন্দ্রে পর্যন্ত ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। সরকার সমর্থকরা নিজস্ব লোকজন এনে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করছে। আমরা এখনও নির্বাচনে আছি। কারণ, আমরা কথা দিয়েছিলাম জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সকল নির্বাচনে আমরা অংশ নেব। এতে আমরা আমাদের শক্তি-সামর্থ্য মূল্যায়ন করতে পারছি। অপর দিকে দেশবাসী দেখতে পারছে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন। আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি বলেই ভোটাররা বলতে পারে, আমরা ভোট কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারিনি। সাধারণ মানুষ বলতে পারছে ভোটের ফলাফল গণমানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।’
শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন। জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা দেশ ও জাতির প্রয়োজন মেটাতে রাজনীতি করছি। দেশ ও জাতির প্রয়োজন একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই জবাবদিহিতামূলক সরকার নিশ্চিত করা সম্ভব। জবাবদিহিতামূলক সরকার না হলে টেকসই এবং জনমুখী উন্নয়ন হয় না। জবাবদিহিতামূলক সরকার না হলে দূর্ণীতি, লুটপাট ও টাকা পাচার বন্ধ করা সম্ভব হয় না। তাই, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতেই আমরা রাজনীতি করছি।’
জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির মতবিনিময় সভায় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, মোস্তফা আল মাহমুদ। জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নুরুন্নাহার বেগম, খন্দকার দেলোয়ার জালালী, নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, পেয়ারুল হক হিমেল, মনিকা আলম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।