ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেটকে ঘিরে নতুন করে সরকার বিরোধী আন্দোলনের ইঙ্গিত

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৫ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে এদিন বাজেট পেশ করবেন বলে জানা গেছে। অর্থনীতির সংকট, নানারকম অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে এবারের বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশবাসী। আর বিরোধী দলগুলো এই বাজেটকে ঘিরেই সরকার বিরোধী মুখ থুবড়ে পড়া আন্দোলন নতুন করে শুরু করার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গেছে। বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একের পর এক বিএনপি বৈঠক করছে এবং একটি যৌথ আন্দোলনের রূপ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে৷ 

বিরোধী দলগুলো সূত্রে জানা গেছে যে, তীব্র অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, অর্থ পাচার ইত্যাদি বিষয়গুলোকে একাট্টা করে বাজেট ঘোষণার পর পরেই সরকার বিরোধী আন্দোলন নতুন করে শুরু করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। 

উল্লেখ্য, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দু বছর আগে থেকেই বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো স্ব স্ব অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু করেছিল এবং এই আন্দোলনে যথেষ্ট গতি এসেছিল। কিন্তু গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির ভুল রাজনীতি এবং আকস্মিকভাবে হঠকারিতার দলটিকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। এই ভুল রাজনীতির কারণে
আন্দোলনের প্রতি সাধারণ মানুষের যে সমর্থন এবং সহানুভূতি ছিল তা উবে যায়। 

২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির আন্দোলন বিপর্যস্ত এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ব্যাপারে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিএনপি নেতাকর্মীরাই অনাগ্রহ দেখান। তারা এখন হতাশাগ্রস্ত। কিন্তু আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপি গত কিছুদিন ধরে চেষ্টা করছে। বিএনপির পক্ষ থেকে সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করেছিল, তারা নতুন করে আন্দোলনের জন্য একে অপরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছে এবং সেই আলাপ আলোচনায় সরকারের বিরুদ্ধে কী কী বিষয় নিয়ে আন্দোলন করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 

বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে একটি লিয়াঁজো কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও বিএনপি এই ধরনের লিয়াঁজো কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত একমত পোষণ করেননি। তবে সফল রাজনৈতিক দলগুলোই বাজেটকে সামনে রেখে নতুন পরিসরে আন্দোলন করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে তারা পাঁচটি বিষয়কে সামনে আনবে আনতে চায়। 

প্রথমত, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মুদ্রাস্ফীতি- এই বিষয়টিকে তারা সবচেয়ে সামনে। দ্বিতীয়ত, সারা দেশে বিদ্যুৎ সংকট, তৃতীয়ত, ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য (তাদের ভাষায় লুটপাট), চতুর্থত, দুর্নীতি এবং পঞ্চমত, অর্থপাচার। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা সারাদেশে সমাবেশ, বিক্ষোভ, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিগুলো পালন করতে চায়। তবে কর্মসূচির ধরন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের অনৈক্য রয়েছে। 

কেউ কেউ মনে করছেন যে, বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বৈচিত্র্য আনা দরকার। এমন ধরনের কর্মসূচি দেওয়া দরকার যে ধরনের কর্মসূচিতে জনগণ সম্পৃক্ত হতে পারে। কৌশলগত কারণে বিএনপি এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটিকে সামনে আনতে রাজি নয়। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়ে তারা জনগণের ভোগান্তি এবং জনদুর্ভোগের বিষয়গুলোকে সামনে আনতে চায়। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে এক ধরনের হতাশা, নেতাকর্মীদের মধ্যে আন্দোলন নিয়ে অনীহা এ সব কিছু মিলিয়ে বাজেট কেন্দ্রিক আন্দোলন কতটুকু ফলপ্রসূত হবে তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই এক ধরনের সন্দেহ রয়েছে। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, এখনই চূড়ান্ত আন্দোলন নয়। তারা ধাপে ধাপে আন্দোলন শুরু করতে চায়। সেই নতুন আন্দোলন শুরুর ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হবে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

বাজেট   সরকার বিরোধী আন্দোলন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের ‌‌‌'মাইম্যানরা' ধরাশায়ী

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীরা অর্থাৎ তাদের 'মাইম্যানরা' এবার নির্বাচনে বিপুলভাবে পরাজিত হচ্ছেন। সারা দেশে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং হেভিওয়েট নেতাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে হারিয়ে দেওয়ার উত্সব শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। 

ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের পছন্দের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। এই পরাজয়ের সূত্র ধরে এলাকায় বেশ কয়েকদিন উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। বরিশালে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ পছন্দের দুই প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি আ হ ম মোস্তফা কামাল কামালের ছোট ভাই কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। 

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খানের পছন্দের প্রার্থী আবুল কাসেম রাজু পরাজিত হয়েছেন। এই নির্বাচনের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এভাবে সারা দেশে যেখানে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, সেখানেই মন্ত্রী, এমপিদের স্বজনদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। 

শরীয়তপুর সদরের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাত ভাই বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, গাইবান্ধা সদর উপজেলার সংসদ সদস্য  শাহ সারোয়ার কবিরের প্রার্থী মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি সমর্থিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ পরাজিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলছেন, এই পরাজয় হল তৃণমূলের ক্ষোভ এবং অভিমানে স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। যেখানে মন্ত্রী, এমপিরা তাদের নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বা তৃণমূলের মতামতের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ হয়েছে, প্রতিরোধ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, যেখানে তৃণমূলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সংসদ সদস্যরা
প্রার্থী দিয়েছেন সেখানে কোন সমস্যা হয়নি। আওয়ামী লীগের ঐক্যমতের প্রার্থী নির্বাচনে ইতিবাচক ফলাফল করেছে। কিন্তু যেখানে যেখানে দলের তৃণমূলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে মন্ত্রী, এমপিরা জোর করে তাদের পছন্দের প্রাথী চাপিয়ে দিয়েছেন সেখানেই ঘটেছে বিপর্যয়। যেমন ড. আব্দুর রাজ্জাকের ভাইকে যেন প্রার্থী না করা হয় এজন্য তৃণমূল একাটাট্টা হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্জাক তার ভাইকে মনোনয়ন থেকে সরিয়ে দেননি। যার ফলে দেখা গেছে যে, ড. রাজ্জাকের পছন্দের প্রার্থী সেখানে ধরাশায়ী হয়েছে। 

একই রকম ঘটনা ঘটেছে সর্বত্র। এটি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের শক্তির জয় বলে অনেকে মনে করছেন। অনেকে মনে করছেন যে, এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় ধরনের বার্তাও বটে।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে বেগম জিয়া-তারেকের দুই মত

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কাউন্সিল হবে কি হবে না- এই নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় ফিরোজায় অবস্থান করছেন। নিজেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যেই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার তার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং দলের কিছু নীতি নির্ধারণী বিষয় নিয়ে তার মতামত জানতে চেয়েছেন। 

সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিবের দায়িত্ব ছাড়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে অনুরোধ করেন। বেগম খালেদা জিয়া তাকে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন এবং দ্রুত একটি কাউন্সিল করার জন্য নির্দেশনা দেন। কিন্তু লন্ডনে পলাতক বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া এই পরামর্শে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি এখনই কাউন্সিল করার পক্ষে নন বলেই জানা গেছে। 

গত মঙ্গলবার রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্বিতীয়বারের মতো বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সেখানে তিনি দলের অবস্থা, সাংগঠনিক বিভিন্ন পদ পূরণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলেন বলে জানা গেছে। আর এই সমস্ত বিষয় উত্থাপনের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও একটি কাউন্সিল অধিবেশন করার জন্য নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা নিয়ে গতকাল লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু লন্ডনে পলাতক বিএনপির এই নেতা এই মুহূর্তে কাউন্সিল করার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বরং তিনি কাউন্সিল ছাড়াই বিভিন্ন শূন্য পদ পূরণ এবং কমিটি রদবদলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়া মনে করেন যে, এসময় দল সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যস্ত। কাজেই এখন কাউন্সিল করাটা যৌক্তিক এবং সময়োচিত হবে না। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠন পুনর্বিন্যাস করা যাবে এবং সংগঠনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের মতামতও জানা যাবে। তবে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বলেছেন, কর্মীদের মতামত জানার জন্য কাউন্সিলের দরকার নেই। তিনি সার্বক্ষণিকভাবে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, তারেক জিয়া কাউন্সিল ছাড়াই তার পছন্দের লোকজনকে বিভিন্ন পদে বসাতে চান এবং এই কর্মটি শেষ হওয়ার পর পরবর্তীতে কাউন্সিলের মাধ্যমে তা অনুমোদন করিয়ে নেওয়াই তার মতামত। 

নানা কারণে তারেক জিয়া এখন কাউন্সিলের বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। বিশেষত ২০১৮ সালে তার নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, আবার ২০২৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত, দলের মধ্যে ঢালাও বহিষ্কার এবং অবিবেচকের মতো অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা, ২৮ অক্টোবর হঠাৎ করে রাজনৈতিক কর্মসূচি ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে প্রশ্ন আছে। যদি দলের কাউন্সিল ডাকা হয় তাহলে এই প্রশ্নগুলো প্রকাশ্যে উত্থাপিত হবে এবং তারেক জিয়ার নেতৃত্ব এবং কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।

দলের ভিতরে অনেকেই এখন অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার গুরুত্ব দিচ্ছেন। তারা মনে করছেন, একটি সুনির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত। দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সকলের মতামত গ্রহণ করাও বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাস্তবে এ সব কিছুই হচ্ছে না। আর এই কারণেই কাউন্সিলের মাধ্যমেই বিষয়গুলো সামনে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে তারেক জিয়ার ক্ষমতা খর্ব হতে পারে, তার অনেক সিদ্ধান্ত সমালোচিত হতে পারে। তাই তিনি কাউন্সিল না করে একটি অনুগত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হলে কমিটি বাণিজ্য খুব একটা ভালো মত সম্ভব না। তারেক জিয়ার কাউন্সিল না করার পিছনে এটিও একটি বড় কারণ। কারণ এখন যদি বিএনপিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য বা অন্য পদ গুলো পূরণ করা হয় তাহলে একক ভাবে তারেক জিয়া মোটা অংকের টাকা পাবেন। কিন্তু কাউন্সিল করা হলে বিএনপির কর্মীদের মতামতকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তারেক জিয়ার যে অর্থ উপার্জনের এজেন্ডা তা হোচট খেতে পারে। এ কারণে তিনি কাউন্সিল করার পক্ষে না। তবে খালেদা জিয়া যেহেতু কাউন্সিল করার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাজেই বিএনপি শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত নয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
 

বিএনপি   কাউন্সিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জনপ্রিয়তা দেখেই দল আনারকে মনোনয়ন দিয়েছিল: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সে (এমপি আনার) কী ছিল বড় কথা নয়, তার জনপ্রিয়তা দেখেই দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আপনারা (সাংবাদিক) এখন বলছেন কলকাতায় তাকে চোরাকারবারি বলছে। আমি সাংবাদিকদের বলব, সে তিন-তিনবার জাতীয় সংসদের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তখন কি আপনারা এটা পেয়েছেন? এখন ভারতীয় সাংবাদিকরা কোন তথ্য আনল, সেটার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। আপনারাতো এই দেশের নাগরিক, সে যদি অপরাধী হয়, সেই অপরাধটা আপনাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে কেন এলো না।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য কলকাতায় মারা গেছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে তিনি আওয়ামী লীগের এমপি। সে কী ছিল সেটা বড় কথা না। যে এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে সেই এলাকায় গিয়ে দেখুন, তার জন্য শোকার্ত মানুষের হাহাকার, সে প্রতিনিয়ত কোনো গাড়ি নয়, মোটরসাইকেলে করে সারা এলাকা ঘুরতেন।

তাকে আমরা তৃতীয়বার মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে। এখন সে ভেতরে কোনো অপকর্ম করে কি না জানা নেই। এসব যখনই প্রমাণিত হয়-প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে বলেছেন। অন্যায়কারী, অপরাধী দলের লোক হলেও তিনি ছাড় দেন না।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও উপকমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও উপকমিটির কো-চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্যসচিব মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।


জনপ্রিয়তা   আনার   মনোনয়ন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইরানি দূতাবাসে গিয়ে মির্জা ফখরুলের শোক প্রকাশ

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসে গিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গুলশানে ইরানের দূতাবাসে গিয়ে শোক প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইরানের জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসিসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি বিএনপি  দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ইরানের রাষ্ট্রদূতের অফিসে গিয়ে শোক প্রকাশ করেছি।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বে যখন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের প্রয়োজন, তখন রাইসির মৃত্যু বিশ্বে শান্তির জন্য, সৌহার্দের জন্য দুঃখের বার্তা। রাইসির মৃত্যুতে আল্লাহ যেন ইরানের জনগণ, সরকার, ইরানের রাষ্ট্রপতির পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দেন।


ইরান   দূতাবাস   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন