বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে আজ শুক্রবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। একই দিন একই দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ছয়দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চসহ ৩৭টি দলও পৃথকভাবে সমাবেশ করবে।
একই দিন রাজধানীতে যৌথভাবে সমাবেশ করবে বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের এসব সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থাকবে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের তৎপরতা।
এর মধ্যে বিএনপি মহাসমাবেশ করবে নয়াপল্টনে, বেলা দুইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা। আর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সমাবেশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে, বেলা তিনটায়। তবে দুটি সমাবেশেই দুপুরের আগে থেকে নেতা-কর্মীদের জমায়েত শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ছয়দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ হবে বেলা তিনটায়, মৎস্য ভবন থেকে শিল্পকলা একাডেমির সামনের সড়কে। ১২-দলীয় জোটের সমাবেশ বেলা তিনটায়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমাবেশ বেলা ১১টায়, বিজয়নগরের আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে। এলডিপি কারওয়ান বাজারে এফডিসি-সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা তিনটায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
গণফোরাম ও পিপলস পার্টি বেলা তিনটায় মতিঝিলে নটর ডেম কলেজের উল্টো পাশে এবং এবি পার্টি বেলা ১১টায় বিজয়নগরের বিজয়-৭১ চত্বরে প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ করবে। গণ অধিকার পরিষদের (নুরুল-রাশেদ) বিক্ষোভ সমাবেশ পল্টনে প্রিতম-জামান টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। গণ অধিকার পরিষদ (কিবরিয়া-ফারুক) সমাবেশ করবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেল চারটায়। বাংলাদেশ লেবার পার্টির সমাবেশ বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বেলা সাড়ে তিনটায়।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলন পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে।
ঢাকা রাজনৈতিক দল সমাবেশ শুক্রবার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।