বিএনপির প্রতিহিংসা ও আক্রোশের রাজনীতি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সব সীমা অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দু কাদের এ কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের দেওয়া ‘নেতিবাচক ও দুরভিসন্ধিমূলক’ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাতেই এই বিবৃতি দিয়েছেন বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।
‘এবারের ঈদ সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসেনি’—বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিহিংসা ও আক্রোশের রাজনীতি আজ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সব সীমা অতিক্রম করেছে। বিএনপির নেতাদের এ ধরনের বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য তাঁদের অন্তর্জ্বালার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ উদ্যাপন করছে। পরিস্থিতি অনুকূল ও স্বস্তিদায়ক হওয়ায় পদ্মা সেতু এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে রেকর্ডসংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে। কোনো প্রকার দুর্ভোগ-দুর্যোগ ছাড়া আনন্দ মনে সাধারণ মানুষের ঈদ উদ্যাপনই বিএনপির নেতাদের মন খারাপের কারণ।
‘জনগণ কষ্টে থাকুক আর তারা জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে রাজনীতি করবে, এটাই বিএনপি নেতাদের বাসনা’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যেনতেন প্রকারে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে এতটাই মরিয়া যে তারা দেশের কিংবা দেশের জনগণের কোনো প্রকার কল্যাণ চিন্তা করতে পারে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে সেই সব দেশের বাজারে খাদ্যদ্রব্য রেশনিং করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার দেশের জনগণের কাছে খাদ্য সরবরাহ স্থিতাবস্থা এবং খাদ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যাদি বিতরণ করছে।
বিএনপি প্রতিহিংসা শিষ্টাচার সীমা অতিক্রম ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।