ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির রাজনীতি কি পুরোপুরি মার্কিন নির্ভর হয়ে পড়েছে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail

একটা সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্টদের সম্পর্কে একটি প্রবাদ এবং কৌতুক প্রচলিত ছিল। কৌতুকটি এরকম—মস্কোতে বৃষ্টি হলে বাংলাদেশের কমিউনিষ্টরা ছাতা ধরতো। এখন এই প্রবাদটি অন্যভাবে বিএনপির জন্য প্রযোজ্য হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন। বিএনপির রাজনীতি এখন পুরোপুরি ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্ভর হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে চাপ দেবে সেই চাপে সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিবে আর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এমন একটি সহজ সরল দিবাস্বপ্নের হিসেব-নিকেশই বিএনপি যেন ঘোরের মধ্যে আছে। বিএনপির রাজনীতিতে এখন মার্কিন নির্ভরতা স্পষ্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই সরকারকে চাপে ফেলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পতন ঘটাবে এমন একটি আভাস বিএনপি নেতারা এখন প্রকাশ্যে দিয়েছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বলেছেন, আমরা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেইনা, বিদেশিরাই আমাদের কাছে আসে। বিদেশীরা যে তাদের কাছে আসে এজন্য তাদের তারা গর্ব অনুভব করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী লবিস্ট ফার্ম ব্লু স্টারকে নিয়োগ করেছে বিএনপি। বিএনপির যুক্তরাষ্ট্রের নেতা আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হয় সেজন্য যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখে এটি নিশ্চিত করার জন্যই ব্লু স্টারকে লবিস্ট ফার্ম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

বিএনপির নেতারা এখন প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নালিশ করে। গত ২৪ মে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে সেই ভিসা নীতির ঘোষণা হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতাদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছাস এবং আনন্দ লক্ষ্য করা যায়। তারা এই ভিসা নীতি নিয়ে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন। এর ফলে তারা অর্ধেকটা ক্ষমতায় এসেছেন এমনটিও বোঝানোর চেষ্টা করেন। বিএনপির নেতারা এখন প্রকাশ্যেই বলেন, তাদের কিছুই করতে হবে না। তারা শুধু চুপচাপ বসে থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সরকারকে একতরফা নির্বাচন করতে দেবে না। বিএনপির নেতারা এটিও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির ফলে নাকি সরকারের কাঁপুনি শুরু হয়েছে। 

একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ। কিন্তু বিএনপি এখন জনগণের শক্তির ওপর কতটা নির্ভরশীল সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ ছয় মাসের কম সময়ে রয়েছে নির্বাচনের জন্য। বিএনপি প্রতিদিনই একদফা আন্দোলন কিংবা ১০ দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছে। সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করবে, গণআন্দোলন গড়ে তুলবে ইত্যাদি কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন প্রেক্ষাপট। বাস্তবে তারা পুরোপুরি ভাবে তাকিয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে ভোটে জিতিয়ে দেবে এমন একটি ধারণা থেকেই তারা হাত পা গুটিয়ে বসে আছে। 

বিএনপির অনেক নেতা বলছেন প্রকাশ্যে বলছেন, বাংলাদেশে ২০১৪ বা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন হবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায় তাহলে সেই নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে না কিংবা সেই নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন হলো একটি রাজনৈতিক দল কি শুধুমাত্র বিদেশ নির্ভর হয়ে তার দাবি আদায় করতে পারবে? সে রকম বাস্তবতা কি বাংলাদেশে আছে? 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোন কিছুতে বাধ্য করতে পারবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন না। বরং বিভক্ত বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে সরকার আরও বেশি শক্ত অবস্থানে যাবে এবং যেকোনো প্রকারেই নির্বাচন করে ফেলা প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। বিএনপি যদি সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে বাধ্য করতে চায় বা অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায় করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই জনগণকে সঙ্গবদ্ধ করতে হবে, জনগণকে প্রভাবিত করতে হবে এবং জনগণকে তাদের দাবি প্রতি সমর্থন আদায় করতে হবে। তা না করে যদি তারা শুধুমাত্র বিদেশ নির্ভর হয়ে বসে থাকে সেক্ষেত্রে বিএনপির আরেক দফা পস্তাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

বিএনপি   মার্কিন নির্ভর   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতকে নিয়ে বিএনপিতে ঘরে বাইরে বিরোধ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতকে নিয়ে নতুন বিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে বিএনপি। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেমন শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব অন্তঃকলহ তেমনই বিএনপি যাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রতিরোধের আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতদ্বৈততা। বিএনপির নেতৃত্বের একটি বড় অংশ জামায়াতকে নিয়ে আবার প্রকাশ্য আন্দোলনের পক্ষে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং সেই বৈঠকে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য জোটের ব্যাপারে তাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। 

তারা বলছেন যে, জামায়াত এবং বিএনপি একসাথে জোট অনেকটাই অর্থবহ ছিল এবং এটির ফলে জনসমর্থনের দিক থেকেও তারা একটি আস্থাশীল অবস্থার মধ্যে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ নির্বাচনের পরে আন্তর্জাতিক চাপে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বিএনপির। জামায়াত-বিএনপির ২০ দলীয় জোট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। এখন আবার নতুন করে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির গাঁটছড়া বাঁধতে চাইছে। এর পিছনে অন্যতম কারণ হল ভারত বিরোধিতা। 

বিএনপির নেতা যারা জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঐক্য গড়ার পক্ষে, তারা বলছেন যে, ভারত বিরোধিতার রাজনীতি যদি করতে হয় তাহলে অবশ্যই জামায়াতকে পাশে নিতে হবে। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য ঐক্যের বিরোধী। তারা বলছেন যে, এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক অবস্থা মনোভাব তৈরি হবে। বিএনপির মহাসচিব এটাও মনে করেন যে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সমর্থন ছাড়া বিএনপির পক্ষে কখনোই মাথা তুলে দাঁড়ানো সম্ভব না। আর এই কারণেই জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য করা হবে আত্মঘাতী। 

জামায়াতের সাথে ঐক্যের বিষয়টি নিয়ে এখন বিএনপির ঐক্যের মধ্যেও এক ধরনের টানাপোড়েন এবং বিভক্তি তৈরি হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করছিল, সেই সমস্ত আন্দোলনকারী দলগুলোর মধ্যেও এ নিয়ে এক ধরনের বিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছে যদি জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করা যায় তাহলে আন্দোলনের গতি হবে এবং শক্তিশালী হবে। অন্যদিকে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে যে, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্যের কোন প্রয়োজন নেই এবং এই ধরনের ঐক্য হলে সেটা হবে আত্মঘাতী। 

গতকাল ১২ দলীয় জোট এবং এলডিপির সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করে। এই বৈঠকে জামায়াত প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। ১২ দলীয় জোটের মধ্যে থেকে অনেকেই জামায়াতের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করার জন্য দাবি তুলেছেন। তারা বলেছেন যে, জামায়াতকে ছাড়া জোটে যে অন্যান্য দলগুলো আছে সেগুলো শক্তিশালী নয়। এবং আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যে কর্মী সমর্থক এবং কৌশলগত অবস্থান সেটি তৈরি করতে পারে না। এ কারণেই তারা জামায়াতকে পাশে পেতে চায়। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা বিএনপির সঙ্গে অভিন্ন ইস্যুটিতে আন্দোলন করছে তারা মনে করছে যে, জামায়াতকে প্রকাশ্য রাজনীতি করতে দেওয়া এখন উচিত না। এ নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। 

তবে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ধাপে ধাপে তারা সমমনা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবার বৈঠক করবে এবং এই সমস্ত বৈঠকের মধ্য দিয়ে তারা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে। 

জামায়াত   বিএনপি   রাজনীতির খবর   মির্জা আব্বাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন