ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলে গভীর রাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ জুন) রাত ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
দুই হলে পৃথক সময়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলেও রাত ৩টায় দুই গ্রুপের উত্তেজনা শুরু হয়। সংঘর্ষে সূর্যসেন হলের চারজন ও শহীদুল্লাহ্ হলের একজন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতদের দুজন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী।
জানা যায়, সূর্যসেন হলে সৈকতের অনুসারীদের নামে বরাদ্দ রুম দখল করতে যায় শয়নের অনুসারীরা। আর শহীদুল্লাহ্ হলে শয়নের অনুসারীর নামে বরাদ্দ রুম দখল করতে যায় সৈকতের অনুসারীরা।
দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বাক বিতণ্ডা হলে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে
পড়েন শিক্ষার্থীরা।
সূর্যসেন হলের অতিথি কক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ঘটনার মীমাংসা করতে বৈঠকে বসেন।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতারা জানান, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
ছাত্রলীগ সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।